Sunday 4 August 2013


~~(ছড়া)-হটাৎ বাবু~~ 

হটাৎ করে শ্রাবণ দিনে মেঘ হয়ে যায় কালো,
আবার হটাৎ সূর্যি মামা ছড়ায় দিনের আলো।
চাঁদের আলো ঢাকা পড়ে হটাৎ শ্রাবণ মেঘে,
আবার হটাৎ আলোর খেলা বইলে বাতাস বেগে। 
যখন তোমার হটাৎ করে ধারের টাকা মেলে, 
চোখে মুখে হটাৎ ক’রেই হাসির ঝিলিক খেলে। 
হটাৎ করে বেকার ছেলে চাকরী খুঁজে পায়,
অচেনা কেউ হটাৎ করেই বন্ধু হয়ে যায়। 
ফিরতে কলেজ বৃষ্টি হটাৎ ভেজায় তোমার গা, 
আঁধার রাতে হটাৎ করেই পিছলে ভাঙ্গে পা। 
বিদেশ থাকা তোমার মেয়ে হটাৎ ফিরে এলে, 
হটাৎ করে তুমি যেন চাঁদটি হাতে পেলে। 
আমাদের এই জীবনটা যে হটাৎ হটাৎ খেলা,
হটাৎ বাবু হটাৎ করেই বসায় হটাৎ মেলা। 
=============================================
~~(ছড়া)-‘হটাৎ বাবু’র কৈফিয়ত~~

গিন্নী বলেন লেখো কিছু ‘হঠাৎ’ কথা দিয়ে,
যেমন ক’রে বিদেশ থেকে হঠাৎ এলো মেয়ে। 
হঠাৎ করেই ‘হটাৎ বাবু’ দিলেন বিষম তাড়া
হঠাৎ করেই লিখতে বসি ‘হটাৎ বাবু’র ছড়া।
মনের মাঝে ‘ভাবের পাখি’ হঠাৎ ক’রে এসে,
চালায় কলম হঠাৎ ক’রে হৃদয় মাঝে বসে।
রাত এগারোয় এমন তাড়া হঠাৎ হুড়োহুড়ি,
হঠাৎ করেই কলম নিয়ে লিখতে বসে পড়ি।
গিন্নী ডাকেন “হঠাৎ ক’রে কোথায় গেলে তুমি?
দেখবে এসে হঠাৎ ক’রে ঘুমিয়ে গেছি আমি”।
ছন্দ-মাত্রা এসব নিয়েই ‘ভাবের পাখি’র তাড়া,
হঠাৎ করেই ‘হটাৎ’ বানান হ’লো দৃষ্টি ছাড়া।
তাড়াহুড়োর মাঝেই হঠাৎ দিলাম লেখার post,
মমতা দিদি দেখিয়ে দিলেন বানান ভুলের ghost.

Avro তে লিখতে আমার খুব অসুবিধা, কন কি দিয়ে কি লেখা যায়
আমি এখনো তা পুরোপুরি রপ্ত করতে পারিনি
=============================================

~~পথভোলা~~

এ কবিতা নয়
শুধু এলেবেলে পথচলা--
কথা নয় এতো আধোবুলি
পথ খোঁজা , পথ ভোলা । 
=============================================

~~অপ্রত্যাশিত ভয়ের খেলা~~

অপ্রত্যাশিত ভাবে জেগে উঠছে মানুষ ,
শিল্প --- আগুন আর প্রতিরাতের এক শরীর চেনা সঙ্গম
কম বেশী বুঝা প্যাচ-গোছ ,লেখকের দ্বিতীয় লেখা অনুবাদে
একটা তরুণ মেঘের জন্ম হয়েছিল ৷

জীবন বদলে যাওয়া মৃদু আলো ভাস্করের সম্ভ্রান্ত ভেঙ্গে ,
কিছু আত্ম কথন-গোপন গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে সাদা বালির মৌজায় ,
নিজস্ব ভূখণ্ড – কুরোনিয়ার বালিয়াড়ি কিছু শোলকগাঁথা
কিছু লক্ষী জলের হ্রদের রঙে চুমুক পিপাসার সাধাসিধে যে ইচ্ছের মৃত্যু
লবনাক্ত চোখ ঘিরে প্রবাল প্রাচীরে বেষ্টিত কান্নার জলাশয় ,
ভূমধ্যসাগরে নৌঙ্গর করছে কুমারী নিরবধি ভয়ে ৷

একাকী মানুষ অর্ন্তজালে বেলা অবেলায় কাঁধে চড়ে চলে যায় শ্মশানে
অধরার মাঝে আড়ালে কিছু ভয়ের খেলা ,
কচুরিপানার ফুল মীন সংসারে অল্প জলে সাঁতার কাটে
মানুষ ঘিরে নাচছে মানুষ প্রলাপ বকে বকে
নিস্তব্ধতা লুন্ঠন করে শান্তির ধ্রুবতারা ,
বিপদের মুখোশ পড়ে নানা রঙের মুখোশেরা সাদাকালো জোসনা ঢাকে
অক্লান্ত পরিশ্রমে জেগে থাকে অস্থায়ী ঠিকানার প্রকাশিত চাঁদ ৷

অপ্রত্যাশিত ভাবে সাফল্য আবার ফিরে আসে ,স্বপ্নদোষে ডুবা মাথায়
কামনার বৃত্তের বাহিরে চেনা পাথরের পাহাড়ে দৌড়ে মরি ,
এ যেন অন্যরকম রেসের ঘোড়ার অক্ষমতার প্রত্যাশী সোয়ার
অতৃপ্তি আঙ্গুল কালো রঙে ছবি আঁকতে বসে খুজে ফিরে উচাটন মন
বুক জ্বালা ফিঙ্গে উড়া সবুজ শরীর ভাঁজে বেহুলা বাম হস্তে বিষ দাঁতের চিহ্ন ৷
===========================================

~~কেন ভাঙ্গলে এ হৃদয়~~


তুমি বুঝলে না আমায় তায় হয়তো চলে গেলে,
রঙ্গিন কিছু সামনে পেয়ে বন্ধু আমায় ভুলে ।
কতযে মান কত অভিমান কত বকাবকি,
সে সব নিয়েও আমরা দুজন ছিলাম মহা সুখী ।
কভু মান করলে আমি ভেঙ্গে দিতে তুমি,
তোমার কাছে এই ভুবনে আমিই ছিলাম দামী ।
এখন তোমার কেও না আমি কোরে দিয়েছ পর,
হটাত কোরে এই হৃদয়য়ে বয়ে দিয়ে ঝড় ।
আমায় ভুলে হয়ত তুমি আছো অনেক সুখে ।
দিবা রজনী এই অভাগার জ্বলছে আগুন বুকে ।
এমন হবার ছিলনা কথা কেন তবে হোল,
কি কারণে এই হৃদয়য়ে তুষের আগুন জ্বালো ।
বলতে তুমি আমরা দুজন একই বৃন্তের ফুল,
কেও কাওরে কোন দিনও বুঝবনাকো ভুল ।
চেয়ে ছিলাম দুজন মিলে চলবো অনেক পথ,
দুখের সাগর পাড়ি দিয়ে খুঁজবো সুখের রথ ।
সেই স্বপ্ন মিথ্যে হোল তুমি গেলে ছেড়ে,
দুখের সাগরে ভাসিয়ে দিলে ভালবাসতে যারে ।
এক নজর না দেখলে ব্যাথায় হতে কাতর,
হটাত কোরে কি কারণে হোলে এত পাথর ।
মুখের কথা শুনেই তবে আসতো তোমার নিদ,
গান শুনিয়ে ঘুমিয়ে দাও ধরতে এমন জিদ ।
সে সব এখন শুধুই স্মৃতি কষ্ট বাড়ায় মনে,
কেন বল এমন খেলা খেললে আমার সনে ।
===========================================

“~~ভুলগুলো পিছু নেয়~~”


তবু ভুলগুলো পিছু নিল অবশেষে।।

মুঠোমুঠো জটিলতার কথোপকথনে
আর কতটুকুবা নিগূঢ় নৈঃশব্দের মাঝে
বসে বসে বাস করা যায়?

কালের আস্ফালন কাপুরুষ শ্লোগান তুলে
সপ্রতিভ আর্তনাদ করে আমার মৌনতা ভেঙ্গে দেয়।

অনন্ত ভুলের গ্রহ থেকে আমার উঠোনে
ভুলগুলো ভূল করে ছুটে আসে উল্কার মতো।

জীবনের ভাঁজে ভাঁজে ভুলের কন্ঠস্বর ভারি হয়ে আসে
শব্দময় কবিতারাও শান্ত করে না স্নেহের ভুলগুলোকে।

শপথ করেছি কতদিন-
আর হাঁটবো না ভুল জগতের সন্ধানে
আর কোনদিন ভুলের জন্ম দেবো না।

তবু হায়! ভুলের জোয়ারে প্লাবিত হলাম প্রতিবেলা
হাজারো ভুলের কেচ্ছা-কাহিনীই সঙ্গী হলো আমার।

ফেলে আসা ভুলের সর্বশেষ দুঃসংবাদ
আমাকে ভুল সুর্যোদয়ের সৌন্দর্য্য দেখায়।

বোধ হয়,ভুলের জন্যই কবি হতে পারে না সাধারণ
পারে না কাঠখোট্রা জীবনের সাথে
তাল মিলিয়ে শব্দহীন হয়ে বাচঁতে।

হোক নিরস্ত্র কখনো আমার সশস্ত্র কল্পনামাধুরী
কুৎসাকারীর প্রবল প্রতিহিংসায়
আর ভুল মানুষদের আঘাতে আঘাতে।

তবু ভুল আমার পরম আত্নীয়
ভুলের উষ্ণ করতলে সঁপে দেবো নিজেকে যখন তখন।
===============================================

=~~উত্তরজাত~~=


প্রেমাংশু তোমার উত্তরজাত
ঘুঘু ডাকা এইসব বিরহের দিনে
সবুজে ঢেকেছে মুখ ফসলের মাঠ
প্রমাংশু তোমার উত্তরজাত অনাগত শিশুর মাতন;
আসছে রৌদ্রদগ্ধ চৈত্র বিলাসে;
কৃষাণীর মুখে হাসির ঝিলিকে
নক্তন্দিব নগ্ন আকাশ নাচে; বৈশাখে।
বুকের মধ্যে হুহু করে উঠে আগামীর ডাক
তুমি কি শুনতে পাও
প্রেমাংশু?
তোমার রক্ত চাই না
প্রেম চাই, ভালোবাসা চাই।
===========================================

~~বউ সে~~


বৃষ্টি আসে আষাঢ় মাসে
শীত আসে তাই পৌষে,
আমার ঘরে চাঁদ এসেছে
লোকে বলে বউ সে।
==========================================

একটা কবিতা লিখবো
কবিতাটি খুবই ছোট !
অর্থটা হবে ব্যাপক
ঠিক আকাশের মত!
তাহলে বলেই ফেলি কবিতাটি!
ও কবিতাটি আমার তিন শব্দের!
শতাব্দির শ্রেষ্টতম শব্দ!
শুনবে শব্দটি!
তবে শুনো!
প্রথম দেখায় বলা ঠিক হবেনা!
কারণ যদি ভূল বুঝো!
তবুও শুনবে!
শুনো তবে!
কবিতার জন্য আমি পাগল,
আরে না এটা না!
ব্যাস্ত হলে কেন!
একটু ধৈর্য্য ধরো,
কবিতাটি আমার জীবন থেকেও দামী!
বিশ্বাস হয়না!

বলেই ফেলি!
কারণ কবিতাটি আজ বলতেই হবে!
নতুবা আমাকে আজীবন পস্তাতেই হবে!

আরে বলছি,
কবিতাটি আমার হৃদয় নিংড়ানো সুধা!
আমার জীবন প্রদীপের আলোকোজ্জল হাসি!
কবিতাটি হলো "আমি তোমাকে ভালোবাসি!"
==============================================
~~প্রাণের নির্জনতায় গভীর অরণ্য~~


আজকাল আয়নায় মুখ দেখা
নিরুদ্দেশ প্রিয়তমার মতো লাগে
প্রাণের নির্জনতায় গভীর অরণ্য
কৃতজ্ঞতার শিহরণ নিয়ে বুকে জাগে ।

তবু প্রতিশোধের নেশায়
নিজেকে ছোট বেলার মতো শূন্য
মাঠে একা রেখে আসি,
কখনো সমুদ্রের মুখে নারীর প্রিয়
মুখ দেখবো বলে
খুব অবুঝের মতো জলের বুকে ভাসি ।

হে জীবন,
নির্জনতা ভেদ করে ছুটে আয়
আমি বড় একা
না হয় এতো নির্জনতা দে’ আমারে
এর চেয়ে অধীক ফাঁকা ।
============================================
~~তোমার পথে~~


তোমার সাথে শপত ছিল,
তোমার পথে রাখব দিল।
তোমার খেয়ে তোমার পরে,
তোমার পানে রাখছি দিল।
তোমার আকাশ তোমার মাটি,
তোমার ভুবন তুমি ই খাটি।
তোমার বিধি হচ্ছে জারি,
তোমার নামে পড়ছে ক্বারী।
তোমার কাছে এই মিনতি,
তোমার পথে আমায় রেখ।
তোমার পথে বাঁচতে পারি,
তোমার পথে মৃত্যু লেখ।
==========================================
~~TOMAR DUI BHUBAN~~

এক মুহুর্ত ভাবনা থেকে হওনা তুমি ম্লিন
সেই ভাবনায় তুমায় আমি স্বপ্নে দেখি প্রতিদিন !

বাস্তবে তুমার হুতাশন,
কল্পনয় তুমাকে খুজা,
স্বপ্নে তুমার আগমণ ,
আমাকে পলে পলে কষ্টের সাগরে ভাসায় ,

আমার ভালোবাসা করে দাসত্ব ,
দুই ভুবনে তুমার রাজত্ব ,
আমাকে হতাশ করে
তুমার দুই ভুবন
তুমি কল্পনায় আমার
বাস্তবে অন্যের বহুডুরে !
===========================================

~~ইচ্ছে পাখি~~

যতবার দেখি, মনে হয়
থামিয়ে দিই পৃথিবী,
যেন নষ্ট কলকব্জার মত অচল হয়ে
স্থির পড়ে থাকে প্রতিবেশী স্পন্দন;
শুধু তুমি তে-আমি তে মাখামাখি
এক জোছনায় কেটে যাবে রাত ।।

যতবার ভাবি, ইচ্ছে হয়
কালো রঙে রাঙিয়ে দিই আকাশ,
যেন কেউ খুঁজে না পায় তোমায়
ছুঁতে না পারে বিদিশার প্রতিবিম্ব;
আমি ছাড়া ।
শুধু তুমি তে-আমি তে হবে মাখামাখি
চাদরের কোলে রয়ে যাবে অর্ধশত জারবারা ।।

যতবার কাছে পাই, সাধ হয়
লুকিয়ে রেখে দিই তোমায়,
ইচ্ছের মাঝে, স্রষ্টার ইবাদতে
যতবার প্রার্থনায় হাত ওঠে, ততবার;
শুধু তুমি তে-আমি তে হোক মাখামাখি
রুমালি পালকে জন্ম নেবে নতুন আলো ।।
==========================================

~~নিঃসীম অন্ধকারে~~

ভাল থাকতে পারছি না,এভাবে কি থাকা যায়
যুদ্ধংদেহী মন এলিয়ে পড়েছে ।
কাঁহাতক ভাল হওয়া যায়
ছিরে ফেলেছি বুনন করা স্বপ্নকে
অন্ধকারে আর আলো খুজি না ।
অসীম দিক্বিদিক কোথায় যাচ্ছি
সীমানা কবেই ফেলে এসেছি ।
কাঁটা তারে যখন বুক ছিরে রক্তাত্ত হয়েছি
বুঝতে পারিনি এ যে পরিনত হওয়।
আজন্ম লালন করা স্বপ্নেরা আজ অট্টহাসে
চালচুলোহীনের কপাট লাগিয়ে হাঁটছি
ফেরার আশা ছেড়ে দিয়ে বেধেছি অন্ধকার
পেরে উটার সময় পেরিয়ে গেছে
পূর্ব আকাশে ডুবু ডুবু আলোয় অচেনা যাত্রি
কবেই ফেলে এসেছি বহুদুরে যাচ্ছি যখন তাই
ফিরছি না সহসা আসবনা আর অপাংতেয় হতে
ছুড়ে ফেলেছ দুঃখ কিবা আঁশে,নিঃসীম অন্ধকারে।

============================================

~~কুরুক্ষেত্রের আগুন~~

প্রতিদিন তোমার চেয়ে থাকা নীচ তলা দিয়ে হঁটে যাই
সুখী জিভ কেটে চুমুর অভিসারে তুমি দাড়িয়ে উপরের বারান্দায়
দুরন্ত কৈশোর জ্বালা
ভুল পরাগে মৌমাছি রুপের শক্তির কথা বলে গেছে
কৃষ্ণ ভ্রমর প্রশস্ত বুকে হুল ফুটিয়ে ক্ষত করেছে নষ্ট যৌনাঙ্গ ৷

বদরাগি কু স্বপ্নের দৃপ্ত বিচরণ ,
অপবিত্র অন্ধকার রাতের শরীরে অন্য অন্ধকারের আলো জ্বলে
সম্মোহন জেগে ওঠা
আলোর পিঠ খোঁজ করে মোমবাতির নরম জীবন
পাপে ঝাঁঝরা উষ্ণ গর্ভে আবার ফেরত আসে মিথ্যে রাতপাখির ভোর ৷

অর্থহীন স্বপ্ন লুট করা চেনামুখগুলো ভোগ করছে রোমাঞ্চের গোলাপ
ঠোঁট ফাঁক করে মেলে ধরে ,
কেঁপে ওঠা ঐ দুটি পাপড়ির ঘুমহীন চোখ
স্পর্শহীন সুন্দর পাশাপাশি হেঁটে যায় নুন ঝাল মিশানো খোলা তলপেটে
নিমন্ত্রিতহীন অপমানে
শান্তিময় কুরুক্ষেত্রের আগুন কাঁটা চামচে ছিঁড়ে ছিঁড়ে গোপন প্রস্থান
অথচ উপেক্ষিত অকৃত্রিম ভালবাসার নগ্ন অশ্লীলতার প্রাচীর ভাঙ্গে ৷

সেই ব্যালকনির স্মৃতির বিভাজনে নামহীন গন্ত্যব্যে হেঁটে গেছি বহুদুর
তুমি রুগ্ন চোখে চেয়ে আছো অনন্তের পথে বিষাধের ক্লান্তি মেখে
কষ্টের আলিঙ্গনে সুখ ছড়িয়ে থাকা মন খারাপের ভায়োলিন বাজে ,
তোমার পবিত্র সংকেতের গহীনে ভিতর হেঁটে চলছি আজো
বিনে পয়সার দণ্ড কুড়িয়ে নীল পাণ্ডুর রঙের রক্তবর্ণ স্বপ্নভঙ্গের দিন
হাতের মুঠোয় প্রিয় হাত গুঁজে বুকের নিঃশ্বাস নেবার সময় খুজি
প্রতিটি মুহূর্তে গোপন ভুলের আলো জ্বেলেছি মুকুটহীন ডুবন্ত ইচ্ছের বুকে ৷

যতটুকু খোলা বুক রেখেছি পেতে ,
শুধু উপর থেকে চেয়ে চেয়ে নির্লজ্জ অভিশাপ দিওনা আর ,
এখনও সময় আছে গভীর বিষাধে মনন অঙ্কণ আবেগে ভেসে যাও ৷
===========================================

“~~অন্য আকাশ~~”


তুমি আকাশ দেখেছো?
সেই আকাশ?
যেখানে স্তব্ধ ভাবে তাকিয়ে থাকি
দেয়া কথাগুলো ফিরিয়ে নেবার কষ্টে !

কোনো স্বপ্নীল সময়ে হীরের মতো
যেখানে জ্বল জ্বল করে কোজাগরি পুর্ণিমা
কখনো বা ভেসে আসে ভূতুরে অমাবশ্যা
কলংক মাখা কালো মেঘেদের ভিড়ে।

তুমি আকাশ দেখেছো?
সেই আকাশ?
যেখানে হাজারো উপমায় আলো আঁধারের
লুকোচুরি অবলোকন করি
আপন অস্তিত্ব বিলীন করে।

যে আকাশে ভেসে বেড়ায়
অনেক কথা,অনেক হাসির তরঙ্গ
ফুটে উঠে জীবন্ত স্মৃতিগুলো
কথাগুলো……।

তুমি আকাশ দেখেছো?
একটা নীল আকাশ?
বেদনায় রাঙ্গানো !

তুমি নীরব কেন
বরফ স্তূপের মতো !
জানি,তোমার আকাশ দেখা হয় নি অনেকদিন
তুমি তো কক্ষচ্যুত,
হারিয়ে গেছো অন্য গ্রহে,
আমার আকাশ থেকে।

আমি এখনো জ্যোৎস্না দেখি রাত জেগে
চাঁদকে বুঝতে বলি আমার অব্যক্ত ব্যাকুলতা,
তাকিয়ে থাকি বিভোর হয়ে অজানা ছায়াপথে……।
কখন ছুটে আসবে একটা দমকা হাওয়া
উন্মাদ বাসনা নিয়ে,উড়ে নিয়ে যেতে
একক অস্তিত্বের এই আমাকে......।
===========================================

~~সার্থক জীবন~~


তোরা কবি ! ছিঃ …
আজী ধিক্কার যানাই তোদের পাণে,
কবি বোলে নিজেরে লূকাশ শীর্ণ ঘরের কোণে!
তোরা লিখিস জীবন-কর্ম ইতিহাস যাঁহাদের
ঐ মাঝি মাল্লাড় পাণে দেখিয়াছি সন্ধান জীবনের ।
খুঁজেছি পাগলের মত সাহিত্য রাজ্যে কত ,
মানবতা- মহত্ত্ব জীবনের স্বাদ পাইনি’ত আমি ওত ।
তোমরা বল আমরা সবাই দেশের কাণ্ডারী
মিথ্যা সবি, ধিক্কার দেই তোরা সমবেত আনাড়ি ।
আমি পশু বলে লিখছি কবিতা-গল্প-গান ,
নইলে মাঝি-মাল্লার দলে দেখা যেত মম প্রাণ ।
আমি শয়তান,আমি ভীরু, আমি কাপুরুষ সৈনিক,
হয়তো’বা আমি জারজ কোনো পথ ভোলা জননীর ?

আমি তাঁহাদের গান গাই…
মোদের দলিয়া ঊর্ধে চাহিয়া যাঁরা জীবন করেছে ছাই,
আজি তাঁহাদের পদে আমারই হস্তে বন্দনা রোচে যাই ।
মিছিলে যাঁরা অগ্রে থাকিয়া পথ দেখাতে যেয়ে,
ওয়ারিশ যিনি,বেওয়ারিশ হয়ে লাশের ঘড়েতে শুয়ে ।
আমি দেখেছি জীবন, দেখেছি স্বপ্ন তাঁদের চোখে
মাজ দরিয়ার মাঝি হয়ে ফিরেনি পুনঃ যে বাটে ।
দেখেছি কাব্য ,দেখেছি সংগ্রাম তাঁদের পানে
ঐ যে নবীন নব পথে হাটে অচিন সন্ধানে ।
আমি তাঁহাদের গাণ গাই কণ্ঠ ছাড়িয়া আজি
যাঁরা কবি নয়,কর্মী হয়ে সমাজ দিয়াছে ছাড়ি ।

কবিদের গালে মারি জুতা…
যারা পণ্ডিত-বড় ভাব নিয়ে,সমাজটা করেছে ভোঁতা ।
=============================================

~~প্রার্থনা~~

সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি,
সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি ।
আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে,
আমি যেন সেই কাজ করি ভাল মনে ।
===========================================

~~ভালবাসা কি দ্বিজ হয়~~


তুলসী ঘ্রানে সে জড়িয়ে রেখেছিল তোমায় কন্ঠহার অতলান্ত মহিমায়
এক দ্রুতগামী মনোরেল ডুসেলড্রফ স্টেশন আলতো চুমে ছুঁটে গেল৷

কবি দেখেছিল দূরে বসে মনসিজ দোলা নিয়ে মনে৷ হাতে তার কলম ছিল না
বিরহিনী রাধার মতো টান রুখে ছিল হাতে৷ কেঁপে কেঁপে কুন্ডলিনী বৃন্দাবন পাকে৷

সখী তুমি কি ভাবনি প্রেম সে তো মিথ্যে নয়
হোক না নন্দন কানন ভালবাসা কি দ্বিজ হয় ৷
========================================

~~লাথি মেরে তাড়া~~


শহর অদূর ঐনা বিশাল গাঁয়ে
লাগেনিকো দিন বদলের ছোঁয়া!
রাজনৈতিকরা সবকিছু দেয় মুখে
চিনলিনারে নিকোটিনের ধোঁয়া!..

বাচালগুলো, এবার আসলে গাঁয়ে
দিবে যখন দুয়ার কড়া নাড়া!
তোরা! থু থু ফেলিস গাঁয়ে মুখে
লাথি মেরে করিস ওদের তাড়া।
==========================================
~~~অপ্রেম~~~



আমি চাই না......
ভোরের কুয়াশা, দুরন্ত রোদ, গোধূলির রক্তলাল আকাশ
সোনালী ভোরে আগমনী রৌদ্রের মতো বিস্তীর্ণ উল্লাস
সমুদ্রের নীল ঢেউ, ঝিনুকের আলপনা
অপ্রেমে অসহ্য- সহ্যহীন নীল বেদনা ।

আমি চাই না......
অপুরুপ সিন্ধু রাত্রিতে - সপ্তর্ষি নক্ষত্র
চায়ের পেয়ালায় সুবিশাল নীল সমুদ্র
চাই না তোমার কাজল কালিয়া বা ক্রন্দসী নয়ন
কিংবা দূর্বাঘাসে শিশির বিন্দু মৃদু সমীরণ ।

আমি চাই না ......
অপ্রেমে অনুভবের তৃপ্তিতে দারুন মৌনসুখ
চাই না অপ্রেমে বিরহের অনলে পুড়ে যাক বুক
তোমার রহস্যময়ী উত্তেজিত নগ্ন দেহ-মন
চাই না তোমার অন্তহীন,অনন্ত যৌবন ।

আমি চাই না......
মন আমার বাঁধা পড়ুক অপ্রেমের ছলে
চাই না ভাসাতে বুক,নয়ন-জলে
চাই না অহরহ বিরহ বেদনার গন্ধ
চাই তো শুধু তোমার সুদৃঢ় বন্ধুত্ব ।
=========================================





No comments:

Post a Comment