Monday 5 August 2013


~~যদি তুমি~~

যদি তুমি জামা হও
বোতাম হব,
যদি তুমি পাখা হও
বাতাস হব,
যদি তুমি রাত্রি হও
তারা হব,
যদি তুমি তুমি হও
ছায়া হব,
যদি তুমি আমি হও
তুমি হব|
=============================================

~~রুপালী থালা~~
 

আমি কখনোই তার হাতে হাত অথবা
কাধে হাত রেখে চাঁদনী রাতের
জ্যোত্‍স্নায় বসতে পারিনি।
পারিনি কখনো পৃথিবীর সবচেয়ে
ফিনিকফোটা চাঁদের জ্যোত্‍স্না
অবলোকন করতে।
পারিনি কখনো দেখতে
পুকুরের থৈ থৈ জলে চাঁদের ছায়া পড়ে
থৈ থৈ করা এক রুপালী থালা।

ইস! যদি পারতাম
পরম যত্নে নিজের হাতে
ঐ রুপালী থালায়
সুগন্ধি চাঁলের ভাতে রুপালী ইলিশ
মাছের তরকারী দিয়ে মাখিয়ে
তোমার মুখে তুলে খাওয়াতাম,
আর ভালবেসে হৃদয়ের জালে জড়াতাম।

কখনো পারিনি...!
হয়তো পারবোওনা...!
কারন, আমাকে তুমি বন্ধুর চেয়ে
বেশি কিছুই ভাবনা।
============================================
~~অনাদরের শিশু~~

রেললাইনের পাশের ছেলেটিকে,গালি দিচ্ছো শূয়র জোচ্চোর বলে,
নেহাৎ ভাতের জন্য,নয়তোবা সেও বুঝিয়ে দিত;তার উপস্থিতি-
তোমার চেয়ে কোন অংশে সে কম নয়,এমনকি কি যোগ্যতায়?

আজ যাদের নাক কুচকে যায়,বস্তির ছেলের পচা খাবার খাওয়ায়-
তাঁরা হয়তো কাটিয়ে দিবে জীবনটা আরাম,আয়েস,বিলাসিতায়!
কিন্তু খুঁজে পাবে না জীবনের মানে,সার্থকতা আসলে কোথায়?

পথ শিশুদের গায়ের নোংরা পোশাক দেখে,ঘৃণায় মুখ ফেরায় যারা-
দেখতে পায়না একটিবার তাদের ভিতরটা আসলে;কতটাই নোংরা!

আজ যারা মানুষকে অমানুষ বলে গালি দেয়,কারনে বা অকারনে-
তাঁরা জানে না মনুষ্যত্ব কি?যা কখনো টাকায় কিনতে পাওয়া যায় না!

অর্থ বিত্তের লোভে অনাহারীর বুকে লাথি মারতে,কাঁপে না যাদের বুক-
টাকার পাহাড় গড়েও তাঁরা পাবে না তো আত্মার প্রশস্তি কিংবা সুখ!

প্রতিবাদ করেনি দুর্বল বলে সারাটা জীবন সয়ে গেছে যারা অনাচার-
তারাই একদিন প্রতিবাদী হবে,গায়বে তখন মানবতার শাশ্বত জয়গান;
এখনি সময়,নিজেকে তোমার,শুধরে নেবার,করেছে যত খুন-খারাপি পাপ-
তা না হলে আস্তাকুড়ে ঠাই হবে তাই,সাথে থাকবে কেবলই অভিশাপ!

আজ যে শিশু ভূমিষ্ঠ হল,জানে না তার;ভাগ্যের লিখন-
প্রেম-প্রীতি আর ভালবাসায়,জীবনটা তাঁর;ভরিয়ে রাখুন
সবাই মিলে,আসুন এবার,শিশুদের জয়গান গাই-
সময় করে,অনাদরের শিশুদের মাথায়,একটু হাত বুলাই!
==============================================
বৃষ্টি দেখে চেনা গেল
এ জল রোদ চুরি করেছিল উঠোনের নদী থেকে,
সেই জল ফিরে পেল নদী-
মাঝে কতোদিন শুকনো মাটির ভেতর
শরীর লুকিয়েছিল শামুকের দল,
পেটের সঞ্চিত জলপ্রাণ ফুরিয়ে ফুরিয়ে
কিশোরী ব্যাঙ দিয়েছিল ছেড়ে জীবনের স্বাদ-
নদী ভেবেছিল লুট হওয়া জল ফিরে পাবে না বুঝি আর!
===============================================
হলপ করেই বলছি আমি,
 স্বয়ং প্লেটোও হেরে যেতেন যুবাকালে তোমার দেখা পেলে, 
রিপাবলিকে কবি ও কবিতা বাতিলের আস্পর্ধা না দেখিয়ে প্রেমাচ্ছন্নে তোমার ঠোঁটে ঠোঁট রেখে 
একের পর একে লিখে যেতেন অমর সব কাব্যগাঁথা।

তুমি জাদু জানো হে নারী, অবেলাতেও মিউ মিউ করছে আমার সব লজিক।

হেরে গেছি প্রমীলার কাছে। তাতে কী! শেষটায় আমিই তো জয়ী।
==============================================
" ~~চার দেয়ালে~~ "


রান্না ঘরে যুদ্ধ যখন শীল পাটাতে
বেলুন পিড়ায় জীবন রুটি খুব আঘাতে
জানলা ধরে হাত বাড়ালেই অবাক নিশি
তখন আমি শীল পাটাতেই কষ্ট পিষি ।

বেলুন পিড়ায় চেপ্টা করি আকাঙ্খাকে
এক পাতিলে দুঃখ ফুটাই চালের বেগে
এক হাড়িতে সুখকে জমাই ভাড়ার ঘরে
এক বেদনা ধুয়েই ফেলি ছাইয়ের ঝড়ে।

একটু আশা গন্ধে কষাই পাঁচ ফোড়নে
বাঘার দিয়ে রসুন কাঁদাই ভুল কারণে
মসলা পেষার কচকচানি কার খেয়ালে
অবাক জীবন আটকে গেছে চার দেয়ালে।
========================================
~~কবি গুরু রবি গো,~~

তোমার লিখায়, গানে, স্রস্টার প্রতি যে আত্মসমর্পণ আমি দেখেছি, 
তা অনেক আলেম, হাফেজ মোল্লা মুন্সীর মধ্যে দেখি নি !

আমি গর্বিত তোমার জ্ঞানে, গানে, স্রস্টার প্রতি আত্ম-সমর্পণে !

এই আত্মসমর্প‌নের ই আরবি প্রতিশব্দ - মুসলিম !

আমার চোখে তাই, তুমি আমার চেয়ে অনেক গুনে বড় মুসলিম !

রবি বাবু গো,
এরা ইসলাম, মুসলিম, মুত্তাকি, মুমিন এর অর্থ না জেনে "জন্ম কপালে ধর্ম বড়াই" কারি !

তোমার আত্মার শান্তির দোয়া করি !
==========================================
~~ক্রুশবিদ্ধ প্রেমকষ্ট~~

প্রগাঢ় প্রেম গাঢ় অনুভুতি
এক বুক দহন -
শরবিদ্ধ স্বপ্নে বাতাস ভারী
বুলবুলি থেমে যায় -

হৃদয় ঘূর্ণী বিপ্রতীপ স্রোত
ওড়ায় শোকবার্তা
কলির কৃষ্ণ পোড়ে একাকী
ক্রুশবিদ্ধ প্রেমকষ্টে। 
==========================================
~~মধ্যাহ্ন খরায় তবু আসে প্রেম~~

মরা গাঙেও বান আসে
ভাটির টানে শান্ত নদী আচমকা বর্ষার ছোঁয়ায়
হয়ে যায় ঋতুবতী চপলা তরুণী।

নিস্তরঙ্গ নিথর সময়
বিপ্রতীপ কোণে তুমি আর আমি
যাপিত জীবনে মধ্যাহ্ন খরা ।

হঠাৎ দমকা হাওয়া -
কড়া নেড়ে যায়
তোমার তানপুরায় আমার সুর ।

বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের জল
শুনছো কি তুমি ..
ভেসে যাবে সমাজ-সংস্কার, নিষেধের তর্জনী।

নারী তুমি হয়ে গেছো উচ্ছল নদী
আমি নামছি জলে ...
করব যে এবার জলকেলি।
============================================
~~ভবিতব্য~~

সর্বক্ষণ পিছু আছে সে
জন্মাবধি পিছুলাগা ফেউ ।

ভুলে যাই, ভুলে থাকি
তবু নিশ্চিত নাছোড়বান্দা
থাকবেই সে শেষাবধি।

সময় সাক্ষী রেখে ধাতব চুম্বন
পাঠাবেই আমাকে হিমাগারে ।
বোধের অতলে বোধ সেদিন
উঠবে কি বলে -
'তুহু মম শ্যাম সমান!'
============================================
~~রাজাকারের ফাঁসি চাই~~

সংকোচ নয়,বিরোধ নয়;বলছি তবে শোন-
বাংলা মায়ের ইতিহাস তুমি,কতটাই বা জানো!
রক্তে বাংলা লাল হয়েছে,একাত্তর সনে-
সেই কথা কি ভুলে গেছো,কিছুই নেই মনে?

চোখের সামনে দেখছি কত,বোনের সম্ভ্রম হানি-
নিভৃতে তাই কত মায়ের,ঝরছে চোখের পানি
ভাই হারানোর ব্যথা কেবল,আমি শুধু জানি-
জীবন দিয়ে তাঁরা মোদের,করে গেছে ঋণী!

সেই ঋণ তো সবাই ভুললেও,আমি ভুলি নাই-
একবার নয়,হাজারবারে;রাজাকারের ফাঁসি শুধু চাই
সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন ক্ষমা নাই,
জোর গলায় তাই রাজাকারের ফাঁসির মৃত্যু চাই ।

রাজাকারের সাথে মোদের,কোন আপোষ নাই-
প্রতিক্ষেত্রে,এদেরকে তাই দমন করা চাই
মুক্তিকামী সৈনিক মোরা পরস্পরের ভাই-
একাত্তরের চেতনাকে,জাগিয়ে রাখা চাই ।

উচ্চ কণ্ঠে আবারো তাই সকলকে জানাই-
রাজাকার মুক্ত বাংলা মোরা,গড়ে যেতে চাই ।
===============================================
~~~অন্তিম ক্ষণের অনু পাওয়া~~~

আমি শীতল! নিস্পলক তাকিয়ে দেখলাম,
তোমার চোখের মুক্ত মণি ফ্যাকাসে হয়ে গেছে।
তুষারপাতে তোমার চনমনে বিবেক হারিয়েছো,
জেলিভোজা মুখখানি হয়ে আছে গন্ডারের চামড়ার মতো।

আমি দেখিলাম, তোমার হাত ক্ষয়ে গেছে
আজ তৈজসপত্রের মতো করে ক্ষয়ের সাথে সাথে,
তোমার সৌন্দযর্তা র্সূয অস্তের সাথে বিলীন হয়ে গেছে।
তারপরও বুঝতে শিখলে না রুপ অহংকারের
প্রসাধনী দিয়ে …
তোমার আকর্ষনীয় দেহটাকে এই কোন বর্ণিল করেছ!

তুমি দেহ মূর্তিটাকে আজ জড়িয়ে রেখেছ জীর্ণশীর্ণ কাপড়ে
কোমল হাত দুটো খসখসে হয়ে গেছে,
যেন….
সারা দিন ইট খোয়া মেরেছ।
তুমি হারিয়ে যাওয়া একটি বিকেলের ভ্রকুটি মাত্র।

আজ আমি তৃপ্ত- যে গ্রহে আমি
সেখানে তোমার রুপ লাবণ্য অহমিকার পতন ,
এটা আমার বিষাদ অন্তিম ক্ষণের অনু পাওয়া।
=============================================
নারীদের কোন স্বদেশ নেই!
এখন কার হাতে হাত রাখব আমরা
ভাই, বন্ধু, প্রেমিক, স্বামী অথবা পিতার!
জন্মই যদি দিয়েছিলে তবে কেন দিলেনা
নিশ্চিন্ত স্বদেশ,স্বভূমিতে বেঁচে থাকার অপার স্বাধিনতা?
কেন পেলাম না শরীরে ও মনে
প্রেমে-অপ্রেমে গ্রহন ও প্রত্যাখ্যানের অধিকার?
ধুপ হয়ে গন্ধ ছড়াও,মেঘ মেঘ শরীরে
ভালবাসার উষ্ণতায় আগুন জ্বালো,
আশ্রয় হও, হও প্রশ্রয়ের নির্ভার চারণক্ষেত্র ।
তাই তো আছি – সারাবেলার প্রার্থনায়
তোমাদের মঙ্গল চেয়েই তো নত হই বার বার
তবে কেন দিল্লি থেকে কামুদুনি ,টাঙ্গাইল থেকে জামালপুর রংপুরের
আমিনা-সবিতারা
হত্যা--আত্বহত্যায় প্রান দেয়?
ঈশ্বর তো কবেই মরে গেছে –
শতবার ডাকলেও লাঞ্ছিত চুম্বনে
হায়েনার নখরাঘাতে ছিঁড়ে যার শরীর
ঈশ্বর আসেনা তখন – তুমিই বলো পিতা
এমন জন্ম কেন দিলে যে তোমার হাতেও
হাত রাখতে কেঁপে উঠে শরীর ?
============================================
নিঃসঙ্গতাঁকে ডেকে আমি বলি,
সাথে থেকো
নিঃসঙ্গতা উলটো শুধায়,
পারবে তো ?
==============================================
~~নিশি জাগা...ভোর~~

ভাবনার অন্তরালে হারিয়ে যাই,ঘুমের মাঝে আমি-
একলা বসে,একলা মনে;চুপিসারে কি ভাব তুমি?
তোমার জন্য ঘুমের মাঝে ও জেগে থাকি আমি-
আমার ভাবনা সত্যি করে কবে আসবে তুমি?

ঘুমের মাঝে এসে তুমি ডাকো ক্ষণে ক্ষণে-
মৌনতাকে সঙ্গী করে ডাকো মনে মনে,
তোমার ভাবনা অন্তর জুড়ে হৃদয় শুধু জানে-
কেন তবে দূরে থাকো কোন সে অভিমানে?

তবে কি গো রাগ করেছো,আমার প্রতি অতি-
জানো তুমি আমার এতে হবে অনেক ক্ষতি,
অভিমানের ডালা আছে আমার প্রতি যত-
ভালোবাসা আছে জানি আগের ই মত !

মিছে কেন করছো তুমি,এই না লুকোচুরি-
তোমায় ছাড়া কেমনে দিবো জীবন তরী পাড়ি,
খুঁজছি তোমায় হয়ে আজ;আকাশের ঐ ঘুড়ি-
একলা বসে নিশিজেগে স্মৃতি খুঁজে ফিরি !
===============================================
~~EKTI OSAMANYO BHALO LAGAR KOBITA~~

কি পেলাম বাংলাদেশ ?
১৯৪৭ র ধর্মের শকুন টি
১৯৭১ এ পরাজিত ধর্মের শকুন টি
কি বিশাল কালো ডানায় ঢেকে দিচ্ছে আমার জন্মভুমি ।
কি যে অসহায় করুন বিষণ্ণ লাগছে----

আমার মৃত্যু হোক অহংকারে
আমার পলায়ন হোক ঘৃণায়
আমার জীবন হোক উচ্চতার
হে আমার স্বদেশ
আমাকে এতটা ক্ষমাশীল করো না
যার ভারে আমি নতজানু অবমানিত হই
============================================

যে যতো আপন 
তাকে ভাবি কম 
ভাবনা ফেলেছি গুলে 
যে যতটা বেশী কাছে, তাকে ততো, 
বেশী বেশী থাকি ভুলে !
=========================================
~~ভালবাসার হৃদ মহল~~

প্রনয়ণী তুমি আমার হৃদয়ের সুসম্পপূর্ণা,
ভালোবাসার হৃদ কমলের অন্কিত হৃদয়ের কথা
পাঠাইয়াছিলা সমতীত লেখা নীল খামে চিঠি।
ঐ চূড়ায় বসে নীল আকাশের নীচে
পড়েছি তোমার ভালবাসার কন্ঠ মালতি।

তোমাকে দিপ্তীর চৈতন্যে চিত্তের পূর্নতায় এনেছি।
ভালবাসার অনুরাগে সুবাসিত করে
অন্ত নিবির্ষ্ট শক্তির অনুপমা।
ভালোবাসার হৃদ কমলের অন্কিত হৃদয়ের কথা
পাঠাইয়াছিলা সমতীত লেখা নীল খামে চিঠি।

তুমিতো আছ বিস্মৃতি প্রনিধানের অনাদৃত বন্দিতে
অশ্রুভরা দুই নয়নে।
জাগরণে বিদ্যমান হৃদয়ের অভেদতায়
তোমার মিলনে আছি অপেক্ষায়।
তোমাকে আমার ভেদরহিতে নবোদিত
অরুণিমায় করিয়াছ ভালবাসার হৃদ মহলে।

মনোবেদনার স্বকীয় তন্ময়তার আধিকে
আমার পরাভূত করিয়াছে অগ্ন্যাধান।
তোমারই আনুপামের বিহ্বলতার মাধুর্যে
আমারই হৃদয়ের দর্পণে আরতি করিয়াছে।
ভালোবাসার হৃদ কমলের অন্কিত হৃদয়ের কথা
পাঠাইয়াছিলা সমতীত লেখা নীল খামে চিঠি।

উচাটনে আছি তোমারই বিহনে
সাধনে আসিব ফিরে
ভালবাসার দীপ্তিমান অবন্তিপুরীতে।
দুর্দমনীয় বিস্মৃত মন বোধোদয়ের উম্মেষের স্মরণে
রণোদ্যত উদ্বেলিত হৃদয় আমার আত্নহারা।

ভালোবাসার হৃদ কমলের অন্কিত হৃদয়ের কথা
পাঠাইয়াছিলা সমতীত লেখা নীল খামে চিঠি।
নিবিড় ছায়ায় উপলভ্য অনুভূতির স্পন্দন
বিচলিত করিবে নিস্পাদনে
লোহিত রোদনের সন্নিধানে।
==============================================
~~পাখির দুঃখগাঁথা~~



পাখির কাছে হেরেছি আমি,জিততে ও চাইনি
যেটুকু চেয়েছি,তা জয়ের চেয়ে বেশি দামি
ভণিতা না করে বলছি তবে;অতি তাড়াতাড়ি
১৯৭১ সাল তখন,পাখি ফিরবে তার বাড়ি
কিন্তু হটাৎ কেন?এত বিশাল-বিশাল গাড়ি
মেঘ নেই তবু,আকাশটা যে বেশ ভারি
পাখি তো খুঁজে পাচ্ছে না বটবৃক্ষের বাড়ি
ভাবছে বাচ্চা দুটো মা মা করে করছে আহাজারি ।

যেভাবেই হোক খুঁজে বের করবে তার চিরচেনা নীড়-
কি ব্যাপার সামনে কেন এত অচেনা লোকের ভিড়,
তখন ও জানেনি সে,এরাই পাক হায়েনা ধ্বংস যাদের খেলা
তার জীবনের ইতি টানতে বেঁছে নিয়েছে আজকের বেলা ।

কিছু দূর যেতেই দেখতে পেল ক্রাউন রঙয়ের বাড়ি
আশা জাগলো মনে বাচ্চা দুটো দেখবে তাড়াতাড়ি,
কিন্তু না এসব কি? বটবৃক্ষ তো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না
সবই তো ঠিক আছে কিন্তু তার নীড়,তার বাচ্চা-
এইতো গাছটা কিন্তু পরে আছে কেন?
না!না!আমি এসব কি দেখছি! আর্তনাদ করে উঠলো
ক্লান্ত মনে পাখিটি তার বাচ্চা দুটো খুঁজতে লাগলো,
পেয়েছিল বাচ্চা নয়;বাচ্চার একটি পালক আর মাথা
না আর সহ্য করতে পারছিল না পাখিটি-
সে এবার দেখতে পেল তার বাসার পাশের বটবৃক্ষটি
যার সাথে বাঁধা আছে দুইজন কৃষক আর একজন মাঝি-
হটাৎ রাইফেলের গুলির শব্দে মুক্তিসেনার রক্তে লাল হল মাটি।

হায়েনারা ছাড় দেয় নি কাউকে,এমনকি সেই পাখিটিকেও
আমি ছাড় পেয়েছি তখন জন্মাইনি বলে কিন্তু আমার পূর্বপুরুষ,
তাঁরা পায়নি ছাড় তাই;আজ ও বাজে বুকে বেদনার করুন সুর-
স্বাধীনতা আজ পেলেও আত্মার মুক্তি খুঁজতে পাড়ি দিতে হবে বহুদুর।

সেদিনের পাখির চোখে অশ্রু ঝরেনি,ঝরেছিল অজস্র ঘৃণা
কেন তবে আজ ও স্বজন হারানোর দুঃখ পিছু ছাড়ে না,
ধিক!শত ধিক! পাক হায়েনা,রক্ত পিপাসু,নরপিশু যারা-
কোন দিনই ক্ষমা কভু তোদের করবেনা বাংলার সন্তানেরা ।
================================================

“~~সমানুপাতে আপন~~”

আমার প্রহ্যর সীমানায় রাখিলাম বাঁধন,
ঝিকা মারায় চলার পথ আসা হলো রুদ্ধ।
দমনে আছো মনে থাকিবে জনম অনুভূতে
হারাতে পারবো না কোনো অলভ্য পরাভূতে।

যে সীমানায় নিয়েছি সে প্রান্তে তোমার বাস,
জানে ও করিতে পারো অতিশয় বড় অনঢ়।
তাঁহার অনুগত অনেক ধৈর্যে ধাপ শিক্ত দাড়ি,
আনবে আঁটিয়া দ্বারপালে উষর বাঁকুনিতে পরিয়া।

বোধে আদরের মণি, কেনাবেচা হবে না তামাশাকরি,
মণিকার হয়েছি করিতে তোমাকে খেয়ালমত বাঁধন।
ভাঁড়ে ধাক্কা মেরোনা স্হির চিত্তে থাকো..
ঢেউ খেলানো সাগরের ভাসমান ভিরবে তরী ।

অনুভূত তোমাকে নিয়ে সমানুপাতের ভাবাদির আপন,
তোমাকে উৎপন্নে নিবো দয়ার কাজে গতি চলিতেছে যাপন ।
অনুযোগে মানিয়া নিয়েছি বাতিকে সংকল্প
উদারচেতায় অবশেষে তুমি হবে আগত ।
=============================================
“~~ভাবি হৃদয়ের কথা~~”

আমার প্রভাতের সূয্য দিরে দিরে ম্লান হয়ে আসছে,
আলোয় আলোকিত ছিলাম জীবনে পরম অধ্যায়।
নির্ভুল ছিলো না চাওয়া ভুল থেকে গেলো পাওয়া,
আমি রাত জাগায় সঙ্গীতে চলিলাম আপন করিয়া।

আমি সূয্যের আলো উপলব্দি করিয়াছি মহা প্রলয়ে,
তাকাতে পারি না হামাগুড়ি দিয়া আমায় উপহাস করে।
চিন্তা ছিলো পুলকিত ছন্নছাড়ায় হলো মন অবচ্ছন্ন,
অবস হয়নি দেহ…
অভিমানি মন জাগায়েছে আমি কার তুচ্ছ?

আমি আকাশে উড়তে পুলকিত হইনা, ভাবি হৃদয়ের কথা,
সাধ্যের বাহিরে গিয়ে আকুন্ঠে চমকপ্রদ বাহাস করি না।
তারপরও আমায় সূয্যের আলো হামাগুড়িতে উপহাস করে,
আমি ধারবো না দ্বিতীয় করে হৃদয়ের আঘাতে ঘাঁ মারে।

আমি ভাবি হৃদয়ের কথা সখ্যতায় নয় প্রিয়ন্তের কথা
যাহা যেথা তথা সব কিছুতে পাবে আমার কুলের প্রথা।
আমিতো নই কুলাংগার সবটাই ভাবনা মঙ্গলাকার,
আসিয়াছি তোমার তরে ভেদা ভেদ করিয়া না ।

মঙ্গল দ্বীপে পাশে আসিয়ো দূর দূর করে ঠেলেছো
আমি আছি যাইবো না জ্বালিয়েছি আলো নিভাবো না
আমার প্রভাতের সূয্য যেই উপহাসে থাকোক
আমার আলো তোমার মাঝে সুন্দর হয়ে জ্বালাবো।

আমাকে আলোর দ্বীপে তোমার হৃদয় থেকে আসবে
ভাঙ্গা গড়ার এই জীবনে ভালোবাসার স্রোতের দৌরাত্ব
সীমানায় হারাবে বালুকাময় তীরে আছড়ে নিমজ্জিত হয়ে
তারপরও তরঙ্গের ঢেউ বার বার হৃদয়ের আলোক প্রাসাদে
তোমার আকুতি নিয়ে আসবে ।
আমি আমার সীমানায় আজীবন শুদ্ধ দিয়াছি সূয্যকে
উপহাসের বিপরীত লিঙ্গের অফুরন্ত ভালোবাসা ।
আমি ভাবি শুধু পবিত্র হৃদয়ের কথা মঙ্গল দ্বীপে
তোমাকে পরম ভালোবাসায় ।
==================================================

দীর্ঘশ্বাস~~

একদিন ঢেউগুলো একদিকে
আর বরফগুলো একদিকে যাবে
একদিন বাতি নিভে গিয়ে
জ্বলে উঠবে বাতি মধ্য বয়সে
একদিন ফুলের সঙ্গে ফুলের গন্ধ
তর্ক হবে দীর্ঘ সময়
ভেবে স্বস্তি পাই
প্যাচানো সিড়িঁতে তোমার রুপ
আর নূপুরের ধ্বনিগুলো
এখন হুমকির মুখে
বলে রাখছি যে
আমারও পেছনের বারান্দা থেকে
জীবনের চাঁদ নেমে গেছে বহু আগে
শুধু স্বপ্নকে পুঁজি করে
যুগ যুগ চলা যায় না
এখন কাঁটা চামুচ হাতে নিয়ে
বসে আছি
আঙ্গুলের মাথায় লেগে আছে
তৈলাক্ত সময়।












































































































No comments:

Post a Comment