Tuesday 20 August 2013


চোখের আলোয় দেখেছিলেম চোখের বাহিরে।
অন্তরে আজ দেখব, যখন আলোক নাহি রে।।
ধরায় যখন দাও না ধরা
হৃদয় তখন তোমায় ভরা,
এখন তোমার আপন আলোয় তোমায় চাহি রে।।
তোমায় নিয়ে খেলেছিলেম খেলার ঘরেতে।
খেলার পুতুল ভেঙে গেছে প্রলয় ঝড়েতে।
থাক তবে সেই কেবল খেলা,
হোক-না এখন প্রাণের মেলা
তারের বীণা ভাঙল, হৃদয়-বীণার গাহি রে।।
==========================================
যে ছিল আমার স্বপনচারিণী
তারে বুঝিতে পারি নি।
দিন চলে গেছে খুঁজিতে খুঁজিতে॥
শুভক্ষণে কাছে ডাকিলে,
লজ্জা আমার ঢাকিলে গো,
তোমারে সহজে পেরেছি বুঝিতে॥
কে মোরে ফিরাবে অনাদরে,
কে মোরে ডাকিবে কাছে,
কাহার প্রেমের বেদনায় আমার মূল্য আছে,
এ নিরন্তর সংশয়ে হায় পারি নে যুঝিতে--
আমি তোমারেই শুধু পেরেছি বুঝিতে॥
============================================
আমার জীবনপাত্র উচ্ছলিয়া মাধুরী করেছ দান--
তুমি জান নাই, তুমি জান নাই,
তুমি জান নাই তার মূল্যের পরিমাণ॥
রজনীগন্ধা অগোচরে
যেমন রজনী স্বপনে ভরে সৌরভে,
তুমি জান নাই, তুমি জান নাই,
তুমি জান নাই, মরমে আমার ঢেলেছ তোমার গান॥
বিদায় নেবার সময় এবার হল--
প্রসন্ন মুখ তোলো, মুখ তোলো, মুখ তোলো--
মধুর মরণে পূর্ণ করিয়া সঁপিয়া যাব প্রাণ চরণে।
যারে জান নাই, যারে জান নাই, যারে জান নাই,
তার গোপন ব্যথার নীরব রাত্রি হোক আজি অবসান॥
===========================================
ভালোবাসি, ভালোবাসি--
এই সুরে কাছে দূরে জলে স্থলে বাজায় বাঁশি॥
আকাশে কার বুকের মাঝে ব্যথা বাজে,
দিগন্তে কার কালো আঁখি আঁখির জলে যায় ভাসি॥
সেই সুরে সাগরকূলে বাঁধন খুলে
অতল রোদন উঠে দুলে।
সেই সুরে বাজে মনে অকারণে
ভুলে-যাওয়া গানের বাণী, ভোলা দিনের কাঁদন-হাসি॥
===========================================
বধু কোন আলো লাগলো চোখে !
বুঝি দীপ্তিরূপে ছিলে সূর্যলোকে !
ছিল মন তোমারি প্রতীক্ষা করি
যুগে যুগে দিন রাত্রি ধরি,
ছিল মর্মবেদনাঘন অন্ধকারে-
জন্ম-জনম গেল বিরহশোকে ।
অস্ফুটমঞ্জরী কুঞ্জবনে,
সঙ্গীতশুন্য বিষন্ন মনে
সঙ্গীরিক্ত চিরদুঃখরাতি
পোহাবো কি নির্জনে শয়ন পাতি !
সুন্দর হে, সুন্দর হে,
বরমাল্যখানি তব আনো বহে, তুমি আনো বহে !
অবগুন্ঠনছায়া ঘুচায় দিয়ে
হেরো লজ্জ্বিত স্মিতমুখ শুভ আলোকে ।।
==========================================
এমন দিনে তারে বলা যায়,

এমন ঘনঘোর বরিষায় ।

এমন দিনে মন খোলা যায়–

এমন মেঘস্বরে বদল-ঝরঝরে

তপনহীন ঘন তমসায় ॥
=========================================
চরণরেখা তব যে পথে দিলে লেখি
চিহ্ন আজি তারি আপনি ঘুচালে কি॥
ছিল তো শেফালিকা তোমারি-লিপি-লিখা,
তারে যে তৃণতলে আজিকে লীন দেখি॥
কাশের শিখা যত কাঁপিছে থরথরি,
মলিন মালতী যে পড়িছে ঝরি ঝরি।
তোমার যে আলোকে অমৃত দিত চোখে
স্মরণ তারো কি গো মরণে যাবে ঠেকি॥
==========================================
আমার সকল দুঃখের প্রদীপ
জ্বেলে দিবস গেলে করবো নিবেদন
আমার ব্যথার পূজা হয়নি সমাপন
যখন বেলা শেষের ছায়ায়
পাখিরা যায় আপন কুলায় মাঝে
সন্ধ্যাপূজার ঘন্টা যখন বাজে
তখন আপন শেষ শিখাটি জ্বালবে এ জীবন
আমার ব্যথার পূজা হবে সমাপন
==========================================
আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে।
এ জীবন পুণ্য কর দহন-দানে॥
আমার এই দেহখানি তুলে ধরো,
তোমার ওই দেবালয়ের প্রদীপ করো--
নিশিদিন আলোক-শিখা জ্বলুক গানে॥
আঁধারের গায়ে গায়ে পরশ তব
সারা রাত ফোটাক তারা নব নব।
নয়নের দৃষ্টি হতে ঘুচবে কালো,
যেখানে পড়বে সেথায় দেখবে আলো
ব্যথা মোর উঠবে জ্বলে ঊর্ধ্ব-পানে॥
========================================
ভালোবেসে, সখী, নিভৃতে যতনে
আমার নামটি লিখো-তোমার
মনের মন্দিরে।
আমার পরানে যে গান বাজিছে
তাহার তালটি শিখো-তোমার
চরণমঞ্জীরে।।
ধরিয়া রাখিয়ো সোহাগে আদরে
আমার মুখর পাখি – তোমার
প্রাসাদপ্রাঙ্গণে।
মনে ক’রে সখী, বাঁধিয়া রাখিয়ো
আমার হাতের রাখী – তোমার
কনককঙ্কণে।।
আমার লতার একটি মুকুল
ভুলিয়া তুলিয়া রেখো – তোমার
অলকবন্ধনে।
আমার স্মরণ-শুভ-সিন্দুরে
একটি বিন্দু এঁকো-তোমার
ললাটচন্দনে।
আমার মনের মোহের মাধুরী
মাখিয়া রাখিয়া দিয়ো-তোমার
অঙ্গসৌরভে।
আমার আকুল জীবনমরণ
টুটিয়া লুটিয়া নিয়ো-তোমার
অতুল গৌরবে।।
=========================================
রাত্রি এসে যেথায় মেশে দিনের পারাবারে
তোমায় আমায় দেখা হল সেই মোহানার ধারে ॥
সেইখানেতে সাদায় কালোয় মিলে গেছে আঁধার আলোয়--
সেইখানেতে ঢেউ ছুটেছে এ পারে ওই পারে ॥
নিতলনীল নীরব-মাঝে বাজল গভীর বাণী,
নিকষেতে উঠল ফুটে সোনার রেখাখানি।
মুখের পানে তাকাতে যাই, দেখি-দেখি দেখতে না পাই--
স্বপন-সাথে জড়িয়ে জাগা, কাঁদি আকুল ধারে ॥
============================================
প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে
মোরে আরো আরো আরো দাও প্রাণ ।
তব ভুবনে তব ভবনে
মোরে আরো আরো আরো দাও স্থান ।।
আরো আরো আরো আলো
এই নয়নে, প্রভু ঢালো ।
সুরে সুরে বাঁশি পূরে
তুমি আরো আরো আরো দাও তান ।।
আরো বেদনা আরো বেদনা,
প্রভু, দাও মোরে আরো চেতনা ।
দ্বার ছুটায়ে বাধা টুটায়ে
মোরে করো ত্রাণ মোরে করো ত্রাণ
আরো প্রেমে আরো প্রেমে
মোর আমি ডুবে যাক নেমে ।
সুধাধারে আপনারে
তুমি আরো আরো আরো করো দান ।।
========================================
পূব-হাওয়াতে দেয় দোলা আজ মরি মরি।
হৃদয়নদীর কূলে কূলে জাগে লহরী॥
পথ চেয়ে তাই একলা ঘাতে বিনা কাজে সময় কাটে,
পাল তুলে ওই আসে তোমার সুরেরই তরী॥
ব্যথা আমার কূল মানে না, বাধা মানে না।
পরান আমার ঘুম জানেনা, জাগা জানে না।
মিলবে যে আজ অকূল-পানে তোমার গানে আমার গানে,
ভেসে যাবে রসের বানে আজ বিভাবরী॥
==========================================
দূরদেশী সেই রাখাল ছেলে
আমার বাটে বটের ছায়ায় সারা বেলা গেল খেলে॥
গাইল কী গান সেই তা জানে, সুর বাজে তার আমার প্রাণে–
বলো দেখি তোমরা কি তার কথার কিছু আভাস পেলে॥
আমি তারে শুধাই যবে ‘কী তোমারে দিব আনি’–
সে শুধু কয়, ‘আর কিছু নয়, তোমার গলার মালাখানি।’
দিই যদি তো কী দাম দেবে যায় বেলা সেই ভাব্‌না ভেবে–
ফিরে এসে দেখি ধুলায় বাঁশিটি তার গেছে ফেলে॥
===========================================
যদিও সন্ধ্যা আসিছে মন্দ মন্থরে,
সব সংগীত গেছে ইঙ্গিতে থামিয়া,
যদিও সঙ্গী নাহি অনন্ত অম্বরে,
যদিও ক্লান্তি আসিছে অঙ্গে নামিয়া,
মহা-আশঙ্কা জপিছে মৌন মন্তরে,
দিক্‌-দিগন্ত অবগুণ্ঠনে ঢাকা—
তবু বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা।

এ নহে মুখর বনমর্মরগুঞ্জিত,
এ যে অজাগর-গরজে সাগর ফুলিছে;
এ নহে কুঞ্জ কুন্দকুসুমরঞ্জিত,
ফেনহিল্লোল কলকল্লোলে দুলিছে।
কোথা রে সে তীর ফুলপল্লবপুঞ্জিত,
কোথা রে সে নীড়, কোথা আশ্রয়শাখা—
তবু বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা।

এখনো সমুখে রয়েছে সুচির শর্বরী,
ঘুমায় অরুণ সুদূর অস্ত-অচলে;
বিশ্বজগত্‍‌ নিশ্বাসবায়ু সম্বরি
স্তব্ধ আসনে প্রহর গনিছে বিরলে;
সবে দেখা দিল অকূল তিমির সন্তরি
দূর দিগন্তে ক্ষীণ শশাঙ্ক বাঁকা—
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা।

ঊর্ধ্ব আকাশে তারাগুলি মেলি অঙ্গুলি
ইঙ্গিত করি তোমা-পানে আছে চাহিয়া;
নিম্নে গভীর অধীর মরণ উচ্ছলি
শত তরঙ্গে তোমা-পানে উঠে ধাইয়া;
বহুদূর তীরে কারা ডাকে বাঁধি অঞ্জলি
'এসো এসো' সুরে করুণ-মিনতি-মাখা—
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা।

ওরে ভয় নাই, নাই স্নেহমোহবন্ধন;
ওরে আশা নাই, আশা শুধু মিছে ছলনা।
ওরে ভাষা নাই, নাই বৃথা ব'সে ক্রন্দন;
ওরে গৃহ নাই, নাই ফুলশেজ-রচনা।
আছে শুধু পাখা, আছে মহানভ-অঙ্গন
উষা-দিশাহারা নিবিড়-তিমির-আঁকা—
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা।
==========================================
দিবস রজনী আমি যেন কার আশায় আশায় থাকি
তাই চমকিত মন, চকিত শ্রবন, তৃষিত আকুল আঁখি !!
চঞ্চল হয়ে ঘুরিয়ে বেড়াই,সদা মনে হয় যদি দেখা পাই ---
"কে আসিছে" বলে চমকিয়া চাই কাননে ডাকিলে পাখি !!
জাগরণে তারে না দেখিতে পাই,থাকি স্বপনের আশে
ঘুমের আড়ালে যদি ধরা দেয় বাঁধিব স্বপন পাশে !
এত ভলোবাসি,এত যারে চাই, মনে হয় না তো সে যে কাছে নাই ----
যেন এ বাসনা ব্যাকুল আবেগে তাহারে অনিব ডাকি !!
============================================
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না।
কেন মেঘ আসে হৃদয়-আকাশে, তোমারে দেখিতে দেয় না।
মোহমেঘে তোমারে দেখিতে দেয় না।
অন্ধ করে রাখে, তোমারে দেখিতে দেয় না।
ক্ষনিক আলোকে আঁখির পলকে তোমায় যবে পাই দেখিতে
ওহে হারাই-হারাই সদা ভয় হয়, হারাইয়া ফেলি চকিতে
আশ না মিটিতে হারাইয়া-পলক না পড়িতে হারাইয়া-
হৃদয় না জুড়াতে হারাইয়া ফেলি চকিতে।
কী করিলে বলো পাইব তোমারে, রাখিব আঁখিতে আঁখিতে-
ওহে এত প্রেম আমি কোথা পাব নাথ, তোমারে হৃদয়ে রাখিতে।
আমার সাধ্য কিবা তোমারে- দয়া না করিলে কে পারে-
তুমি আপনি না এলে কে পারে হৃদয়ে রাখিতে।
আর-কারো পানে চাহিব না আর, করিব হে আমি প্রাণপণ-
ওহে তুমি যদি বল এখনি করিব বিষয়-বাসনা বিসর্জন।
দিব শ্রীচরণে বিষয়- দিব অকাতরে বিষয়-
দিব তোমার লাগি বিষয়- বাসনা বিসর্জন।
=============================================
তুমি যে সুরের আগুন লাগিয়ে দিলে মোর প্রাণে,
এ আগুন ছড়িয়ে গেল সব খানে।।
যত সব মরা গাছের ডালে ডালে,
 নাচে আগুন তালে তালে
==================================
আমি, জেনে শুনে বিষ করেছি পান।
প্রাণের আশা ছেড়ে সঁপেছি প্রাণ।
যতই দেখি তারে ততই দহি,
আপন মনোজ্বালা নীরবে সহি,
তবু পারি নে দূরে যেতে, মরিতে আসি,
লই গো বুক পেতে অনল-বাণ।
যতই হাসি দিয়ে দহন করে,
ততই বাড়ে তৃষা প্রেমের তরে,
প্রেম-অমৃত-ধারা ততই যাচি,
যতই করে প্রাণে অশনি দান।
===========================================
তোমার খোলা হাওয়া লাগিয়ে পালে
টুকরো করে কাছি
আমি ডুবতে রাজি আছি
আমি ডুবতে রাজি আছি।।
তোমার খোলা হাওয়া লাগিয়ে পালে

সকাল আমার গেল মিছে,
বিকেল যে যায় তারি পিছে গো_
রেখো না আর,
বেঁধো না আর,
কূলের কাছাকাছি
আমি ডুবতে রাজি আছি
আমি ডুবতে রাজি আছি।
তোমার খোলা হাওয়া লাগিয়ে পালে

মাঝির লাগি আছি জাগি
সকল রাত্রি বেলা
ঢেউ গুলো যে আমায় নিয়ে
করে কেবল খেলা
ঝড়কে আমি করব মিতে,
ডরব না তার ভ্রুকটিতে_
দাও ছেড়ে দাও,
ওগো , আমি তুফান পেলে বাঁচি।

তোমার খোলা হাওয়া লাগিয়ে পালে
টুকরো করে কাছি
আমি ডুবতে রাজি আছি
আমি ডুবতে রাজি আছি।।
তোমার খোলা হাওয়া লাগিয়ে পালে।।
===========================================
আমার ও পরান ও যাহা চায়
তুমি তাই , তুমি তাই গো
আমার ও পরান ও যাহা চায়

তোমা ছাড়া আর এ জগতে
মোর কেহ নাই কিছু নাই গো
আমার ও পরান ও যাহা চায়

তুমি সুখ ও যদি নাহি পাও
যাও সুখের ও সন্ধানে যাও …
আমি তোমারে পেয়েছি হৃদয় ও মাঝে
আর ও কিছু নাহি চায় গো ও

আমার ও পরান ও যাহা চায়
তুমি তাই তুমি তাই গো
আমার ও পরান ও যাহা চায়

আমি তোমার ও বিরহে
রহিব বিলীন ও
তোমাতে করিব বাস
দীর্ঘ দিবস ও , দীর্ঘ রজনি
দীর্ঘ বরস ও মাস …

যদি আর ও কারে ভালবাসো
যদি আর ও ফিরে নাহি আসো …
তবে তুমি যাহা চাও
তাই যেন ও পাও
আমি যত ও দুঃখ পাই গো

আমার ও পরান ও যাহা চায়
তুমি তাই তুমি তাই গো
আমার ও পরান ও যাহা চায়

তোমা ছাড়া আর এ জগতে
মোর কেহ নাই কিছু নাই গো
আমার ও পরান ও যাহা চায় ।।
========================================
শরৎ, তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলি
ছড়িয়ে গেল, ছড়িয়ে গেল
ছড়িয়ে গেল ছাপিয়ে মোহন অঙ্গলি।।
শরৎ, তোমার শিশির-ধোওয়া কুন্তলে
বনের-পথে-লুটিয়ে-পড়া অঞ্চলে
আজ প্রভাতের হৃদয় ওঠে চঞ্চলি।
========================================
আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল,

শুধাইল না কেহ।

সে তো এল না, যারে সঁপিলাম

এই প্রাণ মন দেহ।

সে কি মোর তরে পথ চাহে,

সে কি বিরহ-গীত গাহে,

যার বাঁশরি-ধ্বনি শুনিয়ে

আমি ত্যজিলাম গেহ।
============================================



No comments:

Post a Comment