Tuesday 6 August 2013




~~~প্রতিজ্ঞা~~~




দেখেছিলাম এক চিরন্তন মায়া ও চোখের তারায়
ভুলেছি সে মায়া এখন আর আমার জন্যে নয়,
ভালবেসেছি তোমায় এতে দুঃখ নেই
হয়তো ভালবাসাটা পূর্ণতা পেল না,
ক্ষতি কি তাতে বলো ?

বলেছিলাম আমি অঘুমো ছিলাম,আছি ?
কেনো জানো ? রাতের আকাশ দেখতাম...
তারা গুনতাম...অনেকগুলো গুনেও ফেলেছি...
তারপর চোখটা ঘোলা হয়ে যায়...তারাগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে...
আবার গোনা শুরু করি...ভোর অবধি...
চলতেই থাকে...

তুমিই বল,না গুনে কি করে ঘুমোই ?
একসময় তো কেউই থাকবে না পাশে,কি করবো তখন ?
তুমিও তারা হয়ে যাবে,আমি তোমায় খুঁজবো...
যতক্ষণ না পাই...খুঁজেই যাব... |
=================================================

~শূন্য নিথর~~

 
তব তপস্যার অপার বুনিয়াদ মোর
প্রতিফল পৌষে এলো বুঝি নীড়ে!
ওগো প্রেয়সী এসেছিলে যবে তব দীপ্ত-
কিরণ হেসে ছিল মোর ভাঙ্গা কুঁড়েا
নহে সেতার,নহে তানপুরার তারতম্য বীণা
তব হিয়ার নিশিত রূপকথার চয়নিকায়
সখিন দোলেছিল মোর নব আত্মা খানিا
অলোকিক দ্যুতির মতন তব স্থির প্রস্থান,
অবুঝের অবোধ তব তরে ভালবাসা মোর
কিঞ্চিৎ‍ ব্যাবধানে অবেলায় সে' শূন্য নিথরا
===============================================

বেদনাগুলো ধূসর রাতের স্মৃতি হয়ে হানাদেয়,
আমি কি কিছু হারিয়েছি আমার অজান্তে?
ফেলে আসা স্মৃতিগুলো কেন এভাবে বিসন্ন করে তোলে আমাকে?
ভুলে ভরা জীবনে আমি, আর কি কখনো ফিরে পাবো তোমাকে??
===============================================================
সুনিপুণ স্বপ্নীল দ্বীপ্ত কুঞ্জে জন্মবাস
নিস্পাপ জন্ম নির্যাসে আরাধ্য তীর্থ
কালের গর্ভে নৈকষ্য পথ বিদ্যমান
জন্মান্তরে কাঙ্গাল ভূমিষ্ঠ বেমানান ।
মানুষ তো আমি, আমার কি দোষ ?
বৈরীতা বেমানান সে'তো কালের-
বৈষম্য, জন্ম কি মোর আজন্ম পাপ?
আমি হতভম্ভ নিশ্চুপ অবাক বসুধায়
বোধ জ্ঞানহীন বেদবিধানে!!!!!!!!!!!!!
=============================================

তুমি যদি সীমাহীন মেঘ হও 
আমি ঝরব হয়ে অঝর বৃষ্টি 
সুশ্রী নয়নে তোমার 
হব বিধুর অপলক দৃষ্টি ।
=========================================================
সকালটা ঠিক ছিল ..রবিবারের সকাল ...
নদীর ধার ঘেষে বাস্ত সময় ! কোথাও জটলা,,
কোথাও ছোটরা ক্রিকেট নিয়ে শচীন হবার স্বপ্নে মেতে আছে ..
কোথাও বা মত্স্য বাব্শায়ীরা তার নৌকা আর জাল নিয়ে বাস্ত,
আমি আপন মনে হাটতে হাটতে নদীর প্রায় বেঁকে যাওয়া মোহনার কাছে চলে 
এসেছিলাম /বাঁকটা মূরতেই দৃষ্টিটা থমকে দাঁড়ালো..
পরিতক্ত্ব এক নৌকা পড়ে আছে এক কোনে,
কত বয়েস হবে এটার ? ঠাহর করতে পারিনে...
আমি তো নৌকার ডাক্তার নই...
পোকা মাকড় নিয়ে ঘাটাঘাটি করেছিলাম কোনো এক কালে ..
আমায় আমার প্রিয় ছাত্ররা নাম দিয়েছিল..... 
পোকা মাস্টার,
সেটা থাক আজ....

নৌকাটা মনের ভেতরে এক অদ্ভুত অনুভূতি এনে দিলো,
হয়ত কত যাত্রী নিয়ে সে সময়
কাটিয়েছিল / হয়ত যাত্রীর ভালভাসা নিয়ে ভেসে গাছে কত বার নিজের অনিচ্ছায়,
আজ দেখ এখানে পড়ে আছে নদীর মোহনায় একাকী সঙ্গিবিহীন .....
সংসারে যেমন
ভাঙ্গা চড়া আসবাবের মত বুড়ো মানুষেরা এক কোনে পড়ে থাকে ...
সম্মানহীন নি:সঙ্গ
ছায়ার মত....|
==========================================

~~চিঠি ..খোলা পাতা~~

ভিতর থেকে একটা ডাক জেগেছিল! ইন্গেলহাইম জার্মানি থেকে সোজা ফ্রাঙ্কফুট এয়ারপোর্টে পাড়ি জমিয়েছিল এক মন....
শেষে নেবেছিল দমদম এয়ারপোর্টে !
সে এক অভিমান কাজ করেছিল তার মনের ভেতর !
 তার ভালবাসা ফিয়ান্সে ..
ক্রিস্টিনা ছেড়ে এসেছিল তাকে! ক্রিস্টিনা এসেছিল ভারতবর্ষে !
তার দুঃখ ছিল মনে! সে ভেবেছিল ..
অভিমান সইতে পারব অপমান নয়..
অপমানের বদলে দুঃখ দেয়া নয়.....

সে ভেবেছিল ..
দূর থেকে দেখে যাব ...তোমাকে দুঃখ দেয়া নয়, তাই...
পৃথিবী সরিয়ে এনেছি কাছে !

সে ভেবেছিল ..
তুমি চাঁদের সোহাগ নিয়ে বসে আছো ...
আমি কলঙ্ক নিয়ে বসে থাকি পৃথিবীতে
রাত্রি হলে জেগে উঠি কালি মোহে
দেখে নেই একবার...কলঙ্ক নেই তো তোমার দেহে
আমার অভিমান আমায় কলঙ্ক প্রধান করে রাখে...ক্ষতি নেই
অপমানের আধারে অভিমান বাঁচে না বহুদিন

ভাবিনি অত কিছু ..জানার ভেতরে কি আছে জানা নেই
মনের বদলে রেখেছি তোমার সোহাগ
যেতে যেতে রেখেছি তোমার বিশ্বাস
লিখিনি কিছু বস্তাপচা উপন্যাস .....

হাই ক্রিস্টিনা,
আমার খোলা চিঠি !
আমি ভালো আছি ! জার্মান কন্সলেট থেকে জেনে নিয়েছি তুমি ফিরে গেছ ইন্গেলহাইম! 
ভিসা মেয়াদ শেষ হবার অনেক আগেই !
চল্লিশ বছর আমি ভালো আছি ! 
অভিমান অপমান সব বাসী হয়ে গঙ্গা জলে ধুয়ে মুছে পবিত্র হয়ে আছে! 
এক জায়গায় এক কষ্ট এসে হানা দেয় !
 যখন ভিসার মেয়াদ বাড়াতে আমাকে একান্ত উদ্বিঘ্ন হতে হয় !
 জানো ক্রিস্টিনা...
তোমার ভালবাসা অপমান সেখানে কাজ করে..
আমি আরো শক্ত হয়ে ভিসার লাইনে দাঁড়িয়ে যাই.....! 
=============================================
~~~কবিতার শব্দরা ~~~

 

কবিতার শব্দরা থাকে বড় বেশি আলশ্যকাতর
নিষ্ঠুর না দেয়া ইচ্ছা নিয়ে চেয়ে থাকে ঐহিক ঈশ্বর !
জমাট পাথরে যেন সবুজ প্রকিতি ফেন্দেছে ফাঁদ
চিত্রকল্প এলোমেলো অরণ্য যেন আধখানা চাঁদ !!

মাঝখানে কিছুটা শুন্যতা বড় বেদনার মতো মহামহিম
নিরাকার রাত্রির চেয়ে অন্ধ অথচ কি গাঢ নি:সীম !
নীলাঞ্জন ছায়া নিয়ে কবিতার বৃদ্ধ পূরুষ প্রতিম
স্বজন স্বত্তার ভেতরে জেগে থাকে নিদারুন সমস্ত দিন !!

কে তুমি এই অনুপ দত্ত ! হয়ত হয় না দেখা কতকাল
মনন্তর ঘাসের মিছিলে রিকেটি শালিক ডাকে বহুকাল !
সামান্য কবি ! মদের টেবিলে নাচে প্রেম অনন্ত শোষণ
বুকের ভেতরে আছে যে বুক পারিনা তার বিদগ্ধ দহন !! 
=============================================

~~আমি থাকি আমার মতো~~
 

তোমার ওই হৃদয়ে দেখ কি নাচন বেঁধে আছে
করতোয়া জলে যেমন ছন্দ লাগে স্নিগ্ধ বাতাসে 
নর্মদা নদী তীরে অচেনা সাধু এসে বলে..
"এ বেটা তু তো রাজা বনবি রে...."
আমি থাকি আমার মতো !

কত শত ঘটনার ভেতরে ...কত শত অস্তিত্ব বাসা বাঁধে
কত শত ঘটনা টেনে নিয়ে যেতে চায় অন্তরে
আমি থাকি আমার মতো !

লিওনারদো দা ভিঞ্চি সেজেছিল নিজের মতো !
মিলানের ফেলা গ্রাত্সীর দেয়াল জুড়ে দা লাস্ট সাপার'এর মুরল
রেনেন্শাসে ভগবান যিশুর বারো জন সঙ্গীর এক সঙ্গী টমাস'এর
ছবি এঁকেছিল ....তর্জনী তোলা নিজের ট্রেড মার্ক ভঙ্গীতে
হয়ত ভেবেছিল ....সে টমাস'এর মতো !

স্বত্তা ছবির অন্তরে যায়...ছবি কে বানায় ছবির অন্তর
ফুটে ওঠে ফুল..জেগে উঠে সাগর..প্রতক্ষ হয় অবিশ্বাস সেই সাপার'এ
যেখানে ভগবান যিশু তাঁর শেষ খাবার খেয়েছিলেন সঙ্গীদের সাথে
আমিও সেখানে যাই ...আমার মতো করে !

ভালবাসা হারালে মরে যাই
সবুজ পাতা আসে রঙিন অবুঝ মন নিয়ে
তার সজীবতা শুকালে কষ্ট পাই
আমি থাকি আমার মতো !

এক নাগাড়ে বৃষ্টি হলো ..মুম্বাই শহরে অজস্র জল
নিত্য ভাবনা..নিত্য যাতনা ছেড়ে জীবন চলে জীবনের মতো
জল ঢাকা রাস্তায় বেস্ট বাস চলে দিনমান
উড়ি মেরে সেই বাস ধরে মারাঠি মহিলা.............
তার শাড়ী ভিজে যায় জল ঢাকা জলে
শাড়ীর নীচে সুঠাম নিদারুন পায়ের শরীর ভিজে যায়
তার উপরে ভিজে যায়....না থাক,
মুম্বাইয়ে এতটা বৃষ্টি হয়নি এবার !

ঠাকুর'ও একা থাকতে চান ...
"...কথার পাকে আর কাজের ঘোরে ভুলিয়ে রাখে কে আর মোরে
আমায় থাকতে দেনা আপন মনে আমায় থাকত়ে দেনা ......"

আমি থাকি আমার মতো !!
==========================================

~~~অন্যমন~~~ 

 

১ 
মনের ভেতর আরেক মন
মন থাকে না মনে !
মন থেকে মন যায় দুরে যায়
সবার অন্বেষণে !!

কোথায় কবে দেখা হলো
সোড়সী সরসী নয়ন !
বেলগাছিয়া গলির মরে
থমকে আসে চরণ !!

হয় এখানে নয় তো বা ভুল
ভুলের মাঝে জাগে স্বপন !
স্বপন ভাঙ্গে স্বপন গড়ে
কিশোর ভেঙ্গে যৌবন !!

যৌবন দেখা অন্যরকম
স্বাতিদির পায়ের ভেজা জুড়ুল
না পাওয়া অন্ত:ব্যথা
মনে হতো, না পাওয়া ভুল !!

সময় ভেঙ্গে সময় পালায়
মন ভেঙ্গে স্বপ্ন রঙিন মন !
শেষ বয়েসে মনের শেষে
এ কোন মলিন অন্যমন !!
=============================================

 
~~~দেহ সেবা~~~ 


নাম জিগ্যেস করাতে বলেছিল
কনি...পান্না...চুনি..উর্বশী .. 
বলে সে হাসেছিল.... নামে কিবা আসে যায়

মেঘের নীচে ছাদ ..প্রায় আকাশে দেখা যায় নির্বিবাধ
রং ঝরা আকাশ-গাছ-পালা মিশে সবুজ আভাষ
সারা রাত জড়িয়ে শুয়ে থাকা,পোড়া গাছ খুঁড়ে সাজিয়ে কঙ্কাল
ফিকে হয়ে আশা সূর্য্য প্রভাবে ফিরে এলে রাত রঙের বাহারে

সারা রাত জড়িয়ে শুয়ে থাকা
পায়ের ফোকরে পা...পাপ নয় অন্ন ভালবাসা
জন্ম নেয় আকছার গলির ভেতরে,মনোরমা বা সরমা চায়ের দোকানে
বেঞ্চিতে বসে পাছা ব্যথা হয়ে যায় সারাদিন
সন্ধে নাবে হুর হুর কোরে,তারপর সারা রাত জড়িয়ে থাকা পাপের শান্তিতে

তুমি কোথায়....
জেনে কি লাভ..রাতের শরীর পোড়া গাছ
ফসল তোলা দুপুর যখন চোখের কোটরে জমা কিঙ্কর কাল
লেখা জোখা,আনাড়ি পাগল
জাত বেজাত, আউল বাউল
অন্ধকারে কে রাখে খোঁজ আর কে বা ঠাওরায়
সাজানো কংকালে..উলঙ্গ কঙ্কাল ঠোকাঠুকি খায়
জন্ম নয় ক্ষনিক নিকৃষ্ট ভালবাসা...যেন দুনিয়া সাজাবে সোনার নুপুর পায়
অন্ধকার আলো হয়ে এলে .. ..ফিকে হয়ে আসে ভালবাসা
ফেল কড়ি মাখো তেল বলে, কনি...পান্না...চুনি..উর্বশী .. জানে সব শরীর অভিধানে
কনি...পান্না...চুনি মন্ত্র পড়া জানে...রোজ শুধোয় একবার সহপাঠি চুনিদের
দেহতত্ব কাঁচি মারা পাঁচ..প্যাকেটের গায়ে হীরক রঙের লেখা বিদেশী ছাপ
প্রকাশ কথার যতনে নোতুন জন্মের বসুধা গলায় নি:জন্মর ফাঁস

রোজ একবার করে আবার মরা দুপুর গড়িয়ে বিকেলে
রাতের শরীর পোড়া খেদ...দুপুর ঝুর ঝুর কঙ্কাল
সোনার জল কার নুপুর পায়
রোজ বেঁচে একবার
সাত জন্ম বাঁচার এই এক জনমের প্রচেষ্টায় 
=========================================

~~ভূমির ক্ষত~~

 
এখানে একদিন প্রাণ ছিল,
কোন এক অঘ্রাণে জমে উঠা 
উৎসবের ঘ্রাণ ছিলো অম্লান।

হাজারো পাখি তার নীড় গড়তে ভিড় করত
আসবাব উপযুক্ত গাছগুলোর ছায়ায়।

পাখিদের শিসের ছন্দে দুলে উঠত ধানের শীষ,
হিস হিস করা সাপ, কিম্বা গৃহস্থ ইঁদুর
সিঁদুর পড়া কৃষাণীর বুকে তুলত কাঁপন।

এখানে রাত্রি যাপন করত তীর্থযাত্রীকুল,
কোন বসন্তে অস্থির চিত্তের বাউল-মন
এখানেই তুলত বেহালায় তান।

কোন এক হাসিমুখো রাখালের বাঁশি
সুদূরেও তুলত ঢেউ তার সুমধুর সুরে।

এ শক্ত মাটির বুকেই ঝরেছিল রক্ত,
কত সাধু সন্ন্যাসী ভক্ত বিলীন হলো
এই কুলীন সমাজে।

আজ যে তুমি হয়েছো প্রিয়ংবদা
তোমার সে প্রিয় বাণী
ভূমির অধরে আর আশা জাগায় না।

এ প্রান্তরের হৃদয় আজ শুধুই কংক্রিটময়।
==========================================
কোনো খবর নাই।
কোন ঘূর্ণীঝড় নাই।
নাই আগাম প্রস্তুতি 
নাই বিধ্বস্ত হবার পর
আবার নতুন শুরু করা!
চলছে চলছি হয়ত
এভাবেই চলে যাবে সময়।
তবে ছাড়িনী হাল
আশা আছে মনে
পরিবর্তনের অপেক্ষায় জীবন!
স্বপ্ন চেষ্টা কর্ম
অতঃপর ফলাফলের প্রতীক্ষা!
=============================================
তুমি আমার নায়িকা হবে ?
স্বপ্নের নয়,সত্যিকারের ?
পুরো ছায়াছবির জন্য ?

দু'টি গান থাকবে
গানের কথা...
লেখা হয়নি !
হয়ে যাবে !

তুমি আমার নায়িকা হবে ?
একাকি নিরালায় থাকার দৃশ্য বেশি থাকবে...
বৃষ্টি তো থাকবেই !
ব্যালে নৃত্য !!!
কোমর জড়িয়ে পায়ের উপর নিয়ে নাচ...
কেমন হবে ?

তোমাকে শুধু জড়িয়েই রাখবো
ছাড়বো না কখনো...
তুমি করবে তো ?

তপু'র "ভালবাসি" গানটার
সিনক্রনাইজ থাকবে
রিকশা,আইসক্রিম,ঠাণ্ডা লাগা...
লাল কামিছ,বেগুনি আর শাড়ি...
হা করে খাইয়ে দেয়া !
থাকবেই...

আচ্ছা,তুমি আমার নায়িকা হবে তো ?
আমার নায়িকা...
আমার...... |
=========================================

শরীরের পিপাসা চাপা পড়ে রয়…..
‘নমিতা’ এমন ভাবে হাসলো যেন..
ওর ঠোটেঁর রক্ত দিয়ে আমাকে জলছবি একে দিবে !
কিছুটা উত্তেজিত হচ্ছিলাম ,
 কি এক সংস্পর্শে এসে..
শরীর সনাতন পাথরের মত হিম হয়ে যায় !
‘নমিতা’ মুখে হাসলেও , ভিতরের বিষয় টের পাই..
নীরব মুর্হুত কেটে যায় ,
 ঠান্ডা কাচা স্পর্শ করে..
আমি নির্ঝরের জল চাইলাম নমিতার কাছে.,
ও এমন ভাবে তাকালো আমার দিগে ,
 ঠিক ওর চোখে আমার মৃত্যু!
===========================================================
~~ওড়া শিখবো কবে?~~



"বেশ অনেকগুলো বছর পার করে আজ জন্মদিনের শুভক্ষণে উপলব্দিটা এইরকম......"
 
শুরু করতেই এক জীবন কেটে গেল, 
শেষ
করা কবে হবে আর,
কবে হবে আরশিনগর পৌছা?
এক পা ফেলতেই গেলো সমস্ত জীবন,একবিন্দু
অশ্রু পার হতে গেলো কৈশোর যৌবন,
ছবিটা সমাপ্ত হবে কবে?
উঠানে পড়েছে এসে কার্তিকের রোদ,দ্রুত সন্ধ্যা
পুকুড় কাটতে কাটতে বেলা গেলো,জল কই?
কিছুই জানি না কখন শেষ হবে এই দীর্ঘ স্বরলিপি,
দিন গেলো পাখা ঝাপটাতে ঝাপটাতে,
ওড়া শিখবো কবে?
================================================
আমার মনটাকে যদি
তুলনা করি আকাশের সাথে,
তাহলে বলবো যে আজ ঐ
মনের আকাশে মেঘ জমেছে।
মেঘগুলো দ্রুত গ্রাস করে নিচ্ছে সমস্ত আকাশ।অপেক্ষা
শুধু; মেঘগুলো সরে যাবার
আর দেখা পাওয়ার শুভ্র নীলে
পরিস্রুত নির্মল আকাশের!
আমার মনটাকে যদি
তুলনা করি নদীর সাথে
তাহলে বলবো যে,আজ ঐ
মনের নদীতে চর জেগেছে।
একবুক প্রত্যাশা আর নতুন
স্বপ্ন সে চর কে ঘিরে।
ভয় হয় যদি নদীর
বানে তলিয়ে যায়
সে আশার চর!
=========================================
~~শীর্ণ হৃদয়~~

 
অন্তরীক্ষ সোনালী স্বপ্নের মর্মর শব্দে তন্দ্রাহীন রাত
বালুকার বিদীর্ণ ভুমিপটে স্পৃহাহীন ভাসমান বুনিয়াদ
অগুন্তি চাওয়া পাওয়ার শুভ্রতর নিরুপম হাতছানি
কোলাহল শূন্য ধূসর গাঢ় অন্ধকারে বয়ে চলা জীবন
অস্থির মনের নিরুত্তর ভাবনার বিশালতর সমীকরণ,
অপ্রাপ্তির পীড়াপিড়িতে অপেক্ষমান নৈষ্ঠিক প্রহরا

অগাধ নির্ভেজাল বিশ্বাসের ঘরে আজি শুধুই শূন্যতা
নিষ্প্রভ বন্দী কয়েদীর শ্বাসরুদ্ধ জীবনে অপরাজিতা,
সুক্ষ্ণ বৃক্ষের ঝরা পাতার মতো অমর্যাদাহীন মনোদ্যান
পথ থেকে পথে যোজন দূরে ভ্রান্তিক ভুলের আত্ম দহা
জন্মান্তরে একান্তবৃন্তে নিরন্তর খুঁজি সুপ্রভাত অপ্রময়
প্রতিদানে অপ্রত্যাশিত গ্লানীতে অভিমুখী প্রত্যাবর্তনا

হৃদয়কুঞ্জের সবুজায়নে বসন্তের অনাগত সদ্য পদ্মরাগ
বিমূর্ত ভাবনায় অমিয় আত্মাসত্তা,বিষাদময়ী উপকরণ
পার্থিব পৃথিবীর অশালিনতর স্লোগানে দৈনন্দিন জীবন
অধরা বসুধার রণাঙ্গনে ক্রমাগত মৃত্তিকান্যয় নব প্রাণ,
বিন্যাস অন্বেষণে আহ্নিক নিরুচ্চার স্বপ্নে ঘূর্ণিবর্ষণ মমি
বিরূপ ভাবনার মোহে জন্মান্তরে আমি ধ্বংসযজ্ঞ ভূমিا
===============================================

~~ও কোলকাতা ...ও কোলকাতা~~ 


সোনার স্মৃতি বহুভুজ কোলকাতা
স্মৃতি অর্থ হয়ে থাকে যদি কিছু মেলে 
স্মৃতি সোনা হয়ে যায় ..তোমাকে ভালোবেসে কোলকাতা
কোলকাতা তুমি কোলকাতা.........!

দেশ ভাগ পিছিয়ে দিয়েছে আমাদের মনের পাঁচশো বছর
তিন মুঠো চাল ছড়িয়ে মাথার পিছনে না ফিরে
দেশে দেশে ঘুরে শেষে পেয়ে গেছি সুনন্দা কোলকাতা
তিলোত্তমা কালো আগুনের স্নিগ্ধ কোলকাতা
বুকের ভেতরে রাবীন্দ্রিক তিলের কোলকাতা
গেরুয়া গঙ্গার গেরো বাঁধা সন্যাস চর্চার কোলকাতা
গড়ের মাঠে গড় হয়ে মনুমেন্ট দাঁড়িয়ে থাকা কোলকাতা
ও কোলকাতা...ও কোলকাতা !

সুমন গানের কোলকাতা
"কবেকার কোলকাতা শহরের পথে...আমি তোমাকে চাই" কোলকাতা

হেমাঙ্গ ভাটিয়ালির ..সুরমা নদীর গাংচিল উড়তে উড়তে বলে..
"ডানা ভাইঙ্গা পড়লাম আমি কলকাত্তার'ই উপর.."

শিলিগুড়ি মহিনের ঘোড়াগুলি'র প্রকিতিক স্বর
" স্মৃতির ভেতরে ট্রামের ধ্বনি বিবাগী সুর গড়ে..ভেসে আসে কোলকাতা ...."
ও কোলকাতা..ও কোলকাতা !

একটু একটু করে গড়ে ওঠে কোলকাতা
সুনীল মাতৃভূমি ..তসলিমা পরদেশ
রবীন্দ্র স্বদেশ..নজরুল বাংলাদেশ
রামকৃষ্ণ নরেন ..সারদা উপদেশ
আড্ডা উত্স রঙিন কফি হাউসের কোলকাতা
পর্যটক শহর কোলকাতা..নন্দন বিনোদন কোলকাতা
রিক্ত রেখে সিক্ত বাঁকা কোলকাতা
ও কোলকাতা..ও কোলকাতা !

কে তুমি কোলকাতা ?
বর্ণবান সংসক্ত গতিশীল অনুরূপ বাকপ্রতিমা ..
আবীর রাঙিয়ে আমি মুগ্ধ..আমি চৈতন্য
আমি গেরুয়া পথে লোক লোকারণ্য খুঁজে চলি কোলকাতা
নীলাঞ্জনা শাড়ী পরা সবুজ সোহাগে ভেসে থাকা কোলকাতা

ও কোলকাতা..ও কোলকাতা ! 
========================================

শুনেছিলাম তোমার অস্তিত্ব এখনো টিকে আছে..
মর্মরমূর্তির মত..
বেদনা ভুলে যায় , স্নেহবাধা তুচ্ছ প্রেমিক
সময় শুধু নিয়মে চলে হঠাৎ একি করলে ভুল |
=========================================

আঁধখানা চাদ আকাশে,
তাতেই রাত হাসে
সাথে আমি জেগে রয়,
মুগ্ধ দর্শক হয়ে।
মেঘেরা লুকোচুরি খেলে,
মায়াবী জোত্‍স্ন্যার সাথে
আমি ভাসী তারি আলোয়,
ঘুমহীন আর্দ্র চোখে।
ভালোবাসার মায়ায় বাধী
বন্ধুত্বের বন্ধন, তবু;
তারা ভরা আকাশে সঙ্গীহীন এক চাঁদ আমি।

============================================

~~জরুরি সাইরেন~~

 

নিজে বাঁচলে বাপের নাম,হারামজাদা
আজ তোর বাপের নাম ভুলিয়ে দিবো
গর্ভবতী নারীর মতো অবৈধ অর্থে পূর্তি উদর
ছুরিতে ঘাই মেরে কিলজা গোর্দা হাতে নেবো
উনুনে পুড়ে ফেরাই করে সেগুলো
ভ্রাম্যমাণ অনাহারী কুকুরকে ভোজন করতে দিবো।
দারিদ্র্যের নিচে চাপা পড়া জনতার প্রভূত
ক্ষুধাতুর মুখের বেঢপ আকৃতি দ্যাখ
হারাম হালাল বেমালুম,তোর আস্ত দেহ খাবো।
ধূতি কুর্তা তোর পড়নের বিদেশী ব্লেজারের
প্রতিটা অংশ খেয়ে সর্বগ্রাসী ক্ষুধার জ্বালা মেঠাবো,
ঝকঝকে তোর নিউ ব্র্যান্ডের বি এম ডব্লিউ গাড়ির
প্রতিটা পার্স খুলে বাঙ্গারির দোকানে বিক্রি করবো।
অভাবের তাড়নায় পোড় খাওয়া জনতার সিদ্ধান্ত
এক্ষণি তোর আলিশান ইমারতে ঢুকে পড়বো
ড্রয়ংরুম বেডরুম এমন কি বাথরুমে ও দখল নেবো।
সাইক্লোন সিডর প্রচণ্ড খরারৌদ্রে মাথায় ছাতা নেই
আমরা কোথায় যাবো;প্রয়োজনে তোর বাড়ির
ইট সুরকি অতঃপর মার্বেল পাথর খুলে
একটি দালানের সরাঞ্জমে শতধিক আশ্রয়স্থান গড়বো।
নিজে বাঁচলে বাপের নাম,হারামজাদা
আজ তোর বাপের নাম ভুলিয়ে দিবো।
এদেশ তোর বাপের একার না;জরুরি সাইরেন
যুক্তিতে মুক্তি দে-নয়তো গোটা সংসদের সিংহসনা ভাঙ্গবো।
লুটে পুটে খাবলে খাবো গণতন্ত্রের বিধানসভা
নিজে বাঁচলে বাপের নাম,হারামজাদা
আজ তোর বাপের নাম ভুলিয়ে দিবো।
=========================================

সাঁজি, কবিতার ডাইরি খোলা হয় নি অবসরে,
কবিতার অস্তিত্ব ছিল তোমায় সিমাবদ্ধ,
সেই যে বৃষ্টি নিয়ে লিখেছিলাম কবিতা,
জুলুজুলু চোখে দেখছিলে-
মুক্ত কন্ঠে আবৃত্তি করেছিলে আমার প্রথমা-অদ্বিতীয়া কবিতা,
বলেছিলে ,'তুমি আমার একান্ত কবি'
আজ হেঁটে চলেছো ঠিক পাশাপাশি,
হাত ধরে আছো সন্ধ্যায়, তারাগুলো ছোড়াবে আলো-

'আজ কতদিন কবিতা লেখনি তুমি'-উদাশ তোমার কন্ঠ

কি বিশ্বাস করাব তোমায়.. আমার উপমা হারিয়ে গেছে,
জীবনে তোমায় পেয়েছি আরো বিশেষ-ক্ষন,
পেয়েছি তোমার রক্ত মাংসর দেহ ক্ষিদে,
ভেবে দেখো একবার,
সত্যি হারিয়েছি মাতাল গন্ধ, খলামেলা প্রেম..
হয়তো অবুঝ এ মন কুয়াশা ঢাকা,
আলো-ছায়ায় খেলা করে নিত্য,
তবু ফিরে আসতে পার না আবার কিশোরি সাজে,

সাঁজি দেখো মেঘমালা সেজেছে তোমার মত,
বৃষ্টি অঝোর আসবে, ঢুকিয়ে রাখো তুমি তোমার ফোলদিং ছাতা,
তোমার আঁচল তলায় ভিজবো আজ,
যদি খুঁজে পাই একবার গন্ধ, বা ঝোলোমলো প্রেম..|
==========================================

~~জন্মএতিম~~

 
পরাজয়ের নিশাত ধ্বংসাবশেষ বুকের চাতাল
নিষ্করুণ প্রতিশ্রূতির বিমূর্ষ বিবেক
লালা ঝড়া ব্যভিচারীর জিহবায়
সতীত্বের নিষিক্ত প্রণয়,
শাসনের নামে শোষনের অভিশাপ
লম্পট খদ্দের ঘুরে অবিরাম
চিরাগত চিররোগীর দরজায়।

শান্তির নির্ভেজাল স্বরলিপি উড়ে
রৌদ্রজ্জল দিনে,অবিরাম বৃষ্টির ক্ষণে
আকাশে বাতাসে প্রিয় স্বাধীনতার গানে,
নির্ঘুম বসন্তের স্বর্গীয় উৎসবে আসক্ত
ঈশ্বরী প্রেমের লোভ জাগে জন্মএতিম
ধীরোদাত্ত প্রাণে।

ধারাবাহী হতক্লান্ত অপ্রিয় ধুলোট অদৃষ্ট
অজুহাতহীন বেদনার ভিন্ন পরিসরে
ছিন্ন হয় সমাজের চেতনা উপলব্ধি,
অমানবিকতার অবিচ্ছিন্ন দৃশ্য
বিধ্বংসের নেশায় বুদ পিশাচের হাতে
পরাস্ত হতে হতে অস্তিত্বে শিঁড়দাঁড়
মূর্তিমান হয় নিষিদ্ধ পুরুষের
জীবনের সংজ্ঞা।
========================================

~~ভুটানি প্রেম : এক কথা~~
 

তার কথা বলো !
তার কথা শুনে তাকে আপন মনে হয় 
তার বুকের স্বরূপ যেন খাজুরাহ বাস্তববাদ এসে উপচে ফেলে
ভুটানি মেয়েরা ব্রান্ডেড ব্রা পড়ে না
আটো স়াটো রঙিন কাঁচুলির সুঘন্ধ ওড়ে হাওয়ায়
বুকের উচ্ছলতা ধরা পড়ে রোজ
ঢাকা থাকা কামিজের নীচে নগ্ন বুকের সলগ্ন সুগন্দ সুডৌল অন্তরায়
#
তার কথা বলো !
সামচি ভুটানে কালো পাথরের টবিলে ভুটানি বেআব্রু মদে
ভুটানি মেয়ের মতো ভালবাসা শব্দর়া কাছে আসে
মনে হয়...সামচি ভুটান,
আহা ...তুমি জিও হাজারো সাল ইয়ে মেরি আরজু ...
ভুটানি কুমারী মেয়ে আই লাভ ইউ .....আই লাভ ইউ !!
#
তার কথা বলো !
আসলে সে এক সুন্দর গল্প
ভুটানি মেয়ের চোখের নীচে এক নীল সমুদ্র খেলা করে
কপোলে জমা থাকে পাহাড়ি নীলাভ নির্ভাবনা
সুঠাম দেহতত্বের উপরে তার কোমল কোমরের ভাঁজ
নাভি থেকে নাবে যায় দুরন্ত নদী পাহাড়ি বাঁকের মতো
হঠাত সজোরে আছড়ে পড়ে গায়ে সেগায়ে
পায়ের সমতলে ভেসে ওঠে রক্ত গোলাপের আবির রং
খুব নরম তুলতুলে শরীর থেকে রহমানের সুর ভেসে যায়
কি এক শব্দ এসে পথিকের গলায় আটকে থাকে ...
নি:শব্দ খেলা করে গলার ভেতর
শব্দর়া পেছনে পড়ে হাহাকার করে
#
তার কথা বলো !
ভুটানি মেয়ে হেটে যায় রোজ নিতম্ব ললনায়.....
রঙিন কাঁচুলির সুঘন্ধ ওড়ে হাওয়ায়
উড়ন্ত কামিজ আর কাঁচুলি সংঘাতে
হাওয়ায় কথা ভেসে বেড়ায় ... পাড়া বেপাড়ায়
ভুটানি মেয়ের অন্তরে নধর নিশিপদ্ম ফোটে রোজ রাতে
সোনালী আপেল ক্ষেতে উঁকি দেয় চাঁদ
সেই এক ভুটানি সুখ... ,সুখ নামে আবাসিক পাখিটাকে আচম্বিত কাছে পেলে
আরো বেশি ঘন হয়ে... হেসে ওঠে চাঁদ ভুটানি আল্হাদে
শব্দের তারুণ্য আর চৌধুবি চাঁদের ছায়া ধরে ভুটানি কুমারী
রাজপথে হেটে গেলে ...ঝলছে দেয় বিদেশিনী প্রেম ...

তার কথা বলো !
থাক না দুঃখ মনে ঢাকা....
সেই ভালো...
থাক না কুমারী ভুটানি মেয়ে একা একা ......
ভালবাসা কিছুটা সময় !
============================================

~~লোকটা পিয়ানো বাজায়~~

 

সে লোকটা পিয়ানো বাজায়
গায়ে তার কতকালের এক কালো কোট
না, শতছিন্ন নয় তবে ...আদরের অভাবে বেশ মলিন
যেন দীর্ঘ মনস্ত্বাতিক আঁকাবুকি জুড়ে আছে
তার বুকে পিঠে এমন কি ভাঙ্গা বোতাম'এ

সে যখন পিয়ানো বাজায়
দুঃখ সাগর পেরিয়ে জেগে ওঠে কৃষ্ণ চাঁদ
শুন্যতার ভেতরে জেগে ওঠে অচেনা পথ ঘাট
একান্তে খুলে বসে মনের পর্দাহীন জানালা !

সে বাজায় ..
গীতবিতানের প্রথম গান
" কান্না হাঁসির দোল দোলানো পৌষ ফাগুলের পালা
তারই মধ্যে চির জীবন বইবো গানের ডালা ..."

সে নিজের কান্না শোনে নি কোনদিন
রাস্তায় বিষাদ হাসিতে পিয়ানোর কোনে অন্যের কান্না জুড়িয়ে রোজ রাতে ঘরে ফেরে !

কোনদিন....পূর্নিমা চাঁদ ওঠে ঝল মল
জ্যোত্স্নায় লাফ দেয় ইচ্ছের জিরাফ
নোংরা পাঁচিল পেরিয়ে ছুটে যায় কনক্রিট থামে
কি খোঁজে সেখানে কে জানে..
হয়ত বহুবর্ণ জীবনের অনেক অচরিতার্থ অভিলাষ খোঁজে
দেয়ালে... দর দালানের গায়..ছোট্ট কোনো এক ঘরের ভেতর কথামালা
সেজে ওঠার মতো ছোট্ট কোনো এক সংসার !

মুক্ত জ্যোত্স্নায় সে বাজায়..
:...জ্যোত্স্না রাতে সবাই গেছে বনে ..বসন্তের এই মাতাল সমীরণে.."
সে বাজায়
"...যাব না...যাব না যে যাব না আজ
রইবো পরে ঘরের মাঝে ..এই নিরালায় ..."

সে বাজায়...
সামনে পড়ে থাকে নীল বালুচর নির্জন ! সমগ্র সবুজ দ্বীপ নি:ঘ্রাতা ! সমুদ্র চুপ যেন অস্ত যাওয়া সূর্যের দিনকাল ছটা ! ঝির ঝির হাওয়া ..স্থির জনমানস !
লজ্জারত রাত আসে তারায় তারায়...

পূর্নিমা চাঁদ আর হাঁসে না আজ ..চাঁদ কাঁদে..কাঁদে জনমানস
শব্দ..শব্দ...শব্দ... সন্ভার... সন্ভার... সন্ভার
প্রকৃত শব্দ সন্ভার উঠে আশা ..পিয়ানোর প্রতিটি স্ট্রোক !

কালো কোট পরা সে লোকটা রোজ রাতে পিয়ানো বাজায় !

=========================================

ভালোবাসার সবচেয়ে বড়
ব্যথা হল
যখন তুমি কাউকে মিস
করো।।
কিন্তু তারচেয়েও বড়
ব্যথা হল
যখন
তুমি কাউকে প্রবলভাবে ভালোবাসো,
কিন্তু সেই
ভালোবাসা ব্যর্থ হয় ।।
=========================================

চোখ বুজলেই দেখতে পাই 

দাড়িয়ে আছি ঘাটের সিড়িতে 

এক পা এক পা করে নামি

শীতল পরশ জুড়িয়ে দেয়আমার সব জ্বালা

যন্ত্রণা ,অপমান ,ক্ষোভ ,প্রেম ,অপ্রেম

আমি নামি আরো এক পা

পায়ের পাতা থেকে হাটু

ছুয়ে ফেলেজল

আপনমনে আমি নেমেই চলি

থামিনা ..........................

আমার বুক গলা মুখ

আমার মাথার উপর দিয়ে স্রোত বয়ে যায়

আমি অনুভব করি

অতল স্নেহের আলিঙ্গন

ডুবে আমি স্নিগ্ধ হই

ডুবি............ডুবি ...........ডুবি................ডুবে যাই

ভেসে যাই.............. ভেসে ..................যাই ..ই...ই |
=========================================================




No comments:

Post a Comment