Monday 5 August 2013



~~যোদ্ধা~~



বিচিত্র আলোকে
মন্দ মুখর বাতাসে
চিত্তের শত বিকাশ
শত সহস্র রঙ ঢং-এ প্রকাশ,
গ্রন্থে পঠিত কন্ঠে উচ্চারণ
জেনে না জেনে অসংখ্য কাহিনী
তবুও সে আলোকিত ফুল কানন।

শুধু আমি একা একাকী
অশ্রুসজল নয়ন,
আমি নাকি তখন হিংস্র ছিলাম
দেশ, মা ও দশের শত কর্মে,
আজ পলাতক শত অভিযোগে
পরিহাস, অভিযোগ চলছে মন্দ গতিতে,
দীর্ঘশ্বাস, চাই না আর
কেঁদে উঠে মন মুহূর্তের তরে
পদতলে উপহার জীবনের স্মৃতি
রয়েছে আপন নীড়ে ছবির মতো।

অন্ন চাই, আলো চাই
চাই মুক্তবায়ু
হাতে তালি ফুলের ঢালি
বদলে দেব বদলাতে চাই
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য
রাজপথে জনতার মাঝে
ছুড়ি কত বুলি।

দিন যায়, সন্ধ্যা আসে
বক্ষে জ্বলে অনল
মুহূর্তের তরে যারে চিনি না
জেগে তুলে অন্তরে লক্ষ তারার গান
শিরশির করে গা কেন এখন ?

জনশূণ্য পথে ডুবে যায় স্বর
কাঁপে বুক ব্যাকুল মুখ
অবাক কলরবে জমেছে মেঘ
তীব্র নেশায় ছিন্ন করে আপনসুর।

আমরা যোদ্ধা
নাড়ীতে নাড়ীতে নাকি টান
অর্থ কত অনর্থ রাখে না চিহ্ন
বিনীত নিঠুর ভাষ্যে
হাতে তোলে দস্যুবৃত্তি
বলে করি না ভিক্ষা
তবুও ধনজনমান খ্যাতি ও বিত্ত
পূর্ণ করেছে জীবন
এতো সব বুলি কেমন করে ভুলি ?

বলতে পারি না কথা
বলতে মুখে বাঁধা
আমি যোদ্ধা
কি তার প্রমান, আছে কি নথিপত্র ?
দিতে পারি ব্যাখা বলতে পারি নাম
আশেপাশে ছিল যত সহযোদ্ধা।

এসবে হবে না কাজ
খাতা কলমে থাকতে হবে আজ
সেদিনের কথা যদি মিথ্যা হয়
করি না ভয়
আমি যোদ্ধা।

ঘরে বসে লিপিব্ধ
হয় যদি এদেশে
কিসের যুদ্ধ কিসের সংগ্রাম
হয়েছিল আগে,
হয়নি শেষ রয়েছে রেশ
চলছে চলবে,
কত যুদ্ধ কত মৃত্যু
নেই তার শেষ,
সেদিনের সেই যোদ্ধা
আজ আর নেই
হবে পরাজয় অনিবার্য।

আমি নাকি রাজাকার
যুদ্ধ করে এ উপহার
আমার ভাই বোনদের
আমার হাতে তুলে দিয়ে
যতশত পুরস্কার আজ তাদের,
কে দেশদ্রোহী দেশ সেবক ?
আমি জানি না,
কত বর্ণে জগতের মাঝে
অসংখ্য কাহিনী
বিচিত্র বর্ণের রেখা
ম্লান মুখে লেখা
কত শত বেদনার কাহিনী।

ঘরের রাজাকার ঘরেই তৈরী
তবুও যতশত দোষ আজ পরের
আমরা ইতিহাস পড়ি
ইতিহাস গড়ি
জানি কতটুকু ?
হামিদ, নুর, মতিউর এর পাশে
ছিল না আর কেউ ?

আমার তখন অনেক ক্ষমতা
চাইলেই সব হতো
হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ সবাই
মত্ত কলরবে।
আজ আমি রাজাকার
খাতা কলমে নাকি বলে।

বুকভরা আলিঙ্গনরাশি
পূর্ণিমার আকাশের মতো
আমার পদ আমার শত্রু
আমার ভালবাসা আমার বুকে
বেদনার কথা বলে।
=============================================
~~রুবাইয়াৎই~~

 
১:
ফুলো-গুটি এক্কা-দোক্কা খেলতাম মনে পড়ে কি?
বালক বয়স আমরা তখন সে সব আমি বুঝতাম কি!
যখন আমি বুঝতে শিখলাম তুই তো তখন অনেক দূর,
বিরহানলে জ্বলছি সখী তোর তো এখন বড়ই সুখ।

২:
মনে পড়ে অনেক কিছু, দু'জন মিলে ফুল কুড়ানো,
অবশেষে দু'জন বসে একই সাথে মালা গাঁথা,
গাঁথতে বসে খুঁনসুঁটি আর কথকথা মন জুড়ানো,
সে সব কথা পড়লে মনে আজো জাগে দারুণ ব্যাথা।

৩:
কথা ছিল মোর প্রিয়া হবি সে কথা তো রাখলি না,
অতীত ভুলে সুখ কিনলি, তবে এই কি ছিল তোর ছলনা?
সত্যি করে বলতো সখী সত্যিই কি তুই আছিস্ সুখে?
জানি জানি আমার মতো তুইও পুড়িস মনে মনে।
কথায় আছে জ্বাললে কাউকে নিজ্কেও শেষে জ্বলতে হয়,
সলতে জ্বালতে মোমও যেমন নিজ্কে নিজে করে ক্ষয়।
===========================================

~~পাত্রভরা প্রেম-১~~

 

আমার সোনালি প্রেম প্রথমদৃষ্টিতে চমকপ্রদ আল্লাকে পুনরায় গোলাপ
সুপুরুষ কবির কাছে গোপনকথার মধ্যপর্বে প্রেমাতুর এই দুষ্টুমি,
চিঠির ভাঁজে ঘুমিয়ে থাকলো রিনির ঈর্ষা রিনির নৌকো 
সাহসীকল্প মেঘের মুদ্রা।আমি তোমাকে ছেড়ে কোথাও কখনো যাবো না।
ক্রমে চিহ্ন দিলাম দেয়ালে টাঙানো হলো ছবি একটার পর একটা
রিনির উনুন, রাত্রির অভিপ্রেত, বেশি বাস্তব প্রতিশ্রুতি আর প্রথম ফটোগ্রাফ।
আল্লার কি শক্তি খুঁজে পেয়েছি খুঁজে পেয়েছি এক মহাদেশ দৌড়ে এলাম
পিয়ানো গোলাপজল দীর্ঘসন্ধ্যা পূর্ণতার অদম্য স্পৃহা
দুই ভিন্ন বয়সের টানাপোড়েন নেই ছবিগুলোর বিশেষ ভঙ্গি লটকে আছে
একটুকরো আমার ছবি আর কিছু নেই রিনির হাতে বৈধ আমি প্রথম শরীর
অপ্রতিরোধ্য আমি সবুজ হৃদয় অসীম সম্ভাবনার কবি
স্রোত মিশে যায় আমার বুকে আল্লা-কসম মুখ লুকিয়ে থাকবো না আর,
রোমাঞ্চ রং চাঁদিনী রাত মন্ত্রমুগ্ধ আবেগ ঘেঁষে পুণ্যশ্লোকের হচ্ছেটা কী
দ্রুতগতির এই যে প্রেম রিনির নিরাময় তো হলো
ও শ্লোক ও শ্লোক ভ্রমণে চলো অসীম উৎসস্থলের দিকে
যাই ঘটুক না এই জীবনে আমার রিনি ক্লেশ জানে না আধ্যাত্মিকে 
জাগিয়ে তুলছে কবির দেহ মনের বাষ্প শীতের জীর্ণ তাৎক্ষণিকে
এটা অ্যাবসার্ড এটা অ্যাবসার্ড হচ্ছেটা কি ট্রাফিক পুলিশ অতিপ্রাকৃত

আমার সোনালি প্রেম প্রথমদৃষ্টিতে চমকপ্রদ আল্লাকে পুনরায় গোলাপ 
============================================
~~পাত্রভরা প্রেম-২~~

 

লেখার প্রসঙ্গ এলে খুনসুটি রস অচেনা সুঘ্রাণ
মেনু কার্ড জুড়ে ঈশপ ঈশপ উট চলে গেছে জাহান্নামে
ক্রমশ নিজের কবিতারা যেন একটি জগৎ সুদূর অতীত
ইচ্ছেমতো বিবৃতি দেবো না বিবরণী নেই বিষণ্নতায় 
অলিভ অয়েলে স্থূলকায় চুল খুঁটিনাটি লিখি প্রেমিকা যা চায়
বাগানে বসেছি রিনির বাগান লয়লামজনু সারল্য খাই
খুঁজে না পেলে কি ঈশ্বর দেবে দেয়ালঘড়িতে প্রেমের ম্যাপ
আমার রিনিকে বহুশতাব্দী-ব্যাপ্ত রেখেছি ভালোবাসায়
কথাকার নই নির্যাস রাখি ব্যতিক্রমী শব্দের রং 
এখন শৈলী লেখার কফিতে দাও গো উগ্র পেয়ালা্র ওম
মজা দিয়ে লিখি তোমার জাদুতে তাজ্জব কিছু মৃগয়া লাফ

এপিসোডের পর এপিসোড আমি লিখে চলেছি, অহো
আমার রিনির আগুন জানো কি অগ্নিবর্ণ বিবিধ দৃশ্য!
মাখো মাখো প্রেম ফ্ল্যাশব্যাক নেই এই তো সেদিন 
গালিব গালিব কাফকা চামচা,প্লেটনিক বলে হয় না কিছুই

খুলে দিলাম নতুন জগৎ এই নাও কল্পস্বর্গ আধুনিক ব্লু
গভীর চোখের কাছে আমি শান্ত আমি ছিন্ন হারিয়ে ফেলেছি মায়াজাল
ও তুলে বিন্যাস দিলো জীবনের অনিবার্য গোপন রূপ তার তৃতীয়-ইমেজ
তুলে দিলো আনন্দজীবন 
খারাপ বা ভালো সে সব গুলি মারো 
=============================================

~~পাত্রভরা প্রেম-৩~~

 

মসলিনের বাজার এসেছে ঘুম জড়ানো প্রেম এসেছে স্বর্ণমুদ্রা খোশমেজাজ
আরাম করে নিচ্ছি ঘরে রুমাল উড়াই মকাইবাড়ি পিকোফিনিংস
রিনি রোমের রসিকবিলে অতলান্ত নিঃসঙ্গতা আমার অনুষঙ্গে শিরায়
আরবি ঘোড়া আমিই ছিলাম এক কোটি চার বছ্রর আগে দৃশ্য আছে
অতিপ্রাকৃত জ্যোৎস্নাখন্ড স্তরে স্তরে রূপক ছিলো নিজস্বতায় 
লায়লা অতি সরল এবং মজনু লেখে তর্কগুচ্ছ,নিউরোলজি
প্রেমের কলসি উদ্ভ্রান্ত মতো কোন দিকে যায় কোন পাহাড়ে ফুটলো অরেঞ্জ
ভুট্টাক্ষেতের মাথার উপর জীবন আমার জ্যোৎস্না আঁকে অস্ফুট রঙ চার ভঙ্গিমা
হঠাৎ হঠাৎ ডুব মারে লাল-রঙ্এর পাখি রিনি তাদের সুপুষ্ট ফল লম্বা-লাটাই
হায় জানালা প্রেমের বাহুযুগল তুমি গলি-ঘুপচি ক্যান-ওপেনার ফান্টা-সিরাপ
উত্তরণের প্রত্যাশা তাই নতুন স্মারক, রিনি আমার নিবিড়-পাঠ মধ্যে আছে
রিনি আমার আখ্যানে ঢেউ কথক-তোরণ, রেশম-সুতোয় অধুনান্তিক প্রমাণ মেলে

============================================
~~পাত্রভরা প্রেম-৪~~

 

আমি বুঝলাম কল্পনার চেয়েও অদ্ভুত প্রেমিকার আভ্যন্তর 
অধৈর্যে নিস্তব্ধ থাকলাম ৩প্রহর,ভ্রূ কুঁচকে লিখে ফেললাম 
অদম্য ঠোঁট,চুমো খেলাম অনেক তুখোড় শরবতে
রিনি কোথায় রিনি কোথায় পোর্টিকো নেই দরজা খোলা
ভুল রাস্তায় যাচ্ছে না তো! পৃষ্ঠাগুলো ভীষণ খালি
এক ওয়াগান ফুলের পোশাক আকাশপ্রমাণ আয়না নীরব
পাত্রভরা অলংকরণ আনুগত্যে ভাসছে মেঘের কোঁকড়ানো চুল
খুঁটিনাটি ব্রোঞ্জ-সেরামিক,কলমকাটা ছুরির হাতল,
গোপন কিছুই থাকলো না আর তৈরি হলো একটি কোলাজ
গোপনকথার ঝলমলে ঝাড় জ্বলছে নিভছে আমার মুখে
রিনি কোথায় রিনি কোথায় যুদ্ধ থেকে ফিরবে কখন?
ঘোর লাগা ঘুম অভিজ্ঞতা চিরকালীন পদ্যে আছি।
শ্লোকের মন্ত্র হায় বেচারা, ঘুমপাড়ানি গানের মাছি।
স্মারক তবে এই যথার্থ রক্ষণশীল হোক না শয়ন
সুন্দরী সে আত্মমুগ্ধ প্রেমে পড়েছে মিনিয়েচারে
কাব্যবন্দি থাকুক না সে উসকে দিলেন গালিব শ্লোকে
লাজুক নম্র ইচ্ছেমতো ফুলের কুশন কফির ফুর্তি সামলাবে কে!
অন্বেষণের আর কি বাকি রোমান্সভরা কাব্যে আছি।
================================================

তোমাকে দেখেছি গো-ধূলি লগ্নে সন্ধার আয়োজনে
শ্রান্ত পাখিরা যেখানে নীড় খুজেঁ ফেরে।
তোমাকে দেখেছি সপ্নিল জীবনে
নির্জন বন-ভূমির সপ্নিল জীবনে
বৈশাখী মেঘের প্রচন্ত উম্মাদনায়।

তোমাকে দেখেছি নায়াগ্রার জল প্রপাতে
ব্যবিলনের শূন্যেদ্যানে, মিশরের কোন এক শহরে
পিরামিড়ের স্থাপত্যকলায়।

ঝিলের পানিতে ভাসা শাপলার ঘন সবুজে,
তোমাকে দেখেছি মাথিনের কূপে
জল নিয়ে ঘরে ফেরে
রাখাইন বালিকার চোখের তারায় তারায়।।
==========================================

নিরব ক্রন্দন ঝরে বুঝতে পারেনা কেউ,
কারো যাপিত না বলা কথা----বুকে
চাপা স্মৃতির ফসিল টলে উঠে মগ্নধ্যান
কাঙ্খিত অধরা কালো তিল।

নির্ঝারের কান্না হয়ে আজ কাপে
বুক থরো থরো; আলোর ফোয়ারা
ওগো, কেন এত বিরহ কাতর!
কত কাল মুগ্ধ ভুলে নির্ঘুম কাটাবো নিশি রাত?
============================================

কাটেনা ছায়ালীন এ নেশারঘোর অবরুদ্ধ ঘেরাটোপে, 
তবু শুনি প্রণয়মুগ্ধ স্বর।।
বহমান কালের তুখোড় বিরল স্বর কান পেতে শুনি...............! 

“নীলাম্বরে লাগা দাগ
সাবানে মুছেস বটে,
কিন্তু মনে লাগা দাগ
মুছবে কেমন করে?”
==========================================
~~আমি নষ্ট~~
 

_________________ নষ্ট আমি হতে চাইনি
নষ্ট হতে আমি বাধ্য হয়েছি !
তোমার নষ্ট প্রেমের কাহিনীতে !
তুমি তা ভালো করেই জানো, নষ্ট আমি কেন !
কষ্ট পেলেই মানুষ নষ্টের দাবানলে হস্তক্ষেপ করে!

_________________নষ্ট আমি হতে চাইনি
নষ্ট হতে আমি বাধ্য হয়েছি !
আমি বুঝিনি তোমার স্বরযন্ত্র, ছলনা !
আমার সরল মনের অন্তবাসে ভালোবাসা ছিল !
তোমার মতো মুখে মধু অন্তরে বিষ ছিল আমার মনে !

_________________নষ্ট আমি হতে চাইনি
নষ্ট হতে আমি বাধ্য হয়েছি !
আমার দু'নয়নে বিস্তীণর্ একটি আকাশ ছিল-
সেই আকাশে নক্ষত্র অনুরাগে মিশে ছিলে তুমি !
তোমাকে ঘিরে আমার আত্মবিশ্বাস ছিল অগাধ,নির্ভেজাল!

_________________নষ্ট আমি হতে চাইনি
নষ্ট হতে আমি বাধ্য হয়েছি !
আমার ভালোবাসার উঠোন জুড়ে সুখ ছিল !
সেখানে নবসুখের কল্লোলে আমিও উন্মুক্ত ছিলাম!
আনন্দ হৈ-হুল্লায় মেতেছিলাম স্বাধীন বিহঙ্গেরন্যায় !

_________________নষ্ট আমি হতে চাইনি
নষ্ট হতে আমি বাধ্য হয়েছি !
আমি মিথ্যে বলবনা,তুমিই আমাকে-
শিখিয়েছিলে প্রাণ খুলে হাসতে,গলা ছেড়ে গাইতে !
কেড়েও নিলে সবার আজান্তে,জীবন এখন পারঘাটায় !

_________________নষ্ট আমি হতে চাইনি
নষ্ট হতে আমি বাধ্য হয়েছি !
তোমার দেওয়া কষ্টাঘাতে আমি হয়েছি নষ্ট !
সিগারেটের নিকোটিনে ব্যধিগ্রস্ত,নেশায় আসক্ত !
তোমার মিথ্যে ছলনাময়ী প্রণয় আমাকে করেছে পথভ্রষ্ট!
যার বেঁচে থাকার পরিনাম অত্যন্ত কষ্ট,তাই আজ আমি নষ্ট !
==============================================

পূর্ণিমার সাধা-কালো আন্ধারে রাতে,
স্নিগ্ধ ঝিরি ঝিরি বাতাশে,
তারা দেখে দেখে যখন স্বপ্নে বিমূর।
হঠাৎ! ফোন বাজে ঝিঝি পোকার সূরে,
মধ্যবয়সী মেয়ে অর্ধ-বয়স পার করে,
বলে- হ্যালো ! প্লিজ কিছু বল !
============================================

~~একাত্তরের মা~~
 

মায়ের অবাধ্য সুবোধ ছেলেটি যুদ্ধে ছুটে গেল উন্মাদনায়
বুকে জমাট আগুনের লেলিহান, স্বজন হারানোর ব্যথা!
বহু স্বপ্নের স্বদেশ ধ্বংসস্তূপে,ধাপে ধাপে চলছে-
বোমা বর্ষণ,ভারী অস্রের বিকট শব্দে ধসে যাচ্ছে জন্মভূমি!
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোষররা অক্ষান্ত
নির্লজ্জের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ছে জঘন্যতম বৈরীপনায়,
ধষর্িতা হচ্ছে মা'বোন,মায়ের কোলে নবজাতক শিশুটি কে
গলা টিপে হত্যা করা হচ্ছে,অশ্রুতে সিক্ত মায়ের নয়ন!
বৃদ্ধ কিশোর নওজোয়ানের বুকে বিদ্ধ রক্ত ঝরা বুলেট,
একেমন ধ্বংসলীলা,মানুষ হয়ে মানুষ খেলছে পশুর খেলাا

আর কতো রক্তক্ষরণ,আর কতো এমন নৃশংস হত্যাযজ্ঞ?
প্রকাশ্য দিবালোকে গণহত্যা-অমানবিক নিযর্াতন!
জ্বালাও পোড়াও, লুন্ঠন আর অসামাজিক কার্যকালাপ!
একাত্তরের সেই ভয়াবহ নিকষ কালো রাত্রির অন্ধকারে
ত্রিশ লক্ষ শহীদের সাথে সেই অবাধ্য ছেলেটিও বুকের তাজা
রক্ত বিসর্জন দিলেন মায়ের মান রক্ষার্থে,স্বদেশ বাঁচাতে!
অতঃপর বাংলা স্বাধীন হলো,নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংঘষর্েا

মায়ের অবাধ্য সুবোধ ছেলেটির আর ঘরে ফেরা হলোনা!
ঘাতকের আঘাতে প্রাণ হারালো মায়ের আজান্তে!
দুখিনী মা' তার এখনো তন্দ্রাহীনতায় অতন্দ্র প্রহরী,
বেদনার দ্বিপশিখা রাতের অন্তরালে পথ চেয়ে থাকেন
জেগে থাকেন অমরত্ব আশাতুর স্বপ্ন নিয়ে,খোকা ফিরবে
হয়তোবা কোন এক ভোরের রাঙা প্রভাতের ক্ষণে,
স্বাধীন দেশের জ্বলজ্যান্ত লাল সবুজের পতাকা নিয়েا
========================================
~~মানুষ নেই!~~



মানুষ নেই!

স্তব্ধতার চাদরে ঢাকা পড়ে আছে সব
বুড়িগঙ্গার পাড় থেকে তূরাগের পাড়
স্তব্ধতার চাদরে ঢাকা প'ড়ে আছে স-ব।

আর আছে মৌনতা ঘন কুয়াশার চাঁদোয়া
কিসের হাঁহাঁকার প্রেতের নিশ্বাস শোকাবহতা
কাঁদছে পার্ক রমনার গাছগুলো
কাঁদছে নীরবতা নিজে ও পার্কের ধুলি
রাজপথ ফুটপাত পথের শিশির
দুপাশের ঘরবাড়ি টবের শূণ্যতা
কাঁদছে সব।

কেবলি শূণ্যতা চারিদিকে
কোথাও লোক নেই,
যানজট ব্যাস্ততা চলাচল নেই
এ যে এক প্রেতের নগরী
নিজস্ব অবয়বে এমনকি কোনোদিকে প্রেতেরাও নেই।

মানুষ নেই!
আছে শোক, শোকাবহতা
আছে মেঘ থোকা থোকা ব্যাথা
আর এই শহরের সমগ্র বুক জুড়ে গুরু-গম্ভীর মৌনতা।

আর আছি আমি একা-- ভয়ানক একা!
===========================================

~~নিমফল-বেহালা~~


বেদনার চারপাশে দেয়াল দিয়েছি তুলে
তাই তুমি কাছে আসো
একটি আগুন পেট্রোলেও জ্বলছেনা তাই
তুমি তাকে ভালবাসো।

সখি তুমি দাও তুলে এই নিমফল
ভালো না বেসেই খাব আমি এই ফল
চেয়ে দেখো আমি নেমে গেছি পাতালে
তুমি চোখে দ্যাখো মেক-আপ মাখা
বেশ ভালো আছি ভূতলে।

তিতে নয় সখি এই নিমফল
বোধের তালুতে কি যে সুমধুর বেহালার সুরে বাজে।
=============================================

~~সাদা-কালো~~

একটি দিন এতো আনন্দ
এতো আয়োজন
কাল কি হবে ভাবছ একবার ?
ইলিশ-পান্তা, কাঁচা মরিচ, পেয়াজ
ছিল তাদের আনন্দের আহার
আজ কেন ? দুর ছাঁই গরীবের খাবার।

মনটা মোদের বেজায় ভাল
চাইলেই হয় সাদা-কালো,
ভাল এর চেয়ে মন্দ বেশি
করতে পারলে আরও খুশী।

স্বপ্নে পরিপূর্ণ মানব জীবন
স্বপ্নরাজ্যে করে বিচরণ,
সকল স্বপ্ন হয় না পূরণ
অসম্ভব সব ইচ্ছে গুলো।

ইচ্ছে ছিল অনেক কিছু
করব পূরণ সুযোগ পেলে,
আপন ক্ষমতায় নিজকে হারিয়ে
প্রতিশ্রুতি সব যাই ভুলে।
==========================================

~~কলঙ্ক আনন্দ~~

 
নিজের ইচ্ছায়,
কলঙ্কে জড়াবো,
সে আমারি বড় সাধ/ কলঙ্ক আনন্দে,
মনের সায়রে,
ভেঙ্গেছে খুশীর বাধ |
========================================

~~প্রেমরুগী~~

 
আমি এক প্রেমরুগী,
ম্যালেরিয়ার,
আমার ওম চাই ওম!
ও নিদয়া দেবে নাকি,
একটু ভালোবাসা,
একটু উষ্ণতাপ।
=======================================

~~এসব দেখি কাকের হাঁট বাজার~~


উড়ে আসে উড়ে যায়,
মনে মনে যাহা চায়,
তাহা যদি খুজে পায়।
নীরিহ যে ছেলেটার,
কোনো মতে খেয়ে যার,
হয়ে যায় দিন পার।
যে গলিতে থাকে সে,
পিছে পিছে কাক এসে,
দেখে রাখে চুপে সে।
দিনগুলো যেতে থাকে,
ছেলেটাও কাকটাকে
চুপে চুপে দেখে রাখে।
ফিরে এসে কাজ থেকে,
সেদিন সে ঘরে দেখে
সে কাকটা হাড়ি থেকে
চুরি করে নিতে চায়
যাহা কিছু খুঁজে পায়।
ছেলেটাও ধীরে পায়,
খিলটাকে এঁটে দিয়ে,
হাতুরিটা হাতে নিয়ে ,
বধড়ক বাড়ি দিয়ে
করে তারে কুপোকাত
ওরে কাক চোর- জাত
মনে রাখ মানুষের
নির্মম দুই হাত।
একদিন ধরা খাবি,
বাড়ি খেয়ে পস্তাবি।
==============================================
~~আবর্তন~~

 
ফিরে ফিরে আসে প্রেম বারবার হৃদয়ের কাছে,
ফিরে আসে চোখের পাতায়, শান্ত মনের সরোবরে।
ফিরে আসে গোপনে প্রাণের খুব কাছাকাছি,
ফিরে আসে ভরা নদী কূ্লভাঙা জো্যারের প্লাবনে।

তবু হায়, এই প্রেম ধরা দেয় নাকো গো্লাপের সুবাসের মতো,
কৃষ্ণচূড়ার রঙীন শয্যায়, জারুলের বনে বনে ফুল ফোটা দিনে।
হৃদয়ের রক্তক্ষরণে বেড়ে চলে প্রেম অলিন্দ-নীলয়ে,
বেড়ে চলে ক্লো্রোফিল পুষ্ট বৃক্ষে্র মতো মগজের অন্তঃপুরে।

এই প্রেম, এই না পাওয়ার বেদনা
ঘুরে ঘুরে চলে নক্ষত্রের কক্ষপথের ন্যায় জীবনের আবর্তনে,
আকর্ষিত প্রাণের স্পন্দনে ঘুরে ঘুরে মরে হৃদয়ের চারপাশে,
তারপর ফিরে যায় এক আকাশ কষ্টসম
না পাওয়ার হাহাকারে, দুঃখ বিলাসী মনের কন্দরে।।
==============================================

~~মহুয়া~~
 

সুদূর তোমার গন্ধে,
ভেসে যাচ্ছে চৌহদ্দি আমার,
তোমার শরীরী ঘ্রাণ কী তীব্র,
নাকে এসে লাগে।/
মহুয়া;
আরো কাছে আসো,
 অতি নিকটে,
তোমার বুক থেকে নিতে দাও, প্রাণ ভরে,
কস্তুরীর ঘ্রাণ।
========================================================
দুচোখ শুকিয়ে রিক্ত,পিপাসিত মন
বালুকার বিদীর্ণ ভূমিতে অনাদি জীবন
নিখিল বসুধার চতুরাংশে আহারার্থী
মরিয়া ক্রমশ নিরুত্তর শুস্ক জলকীর্ণ,
প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির ঘনাঘটায় দূর্জয় বিষণ্ণ
ভ্রান্তিক পথের পথিক উৎ‍কন্ঠিত সিক্ত
জন্মাদিপথে আজন্ম দুঃস্বপ্ন স্পর্শ
নীলনদ, পিরামিড, সৌধ বৃথা বৈষম্যا
=========================================

~~কল্পনা তুমি~~


ওইতো ওখানে তুমি দাঁড়িয়ে
আর সেই চিল কিংবা চিলের মুখে তুমি নেই
আর সেই উইপোকা খেয়ে গেছে ব'লে
আরেক জ্যোছনার ফোটা ফোটা জমেছে মধু
অলক্ষ্য চাঁদে।

সেই চাঁদ তুমি নেই
সেই তুমি পাহাড়ের কল্পপনা রেমা
মাঘের পূর্ণিমা নিয়ে গেছে ডেকে
তাই তুমি কল্পনা
হৃদয়ের জড়তার আড়মোড়া ভেঙ্গে
নিরাকার জ্যামিতিক সুব্রত অবয়বে।
======================================

~~এসব দেখি কাকের হাটবাজার~~

 

কাক যায় উড়ে,
দুরে বহু দুরে,
ঐ মেঘ ফুঁড়ে।
যাবে নাকি সে
রূপকথা পুরে?
কাক বলে না,
বেশি দিন দেশে
থাকা চলে না।

তাই আসি উড়ে,
বিদেশটা ঘুরে,
রূপকথা-দেশে
আমি যাবনা।
কিছু দিন শেষে,
ফুল বাবু বেশে,
এশে যাব দেশে,
নেই ভাবনা।
মনে রেখো আমি ,
বড় শুভকামী।
তোমাদের সব,
খাবো কপ কপ।
জাত ভাই যারা,
সব দেবে সাড়া,
কা কা রব।
============================================
যাদের কাছে খুব বেশি ভালোবাসা আশা করছিলাম,
 তারা ই আজ আমাকে খুব কষ্ট নামের কষ্টের মাঝে রাখল, 

এর পড় কি…??? 
আমি বলতে পারিনা কষ্টে আছি..… 
না… সে টা বলার অধিকার ও আমার নেই…
যদি না থাকে তাহলে এই দূনিয়া মায়া- মমতা থাকা অচিৎ নয়। 
এ “ধরনি“ তে থাকা টা মনে হয় আমার জন্য শুভ নয়।
==============================================





No comments:

Post a Comment