কোন্ খেলা যে খেলব কখন্ ভাবি বসে সেই কথাটাই--
তোমার আপন খেলার সাথি করো, তা হলে আর ভাবনা তো নাই ॥
শিশির-ভেজা সকালবেলা আজ কি তোমার ছুটির খেলা--
বর্ষণহীন মেঘের মেলা তার সনে মোর মনকে ভাসাই ॥
তোমার নিঠুর খেলা খেলবে যে দিন বাজবে সে দিন ভীষণ ভেরী--
ঘনাবে মেঘ, আঁধার হবে, কাঁদবে হাওয়া আকাশ ঘেরি।
সে দিন যেন তোমার ডাকে ঘরের বাঁধন আর না থাকে--
অকাতরে পরানটাকে প্রলয়দোলায় দোলাতে চাই ॥
রাগ: খাম্বাজ-বাউল
তাল: দাদরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ৫ ভাদ্র, ১৩২৯
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ২২ অগাস্ট, ১৯২২
রচনাস্থান: শান্তিনিকেতন
স্বরলিপিকার: সুভাষ চৌধুরী, অনাদিকুমার দস্তিদার, শান্তিদেব ঘোষ
==============================================
আজি ঝরো ঝরো মুখর বাদরদিনে
জানি নে, জানি নে কিছুতে কেন যে মন লাগে না ॥
এই চঞ্চল সজল পবন-বেগে উদ্ভ্রান্ত মেঘে মন চায়
মন চায় ওই বলাকার পথখানি নিতে চিনে॥
মেঘমল্লার সারা দিনমান।
বাজে ঝরনার গান।
মন হারাবার আজি বেলা, পথ ভুলিবার খেলা-- মন চায়
মন চায় হৃদয় জড়াতে কার চিরঋণে॥
রাগ: কাফি
তাল: ২ + ২ ছন্দ
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1346
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1939
স্বরলিপিকার: শৈলজারঞ্জন মজুমদার
জানি নে, জানি নে কিছুতে কেন যে মন লাগে না ॥
এই চঞ্চল সজল পবন-বেগে উদ্ভ্রান্ত মেঘে মন চায়
মন চায় ওই বলাকার পথখানি নিতে চিনে॥
মেঘমল্লার সারা দিনমান।
বাজে ঝরনার গান।
মন হারাবার আজি বেলা, পথ ভুলিবার খেলা-- মন চায়
মন চায় হৃদয় জড়াতে কার চিরঋণে॥
রাগ: কাফি
তাল: ২ + ২ ছন্দ
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1346
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1939
স্বরলিপিকার: শৈলজারঞ্জন মজুমদার
============================================
তুমি যে সুরের আগুন লাগিয়ে দিলে মোর প্রাণে,
এ আগুন ছড়িয়ে গেল সব খানে॥
যত সব মরা গাছের ডালে ডালে
নাচে আগুন তালে তালে রে,
আকাশে হাত তোলে সে কার পানে ॥
আঁধারের তারা যত অবাক্ হয়ে রয় চেয়ে,
কোথাকার পাগল হাওয়া বয় ধেয়ে।
নিশীথের বুকের মাঝে এই-যে অমল
উঠল ফুটে স্বর্ণকমল,
আগুনের কী গুণ আছে কে জানে ॥
রাগ: বাউল
তাল: দাদরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ২৮ চৈত্র, ১৩২০
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ৭ এপ্রিল, ১৯১৪
রচনাস্থান: শান্তিনিকেতন
স্বরলিপিকার: ইন্দিরা দেবী, দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
এ আগুন ছড়িয়ে গেল সব খানে॥
যত সব মরা গাছের ডালে ডালে
নাচে আগুন তালে তালে রে,
আকাশে হাত তোলে সে কার পানে ॥
আঁধারের তারা যত অবাক্ হয়ে রয় চেয়ে,
কোথাকার পাগল হাওয়া বয় ধেয়ে।
নিশীথের বুকের মাঝে এই-যে অমল
উঠল ফুটে স্বর্ণকমল,
আগুনের কী গুণ আছে কে জানে ॥
রাগ: বাউল
তাল: দাদরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ২৮ চৈত্র, ১৩২০
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ৭ এপ্রিল, ১৯১৪
রচনাস্থান: শান্তিনিকেতন
স্বরলিপিকার: ইন্দিরা দেবী, দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
============================================
মনে রবে কি না রবে আমারে সে আমার মনে নাই।
ক্ষণে ক্ষণে আসি তব দুয়ারে, অকারণে গান গাই॥
চলে যায় দিন, যতখন আছি পথে যেতে যদি আসি কাছাকাছি
তোমার মুখের চকিত সুখের হাসি দেখিতে যে চাই--
তাই অকারণে গান গাই॥
ফাগুনের ফুল যায় ঝরিয়া ফাগুনের অবসানে--
ক্ষণিকের মুঠি দেয় ভরিয়া, আর কিছু নাহি জানে।
ফুরাইবে দিন, আলো হবে ক্ষীণ, গান সারা হবে, থেমে যাবে বীন,
যতখন থাকি ভরে দিবে না কি এ খেলারই ভেলাটাই--
তাই অকারণে গান গাই॥
রাগ: খাম্বাজ
তাল: কাহারবা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৯ ফাল্গুন, ১৩৩৩
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ৩ মার্চ, ১৯২৭
রচনাস্থান: শান্তিনিকেতন
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
ক্ষণে ক্ষণে আসি তব দুয়ারে, অকারণে গান গাই॥
চলে যায় দিন, যতখন আছি পথে যেতে যদি আসি কাছাকাছি
তোমার মুখের চকিত সুখের হাসি দেখিতে যে চাই--
তাই অকারণে গান গাই॥
ফাগুনের ফুল যায় ঝরিয়া ফাগুনের অবসানে--
ক্ষণিকের মুঠি দেয় ভরিয়া, আর কিছু নাহি জানে।
ফুরাইবে দিন, আলো হবে ক্ষীণ, গান সারা হবে, থেমে যাবে বীন,
যতখন থাকি ভরে দিবে না কি এ খেলারই ভেলাটাই--
তাই অকারণে গান গাই॥
রাগ: খাম্বাজ
তাল: কাহারবা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৯ ফাল্গুন, ১৩৩৩
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ৩ মার্চ, ১৯২৭
রচনাস্থান: শান্তিনিকেতন
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
===========================================
যে ছিল আমার স্বপনচারিণী
তারে বুঝিতে পারি নি।
দিন চলে গেছে খুঁজিতে খুঁজিতে॥
শুভক্ষণে কাছে ডাকিলে,
লজ্জা আমার ঢাকিলে গো,
তোমারে সহজে পেরেছি বুঝিতে॥
কে মোরে ফিরাবে অনাদরে,
কে মোরে ডাকিবে কাছে,
কাহার প্রেমের বেদনায় আমার মূল্য আছে,
এ নিরন্তর সংশয়ে হায় পারি নে যুঝিতে--
আমি তোমারেই শুধু পেরেছি বুঝিতে॥
রাগ: ভৈরবী-কীর্তন
তাল: দাদরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ২২ অগ্রহায়ণ, ১৩৪৫
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ৮ ডিসেম্বর, ১৯৩৮
রচনাস্থান: শান্তিনিকেতন
স্বরলিপিকার: শৈলজারঞ্জন মজুমদার
তারে বুঝিতে পারি নি।
দিন চলে গেছে খুঁজিতে খুঁজিতে॥
শুভক্ষণে কাছে ডাকিলে,
লজ্জা আমার ঢাকিলে গো,
তোমারে সহজে পেরেছি বুঝিতে॥
কে মোরে ফিরাবে অনাদরে,
কে মোরে ডাকিবে কাছে,
কাহার প্রেমের বেদনায় আমার মূল্য আছে,
এ নিরন্তর সংশয়ে হায় পারি নে যুঝিতে--
আমি তোমারেই শুধু পেরেছি বুঝিতে॥
রাগ: ভৈরবী-কীর্তন
তাল: দাদরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ২২ অগ্রহায়ণ, ১৩৪৫
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ৮ ডিসেম্বর, ১৯৩৮
রচনাস্থান: শান্তিনিকেতন
স্বরলিপিকার: শৈলজারঞ্জন মজুমদার
=============================================
আমি চিনি গো চিনি তোমারে ওগো বিদেশিনী।
তুমি থাক সিন্ধুপারে ওগো বিদেশিনী॥
তোমায় দেখেছি শারদপ্রাতে, তোমায় দেখেছি মাধবী রাতে,
তোমায় দেখেছি হৃদি-মাঝারে ওগো বিদেশিনী।
আমি আকাশে পাতিয়া কান শুনেছি শুনেছি তোমারি গান,
আমি তোমারে সঁপেছি প্রাণ ওগো বিদেশিনী।
ভুবন ভ্রমিয়া শেষে আমি এসেছি নূতন দেশে,
আমি অতিথি তোমারি দ্বারে ওগো বিদেশিনী॥
রাগ: খাম্বাজ
তাল: একতাল
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ২৫ আশ্বিন, ১৩০২
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1895
রচনাস্থান: শিলাইদহ
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, সরলা দেবী
তুমি থাক সিন্ধুপারে ওগো বিদেশিনী॥
তোমায় দেখেছি শারদপ্রাতে, তোমায় দেখেছি মাধবী রাতে,
তোমায় দেখেছি হৃদি-মাঝারে ওগো বিদেশিনী।
আমি আকাশে পাতিয়া কান শুনেছি শুনেছি তোমারি গান,
আমি তোমারে সঁপেছি প্রাণ ওগো বিদেশিনী।
ভুবন ভ্রমিয়া শেষে আমি এসেছি নূতন দেশে,
আমি অতিথি তোমারি দ্বারে ওগো বিদেশিনী॥
রাগ: খাম্বাজ
তাল: একতাল
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ২৫ আশ্বিন, ১৩০২
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1895
রচনাস্থান: শিলাইদহ
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, সরলা দেবী
==============================================
"আমি তখন ছিলেম মগন গহন ঘুমের ঘোরে,
যখন বৃষ্টি নামল তিমিরনিবিড় রাতে.....।"
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
======================================
ক্ষণে ক্ষণে আসি তব দুয়ারে, অকারণে গান গাই...
মনে রবে কিনা রবে আমারে....
মনে রবে কিনা রবে আমারে....
===========================
তুমি মোর আনন্দ হয়ে ছিলে আমার খেলায় ,
আনন্দে তাই ভুলেছিলাম, কেটেছে দিন হেলায় ,
গোপন রহি গভীর প্রানে, আমার দুঃখ সুখের গানে
সুর দিয়েছো তুমি .......
আমি তোমার গান তো গাইনি আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে ....
দেখতে আমি পাইনি তোমায় দেখতে আমি পাইনি .............।
আনন্দে তাই ভুলেছিলাম, কেটেছে দিন হেলায় ,
গোপন রহি গভীর প্রানে, আমার দুঃখ সুখের গানে
সুর দিয়েছো তুমি .......
আমি তোমার গান তো গাইনি আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে ....
দেখতে আমি পাইনি তোমায় দেখতে আমি পাইনি .............।
================================================
তুমি যদি কাউকে ভালোবাস,তবে তাকে ছেড়ে দাও।
যদি সে তোমার কাছে ফিরে আসে,
তবে সে তোমার-ই ছিল,
আর যদি না ফিরে আসে,তবে সে কখনই তোমার ছিল না.....
~রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর~
===========================================
না চাহিলে যারে পাওয়া যায়, তেয়াগিলে আসে হাতে,
দিবসে সে ধন হারায়েছি আমি-- পেয়েছি আঁধার রাতে॥
না দেখিবে তারে, পরশিবে না গো, তারি পানে প্রাণ মেলে দিয়ে জাগো--
তারায় তারায় রবে তারি বাণী, কুসুমে ফুটিবে প্রাতে॥
তারি লাগি যত ফেলেছি অশ্রুজল
বীণাবাদিনীর শতদলদলে করিছে সে টলোমল।
মোর গানে গানে পলকে পলকে ঝলসি উঠিছে ঝলকে ঝলকে,
শান্ত হাসির করুণ আলোকে ভাতিছে নয়নপাতে॥
রাগ: কীর্তন
তাল: দাদরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): কার্তিক, ১৩৪০
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1933
স্বরলিপিকার: শৈলজারঞ্জন মজুমদার
দিবসে সে ধন হারায়েছি আমি-- পেয়েছি আঁধার রাতে॥
না দেখিবে তারে, পরশিবে না গো, তারি পানে প্রাণ মেলে দিয়ে জাগো--
তারায় তারায় রবে তারি বাণী, কুসুমে ফুটিবে প্রাতে॥
তারি লাগি যত ফেলেছি অশ্রুজল
বীণাবাদিনীর শতদলদলে করিছে সে টলোমল।
মোর গানে গানে পলকে পলকে ঝলসি উঠিছে ঝলকে ঝলকে,
শান্ত হাসির করুণ আলোকে ভাতিছে নয়নপাতে॥
রাগ: কীর্তন
তাল: দাদরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): কার্তিক, ১৩৪০
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1933
স্বরলিপিকার: শৈলজারঞ্জন মজুমদার
===========================================
আমারে তুমি অশেষ করেছো
এমনি লীলা তব
ফুরায়ে ফেলে আবার ভরেছো
জীবন নব নব
এমনি লীলা তব
ফুরায়ে ফেলে আবার ভরেছো
জীবন নব নব
====================================
বসিয়া আছ কেন আপণ মনে?..
স্বার্থ নিমগ্ন কি কারনে?...
চারিদিকে দেখ চাহি হৃদয় প্রসারি...
ক্ষুদ্র দুঃখ সব তুচ্ছ মানি..
প্রেম ভরিয়া লহো শূন্য জীবনে..
স্বার্থ নিমগ্ন কি কারনে?...
চারিদিকে দেখ চাহি হৃদয় প্রসারি...
ক্ষুদ্র দুঃখ সব তুচ্ছ মানি..
প্রেম ভরিয়া লহো শূন্য জীবনে..
==========================================
আরো আরো প্রভু, আরো আরো।
এমনি করে আমায় মারো।
লুকিয়ে থাকি আমি পালিয়ে বেড়াই,
ধরা পড়ে গেছি আর কি এড়াই?
যা কিছু আছে সব কাড়ো কাড়ো।
এবার যা করবার তা সারো সারো।
আমি হারি কিম্বা তুমিই হারো!
হাটে ঘাটে বাটে করি মেলা,
কেবল হেসে খেলে গেছে বেলা,
দেখি কেমনে কাঁদাতে পারো।
এমনি করে আমায় মারো।
লুকিয়ে থাকি আমি পালিয়ে বেড়াই,
ধরা পড়ে গেছি আর কি এড়াই?
যা কিছু আছে সব কাড়ো কাড়ো।
এবার যা করবার তা সারো সারো।
আমি হারি কিম্বা তুমিই হারো!
হাটে ঘাটে বাটে করি মেলা,
কেবল হেসে খেলে গেছে বেলা,
দেখি কেমনে কাঁদাতে পারো।
=============================================
"আমি তখন ছিলেম মগন গহন ঘুমের ঘোরে,
যখন বৃষ্টি নামল তিমিরনিবিড় রাতে.....।"
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
==========================================
শুধু বিধাতার সৃষ্টি নহ তুমি নারী !
পুরুষ গড়েছে তোরে সৌন্দর্য সঞ্চারি
আপন অন্তর হতে ।
পুরুষ গড়েছে তোরে সৌন্দর্য সঞ্চারি
আপন অন্তর হতে ।
====================================
কেন মেঘ আসে,
হৃদয় আকাশে ,
তোমারে দেখিতে দেয়না?
=====================================
আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়।
আমি তার লাগি পথ চেয়ে আছি যে জন পথে ভাসায়।।
যে জন দেয় না দেখা, যায় যে দেখে_ভালোবাসে আড়াল থেকে_
আমার মন মজেছে সেই গভীরের গোপন ভালোবাসায়..
আমি তার লাগি পথ চেয়ে আছি যে জন পথে ভাসায়।।
যে জন দেয় না দেখা, যায় যে দেখে_ভালোবাসে আড়াল থেকে_
আমার মন মজেছে সেই গভীরের গোপন ভালোবাসায়..
==========================================
হার মানালে গো, ভাঙিলে অভিমান হায় হায় ।
ক্ষীণ হাতে জ্বালা ম্লান দীপের থালা হল খান্ খান্ হায় হায় ।।
এবার তবে জ্বালা আপন তারার আলো,
রঙিন ছায়ায় এই গোধূলি হোক অবসান হায় হায় ।।
এসো পারের সাথি-
বইল পথের হাওয়া, নিবল ঘরের বাতি ।
আজি বিজন বাটে, অন্ধকারের ঘাটে
সব-হারানো নাটে এনেছি এই গান হায় হায় ।।
ক্ষীণ হাতে জ্বালা ম্লান দীপের থালা হল খান্ খান্ হায় হায় ।।
এবার তবে জ্বালা আপন তারার আলো,
রঙিন ছায়ায় এই গোধূলি হোক অবসান হায় হায় ।।
এসো পারের সাথি-
বইল পথের হাওয়া, নিবল ঘরের বাতি ।
আজি বিজন বাটে, অন্ধকারের ঘাটে
সব-হারানো নাটে এনেছি এই গান হায় হায় ।।
===========================================
কাল রাতের বেলা গান এল মোর মনে,
তখন তুমি ছিলে না মোর সনে॥
যে কথাটি বলব তোমায় ব'লে কাটল জীবন নীরব চোখের জলে
সেই কথাটি সুরের হোমানলে উঠল জ্বলে একটি আঁধার ক্ষণে--
তখন তুমি ছিলে না মোর সনে॥
ভেবেছিলেম আজকে সকাল হলে
সেই কথাটি তোমায় যাব বলে
ফুলের উদাস সুবাস বেড়ায় ঘুরে পাখির গানে আকাশ গেল পুরে,
সেই কথাটি লাগল না সেই সুরে যতই প্রয়াস করি পরানপণে--
যখন তুমি আছ আমার সনে ॥
তখন তুমি ছিলে না মোর সনে॥
যে কথাটি বলব তোমায় ব'লে কাটল জীবন নীরব চোখের জলে
সেই কথাটি সুরের হোমানলে উঠল জ্বলে একটি আঁধার ক্ষণে--
তখন তুমি ছিলে না মোর সনে॥
ভেবেছিলেম আজকে সকাল হলে
সেই কথাটি তোমায় যাব বলে
ফুলের উদাস সুবাস বেড়ায় ঘুরে পাখির গানে আকাশ গেল পুরে,
সেই কথাটি লাগল না সেই সুরে যতই প্রয়াস করি পরানপণে--
যখন তুমি আছ আমার সনে ॥
================================================
যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে,
আমি বাইব না মোর খেয়াতরী এই ঘাটে,
চুকিয়ে দেব বেচা কেনা,
মিটিয়ে দেব গো, মিটিয়ে দেব লেনা দেনা,
বন্ধ হবে আনাগোনা এই হাটে--
তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে,
তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে।...
আমি বাইব না মোর খেয়াতরী এই ঘাটে,
চুকিয়ে দেব বেচা কেনা,
মিটিয়ে দেব গো, মিটিয়ে দেব লেনা দেনা,
বন্ধ হবে আনাগোনা এই হাটে--
তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে,
তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে।...
============================================
আমার মল্লিকাবনে যখন প্রথম ধরেছে কলি
তোমার লাগিয়া তখনি, বন্ধু, বেঁধেছিনু অঞ্জলি॥
তখনো কুহেলীজালে,
সখা, তরুণী উষার ভালে
শিশিরে শিশিরে অরুণমালিকা উঠিতেছে ছলোছলি॥
এখনো বনের গান, বন্ধু হয় নি তো অবসান--
তবু এখনি যাবে কি চলি।
ও মোর করুণ বল্লিকা,
ও তোর শ্রান্ত মল্লিকা
ঝরো-ঝরো হল, এই বেলা তোর শেষ কথা দিস বলি॥
রাগ: কীর্তন
তাল: দাদরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1337
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1931
স্বরলিপিকার: অনাদিকুমার দস্তিদার
তোমার লাগিয়া তখনি, বন্ধু, বেঁধেছিনু অঞ্জলি॥
তখনো কুহেলীজালে,
সখা, তরুণী উষার ভালে
শিশিরে শিশিরে অরুণমালিকা উঠিতেছে ছলোছলি॥
এখনো বনের গান, বন্ধু হয় নি তো অবসান--
তবু এখনি যাবে কি চলি।
ও মোর করুণ বল্লিকা,
ও তোর শ্রান্ত মল্লিকা
ঝরো-ঝরো হল, এই বেলা তোর শেষ কথা দিস বলি॥
রাগ: কীর্তন
তাল: দাদরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1337
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1931
স্বরলিপিকার: অনাদিকুমার দস্তিদার
========================================
বিধি ডাগর আঁখি যদি দিয়েছিল
সে কি আমারি পানে ভুলে পড়িবে না ।।
দুটি অতুল পদতল রাতুল শতদল
জানি না কী লাগিয়া পরশে ধরাতল,
মাটির 'পরে তার করুণা মাটি হল- সে পদ মোর পথে চলিবে না ?।
তব কন্ঠ-'পরে হয়ে দিশাহারা
বিধি অনেক ঢেলেছিল মধুধারা ।
যদি ও মুখ মনোরব শ্রবণে রাখি মম
নীরবে অতিধীরে ভ্রমরগীতিসম
দু কথা বল যদি 'প্রিয়' বা 'প্রিয়তম', তাহে তো কণা মধু ফুরাবে না ।
হাসিতে সুধানদী উছলে নিরবধি,
নয়নে ভরি উঠে অমৃতমহোদধি-
এত সুধা কেন সৃজিল বিধি, যদি আমারি তৃষাটুকু পূরাবে না ।।
সে কি আমারি পানে ভুলে পড়িবে না ।।
দুটি অতুল পদতল রাতুল শতদল
জানি না কী লাগিয়া পরশে ধরাতল,
মাটির 'পরে তার করুণা মাটি হল- সে পদ মোর পথে চলিবে না ?।
তব কন্ঠ-'পরে হয়ে দিশাহারা
বিধি অনেক ঢেলেছিল মধুধারা ।
যদি ও মুখ মনোরব শ্রবণে রাখি মম
নীরবে অতিধীরে ভ্রমরগীতিসম
দু কথা বল যদি 'প্রিয়' বা 'প্রিয়তম', তাহে তো কণা মধু ফুরাবে না ।
হাসিতে সুধানদী উছলে নিরবধি,
নয়নে ভরি উঠে অমৃতমহোদধি-
এত সুধা কেন সৃজিল বিধি, যদি আমারি তৃষাটুকু পূরাবে না ।।
============================================
আমার ব্যথা যখন আনে আমায় তোমার দ্বারে
তখন আপনি এসে দ্বার খুলে দাও, ডাকো তারে ॥
বাহুপাশের কাঙাল সে যে, চলেছে তাই সকল ত্যেজে,
কাঁটার পথে ধায় সে তোমার অভিসারে ॥
আমার ব্যথা যখন বাজায় আমায় বাজি সুরে--
সেই গানের টানে পারো না আর রইতে দূরে।
লুটিয়ে পড়ে সে গান মম ঝড়ের রাতের পাখি-সম,
বাহির হয়ে এসো তুমি অন্ধকারে ॥
তখন আপনি এসে দ্বার খুলে দাও, ডাকো তারে ॥
বাহুপাশের কাঙাল সে যে, চলেছে তাই সকল ত্যেজে,
কাঁটার পথে ধায় সে তোমার অভিসারে ॥
আমার ব্যথা যখন বাজায় আমায় বাজি সুরে--
সেই গানের টানে পারো না আর রইতে দূরে।
লুটিয়ে পড়ে সে গান মম ঝড়ের রাতের পাখি-সম,
বাহির হয়ে এসো তুমি অন্ধকারে ॥
=========================================
তুমি মোর আনন্দ হয়ে ছিলে আমার খেলায় ,
আনন্দে তাই ভুলেছিলাম, কেটেছে দিন হেলায় ,
গোপন রহি গভীর প্রানে, আমার দুঃখ সুখের গানে
সুর দিয়েছো তুমি .......
আমি তোমার গান তো গাইনি আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে ....
দেখতে আমি পাইনি তোমায় দেখতে আমি পাইনি .............।
আনন্দে তাই ভুলেছিলাম, কেটেছে দিন হেলায় ,
গোপন রহি গভীর প্রানে, আমার দুঃখ সুখের গানে
সুর দিয়েছো তুমি .......
আমি তোমার গান তো গাইনি আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে ....
দেখতে আমি পাইনি তোমায় দেখতে আমি পাইনি .............।
===============================================
যদি প্রেম দিলে না প্রাণে
কেন ভোরের আকাশ ভরে দিলে এমন গানে গানে?।
কেন তারার মালা গাঁথা,
কেন ফুলের শয়ন পাতা,
কেন দখিন-হাওয়া গোপন কথা জানায় কানে কানে?।
যদি প্রেম দিলে না প্রাণে
কেন আকাশ তবে এমন চাওয়া চায় এ মুখের পানে?
তবে ক্ষণে ক্ষণে কেন
আমার হৃদয় পাগল-হেন
তরী সেই সাগরে ভাসায় যাহার কূল সে নাহি জানে?।
রাগ: সাহানা
তাল: একতাল
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1344
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1938
স্বরলিপিকার: ইন্দিরা দেবী, দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
কেন ভোরের আকাশ ভরে দিলে এমন গানে গানে?।
কেন তারার মালা গাঁথা,
কেন ফুলের শয়ন পাতা,
কেন দখিন-হাওয়া গোপন কথা জানায় কানে কানে?।
যদি প্রেম দিলে না প্রাণে
কেন আকাশ তবে এমন চাওয়া চায় এ মুখের পানে?
তবে ক্ষণে ক্ষণে কেন
আমার হৃদয় পাগল-হেন
তরী সেই সাগরে ভাসায় যাহার কূল সে নাহি জানে?।
রাগ: সাহানা
তাল: একতাল
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1344
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1938
স্বরলিপিকার: ইন্দিরা দেবী, দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
===========================================
No comments:
Post a Comment