Monday 5 August 2013


~~ফুলঘর~~

তোমার সাথে আমার যেদিন 
দেখা হল ফুলঘরে
তুমি সেদিন ভুল করে
ভেবে ছিলে আমি হব অন্যকেউ
এমনিতেও
আমি তোমার অন্যকেউ
আমি ছাড়া ভিন্নকেউ 
তোমার মাঝে বাস করে
ভালবাসার চাষ করে

আজ বুঝেছি সেদিন তুমি ভুল করেছ কেন
সত্যিকারের ভালবাসা আর হবে না যেন
============================================
~~বংশী বাদক~~



আমি শুনেছিনু যে বাশরীর সূর কোন সে অবেলায়
আজি তা বাজিছে কানেতে মোর সকাল ও সন্ধ্যায়।
কোন পাহাড়ের দূর হতে আসে কান্না করুণ সূর
কে বাজায় এমন কোথায় থাকে কোন সে অচীন পুর।





আমি রাখিব তারে মনের গহীনে ঠিকানা পাই গো যদি
কষ্ট সবই নিজের করে হাসাব যে নিরবধি।
সাত সমুদ্দুর তের নদী পারে বেঁধেছি আমার ঘর
বংশী বাদক কোথায় তুমি করে রেখে মোরে পর??





বংশী বাদক বাজাও তোমার সেই সে অচীন সূর,
আমি শুনে শুনে হাটি সেপথে রয়েছে যতটা দূর।
দেখিতে চাই যে তোমার বাঁশী কেন এত সুমধুর,
চলিয়াছি কি বা ভ্রান্ত পথে কুহেকী বা বন্ধুর??



আমার মনের গহীনে কি তবে তোমার বসবাস??
একাকী যখনই পাই আমি তোমার সরব অবধারণ।
কাঁদ কেন তুমি বাশরীর সূরে... কেন এত হা হুতাশ??
সময় হয়েছে ছুড়ে ফেল বাঁশি হও আবর্তমান।
===========================================
~~দোয়া চাই~~

দোয়া কর যেন আমি 
করি ভাল জীবন যাপন
সবার সাথে মিশে আমি 
পর কে করি নিজের আপন

হাসিমুখে থেকে আমি
হাসি ফোটাই সবার মুখে
আমার দুঃখে দুঃখী না হোক
সুখে থাকুক সকল লোকে

শত্রুরা হোক বন্ধু আমার
বন্ধুরা হোক আরো কাছের
আমি সবার বন্ধু না হই
সবাই বনুক আমার ধাঁচের |
==========================================
~~স্নেহময়ী মা ~~


মাগো জানি তুমি আজ ঐ আকাশের বুকে
গভীর নিদ্রায় একাকীত্বে আছো মিশে,
আঁধারাচ্ছন্ন নিশুতি রাতের এই একলা ক্ষণে
মাগো তোমায় ভীষণ পড়ছে মনে !

মাগো তুমিহীন আঁধার, অমাবস্য চারিদ্বার,
তোমার শোকে হই জ্বলিয়া অঙ্গার!
ওহে নিয়তি এ তোমার কেমন ব্যবিচার
মা, ছাড়া বুকে শুধুই কষ্টের হাহাকার ।

ও আকাশ,পবনের বাতাস তোরা কি জানিস?
বলতে পারিস কেমন আছেন আমার মা?
ব্যাকুল আমি একা ঘরে ঘুম যে আসেনা,
ঘুমের ঘরে তোমায় খুঁজি মা কোথাও দেখিনা ।

মাগো তুমিবিহীন মরিচিকা আমার যত সুখ!
বরফগলা নদীর জলেও শান্ত না হয় বুক,
ওমা তোমার আদর স্নেহ মায়া কি করে ভুলে রই?
ত্রিভুবনে তোমার মতো আপন মানুষ কই?

মা বড়ধন মানিক রতন সবার ঘরের আলো!
অবুঝ বালক মাগো আমি কি করে থাকি ভালো?
বুঝ মানেনা আমার এ মন তোমার শোকে রোগী
জনম দুঃখী মায়ের মুখটি পলে পলে খুঁজি !

============================================

~~আমাকে ঝরতে দিলে~~

 

ভালো আছো ও শীতবুড়ি-
অবাক চোখো শীতবুড়ি।
বৃষ্টি!এই অসময়ে তোমার সময়-
বৃষ্টির আবার সময়-অসময়।
যখন সুযোগ পাব,
তখনই তো আসব।

বল, তা কেন এসেছো,
ঝটপট বলে ফেলো।
কেন এসেছি, বলতে ভয় লাগছে?
দিদি তোমার বুঝতে বাকি আছে?
আমাকে একটা দিন ঝরতে দাও,
লেপ-কাঁথা মুড়ি দিয়ে পরে ঘুমাও।

বাহ্!কী রসের কথা বলে কি রে!
দেখতে পাচ্ছ না ওফ কী শীত রে।
শীতকাল চলছে এখন যাও রে,
বোকা,এই শীতকালে বুঝি বৃষ্টি ঝরে?
এমনিতেই তোমার মেঘদাদা কবে এসেছে-
পা মেলে আকাশটা দখল করে রেখেছে।

সূর্যের দেখা পাচ্ছি না তের দিন হলো,
আগে তুমি ওকে সরে যেতে বলো।
অনেক দেশেই তো শীতকালে বৃষ্টি ঝরে,
অনেক দেশ আর আমারদেশ এক না রে।
দিদি মা শোন!আমাকে ঝরতে দিলে,
তোমার আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে।

আকাশের সব মেঘ সরে যাবে।
তুমি আবার সূর্যের দেখা পাবে।
=============================================
নিঃসংগ বাঘের প্দস্পর্শে বনের ভিতর
নদী ঘুরে একা হাওয়া ঘুরে একা
বাতাসে পশুর পশম জেগে উঠে
চকচকে মাছের পিঠে
যেমন জেগে উঠে স্মৃতি
এখানে ওখানে বন কাঁপে দূরবর্তী মৃত্যুর স্মৃতি নিয়ে
শূণ্য পাঠাগারে আমাদের
প্রস্তুতিগুলো
একটু একটু করে মরে যায়
এই বন আর পাঠাগার
আমাকে কোত্থাও রাখেনি
তোমাকে কোত্থাও রাখেনি
তবুও নীল বৃষ্টির দিনে
ছায়াদের আড়ালে লুকিয়ে
শামুকের আড়ালে লুকিয়ে
ঘাস ও মাটির বাষ্পে
আমি তুমি ফিরে আসি

এবং কয়েকটি শূণ্য সংখার বুকে
বাঘের পদস্পর্শ পাশে নিয়ে
আমাদের বিবর্তিত গল্পগুলোকে
মাঝে মাঝে থেমে যেতে দেখি।
===========================================

~~সূর্যোদয়~~
 
বহুক্ষণ বসে থাকার পর
অনন্তর মনে হল বসে থাকা মানে
নিতান্ত আলস্য পরিচয়।

সিন্ধান্ত অটল আমি হাঁটব
হাঁটতে হাঁটতে পায়ে চলা
পথ, এক দিন বিশাল আকাশটা
ছুঁয়ে দিল... বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষমান
নিগার নারীগুলোর মতোন
আমার সামনের পথ রাত্রী হলো ঢের

আমি থমকে দাঁড়ালাম ভয়ে
চোখের সামনে বিশাল আকাশটাঅবশ
নেমে যেতে দেখে পেছন তাকাই-দেখি
শতেক ক্ষুধার্ত কুকুর একজন মেয়ে মানুষের
বসন ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে শকুনের মতো; অবিকল।

আমার চলার পথ সূর্যোদয় খুঁজে পাবে
কবে- কোন সে ভাঙ্গনের মুখে (?)
========================================================
~~ভায়োলিন~~

অনেক করে কেউ কেউ অবশেষে
ফিরে । হাসে; হেসে - হেসে হাসায়
বিতৃষ্ণার ছাপ ভাঙ্গিয়ে দিয়ে ঢালে ঘুমের অফিম
সপ্ন দেখার লালস যতবার দূরে ঠেলে দেই
ততবারই একটি মুখ এসে দাড়ায় শিহরণে-সন্তাপে
খেলে সুর খেলা
ছিঁড়ে যাওয়া ভায়োলিনের তারে....

এ সুর আমার নেশা
এ সুর আমার আত্মার খোরাক।
==========================================================
~~বৃষ্টি এবং বাতাস~~

মনে হচ্ছে আগামীকাল বৃষ্টি হবে
একটানা বৃষ্টি।সারাদিন-সারারাত...
বৃষ্টির সাথে বাতাসেরও আগামনী বার্তা
শুনতে পাচ্ছি।আমাদের নিম গাছের
হলুদিয়া পাখিটির সুরে কেমন আতংকিত রোদন
ঘন ঘন ঝরছে।কিন্ত
বৃষ্টি কিংবা বাতাস দুনুইতো কাব্যের উপকরণ-সভাবে প্রেয়সীতুল্য (!)
============================================
~~আমি বৃষ্টি গো~~
 


বুড়িটা কত আয়েশ করে ঘুমিয়েছে,
নিশ্চুপ লেপ-কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়েছে।
কে রে ঠক-ঠক-ঠক বাজায়,
এত জোরে কড়া নাড়ে দরজায়।
ওফরে!বড্ড বিরক্ত যে লাগল,
মানুষ না,এই অবেলায় কে এল?

রোদ নেই আজ কতো দিন যায়!
আকা ঢেকে আছে কালো দাদায়।
হয়তো বৃষ্টি হবে মনে হচ্ছে-
কিন্তু বুড়িকে না জানিয়ে?
না কখনো বৃষ্টি আসবে না,
তবে কি বৃষ্টিই নাড়ছে কড়া?

বুড়ি একা-একা করছে বক-বক,
বুড়ির কানে আবার ঠক-ঠক-ঠক।
লেপ-কাঁথা সরিয়ে বিছানা থেকে
উঠতে না-উঠতেই আবারও ডাকে।
যাহ্!তোর একটুও ধৈর্য নেই দেখছি,
রাগে গজগজ করতে লাগল শীতবুড়ি।

দরজা সামান্য ফাঁকা করে উঁকি মারল,
বিরক্তে শীতবুড়িটা আবার চেঁচিয়ে উঠল।
বুড়ি খুব একটা ভালো দেখে না চোখে,
তাই বুড়ি বুঝতে পারল না কে এসেছে।
কে এসেছে আবার! কুয়াশা নয় তো?
চেঁচিয়ে জানতে চাইল, কে? আমি বৃষ্টি গো।।
================================================

~~বন্ধু রে তুই কেমন আছিস?~~


বন্ধু রে তুই কেমন আছিস ?
ছোট্র গ্রামে ছোট্র বেলা,
পাড়া পরসি ছোট্র বন্ধুদের নিয়া,
দুষ্টমিতে সবাই মাতাইয়া,

বন্ধু রে তুই কেমন আছিস ?
একলা পথে কোথায় রে তুই?
আজ কি তোর মনে পরে,
বন্ধু রে তুই কেমন আছিস ?

বন্ধু রে তুই কেমন আছিস ?
আমাদেরক ছেড়ে কোথায় আছিস?
তোর যে কথা মনে পরে,
বন্ধু রে তুই কেমন আছিস ?

বন্ধু রে তুই কেমন আছিস ?
বন্ধুরে তুই ঐ আকাশে
মিলিয়ে গেলি আমাদের ছেড়ে,
তোর যে কথা মনে পরে,
বন্ধু রে তুই কেমন আছিস ?

বন্ধু রে তুই কেমন আছিস ?
তোকে যে খুজি বারে বারে,
আরতো ফিরে আসবিনারে,
বন্ধু রে তুই কেমন আছিস ?

বন্ধু রে তুই কেমন আছিস ?
এতই কি ছিল তোর অভিমান?
আমরা কি ছিলামনা তোর বন্ধু?
বন্ধু রে তুই কেমন আছিস ?

বন্ধু রে তুই কেমন আছিস ?
ছোট্র গ্রামে ছোট্র বেলা,
আমাদের কথা কি মনে আছে?
আমরাতো ভাবি বন্ধু তোকে,
বন্ধু রে তুই কেমন আছিস ?

বন্ধু রে তুই কেমন আছিস ?
খেলার ছলে দুষ্টমিতে,
কত যে স্নৃতি মনে পরে,
ফিরবে না আর সেই দিনটিতে,
বন্ধু রে তুই কেমন আছিস ?

বন্ধু রে তুই কেমন আছিস ?
তোকে যে খুজি বারে বারে,
আরতো ফিরে আসবিনারে,
বন্ধু রে তুই কেমন আছিস ?
বন্ধু রে তুই কেমন আছিস ?
মিলিয়ে গেলি আমাদের ছেড়ে,
এতই কি ছিল তোর অভিমান?
পেরেছিস কি আমাদেরকে ভূলিতে?

বন্ধু রে তুই কেমন আছিস ?
কত যে স্নৃতি মনে পরে,
তোর যে কথা মনে পরে,
বন্ধু রে তুই কেমন আছিস ?

বন্ধু রে তুই কেমন আছিস ?
কাঁদেরে মন তোর জন্যে,
কত যে স্নৃতি মনে পরে,
পারি নি আমরা ভূলিতে স্নৃতি,
ছোট্র গ্রামে ছোট্র বেলা,
বন্ধু রে তুই কেমন আছিস ?
==============================================

~~পিঠা~~

এ...ই...যে ...!
পিঠা লাগবে.... পিঠা......?
হরেক রকম পিঠা.........;
গাও গেরামের পিঠা.......।
শীতল পাটি বিছিয়ে নিয়ে,
রান্না ঘরে চুলার ধারে।
তৈরি করি পিঠা,
ধোয়া তুলেছে ভাঁপা পিঠা।
নাড়িকেল আর খেজুর গুড়ে,
তৈরি হল আমার প্রিয় যেটা।
চাল কুটছি ঢেঁকির পাড়ে,
নাচের তালে তালে।
চিতই পিঠা তৈরি হবে,
ভিজবে সকাল হলে।
শুকনা চিতই রসনাতে,
ভিজানো পিঠা মন হারাতে।
গুড়ো চালকে গুলিয়ে নিয়ে,
ছিটাই তাওয়া ভরে।
রুটির মত ভাঁজটি দিলে,
বলি ছিট রুটি যে তারে।
ভুনা মাংস রান্না হলে
সাজাই পরিবেশন করে।
দুধের ক্ষীর বানিয়ে রেখে,
তাওয়ায় চালের গোলা মেখে।
চাঁদের মত রুটি হলে,
বেশি করে ক্ষীর ঢেলে,
প্যাঁচালে দুই দিকটা,
হয়ে গেল পাটি সাটপা।
চালের গুড়ো সিদ্ধ করে,
রুটির মত গোলা বানাই।
গোলা করে বাটির মতন,
ক্ষীর পুরেছি করে যতন।
মুখ আটকে দিয়ে বলি...
এই হল দুধ পুলি।
নারুর মতন তৈরি করে,
রুটি বেলে তার উপরে,
চ্যাপ্টা করে রেখে।
পিঠার রুপে কেটে যখন,
ডুবো তেলের ভেঁজে নিয়ে
তৈরি করি পিঠা পাকন।
কে কে আছে পিঠা প্রেমী?
পিঠা আমার খুবই দামী।
শীতের পিঠা ক্ষেতে হলে,
চলে এসো সময় পেলে।
 =============================================================
~~পলক~~

বৃষ্টি ছোঁয় কাজল,
পুলকিত-হৃদে,
হরষিত-চিতে,
সিক্ত হয় আঁচল!!
=============================================

~~ক্ষীণ আমি~~

পুত্রের মহাপ্রয়াণে ক্লিষ্ট পিতা,
নির্বাক নেত্রে মুর্ছা যাচ্ছে জনিকা।
বোনের লোচনে পরিপূর্ণ বারি,
সহোদরের চিত্‍কারে কেঁপে উটছে বাড়ি।
জানি ক্ষীণ অধীন আমি! তা দেখেও,
করতে পারিনি অভিসম্পাত।
পারিনি ফিরিয়ে দিতে জনিতার সম্পদ।
শুধু হয়েছি দর্শক!দেখেছি দৃশ্য জড়বস্তুর মত।
তবুও করতে পারিনি চিত্‍কার ভাইহারা সহোদরটির মত।
অন্জনযুক্ত আত্মা নিয়ে হেটেছি অনেক পথ।
পেরিছি শুধু থামিয়ে দিতে পাখিদের কলরব!
============================================

~~“ আমার তোমাকে ”~~

 
তুমি,
আমার সকাল থেকে রাত
নিরিবিলি !
তুমি,
কথার ফাঁকে... সবার
মাঝে রিনিঝিনি !
তুমি,
আমার সব কথার
শ্রোতা নির্বাক !
তুমি,
অল্প কথার মানুষ, তবুও
কথা বলো আমার কথা ভেবে !
তুমি,
আমার রাগ আবদার, এটা চাই
ওটা চাই- সব দাও নিজের
মতো করে!
তুমি,
রেগে চলে যাও-আর
আসবো না বলে,
তবু ফিরে আসো আমার কথায়...
আমার টানে !
তুমি,
কোথায় থাকো ?
হৃদয়ে নাকি স্বপ্নের
মাঝে আলোড়নে !
মনের ভিতরে শুধু তুমি তুমি আর
শুধুই তুমি,
ফেসবুক ফোন ইনবক্স কবিতার
পাতায়;
সকল শব্দের অনন্য ভাণ্ডার
রুচিশীল আবেগ !
তোমাকে,
ভালোবাসি বলি হাজারবার...
বার বার...
শুধু বলা হয়নি-
খুব ভালো বন্ধু তুমি !
কোনদিন বলা হয়নি-
তুমি আমার
সাথে থেকো চিরদিন-
এইভাবেই !!!
============================================

~~কাব্য -কণা ~~

কইল ‘স্মৃতি’ ‘মুহূর্ত’-কে “যাওনা থেমে একটি বার!!”
ব্যাস্ত-চপল পা ফেলে
মুহূর্তটি কয় হেঁসে
‘থামলে আমি বন্ধ হবে, 
রোমন্থনের সব দুয়ার’!
============================================

~~মানুষের সংজ্ঞা~~
 

চামড়ার পোশাকে ঢাকা হাড় মাংস কিছু 
মানুষ নাকি এদের বলে, সত্যি নাকি? 
ওই শকুনির গায়ে, ওই হায়েনার গায়ে ওই কুকুরের গায়ে
কিংবা হাজারো প্রাণীকুল আরো আছে ছড়িয়ে
চামড়ার পোশাকে হাড় মাংস ঢাকা তাদেরও সারা গায়ে জড়িয়ে
তবে তারাও কি মানুষ? সংজ্ঞায় কি বলে?

হৃদয় আছে প্রাণীকুলের সবারই
ধ্বক ধ্বক করে
ধমনী, শিরা, উপশিরা বেয়ে রক্ত দৌড়ে চলে
নখুন, দন্ত আর শ্বাপদের চক্ষু আছে কিছু প্রাণীকুলে
লোভী তারাও নখ দন্ত বসায়, খাদ্যের প্রয়োজনে
ঠিক মানুষ নামক প্রাণীর মতন, লোভের ছোবলে
তবে তারাও কি মানুষ? সংজ্ঞায় কি বলে?

চামড়ার নিচে শুধু কিছু হাড়গোড় আর মাংসের শ্লেষ্মা
প্রাণীকুলের একেক নাম একেক চরিত্র ঘেঁষা
আসলে কেও কারো চেয়ে আলাদা কিছু নয়
আলাদা নাম যদি কিছু হয়ে তবে সে শুধুই কাজে
“মনুষ্যত্বেই” সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ নামে পরিচয়।

হাড় চামড়ার নিচে সৃষ্টির সেরা জীবের বিবেক বোধ আছে
রক্ত মাংসের সাথে মিশে আছে প্রেম ভালোবাসা
মায়া মমতা আর কিছু মূল্যবোধের আশা
তবুও যখন বিবেক কথা না কয়
মনুষ্যত্ব মুখ ফিরিয়ে রয়
বড্ড কষ্ট হয়।

মাঝে মাঝে বড় অসহায় লাগে
যখন দেখি মানুষের মাঝে পশু রিপু
মনুষ্যত্বের খোলসে পশুত্ব কিছু
হাজারো এমন প্রশ্ন মনে জাগে
ঠিক তখনই ভাবতে ইচ্ছে করে -
চামড়ার পোশাকে ঢাকা হাড় মাংস কিছু
মানুষ নাকি এদের বলে, সত্যি নাকি?
সংজ্ঞায় কি বলে?
==============================================

~~বিহিতে উচ্ছলিত বন্ধন~~


তোমার অগতি ছিল, বলেছিলাম আমি তোমায় আছি ।
অবিহিতে ছিলা করিয়াছি বিহিতে উচ্ছলিত বন্ধন।
অভ্রম তোমার অধরে করিয়াছে মধুর অংশু আমার।
সপ্তর্পনে বুকের মাঝে তোমার স্পৃহা গঠিত মনন রাখিব যতন করে।
তোমার উম্মেসে আজ নব যৌবনা নবরুপে বধু সমীপে বরন।
কল্যানবরেষু তোমার কল্যানে দেখিয়াছি শুভর্শীবাদের মুখ।
রাখিব রাখিব কদর বরন করিয়াছি তোমার শুন্য জীবনের নাগালের বন্ধন।
তোমাকে দেহ দীপতি করিবে দীপ্য আমার মণ।
মঞ্জুভাষিণী তোমার আমি যে হয়েছি মৎত্রজ্জম শোভাকরন দীয়মান।
কল্পবাসে নয় প্রানের স্পন্দনের মনন আমার মনীষিতা প্রিয়তমা।
মনোদুঃখ রহিলনা গটিবেনা মনোবিবাদ থাকিবে থাকিবে জনম তোমারই চরন।
করিবে মরষা মরদ আমার মরস্ত সময়ের প্রতীক্ষা স্বরনীয় সময়।
আসি নির্বন্ধ তোমার থাকিব জনম নির্ণীত নির্গম দ্বারিস্হে।
প্রামাদিকে শুভার্শীবাদের শোভাকরণ দীয়মান থেকে বঞ্চিত করিওনা কল্যানবরেষু মুখ।
==============================================

~~শীতাতর্ মানুষের কাব্য~~

 

কুয়াশার ভিড় পড়েছে আজ আকাশের বুক চিরে
ডানাভাঙ্গা শীতের সীমানাচ্যুত তীব্র উৎপীড়ন,
এ আর নতুন কি জন্মব্যধি আঁকড়া,শীত যতদিন
তবুও নিরাশ নই,শীতাতর্ আর্তনাদে বিপন্ন জীবনا

বিপদস্ত হিম হাওয়া বইছে,গায়ে নেই কোন চাদর
দারিদ্র মানুষগুলো আজ সত্যিই বেদনায় কাতর,
নির্ঘুম রাতের অগোচরে এ শহরের অলিগলিতে কাঁদে
অসহায় অসমথর্ নিপীড়িত শীতবস্ত্রহীন মানুষজনا

সাদা কালোর এ রঙিন জীবনে কত বাঁধ ভাঙ্গা ঘূণর্ি
আলোর দিশারী জ্বলছে চারিধারে আমরা বিবাগী!
দিনতো কেটে যায়,রাত্রিতে প্রভাতের অধীর অপেক্ষা
সূর্যদয়ের দীপ্ত কিরণে হয়তো ফিরবে সস্থির বারতাا
==============================================

~~দীওয়ান–ই–আনোয়ার~~


চিবুক টোলের মাধুরিতে পরান আমার মরণ যাচে- 
যেমন ফুলের মদির কুপে পতঙ্গরা শরণ যাচে!! 

বসন তলে জাফরানি রঙ গুলাব মানিন্দ ‘বুক’ টি তাহার
শোভে যেন পূর্ণিমা- চাঁদ হাল্কা মেঘের আঁচল পড়ে!!

গালের ও ‘তিল’, তরে এ দিল,ব্যাকুল,হল পাগলপারা-
থির হয়ে যায় চোখের পলক, মুহূর্তটি যায় যে থেমে!!

ওরে ‘ফারায’ আর দেরি নয়, করিস কিসের ইন্তেযার?
পেছন ফিরে তাকাস নে আর, রাত টি যেন না যায় ঢলে!!
==========================================

~~পাথরে অভিমানিনী~~

 
আঁধারের অন্তরালে থেকে যতই ভেবেছি,
হাহাকার শূণ্যতার বিশাদ একাকী শুনেছি।
তোমারই আঁখি পটে নীল আকাশটা দেখি,
সে যে বিবর্ণ হবে কখনো তাতো ভাবিনি।
জানি না কোন প্রহরে হয়েছিলো যে পরিচয়,
কি পেলাম আর হারালাম সেএক মহা সংশয়।

কখন জড়ায়ে এক আকাশে জীবন যাপন?
মন রাঙিয়ে নিত্য ভালোবাসা ছিল বপন।
তবু যেন ভিন্ন দু’জনা যুগ জনমের পরে,
স্মৃতির মুকুরে মম বেধেছি আজব খেলাঘরে।
নীরবে আড়ালে থেকে করেছি সব পরিণয়,
সেই তুমি হারালে,হারালেই সেকি নয় বিষ্ময়?

রবি মামা জাগায় ভূবন পাখীর গানে ভোর,
বিরহী প্রহরে আমার কেন এই উদাসি দুপুর।
আকাশের সব নীল নিয়ে গেলে কতদূরে?
স্বপ্ন দেখা ভূলেছি,বাজলোনাতো মগ্ন কোন সুরে।
ভালবাসা ভেসে গেছে বিশ্বাস ভরা উল্লাসে,
স্মৃতি সব রেখে গেছে বিরহ মেঘে ঢাকা আকাশে।

আকাশ মেঘে ঢাকা কুয়াশার ধারা ঝরে,
যেদিন পাশে ছিলে সেদিন ক্ষণ মনে পড়ে।
ভালবেসে যেই মালা দিয়েছিলে তুলে,
পরে আছে সুরভি তার মরমর ফুলে।
আকাশের দিকে তাকালে মনে পড়ে তোমায়,
হৃদয়ের নীল ক্যানভাসে ছবি আঁকি সহসায়।

বিষাদের নীলে ভালোবাসা দিলে রূপালী জোছনায়,
জোছনা ছুঁইয়েছে পৃথিবী আমারে বিষাদ বিধুরায়।
বেদনার নীলটূকু লুকিয়ে রাখি যত,
তোমাকে পেয়েছি আঁখীর দুয়ারে তত।
আমিতো আমাতে ভাসিনি কভো নীলে,
তুমি তোমার দু'চোখে সেই নীল ছুঁয়ালে।

আজও আমার সারাটা নীল থাকেছে একা একা,
কোথাই আষাঢ় কোথাই পৌষ হয় না কিছু আঁকা।

চলনা তুমি আমি আজ চলে যাই শুধু দু’জনে মিলে,
ময়ূরকণ্ঠী রাতের ঐ নীলে আকাশে তারার মিছিলে।
সারা জনমে ভালোবাসে কেউ শুধু নদী দেখে যায়,
কারো আকাশে হাজারো তারা কারো আধারে হারায়।

না ভুলার সব ভুলে ভালো আছি তোমাকে ছাড়া,
এখন আমার নিত্যসঙ্গী আকাশে রাতের ধ্রুবতারা।
নীহারিকায় নীরব তাই আজ নীল আকাশের তারা,
কান্নার সেসুরে বিনিদ্র প্রহর কাটে নিবিড় দিশেহারা।
তোমারি পথ চাহি হে সুজনা,নিশিদিন,
ফুল মোর ধুলায় হ’ল ঝুরিয়া মলিন।

তোমারে হৃদয় দিয়ে জানি তবুও জানি নি আমি,
পাথরে হোসনে সকল কথা বল নি অভিমানিনী।।
===========================================

~~নেমেছে অথৈ আঁধার~~

 
নিরাশার মাঝে থাকি-আমি আগুনে জ্বলি
তবুও তোমায় চাই,
পথ চেয়ে বসে থাকি-যে পথে আস তুমি
ফিরে ফিরে চাই।

প্রেম নয়নে নয়নে-বেলাযায় পুষ্প চয়নে
তুমি আর এলেনা,
কিছুই বোঝ নি-মন মানেনা মানেনি
আমারি অবুঝ মনা।

দোহাই তোমারে প্রীয়া-খেলনা মন নিয়া
আর অভিনয় করোনা,
কত যে ধারায়-ভালবাসা আমারে তাড়ায়
একবার শুনে দেখো না।

আকাশের দিকে তাকিয়ে-অধরের কথা আজ
শুনে দেখো একবার,
বেদনা ঝরেছে হৃদয়ে-হৃদয় জুড়ে আমার
নেমেছে অথৈ আঁধার।।
==========================================
~~মরেছি মরমে~~ 


আমার মনের ব্যাথা কেঁদে কেঁদে জানায়,
কেন আরো ভালবাসা দেয়না তোমায়।
তুমি এত যে আমারে ভালো বেসেছ,
আমি ধন্য তাতে আমারে চিরসাথী করেছ।

তবু মনে ভয় তোমার যদি কিছু হয়,
এ যেন গো কিছু নয় কিছু নয়।
হৃদয় তো পারে কেন পারেনা হৃদয়,
পরিবেশ নাইবা পেল তোমার উদাসী হৃদয়।

কে যেন কানে কানে বলে আমারে আজ,
পৃথিবীতে নাই ব্যথা নাই কোন লাজ।
সে শুধু তুমি ওগো কেন তুমি কাছে এলে,
কাছে থেকে এত আশা কেন দিয়ে গেলে।

ছোট ছোট আশা খুঁজে পেল ভাষা,
হৃদয় গভীরে এলো অচেনা ভালোবাসা।
আছো তুমি কাছে তবু লাগে যেন অল্প,
আমার তোমার এইতো বিরহী প্রেমের গল্প।

বুকেতে জড়ায়ে তুমি করেছ আমায় ব্যাকুল,
অকুল সিন্ধু উঠিছে আকুলি ডুবায়ে দুকুল।
হৃদয় লুটিয়ে গড়ায় তোমার প্রেমের জন্য,
দু হাত বাড়ায়ে জড়ায়ে করেছ আমায় ধন্য।

দিয়েছি আমার হৃদয় জানি তুমি অনন্য,
তাই তোমারই জন্য হয়েছি প্রেমে যে বন্য।
ভালোবাসা যদি মেশে আধা-আধি মোহে,
আলোতে আঁধারে-দোঁহারে হারাব দোঁহে।

প্রেমের জোয়ারে ভাসাবো দোহারে ,
কতযে আশা ছিল বুঝিনি আহা!রে।
হে প্রিয়,হৃদয় আকাশ অসীম বিজন,
সে না বোঝে শাসন না মানে বারণ।

কখনও পিঙ্গল, কখনো সবুজ,
কখন বুঝি আর কখনো অবুঝ।
হৃদয় দিলে যার হৃদয় মেলে,
হৃদয় যাবে সে কাল পথে ফেলে।

বিশুদ্ধ সরবরে অবগাহনে ধোয়া আমার প্রেমে,
চোখে অবশেষে নদীকে ধরেছি, মরেছি মরমে!
=============================================

~~প্রথম ছোঁয়া~~


নিযাম দরবেশ
তোমাকে পাব বলে অবরুদ্ধ রেখেছি প্রথম ছোঁয়া, 
তোমাকে পাব বলে লালন করেছি অদ্বিতীয় ভালবাসা। 
তোমাকে পাব বলে নির্মলতায় ছেয়েছি অন্তর,
তোমাকে পাব বলে অপেক্ষায় আছি নিরন্তর।
তোমাকে পাব বলে রেখেছি প্রতিটি অনুকে বিশুদ্ধ,
তোমাকে পাব বলে দৃষ্টিকে রেখেছি অবিরাম সংযত।
তোমাকে পাব বলে অগোছালো আমি গুছিয়েছি আমাকে,
তোমাকে পাব বলে গড়েছি সাহসের পাহাড় মনের মাঝারে।
তোমাকে পাব বলে অবিরাম করেছি পরিচর্যা দেহ-মন-আত্মার,
তোমাকে পাব বলে ক্লান্তিহীন কাটিয়েছি অপেক্ষার প্রহর।
তোমাকে পাব বলে রচনা করেছি গল্প জীবনের জন্য,
তোমাকে পাব বলে তিল তিল করে নিজেকে করেছি অনন্য।
============================================

~~অন্তরঙ্গ আশ্লেষে দীপ্তিদায়ক~~


শোভন করিয়াছ তোমার মাশুকের অনুরাগের অনুক্ষনে।
আত্নজ্ঞান লাভে তৃপ্ত আদিতে পুছিলে আদব অসীমত্বহ প্রমানে।
উম্মত্ততায় উদ্ভাবনে চিত্তাকর্ষণ হায়া সম্বিত ফিরিয়ে দিয়াছ।
তোমার পরিশীলনে পরিহৃতত বিধৃত করেছে মন।
ছেদন করিতে পারিবেনা,
আগামিনীর যামিনীর আভাস মনের আগারে থাকিবে অক্রি হয়ে।
বিদিত আছে তোমারই সকল যতই অবগুন্ঠিত অন্তরালে।
তোমায় রাখিব আমার অন্তরঙ্গ আশ্লেষে পৃথিবী দেখার আছিতে।
বিবর্ধক নয়নে স্পর্শ করে লক্ষীকৃত দীপ্তিদায়ক উদ্দীপ্ত বিশ্বাস।
প্রসন্নচিত্তে রাখিবা খুশরোজ বিশ্রুত নটরুপে কল্পিত প্রান্তে।
আবলীলাক্রমে সৌষ্ঠব অন্তরায় নহে, বিপন্নতায় উপায়ন্তর র্দুবোব্য বিহ্বিল।
বহিরঙ্গ তোমার গাথিয়াছে অঙ্গের অস্তিসমুহের মিলনের আত্ননিষ্ট গাথা।
যাপনে রবে তুমি গুনবিধি, মনের নির্মলতায় দমনে কলুষ শোধন।
================================================


~~অস্তিত্বহীন ভালোবাসা~~
 

নীলিমার নীলকে ভালোবেসেছিলাম
বুঝিনি, কখনো বুঝিনি সেই নীলের কি আবেগ,
তাই অভিমানী ঐ নীলে থেকে থেকে জমে গেছে বহু মেঘ!

দক্ষিণা বাতাস কে ভালোবেসেছিলাম 
চঞ্চলা সে বাতাসে আমি প্রাণবন্ত ছিলাম অহর্নিশ
খুনসুটি বৈরী আবহাওয়া বিষাক্ত করেছে তার স্নিগ্ধ স্পশর্ا

বহতা নদীকে ভালোবেসেছিলাম জীবনভর,
কালের বিপর্যয়ে আজ দেখি সেই নদীর বুকে জেগেছে
কষ্টের বিশালতর দ্বীপ প্রসস্থ ধুলোমাখা বেদনার বালুচর !

শীতের সকালকে ভালোবেসেছিলাম
চেয়েছিলাম তার পৌষমাখা সামান্যতম উষ্ণ আদর
তাই সে আজ আমার গায়ে জড়িয়েছে কষ্টের নীল চাদর!

গোধূলির শেষ সন্ধ্যাকে ভালোবেসেছিলাম
জীবনের একাকীত্বে সঙ্গীছিল সেই গোধূলির অধরা আলো
তাই সে নিতান্তই আমার নিষ্পাপ পৃথিবী করে আঁধার কালো!

নিঃস্বাথর্ে তোমাকে ভালোবেসেছিলাম,
তুমিই ছিলে আমার সুনিপুন বসুধার জ্যোতিময় নূর,
অবশেষে সেই তুমিও শুনালে আমায় সানাইয়ের করুন সুর!

বিস্তীণর্ এই পৃথিবীকে ভালোবেসিলাম বলে
পৃথিবীর সবাই সুখের ঠিকানা দিয়েছে আমায় আস্তাকুড়,
তাই নিজেকে ভালোবেসে চলে যাচ্ছি বন্ধু,চলে যাচ্ছি বহুদূর!

==============================================

~~মদিরা~~


প্রেম-প্রত্যাশি, 
উচ্চাভিলাষী, 
স্বপন বিলাসী,
 প্রেমিক গণ!
ভোল দুঃখ-স্মৃতি, 
সুরা সাথে প্রীতির,
গাও সুখ গীতি, 
ভরাও মন!!
==============================================

~~মধু যামিনীতে~~
 

লিখতে লিখে শুনাতে মায়াবী প্রেমের অশ্রুতে,
শুনাতে তোমার কবিতা এক ফোটা সুখ দিতে।
দু’হৃদয়ের প্রেমপদ্মপাতায় লিখতে আর শুনাতে,
সে কবের কবিতা ছিলে আজো পারিনি ভুলিতে।
পাগল করে দিয়ে ঝড় বয়ে ছিলে হিমেল হাওয়ায়,
কুকিল কণ্ঠের সুরে সুরে ভুলাতে তোমার কবিতায়।
আবার শুনাবে! গল্পকথার সেই কাব্যপুকুর আমায়!
সেই কবিতা যা মন ভরাতো রাতের জোছনায়।
বলোনা কণ্ঠ তোমার আজ রুদ্ধ, এখন পারছি না,
পড়ে তুমি শুনাও সে কবিতাটি আমি যে নিদ্রাহারা।
তোমার কবিতা শুনব বলে প্রেমসিক্ত অশ্রুজলে বিহনে,
জেগে ছিলাম সারা রাত ভীষন কামনার আলিঙ্গনে।
কোত্থেকে এক ঝড় এসে সব দিয়ে গেল রাগের রঙে,
তারি শেকে কান্নায় আমার মনে বিরহের অশ্রু ঝরে।
ভেঙ্গে গেল হৃদয়ের বসন্ত বাহার আমার ত্রিভুবনে,
প্রেমের অভিসারে প্রেমের কাব্যপুকুরে কে আর লিখবে।
মনে কর যদি সব ছেড়ে এক ফালি চাঁদ মাখা রাতে,
তোমার মায়াবী রাতের মায়াবী প্রেমে অশ্রু ঝরাবে।
মনে রবে কি রজনী ভরে নয়ন দুটিতে ঘুম যদি পায়!
মধু যামিনীতে কে শুনাবে তুমি বীণা সুদূর নীলিমায়!
============================================

~~প্রভারণে আঁখি সুচারু নির্মল~~


প্রতিমুহূর্তে দ্যুতি রুদ্ধ হৃদয়ে জাগরিত প্রভারণ আঁখি সুচারু নির্মল।
আনন্দমান আমার প্রমোদউদ্যানে প্রসাযর্মান নির্ঝর স্পন্দন।
খচিত করিয়াছ প্রত্যুষ প্রভাবে কুঞ্জুবনে প্রযুক্ত বস্তান
ভগ্নোদ্যমে অসার নির্গমনে।
অত্যাদর সৌন্দযাতিতে অন্তর মম বিকশিত করে।
অসংবৃত নয়, অস্তমত্তায় বজায় থাকিবে স্বাচ্ছন্দ্যের সবর্দা স্বস্তিতে।
শোভায় শুভাষিত করে পূর্ণতা পেয়েছে উৎকৃষ্ট ব্যাপ্তির বন্ধন।
ইষ্টাপত্তির অভিলাষে কোমল রুপ আচমন উজ্জীবন।
তুমি নিস্তারিণ পরমান পতি পরায়ণতা নিরস্ত।
প্রসক্তচিত্ত অঙ্গরুপে নির্মল পুস্প বৃক্ষে সৌম্যতা।
সহৃদয় পিঞ্জরবন্ধ থাকিবে পরমাদরের অন্তভাগ।
=========================================

~~ভালোবাসার শবচ্ছেদ~~ 
 

খাতায় পেন্সিল ঘষে এঁকে যাচ্ছি হৃদয়ের আলপনা 
হারিয়ে যাওয়া এক প্রেমের কাব্য গাঁথা 
কলমের আঁকিঝুঁকিতে ভালোবাসার সেই দিনগুলোর কল্পনা
নীল কষ্টের নিংড়ানো মনের সব ব্যথা;
দ্বিধা আর দ্বন্দ্বের মাঝে হারিয়ে ফেলছি নিজেকেই নিজে
বুকচেরা জমাট বাঁধা রক্ত আর পুঁজে
কলমের কালিতে আঁকা কবিতার ছুঁড়িতে
করে যাচ্ছি ভুলে ভরা দিনগুলোর পূর্ণাঙ্গ ব্যবচ্ছেদ
হৃদয়ের ক্ষরণে করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত
আমারই ভালোবাসার শবচ্ছেদ।
===============================================

~~যেন আমার চির চেনা~~

 
তখন গোধূলি লগ্ন চলছে
পাখিরা নীড়ে ফিরছে চারিদিকে
নিবিড় প্রশান্তিময় এক পরিবেশ
ততক্ষণে রাত নেমেছে
বাড়ছে শীতের তীব্রতা।

শীত আমাকে ঠেলে পাঠালো সেখানে
লালচে চাঁদটা যেন আমাকে
এক পাশ থেকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে
শীতটা কাহিল করে ফেলছে
সব বাঁক যেন আমার চির চেনা।

মাছ ধরা, শীতের পিঠা,
নবান্ন এ সব কিছুই আমাকে টানে
নেয় টেনে সেই আমার জন্ম যেখানে,
বাইরে বের হয়ে মনে হলো-
যেন পূর্ণ আমার জীবন টা।

কনকনে শীত উপেক্ষা করে
আনন্দে কাটে সময়
সময় কাটে গান-কীর্তনের আসরে
মনে পড়ে নিজের শৈশব, কৈশোর,
আর আমার যৌবনের দিনগুলোর কথা
==============================================

~~সম্পর্কের প্রতিদান~~

 



আজকালকার দিনের সম্পর্কের সংজ্ঞাই মনে হয় বদলে গেছে
আজকালকার দিনের মধুর সম্পর্কের প্রতিদানগুলোও ভিন্ন হয়ে গেছে

তবু সত্যিকার বন্ধুত্বের প্রতিদান, দুঃসময়ের পাশের মানুষ
আর ভার্চুয়াল বন্ধুত্বের প্রতিদান, স্বপ্ন দেখে ওড়ায় ফানুস

তবু সন্তানের প্রতিদান, বাবা মায়ের একপেশে ভালোবাসা ছাড়া আর কিছু না
আর পিতৃত্ব আর মাতৃত্বের প্রতিদান, ওল্ড-হোমের ঠিকানা 

ভাই বোনের সম্পর্কগুলো বড়ই তিতা, যদি থাকে স্বার্থের টোকা
স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কগুলো আজকাল বড়ই কেমন জানি, আমি বুঝি না

আজকাল ছলনার প্রতিদান, নিত্য নতুন টাকার চালুনিতে সঙ্গী চালা
ইদানীং ভালোবাসার প্রতিদান, প্রতিদিন বয়ে চলা আংরা জ্বালা।
==========================================

~~লাল গোলাপের বাগান~~

 
লাল টিপ লাল ফিতা
লাল শাড়ী পরে,
লালে লাল হলে তুমি
লাল পায়েলী চরে।

লাল কপালে লাল টিপ
লাল গোলাপের বাগান,
কালো চুলে লাল ফিতা
দেখতে দেখি বেমানান।

লাল শাড়ীতে কালো পাইর
দেখতে কত সুন্দর,
লাল শাড়ীতে কেড়ে নিলে
সবার চেখের নজর।

নূপুর পায়ে চমচমা চম
ঘুরে বেড়ায় চামেলী,
অপূর্ব তার পায়ের বাহার
পরেছে লাল পায়েলী।
=============================================

~~বিবর্ণ~~ 
 

পাতাঝরা দিনের পড়ে থাকা 
হলুদ বিবর্ণ ঝরা পাতাগুলো দেখেছিস কি?
সবুজ সতেজ পাতাগুলো গাছে খেলছিল
এইতো মাত্র কয়েকদিন আগে
আজ মাটিতে অবহেলায় আছে পড়ে
বিবর্ণ শুকনো হয়ে
ঠিক আমার মত করে।

বছর গড়ালে আবার হয়তো
সতেজ সবুজ হয়ে উঠবে
ওই গাছের ফাঁকে ফাঁকে
আমার আর ফেরা হবে না
বিবর্ণ হৃদয়ে সবুজের আভা খেলে না
মনটা গেলে মরে।
==========================================

~~সৌভাগ্যে অধীস্বরণী~~


অতলস্পর্শে আমার বুকে জাগাইয়াছিলা জঠরাগ্নি প্রেমের সাধ।
সবার আগে মগ্ন হইয়াছি তোমাকে নিয়া অগ্রণীশোভন অধ্যবসায়ে।
নবজীবনের অঙ্গীভূত করণে বাধনে তুমি করিয়াছ অঙ্গপ্রসাধনে অঙ্গাঙ্গী।
অঙ্কিত করিতে পারিবেনা আর কোন প্রভাব অতৃপ্য নয়ন সৃজন করিতে।
তুমিতো অদ্বয় পৃথিবীর মাঝে দীপ্তির স্বত্বার হয়ে,
সঞ্চার ঘটিয়ে করিয়াছ সৌভাগ্যে অধীস্বরণী।
বুকের আন্দবেতে অবতংস সর্বাঙ্গ সুন্দর রুপে,
আগরী তুমি সত্যোপলব্দির ইন্দ্রপত্নী।
মনস্বিনী অন্তর্জগৎ শোভন করেছ মনের অধিকার,
প্রতিভায় হৃদয়ের চিত্তাকর্ষকে।
পুরবাসিনী আলয় এনে তোমার ধরণীর সর্বাঙ্গের পুলক করিয়াছে প্রবাহ।
তুমি ঐশ্বযের প্রদীপ্তি ছড়ায়ে করেছ দর্পযুক্ত,
প্রদোষে আনলে অর্ধৈয মুক্তি।
প্রদ্যোত হয়ে থাকিবে প্রসূনে তীব্রভাবে উদ্দীপনার প্রদৃপ্ত রতন।
=================================================
~~বসবাস স্বপ্নের ঘোরে~~ 
 

অপেক্ষার প্রহর গোনার দিনগুলোকে 
ধরে রাখছি মনের গহীনে 
স্মৃতিগুলো লালন করে যাচ্ছি সযতনে;
প্রতীক্ষার প্রহরগুলো বড্ড দীর্ঘ মনে হয়
পশ্চিমে হেলে পড়া
ভোরের দীর্ঘ সূর্যের ছায়ার দিকে চেয়ে থাকি
ছোট হতে থাকে মধ্য দুপুরে
যখন ক্লান্তিতে শরীর ভেঙে আসে
আবার ধীরে ধীরে ছায়াগুলো দীর্ঘ হতে হতে
হেলে পড়ে পূবের দিগন্তের কাছে
মিলিয়ে যায় রক্তিম লালিমাতে
যেন তোরই আঁচল বিছানো পথে
প্রকৃতিতে সন্ধ্যে নামে বাতাসে দীর্ঘশ্বাস
তোর ঘন কালো চুলে ভর করে
নেমে আসে অন্ধকার।

রাতের প্রহর কাটে অস্থিরতার মাঝে
আমি চলে যাই স্বপ্নের জগতে
হয়তো তোকে ভুলে থাকতে
কিংবা আরো বেশী করে কাছে টানতে
স্বপ্নের ঘোরে;
মাঝে মাঝে জ্যোৎস্নার চাঁদকে বড্ড হিংসে হয়
তোকে দেখে দুচোখ মেলে অন্ধকারে লালাভ টর্চ জ্বেলে
সারারাত জেগে জেগে আমার ছায়া পড়ে হেলে
চাঁদের আলোতে, পূব থেকে পশ্চিম দিগন্তে;
দূরে কোথাও টুং টাং করে একতারার সুর বাজে
কিংবা হয়তো মনের ভুল
হয়তো আমারই বুকের মাঝে
পাহাড়িয়া বাঁশি বাজে;
অমাবস্যায় জোনাক জ্বলে
ঐ দূরে কোথায় জানি
কিংবা কে জানে হয়তো আমারই স্বপ্নের মাঝে
তোকে পড়িয়ে দিতে জোনাক মালা
গেঁথেছিলেম অনেক প্রেমে
চোখের মাঝে স্বপ্ন বুনে;
খুব মাঝে মাঝে ঘোর থেকে বের হয়ে আসি
তারস্বরে ডাকা রাতের কুকুরের অশুভ ডাকে
চোখ মেলে চেয়ে দেখি চারিদিক আঁধার
শূন্য মনে বয়ে যায় হাহাকার।
================================================
~~কষ্ট অবিচ্ছিন্ন ক্লেশভোগে~~


অকল্ক কমনীয়তায় হঠাৎ আধারে আলোর নয়ন মিলিয়াছে।
আড়ষ্টতে রহিতে ক্ষোভ হৃদয়ে বিশ্বজনের সমাদৃতে অখিলে আসিবে সুখ।
অগর্হিতের অতল স্পর্শে রোহিত করিবে সকল পাপের কর্দমরুপ।
শোকাগ্নিতে চূর্ণক করিওনা গামিণীর অগ্রণী শোভন বর্তিনীমুখ।
অবজ্ঞেয় কর অধর্ম, অন্কারুঢ় অঙ্গীভূত কর হৃদয়ে ধর্মত ওছি।
নিঃস্ব অপ্রতর করিওনা মন অপ্রসন্ন নিরুদ্যম চেষ্টাতে।
পশ্চাতে করিওনা অবজান ভূষন তোমার অবতত দেহের
যন্ত্রকে করিবে অবসান।
অবদ্যতায় প্রলিপ্ত হবে, মৃঢ়তা থাকিবে মনে সকল
রহস্য সৃষ্টির অবিদিত দুর্বোধ।
উদ্ভাসন কর তোমরা সবাই অন্তঃকরণে
বিলক্ষণা উম্মোচনে আসবে সাদৃশ্য সকল নিস্কৃতিদান।
কারুণিক করিবে সকল নিস্পত্তি কালের পাইবে
বাঞ্ছিত কাজের ফললাভ।
অযথা করিওনা অসর্থক কালক্ষয়, কালহরণে
পাইবে কষ্ট অবিচ্ছিন্ন ক্লেশভোগে।
মৃত্যুবৎ সময়ে পাবেনা মাগিয়া ভিক্ষা
ঘোর কালো বর্ণের তরে বাচিবার পথ।
সেই রাত্রির অশুভ সময়ের কথা রাখিও কলপে
পাইবে ডাটন হতে মুক্তি বিধাতার বিধান।
নিঃসম্বল হয়ে ওরে উদাসীন প্রবেশ করিওনা
ভুষ্টিন বহিনে মঞ্জিল দিয়া রাখিবার গোরে।
করিয়াছ যাহা ভুক্ত লগ্নের হিসাবে থাকে অকল্যানকর,
পাবেনা হে অতি সুন্দর দিদারের মিলন।
সেই বিদায়ের সালাম আজিকে দিলবার মুসলিম
মরতবা করিবে অন্কিত হৃদয়ের ছাপ।
==============================================

~~রেখেছি সঙ্গোপনে~~



আমি একবার ঘুরে আসতে চাই,
তোমার মনের ভিতর যেখানে হৃদয়।
তব ঐ দুটি ভীরু চোখে যমুনাকে ধরো,
স্মৃতির সমাধিতে প্রেমের তাজমহাল করো।

তুমি সুখে আছ অনেক ভালো,
ভালো আছ জেনে কেটে যায় দিন গুলো।
জীবনে দ্বীপ জ্বালাতে নাইবা পারো দিও সমাধিতে,
না থাক যমুনা কাছাকাছি তোমার ক্ষতি নেই তাতে।

কোনো এক সুন্দরী রাতে,
পূর্ণিমা রঙ ছিল ফাল্গুনি হাওয়াতে।
চাঁদ জোছনায় সাজিয়েছিল প্র্র্রহর আমার সীমানায়,
আমি নির্ঘুম সেই রাত করেছিলাম প্রভাত স্বপনে জোছনায়।

এই চাঁদের তিথিরে বরণ করি,
ওগো মায়াভরা চাঁদ ওগো মায়াবিনী।
স্মৃতির সমাধিতে কত শত কথার ভিড়ে,
না বলা কত কথা লুকিয়ে রেখেছি সঙ্গোপনে।
=============================================
~~মাতা- পিতার জন্যে~~


এমন স্মৃতি আসবে কি
কখনও ফিরে?
কখনও ভালবাসা
যেখানে অনেক
হাসিখুশী ভরা দুঃখ,
কখনও কান্না
যেখান ঝর্ণা
পথহারা পথিকের পথচলা।

কখনও সংসার
যেখানে কলহ
চিরদিনই চলবে দু’একটু ,
কখনও সংসার
যেখানে সন্তান
বেচেঁ থাকার আশা জাগিয়ে রাখে।

কখনও সন্তান
দুঃখ বাড়ায়
পিতা-মাতাকে ভুলে,
কখনও দুঃখ আবার
পিতা-মাতার অকারণেই সৃষ্ট।

তবুও এ পিতা-মাতাকে আমি
দিন ও রাত্রি
শুরু থেকে এখনো ভালবাসি,
পিতা-মাতার জন্য
সব কিছু বিলিয়ে দিয়ে
তাদের মাথা ওপর রাখব চিরদিনই।
============================================

~~কন্ঠমালার মনোহরিণী~~



অভিন্নহৃদয়ে একলপ্ত করিয়া কন্ঠমালার শুভায় দিয়াছ মনোহরিণী।
তুমিতো হয়েছ কনিনীকার আলো, থাকিবে আমার হৃদয়স্পন্দনে অনেকান্ত হয়ে।
কৈবল্যে মিলিয়ে তোমায় প্রকোষ্ঠ মধুরসে করিয়াছি মুক্তিদায়িনী।
ক্ষীণতায় নয় মন ইন্দ্রিয়ে তজ্যোল্যে সন্তাপ মুছিবে আচ্ছাদনের আহারে ক্ষুধার তৃপ্তিতে।
পথগামিনীতে পথের ত্বরমান নিস্তর পারিবেনা করিতে পিশাচের দঙ্গল।
তুমিযে আমার আয়ত্তে আনয়ন সন্কল্পিত প্রেমাতাপের আস্ফালনে কন্দর্প।
অহোরাত্রে প্রকাশে কমল শোভা দেখিতে দিনেল তুমি আস্তরনে সন্তুষ্ট করিয়া।
মহাপ্রাণতা প্রকোষ্ঠে থাকিবে দিব্যাঙ্গনা দিব্বি খুশিতে দিপিতোমন ভরিয়া।
সেই দিপীত আত্ন পারিবেনা করিতে দীপ্যমান দাহ,
থাকিবে অধিক হইবেনা ক্ষ্যান্ত দেহাত্যয়।
তোমারই হেই ঢেউয়ের দোলায় আমারই সে বুকে প্রেমের দোলন পড়িবে মনে।
ধরণী তরে চারিণী নিগূঢ় মর্মে গাথিবে করিবেনা পতিত নতনাসিক ধর্মত।
অনুদ্দিষ্ট চেষ্টতা আনিতা বিধিবে সকলই হবে তিরোহিত।
আবিলতাশূন্য হৃদয় নিঃশেষে ত্যাগে মোচনে হবে নিবৃতি পারাপার।
লোকান্তরে পরমাদৃত প্রাপ্তীতে আত্না হবে পরিব্যাপ্ত।
=================================================

~~কালের অন্তরালে প্রতীক্ষার প্রহর~~


অনেক বেশী করতে চেয়েছিলি ঘৃণা
পারলি কি?
নাকি দহনের যাতনায় পুড়ে মরছিস আজকাল
জানা হলো না।

অনেক ভালোবেসেছিলাম তোকে
বুঝেছিলি কি?
নাকি অভিমানের উত্তাল সাগরে এখনো হাল ধরে আছিস
জানা হবে না।

যান্ত্রিক জীবন অসহনীয় লাগে কেমন জানি
সভ্যতার বড়াই একটা ভাব
তার চেয়ে নদী আমার অনেক আপন মনে হয়
যদিও সর্বস্ব কেড়ে নেয় ঠিক তোরই মতন।

ল্যাম্পপোস্টের আলো বড্ড চোখে লাগে আজকাল
বড্ড তীব্র মনে হয়ে
তার চেয়ে জ্যোৎস্নার কোমল আলো অনেক আপন করে নেয়
ঠিক আমার স্বপ্নের মতন।

ঘড়ি পড়া ছেড়ে দিয়েছি অনেক কাল হয়ে গেছে
সেকেন্ডের কাঁটাটাও এখন নিশ্চুপ হয়ে গেছে ব্যাটারির অভাবে
তবুও জীবন কাঁটার ঘূর্ণন থামে নি আমার
চলছে দম না দেওয়া ঘড়ির মতন, ধুঁকে ধুঁকে;
এখন আর দিন ক্ষণ সময়ের পরোয়া নেই কোনো
তোর ফিরে আসার প্রতীক্ষায় দিন গুনি না আর
পোড়ায় না চোখ এখন আর তৃষ্ণায়, তোকে দেখার আশায়
শুকিয়ে গেছে আজ হৃদয়ের সকল জলাধার।

প্রতীক্ষার সীমারেখা পার করে দিয়েছিস অনেক আগেই
কালের অন্তরালে হারিয়ে গিয়েছে অপেক্ষার প্রহরগুলো
অনেক যাতনায় সয়ে গিয়েছিলেম অনেক মোহ নিয়ে
বাস্তবতার নিষ্ঠুর হাল ধরতেই হয় কোন একটা সময়ে
ডুবে যাবার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য অনেকগুলো জীবনকে
অথৈ সাগরে ভেসে যাওয়ার আগেই দরিয়ার নাবিককে।
============================================

~~আত্নতৃপ্তিতে ভালবাসা~~


নিরর্থক নও আছিয়াছ আচম্বিতে থাকিবে মননে খুলিয়া মনের দুয়ার।
অতি বিশ্বাসী স্বীকৃতিতে বহাল করেছ অন্তর।
বহিরাকৃতি না অনুরুপ করে সংগতিতে বশীভূত করিয়াছ,
আত্নজ্ঞানে উৎসর্গ করিয়াছ, জয়ী করেছ মন।
রুদ্ধতায় নয় ভালবাসায়, বিবাদে নয় আত্নতৃপ্তিতে,
মননে জাগিয়েছ প্রেমের বিশুদ্ধতা।
প্রসন্নতা মনে করে পরিতৃপ্ততায় অর্পণ করে দিয়েছ
স্হান তোমার নির্জন অন্তরে।
অধিগত হইয়া শৌভাগ্যশালী, তোমার উৎকর্ষে থাকিব
নিদ্রা স্বপ্নে বাহ্যিক অবয়বে।
তোমার স্পর্শেন্দ্রিয়ে আছে কোমলতা সম্ভবকে
উদ্ভাবন শক্তিতে পরিতৃপ্ত করিয়াছে পূর্ণাঙ্গ জীবন।
বিলীয়মান ঔর্সয্যে থাকিবে হৃদয়ে চিরহরিৎ
তাজমহল হয়ে অবিরামভাবে অন্তর দৃষ্টিতে।
ত্যাগের মহিমায় মর্মরিত মন যোগল করেছে
লোপ করা নির্বাপিত ধীশক্তি যৌবন।
নিন্দার্হভাবে থাকিবে জনম অন্কিত হৃদয়ে,
নিশ্চিত ন্যস্ততায় পরিতৃপ্ত দিপ্ত প্রতীক হয়ে।
প্রীতিপ্রদ আদরিনী আশান্বিত করিয়া রেখেছ
বুকে, কেদেছে অনুভূতিহীন তপ্ত হৃদয়।
অন্তর্নিগুঢ় করিয়া প্রানের সঞ্চালনে সন্নিবেশিত
করে আমাকে দিয়াছ পরিজ্ঞান।
অন্তরঙ্গতা তোমার প্রানে জাগিয়াছে দৃঢ়তার
স্ফীতিতে আমার উদ্ভাবনকর্তার আসনে।
সদিচ্ছা তোমার রোমাঞ্চকর পরিধান,
আঙ্গিকে করেছ আপন সংযোগ সংস্হাপন
সঞ্চার করেছে মন।
==========================================

~~দুহিতার সৌহার্দে বিতারন~~


তুমি পেয়েছ দুর্দহনে পাপের ব্যাপ্তি, থাকিবে তোমার উম্মত্ত দুর্দিন।
তোমার দুর্নয় করেছ অশিষ্ট পরিধি বিস্তারকে এনেছে দুর্বিপাকে।
থেকনা আর দুর্মতিতে, পারিবেনা উদ্বিগ্নচিত্তের দুরবোধ থেকে মন্ত্র পাড়ি দিতে।
তোমার দুর্জন দূর দৃষ্ট, দূর্বহ থাকিবে বুঝিলাম আমি,
তুমি দুহৃর্দ দুষ্কর্মপরায়ণ অসদবিলাষী।
তুমি দুহিতা হয়ে সৌহার্দকে করেছ বিতারন, পারিবেনা দুর্জনে ফেলিতে তোমার দুস্ক্রিয় মন।
তুমিতো ভেবেছ দৃষ্টরজা থাকিবে অনন্ত ভাবনায়, জেনেছ কি তুমি যে কত নিন্দক ক্ষীনমনা।
হঠাৎ দৈববশে ভেবেছিলা কুলে প্রহ্লাদ হয়ে স্বর্গীয় আলোতে প্রজ্জলিত হবে, দেখেছ কি শক্তিমত্তার বিড়ম্বনা।
তুমিতো দোষাবহ ঘুটাবেনা চিত্তের দুঃখজনিত অবসাদ, ধরিত্রীতে বিধানে থেকো করিবে
পূনকর্মে ক্ষমা অতিশয়ী ক্ষমতাবান।
বিভ্র সৃষ্টিতে, তোমার ধৃষ্টতা আপন অবিশ্রাম বিবর্ণ খেয়ালে অস্হির করিবে ধামালী,
নটচরিত্র চলনে অসাড় ভেদে ফিরে আস নতিমানে।
নদ্ধতায় থাকে চিত্তে কলোষতা, পাবেনা অধমে তারণ, এসো তীর্থে কর নৈরেদ্যাদি উৎসর্গ,
পরিত্রান পেতে পারে এই ক্রুদ্ধ জীবন।
আজি হতে তুমি কর তীর্ন প্রতিজ্ঞ তুচ্ছ করিওনা তৃপ্ত পাবে তখনী জীবের জীবন তুক্ষি,
মনণে পাবে নক্ষত্ররুপিণী স্বস্তির বিবর্ধক ।
শুনিয়া জাগুক তোমার সুপ্তপ্রানে চির নিদ্রিত দীপনার বাসনা, ক্ষীন আওয়াজে
পাবেনা শুনিতে দুর্বিষহ শোক দহনে দগ্ধ হৃদয়।
==============================================


No comments:

Post a Comment