~~বিবেকের বিরুদ্ধে বিকেক~~
ভাল আর মন্দ বোঝার ক্ষমতা বিবেকের
ভাল মন্দ বোঝার ক্ষমতা বিবেক বানের
তা নিয়ে কোন দ্বিমত নেই,
তবে যেটা নিয়ে ভয়ঙ্কর দ্বিমত সবসময়
দ্বিমত সবসময় ছিল এবং এখনো হয়
আসলে ভালো আর মন্দ দু’টুই,
কেউ একটু ভাল করে খেয়াল করে দেখেন
বিবেক ব্যাপারটায় বিরাট গোলমাল আছে
গোলমাল থাকবে সব সময়ই,
যেটাকে আপনার ভাল বা সুন্দর মনে হলো
কিন্তু ওটা যে আসলেই ভাল বা খুব সুন্দর
সেটার কোন গ্যারান্টি নেই,
বিবেক কখনই কন্সট্যান্ট না, এটা vary করে,
time to time, place to place.মানুষের
যদি জানতেচান উত্তর নেই,
যদি আমি প্রশ্ন করি, রেপ জিনিষটা কি কেমন
ভাল না খারাপ? বলার কথা , “জঘন্য অপরাধ”
বলতে পারবেন আপনি আসলেই?
যদি নিম্নমানের কমিউনিস্ট বা naturalist হন
তাহলে এটা কে ক্রাইম নাও বলতে পারেন তখন
ধরে নিলাম এটা একটা ক্রাইম,
আপনার“বিবেক”কিছু অদ্ভুত আচরন করতে পারে
রেপ এর শাস্তি কি হওয়া উচিত? – প্রশ্নের উত্তরে
বলবো “নারীর সম্মান চাই”,
রেপড মেয়েটা, তার নিকটাত্মীয়রা বলবে, “মৃত্যুদন্ড”
রেপিস্টের মা “শাস্তি চাইবেন, মৃত্যুদন্ড ছাড়া অন্য কিছু”
বিবেকের যুক্তি অনেক রকমই,
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মায়া দয়া বেশি কিনা !
তাদের বিবেক capital punishment এর বিপক্ষে
বারটা বাজাই, সমাধান কোথাই?
আমেরিকার বিচার বিভাগ,চমৎকার বিবেক রাখে !
রেপ কেসে প্রথমবারের মত রেপিস্টকে ক্ষমা করেন
ভুল হয়েছে প্রথমবার বুঝে নাই,
ক্ষমা করেন এই যুক্তিতে, প্রথমবার ভুল হয়েছে
এবারের মত ছেড়ে দেয়া উচিত,
বড়জোর বিবেকবান বিচারকগণ জেল দেন ৮ মাসের
বিবেক” অনেক হিসেব নিকেশ করেই কথা বলছে,
আমার বিবেকটাও বলত তাই।।
============================================
~~লোহিত সাগর~~
এক ফোঁটা
দু ফোঁটা
তিন ফোঁটা
অবিরাম ঝরছেই
জন্মের পর থেকে
কারণে আর অকারণে
ব্যথা আর বেদনায়
দুঃখ কষ্ট আর অপমানে
অশ্রু কিংবা রক্ত
ফোঁটায় ফোঁটায়
স্বাদে লোনা
লোহিত সাগরে রক্তিম আভা
লোনা লাল জল
প্রতিচ্ছবি ক্ষরণের।
মানচিত্র বদল বয়সের দোষে
প্রেমের হাওয়া
ছোঁয়াছুঁয়ি একটু বেশি
কামনার ঢেউ আঙুলের স্পর্শ থেকে
নেমে আসে চুম্বনে ঠোঁটে
স্পর্শ বুকে, চেপে ধরা ওষ্ঠ অধর
শিহরিত তনু মন
কামাগ্নির বিগ ব্যাং
তারপর শান্ত
উড়ে যায় উড়াল পাখি
কিছু পালক পড়ে রয় স্মৃতি
তারপর......
এক ফোঁটা দু ফোঁটা তিন ফোঁটা
বানভাসি অশ্রু আর রক্তের মিলিত
লোহিত সাগর
প্রতিচ্ছবি স্মরণের।
স্মৃতির ভাঁজ খুলে দেখি সেই সব চেনা মুখ
টরেটপ্পার দিনগুলো হতে আধুনিকতার এই যুগ
বাবা মা ভাই বোন স্বামী স্ত্রী সন্তান
সকলেরই ছিল কিছু না কিছু অবদান
লোনা জল সাদা কিংবা লাল
বয়ে গেছে আমারই হৃদয় চিরে
মিশেছে গিয়ে লোহিত সাগরে
বাস্তব জীবনে।
এক ফোঁটা
দু ফোঁটা
তিন ফোঁটা
অবিরাম ঝরছেই
জন্মের পর থেকে
কারণে আর অকারণে
ব্যথা আর বেদনায়
দুঃখ কষ্ট আর অপমানে
অশ্রু কিংবা রক্ত
ফোঁটায় ফোঁটায়
স্বাদে লোনা
লোহিত সাগরে রক্তিম আভা
লোনা লাল জল
প্রতিচ্ছবি ক্ষরণের।
মানচিত্র বদল বয়সের দোষে
প্রেমের হাওয়া
ছোঁয়াছুঁয়ি একটু বেশি
কামনার ঢেউ আঙুলের স্পর্শ থেকে
নেমে আসে চুম্বনে ঠোঁটে
স্পর্শ বুকে, চেপে ধরা ওষ্ঠ অধর
শিহরিত তনু মন
কামাগ্নির বিগ ব্যাং
তারপর শান্ত
উড়ে যায় উড়াল পাখি
কিছু পালক পড়ে রয় স্মৃতি
তারপর......
এক ফোঁটা দু ফোঁটা তিন ফোঁটা
বানভাসি অশ্রু আর রক্তের মিলিত
লোহিত সাগর
প্রতিচ্ছবি স্মরণের।
স্মৃতির ভাঁজ খুলে দেখি সেই সব চেনা মুখ
টরেটপ্পার দিনগুলো হতে আধুনিকতার এই যুগ
বাবা মা ভাই বোন স্বামী স্ত্রী সন্তান
সকলেরই ছিল কিছু না কিছু অবদান
লোনা জল সাদা কিংবা লাল
বয়ে গেছে আমারই হৃদয় চিরে
মিশেছে গিয়ে লোহিত সাগরে
বাস্তব জীবনে।
==============================================
~~অবাস্তব স্বপ্ন~~
হলুদ বেদনারা রঙ ছড়াচ্ছে
রক্তিম লালিমায়
ভাংছে ভেতরে কোথাও
হৃদপিণ্ডে আঁচর
নিশ্চুপ চেয়ে দেখা অপেক্ষার প্রহর
ফোঁটায় ফোঁটায় চুইয়ে পড়ছে
লাল রক্ত;
তাতে কি?
স্বপ্ন বুনে কি আর ঘর বাঁধা হয়?
ইট কাঠ আর কঙ্কাল কাঠামো
ছিল না কিছুই বুননে স্বপ্ন
সাধ ছিল কিছু হাড় জিরজিরে
রক্ত মাংসের কঙ্কাল ঘিরে
চোখ মেললেই পদদলিত হবে
আশ্চর্যের কি আছে?
গড়াক না কিছু রক্ত ফোঁটায়
প্রেমের পাঁজর ভেঙে
বোধোদয় যদি কিছু হয়
নয়তো পরাজয়।
হলুদ বেদনারা রঙ ছড়াচ্ছে
রক্তিম লালিমায়
ভাংছে ভেতরে কোথাও
হৃদপিণ্ডে আঁচর
নিশ্চুপ চেয়ে দেখা অপেক্ষার প্রহর
ফোঁটায় ফোঁটায় চুইয়ে পড়ছে
লাল রক্ত;
তাতে কি?
স্বপ্ন বুনে কি আর ঘর বাঁধা হয়?
ইট কাঠ আর কঙ্কাল কাঠামো
ছিল না কিছুই বুননে স্বপ্ন
সাধ ছিল কিছু হাড় জিরজিরে
রক্ত মাংসের কঙ্কাল ঘিরে
চোখ মেললেই পদদলিত হবে
আশ্চর্যের কি আছে?
গড়াক না কিছু রক্ত ফোঁটায়
প্রেমের পাঁজর ভেঙে
বোধোদয় যদি কিছু হয়
নয়তো পরাজয়।
============================================
~~তুমি সুখী হলে~~
রাত যতো গভীর হয় ভোর তত নিকটে,
ভালোবাসা যত গভীর তত ভুল ঘটে।
কপালে আর বুঝি সুখ সইবে না আমার,
অভিমান করে অনেক হারিয়েছি তোমার।
ছোট্ট বেলায় অভিমানে অনেক কিছু পেতাম,
এখনের অভিমানে আমি, তোমাকে হারালাম।
রাত যতো গভীর হয় স্বপ্নেরা চোখে-নিকটে,
স্বপ্নেরা নীরবে অনেক বেশী ভালবাসে।বটে!
যার স্বপ্ন নিয়ে পৃথিবী সাজাই সেই বুঝে না,
স্বপ্নে হারানোর ভয় শুধু, আছে কিছু শান্তনা।
একাকী শূন্যতায় পরেছি, তাই তো স্বপ্ন দেখি,
মম ব্যাকূলতায় তোমাকে বারবার স্বপ্নে ডাকি।
কত চাঁপা কান্না, নির্ঘুম রাত ছাড়া কিছু নাই,
যার জীবনে কষ্ট ছাড়া আর কোন সুখ নাই।
কোন সে সময় কেবল বাজে মনের কানে?
কোন স্মৃতিটা ভাসতে বলে প্রেমের বানে?
আমি না হয় ভালোবেসেই করেছিলাম ভুল,
তুমি কেন নষ্ট ফুলের পরাগ মাখলে বুলবুল!
কত অসহায় কাকুতি মিনতি তোমাতে বিলীন,
সময়ের অপচয়ে হৃদয়ে জমা কত নিকোটিন।
আপনি কাঁদেন হয় তো আপনার জন্য নীরবে,
এই অসহায়া কাঁদছে কারণ তার কী হবে ভবে।
দূর...বহুদূর উড়ে যেতে চাই পৃথিবীর আড়ালে,
নীরব কান্না কাঁদবো সংগোপনে, তুমি সুখী হলে।।
রাত যতো গভীর হয় ভোর তত নিকটে,
ভালোবাসা যত গভীর তত ভুল ঘটে।
কপালে আর বুঝি সুখ সইবে না আমার,
অভিমান করে অনেক হারিয়েছি তোমার।
ছোট্ট বেলায় অভিমানে অনেক কিছু পেতাম,
এখনের অভিমানে আমি, তোমাকে হারালাম।
রাত যতো গভীর হয় স্বপ্নেরা চোখে-নিকটে,
স্বপ্নেরা নীরবে অনেক বেশী ভালবাসে।বটে!
যার স্বপ্ন নিয়ে পৃথিবী সাজাই সেই বুঝে না,
স্বপ্নে হারানোর ভয় শুধু, আছে কিছু শান্তনা।
একাকী শূন্যতায় পরেছি, তাই তো স্বপ্ন দেখি,
মম ব্যাকূলতায় তোমাকে বারবার স্বপ্নে ডাকি।
কত চাঁপা কান্না, নির্ঘুম রাত ছাড়া কিছু নাই,
যার জীবনে কষ্ট ছাড়া আর কোন সুখ নাই।
কোন সে সময় কেবল বাজে মনের কানে?
কোন স্মৃতিটা ভাসতে বলে প্রেমের বানে?
আমি না হয় ভালোবেসেই করেছিলাম ভুল,
তুমি কেন নষ্ট ফুলের পরাগ মাখলে বুলবুল!
কত অসহায় কাকুতি মিনতি তোমাতে বিলীন,
সময়ের অপচয়ে হৃদয়ে জমা কত নিকোটিন।
আপনি কাঁদেন হয় তো আপনার জন্য নীরবে,
এই অসহায়া কাঁদছে কারণ তার কী হবে ভবে।
দূর...বহুদূর উড়ে যেতে চাই পৃথিবীর আড়ালে,
নীরব কান্না কাঁদবো সংগোপনে, তুমি সুখী হলে।।
==============================================
~~আমার জলেতে আজ~~
দিলের বাগানে আজ ফোটে কাঞ্চন কামিনী।
সুনিল আকাশ সাজে মেঘে মেঘে হয়বেলা,
এইবার এসো তবে ওগো মেয়ে মধুবালা।
এসো তবে খুলে দাও তোমার গোপন দুয়ার,
সেয়ানা পাগল জানে তাবিজের ফুৎকার।
তুমি জানো আমি জানি মিলন বাউল সুর,
পড়ে ফেলো লাল শাড়ি আলতা পায়ে নূপুর।
প্রেমের রাখাল আমি উজানে চালাই ভেলা,
পাখি আর মেঘ দেখে কেটে যায় সারাবেলা।
নদীর দু’কূল ডাকে আয় ওবাউল শুনে যাও,
আমার জলেতে আজ ভেসেছে তোমার নাও।
নারী মানে নদী স্রোত আকাশে চাঁদের আলো,
আমার জমিনে নারী আঁধারে পারদ জ্বালো।
কখনও বুঝতে দেবনা কষ্ট কেমন হৃদয়ে
তামার সুনন্দা ছোঁবোনা রাখিবো পবিত্র আশ্রয়ে।
============================================
~~কালের আবর্তে নির্ঘুম রাত কাটে~~
ইদানীং ঘুমের সাইকেলের বারোটা বেজে গেছে
আমার শরীরের কলকব্জার মত
নির্ঘুম চোখে আটচল্লিশ ঘণ্টা পার করলাম
ঠিক সেই আগের দিনের মত।
এই তো সেদিনও ছিয়ানব্বই ঘণ্টা পার করেছি
নির্ঘুম চোখে
যেদিন তোর কথার মরিচের ঘষা জ্বলেছিল চোখে
দেখে কেও বুঝতে পারে নি,
আমার নিজেরও তখন কিছুই আসে যায় নি
বয়সটা তখন মানিয়ে নেবার ছিল হয়তো
শরীরের কলকব্জাগুলোতে জং ধরে নি নয়তো।
এবার যেন অন্যরকম লাগছে ভেতর থেকে
আগের নির্ঘুম কালের অর্ধেক পার না হতে
প্রিয়জনেরা দেখে বলছে চোখ মুখ বসে গেছে
আসলে আমি তো বুঝেছি বয়স ভাইরাস
কালের কাছে পরাস্ত হয়েছে
সময়ের কাছে কখনো না কখনো পরাজিত হতেই হবে
মানুষ রূপে জন্মেছি যবে।
সেদিনও চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলি তুই
আজো চোখের ঘুম কেড়ে নিস তুই
ঠিক আগেরই মতন করে
মার্চ মাসে কেমন জানি ভ্যাপসা গরম পড়ে;
তোর আর আমার প্রথম দেখা হওয়ার মাস
সেদিন নির্ঘুম কাটিয়েছিলেম তোর কথার বেদনায়
আজ নির্ঘুম কাটাচ্ছি তোকে হারানোর যাতনায়
মার্চের এই ভ্যাপসা গরমের মাসে, তোকে মনে করে
আমাদের প্রথম দেখা হওয়া মাস কে স্মরণ করে
ওপর ওয়ালার নিদারুণ প্রহসন আমারই কপালে জোটে
কালের আবর্তে তোকে মনে করে তাই আজো নির্ঘুম রাত কাটে।
সেই প্রথম দেখা হওয়ার দিন থেকে নিয়ে আজ অবধি
প্রতিটা দিনের কথা আজো মনে পড়ে
ভালোবাসা, টুকরো কথা, বুকে ঝাঁপিয়ে পড়া
প্রেমের সাগরে বাসর গড়া
কিংবা অভিমানের দিকশুন্য নৌকা বেয়ে চলা।
ভালোবাসার শুরু কোথায় কিংবা শেষ কোথায় আমি জানি না
কিভাবে ভালোবাসতে হয়, তোর কথা মত হয়তো তাও জানি না
তবে কিভাবে ঘৃণা করতে হয় তা তোর মাঝে দেখেছি
ভালোবাসার মধুর সম্পর্কের মৃত্যুকে আমি চেখেছি;
তবু আজো একটুও কমে নি তোর জন্য ভালোবাসা
তাইতো আজ নির্ঘুম কাটাই ভেবে প্রথম এই মার্চ মাসের দেখা;
তোর জন্য আমার সকল ভালোবাসার একদিন সমাধি হবে রে
যেদিন শেষবার এসে দেখে যাবি আমায় কবরে।
ইদানীং ঘুমের সাইকেলের বারোটা বেজে গেছে
আমার শরীরের কলকব্জার মত
নির্ঘুম চোখে আটচল্লিশ ঘণ্টা পার করলাম
ঠিক সেই আগের দিনের মত।
এই তো সেদিনও ছিয়ানব্বই ঘণ্টা পার করেছি
নির্ঘুম চোখে
যেদিন তোর কথার মরিচের ঘষা জ্বলেছিল চোখে
দেখে কেও বুঝতে পারে নি,
আমার নিজেরও তখন কিছুই আসে যায় নি
বয়সটা তখন মানিয়ে নেবার ছিল হয়তো
শরীরের কলকব্জাগুলোতে জং ধরে নি নয়তো।
এবার যেন অন্যরকম লাগছে ভেতর থেকে
আগের নির্ঘুম কালের অর্ধেক পার না হতে
প্রিয়জনেরা দেখে বলছে চোখ মুখ বসে গেছে
আসলে আমি তো বুঝেছি বয়স ভাইরাস
কালের কাছে পরাস্ত হয়েছে
সময়ের কাছে কখনো না কখনো পরাজিত হতেই হবে
মানুষ রূপে জন্মেছি যবে।
সেদিনও চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলি তুই
আজো চোখের ঘুম কেড়ে নিস তুই
ঠিক আগেরই মতন করে
মার্চ মাসে কেমন জানি ভ্যাপসা গরম পড়ে;
তোর আর আমার প্রথম দেখা হওয়ার মাস
সেদিন নির্ঘুম কাটিয়েছিলেম তোর কথার বেদনায়
আজ নির্ঘুম কাটাচ্ছি তোকে হারানোর যাতনায়
মার্চের এই ভ্যাপসা গরমের মাসে, তোকে মনে করে
আমাদের প্রথম দেখা হওয়া মাস কে স্মরণ করে
ওপর ওয়ালার নিদারুণ প্রহসন আমারই কপালে জোটে
কালের আবর্তে তোকে মনে করে তাই আজো নির্ঘুম রাত কাটে।
সেই প্রথম দেখা হওয়ার দিন থেকে নিয়ে আজ অবধি
প্রতিটা দিনের কথা আজো মনে পড়ে
ভালোবাসা, টুকরো কথা, বুকে ঝাঁপিয়ে পড়া
প্রেমের সাগরে বাসর গড়া
কিংবা অভিমানের দিকশুন্য নৌকা বেয়ে চলা।
ভালোবাসার শুরু কোথায় কিংবা শেষ কোথায় আমি জানি না
কিভাবে ভালোবাসতে হয়, তোর কথা মত হয়তো তাও জানি না
তবে কিভাবে ঘৃণা করতে হয় তা তোর মাঝে দেখেছি
ভালোবাসার মধুর সম্পর্কের মৃত্যুকে আমি চেখেছি;
তবু আজো একটুও কমে নি তোর জন্য ভালোবাসা
তাইতো আজ নির্ঘুম কাটাই ভেবে প্রথম এই মার্চ মাসের দেখা;
তোর জন্য আমার সকল ভালোবাসার একদিন সমাধি হবে রে
যেদিন শেষবার এসে দেখে যাবি আমায় কবরে।
=============================================
~~ছোঁয়া~~
দোঁহের প্রথম প্রেমাভিসার,
আর সে সু-মধুর
চৈতি রাতের উদাস করা সুর!
চৈতি রাতের উদাস করা সুর!
=============================================================
~~ষোল কোটির নাভিতে~~
ঝলসে গেছে,শোষিতেরা স্বরবৃত্ত ছন্দে
জাগার প্রস্ত্ততি নিচ্ছে বাঁচার দাবিতে
ক্ষুধার কামড় ষোল কোটির নাভিতে।
ফারাক্কা-টিপাই বাঁধে দেশ হচ্ছে মরু
রোদোত্তাপে মরে যাবে মানুষ ও তরু
কিছুই হবেনা বাঁধে বলছে কেউ কেউ
ঢুকছে দেখ সমুদ্রের নোনা-জল-ঢেউ।
গরিব জাতির ভাগ্যে দিচ্ছে দুঃখ কারা?
শোষণের যাঁতাকলে মনব সর্বহারা
সবর্রত্র শত্রু দেখি কী উপায় কী আছে?
পুঞ্জ পুঞ্জ দ্রোহ জমা মানুষের কাছে।
কোথা হতে বারুদ আঘাত তীব্র বেগে ছুটে
মাটির পড়ে দেহের সীমায় দেহটাকে লুটে
বারুদের পোড়াগন্ধ ধ্বংস করে তাই
ফুলের গন্ধ পেতে তো’দের ডাক দিয়ে যাই।।
===========================================
~~শেষ পত্র~~
আজ কতো দিন তোমায় কোন পত্র লেখিনা
কেমন আছো কোথায় আছো তাও জানিনা !
হয়তো তুমি ভুলেই গেছো রাখোনি আমায় মনে
তোমায় ভেবে অশ্রু ঝরে আজো চোখের কোণে ।
সেই তো হলো শেষ দেখাটা দীঘর্ সাত বছর
ভুল করেও আর কোন দিন নিলেনা খবর
জানি তুমি অভিমানে আমায় করেছো পর
তোমার স্মৃতির আলিঙ্গনে বুকে কষ্টের ঝড় ।
এখন আমি একলা একা আলো বিহীন ধুপ
নিঃসঙ্গতায় তোমার স্মৃতি আঁকড়ে ধরে খুব
হয়তো তুমি সুখেই আছো ভুলে অতীত প্রীতি
অন্ধকারে ধুসর জীবন এটাই প্রেমের রীতি?
মনে পড়ে তোমার লেখা শেষ চিঠিটা রক্তে ভেজা?
এক পৃথিবীর বিরল কথা, নেই কি মনে ?
মনে পড়ে তোমার দেওয়া রুমালখানা নঁকশী আঁকা?
আজো আছে স্বযতনে আমার বুকের মধ্যখানে !
থাক ও সব ইতিকথা, এবার বলো কেমন আছো ?
তোমার ঘরের চার দেয়ালে রঙিন সাজে-
জানি সৌখিন ঝোঁনাক জ্বলে রাতবিরাতে ,
আমি না হয় কষ্টে বাঁচি, যোযন দূরে একাকীত্বে !
তাতে কি ! বেশ তো আছি দগ্ধ পীড়া অহর্নিশ,
দারুণ ব্যাথা বুকের ভিতর,দিবানিশি জ্বলে অন্তর
এক জীবনে এত ব্যাথা সত্যিই বড় দুর্বিসহ !
তবুও বলি সুখে থেকো, হয়তো এটাই শেষ পত্র ।
আজ কতো দিন তোমায় কোন পত্র লেখিনা
কেমন আছো কোথায় আছো তাও জানিনা !
হয়তো তুমি ভুলেই গেছো রাখোনি আমায় মনে
তোমায় ভেবে অশ্রু ঝরে আজো চোখের কোণে ।
সেই তো হলো শেষ দেখাটা দীঘর্ সাত বছর
ভুল করেও আর কোন দিন নিলেনা খবর
জানি তুমি অভিমানে আমায় করেছো পর
তোমার স্মৃতির আলিঙ্গনে বুকে কষ্টের ঝড় ।
এখন আমি একলা একা আলো বিহীন ধুপ
নিঃসঙ্গতায় তোমার স্মৃতি আঁকড়ে ধরে খুব
হয়তো তুমি সুখেই আছো ভুলে অতীত প্রীতি
অন্ধকারে ধুসর জীবন এটাই প্রেমের রীতি?
মনে পড়ে তোমার লেখা শেষ চিঠিটা রক্তে ভেজা?
এক পৃথিবীর বিরল কথা, নেই কি মনে ?
মনে পড়ে তোমার দেওয়া রুমালখানা নঁকশী আঁকা?
আজো আছে স্বযতনে আমার বুকের মধ্যখানে !
থাক ও সব ইতিকথা, এবার বলো কেমন আছো ?
তোমার ঘরের চার দেয়ালে রঙিন সাজে-
জানি সৌখিন ঝোঁনাক জ্বলে রাতবিরাতে ,
আমি না হয় কষ্টে বাঁচি, যোযন দূরে একাকীত্বে !
তাতে কি ! বেশ তো আছি দগ্ধ পীড়া অহর্নিশ,
দারুণ ব্যাথা বুকের ভিতর,দিবানিশি জ্বলে অন্তর
এক জীবনে এত ব্যাথা সত্যিই বড় দুর্বিসহ !
তবুও বলি সুখে থেকো, হয়তো এটাই শেষ পত্র ।
=============================================
~~ওপর ওয়ালার আরাধনা~~
মসজিদে আযানের ধ্বনি
অজুহাত হয়ে রয় শুধু একটু পানি
ওজু ছাড়া নামাজ হয় কিভাবে?
মন্দিরে পূজারী অপেক্ষার প্রহর গোনে
ভক্তের দেখা নেই দূর দূর পানে
প্রাসাদ গড়ায় ভগবানের থালায়।
গির্জার ঘণ্টি ঢং ঢং বাজে
আজ ছুটির দিন, বেড়াতে যে যাবে
পরের সপ্তাহটা না হয় চার্চের জন্য থাকলো।
মনুষ্য সমাজের বড্ড সুখের সময় কাটছে আজকাল
আল্লাহ্, ঈশ্বর কিংবা ভগবান
এখনই কি প্রয়োজন তাঁকে করার স্মরণ
মরার এখনো ঢের বাকি আছে
যাক না আরো কটা দিন
বুড়ো-কালে একবারে শুধিয়া নিব তাঁর ঋণ
তাঁর পায়ে মাথা ঠুকে;
ওপর ওয়ালা দূর থেকে দেখে
তাঁর সৃষ্টির লীলা মুচকি হেসে।
সময় ঘড়ি বিগড়ে যায় হঠাৎই
সুস্থির জীবনে বিপর্যয় নানামুখী
অস্থির সময়, অস্থির মানুষ, অন্ধকার অনির্বাণ
হে আল্লাহ্ , ও ঈশ্বর, হায় ভগবান
মাথা ঠুকি তোর পায়ে তোকেই প্রণাম
দয়া কর প্রভু মোরে এবারের মত
ক্ষম হে অপরাধ করেছি যত
কর আমায় উদ্ধার অন্ধকার হতে
ধর্মের চর্চায় রই মোরা মেতে
ওপর ওয়ালা দূর থেকে দেখে
মুচকি হাসির করুণাধারায়
ভক্তের দুর্দিন দূর হয়ে যায়।
......
......
......
সময় গড়ায়
সময় গড়ায়
আবার সুদিন ফিরে আসে ধরায়
সময় ঘড়ির কাঁটা সুখে বয়ে যায়
ওপর ওয়ালা ভক্তের দিকে চায়
মুচকি হেসে।
ভক্ত-গন অজুহাতের ধ্বজা তোলে
আজ নয় কাল, আবার সময় হলে
দেখা হবে নিশ্চিত ঐ ওপর ওয়ালার সাথে
আবার কখনো দুর্দিন এলে......
ক্রমশ......
চলতেই থাকে
ওপর ওয়ালা দূর কোথাও বসে মুচকি হাসে
তার সৃষ্টির সেরা জীবের পানে চেয়ে।
মসজিদে আযানের ধ্বনি
অজুহাত হয়ে রয় শুধু একটু পানি
ওজু ছাড়া নামাজ হয় কিভাবে?
মন্দিরে পূজারী অপেক্ষার প্রহর গোনে
ভক্তের দেখা নেই দূর দূর পানে
প্রাসাদ গড়ায় ভগবানের থালায়।
গির্জার ঘণ্টি ঢং ঢং বাজে
আজ ছুটির দিন, বেড়াতে যে যাবে
পরের সপ্তাহটা না হয় চার্চের জন্য থাকলো।
মনুষ্য সমাজের বড্ড সুখের সময় কাটছে আজকাল
আল্লাহ্, ঈশ্বর কিংবা ভগবান
এখনই কি প্রয়োজন তাঁকে করার স্মরণ
মরার এখনো ঢের বাকি আছে
যাক না আরো কটা দিন
বুড়ো-কালে একবারে শুধিয়া নিব তাঁর ঋণ
তাঁর পায়ে মাথা ঠুকে;
ওপর ওয়ালা দূর থেকে দেখে
তাঁর সৃষ্টির লীলা মুচকি হেসে।
সময় ঘড়ি বিগড়ে যায় হঠাৎই
সুস্থির জীবনে বিপর্যয় নানামুখী
অস্থির সময়, অস্থির মানুষ, অন্ধকার অনির্বাণ
হে আল্লাহ্ , ও ঈশ্বর, হায় ভগবান
মাথা ঠুকি তোর পায়ে তোকেই প্রণাম
দয়া কর প্রভু মোরে এবারের মত
ক্ষম হে অপরাধ করেছি যত
কর আমায় উদ্ধার অন্ধকার হতে
ধর্মের চর্চায় রই মোরা মেতে
ওপর ওয়ালা দূর থেকে দেখে
মুচকি হাসির করুণাধারায়
ভক্তের দুর্দিন দূর হয়ে যায়।
......
......
......
সময় গড়ায়
সময় গড়ায়
আবার সুদিন ফিরে আসে ধরায়
সময় ঘড়ির কাঁটা সুখে বয়ে যায়
ওপর ওয়ালা ভক্তের দিকে চায়
মুচকি হেসে।
ভক্ত-গন অজুহাতের ধ্বজা তোলে
আজ নয় কাল, আবার সময় হলে
দেখা হবে নিশ্চিত ঐ ওপর ওয়ালার সাথে
আবার কখনো দুর্দিন এলে......
ক্রমশ......
চলতেই থাকে
ওপর ওয়ালা দূর কোথাও বসে মুচকি হাসে
তার সৃষ্টির সেরা জীবের পানে চেয়ে।
==============================================
~~বসন্তে কত কী~~
কচি পাতায় আলোর নাচন
তরুণ মনে লাগে দোলা,
ফুলের বনে যার পাশে যাই
মন হয়ে যায় বাঁধনহারা।
অমরাবতীর তীর ছুঁয়ে যায়
স্বর্ণরেণুর পালক মেখে,
ভ্রমর আসে ঝাঁকে ঝাঁকে
প্রজাপতি হাওয়ায় ভাসে।
ভালোবাসার ভালোবাসায়
পরান ভরি শোভাতে,
কালো মেঘে অরুণ-আলো
জেগে উঠে প্রভাতে।
দূর গগনের চাঁদের বুকে
জাগ্রত হয় স্বপ্ন আলো
পূর্ণিমাতে জ্যোস্না হাসে
অনুভূতি চোখে মেলালো।
গোলাপ ফুলের গন্ধ মাখা
কুসুম বনের বুকের পবন
মৌমাছিদের ডানায় ডানায়
কবির কাব্য বিরহ বেদন।।
কচি পাতায় আলোর নাচন
তরুণ মনে লাগে দোলা,
ফুলের বনে যার পাশে যাই
মন হয়ে যায় বাঁধনহারা।
অমরাবতীর তীর ছুঁয়ে যায়
স্বর্ণরেণুর পালক মেখে,
ভ্রমর আসে ঝাঁকে ঝাঁকে
প্রজাপতি হাওয়ায় ভাসে।
ভালোবাসার ভালোবাসায়
পরান ভরি শোভাতে,
কালো মেঘে অরুণ-আলো
জেগে উঠে প্রভাতে।
দূর গগনের চাঁদের বুকে
জাগ্রত হয় স্বপ্ন আলো
পূর্ণিমাতে জ্যোস্না হাসে
অনুভূতি চোখে মেলালো।
গোলাপ ফুলের গন্ধ মাখা
কুসুম বনের বুকের পবন
মৌমাছিদের ডানায় ডানায়
কবির কাব্য বিরহ বেদন।।
===========================================
~~সমান্তরাল ভালোবাসা~~
পাশাপাশি চলছি আমরা সমান্তরাল,
সমান্তরাল চলছে আমাদের ভালোবাসার রাস্তা
একই দিশায় এক দিকে
একজন আরেকজনকে ভালোবেসে
ঠিক ঐ রেললাইনের পাত দুটির মতন;
তবু কেও কারো হাত ধরতে পারছি না
কারণে আর অকারণে,
কমতি নেই কারোরই ভালোবাসায়
তবু শুধু সমান্তরাল পাশাপাশি পথ চলা
মাঝে মাঝে আমাদের ভালোবাসার কথা মনে করে
তাকাই সুদূর ঐ রেললাইনের পাত দুটির দিকে
ঝাপসা হয়ে আসে দৃষ্টিসীমা কোন এক বিন্দুতে ঠেকে
মনে হয় কোথাও না কোথাও গিয়ে এক সাথে মিশে গেছে
তবু কেও কারো স্পর্শ পাই না
অথবা পাই না বাড়ানো হাতের ছোঁয়া
তবুও চলছে সমান্তরাল ভালোবাসার খেলা
সেই কতকাল ধরে;
নিয়তির কি নির্মম উপহাস।
পাশাপাশি চলছি আমরা সমান্তরাল,
সমান্তরাল চলছে আমাদের ভালোবাসার রাস্তা
একই দিশায় এক দিকে
একজন আরেকজনকে ভালোবেসে
ঠিক ঐ রেললাইনের পাত দুটির মতন;
তবু কেও কারো হাত ধরতে পারছি না
কারণে আর অকারণে,
কমতি নেই কারোরই ভালোবাসায়
তবু শুধু সমান্তরাল পাশাপাশি পথ চলা
মাঝে মাঝে আমাদের ভালোবাসার কথা মনে করে
তাকাই সুদূর ঐ রেললাইনের পাত দুটির দিকে
ঝাপসা হয়ে আসে দৃষ্টিসীমা কোন এক বিন্দুতে ঠেকে
মনে হয় কোথাও না কোথাও গিয়ে এক সাথে মিশে গেছে
তবু কেও কারো স্পর্শ পাই না
অথবা পাই না বাড়ানো হাতের ছোঁয়া
তবুও চলছে সমান্তরাল ভালোবাসার খেলা
সেই কতকাল ধরে;
নিয়তির কি নির্মম উপহাস।
==============================================
~~স্পন্দন~~
তোর হৃদয়ের স্পন্দন অনুভব করতে হলে
তোকে আমার পাশে পাবার দরকার নেই;
আমি যোজন যোজন দূর থেকেই
তোর হৃদয় ছুঁয়ে দেখতে পারি
তোর হৃদয়ের প্রতিটা ধ্বক ধ্বক শুনতে পারি
তোর হৃদয়ের প্রতিটা অনুভূতি পড়তে পারি
তুই বুঝবি না কখনোই কারণটা;
ওটা যে আমারই হৃদয়, বেঁধে রেখে এসেছি একসাথে করে
তোর হৃদয়ের সাথে, অদৃশ্য এক ভালোবাসার সুতোয় বেঁধে।
তোর হৃদয়ের স্পন্দন অনুভব করতে হলে
তোকে আমার পাশে পাবার দরকার নেই;
আমি যোজন যোজন দূর থেকেই
তোর হৃদয় ছুঁয়ে দেখতে পারি
তোর হৃদয়ের প্রতিটা ধ্বক ধ্বক শুনতে পারি
তোর হৃদয়ের প্রতিটা অনুভূতি পড়তে পারি
তুই বুঝবি না কখনোই কারণটা;
ওটা যে আমারই হৃদয়, বেঁধে রেখে এসেছি একসাথে করে
তোর হৃদয়ের সাথে, অদৃশ্য এক ভালোবাসার সুতোয় বেঁধে।
================================================
~~নারীহীন কবি ও এক ভাস্বরী পাখির বয়ান~~
আমার আসমানী বারান্দায়
সোনা ঝরা রোদ্দুর মার্বেল খেলে
পর্বতচূড়ায় সমুদ্রবাতাস গড়িয়ে এসে
জানালার কার্নিশে রঙিন উৎসব করে
এমন অবেলায়-সাইকাসের মগডালে
একটি ভাস্বরী পাখি নির্নিমেষ নয়নে তাকিয়ে রয়
আমার নি:স্ব বেডরুমে
পড়ে আছে
এলো মেলো কবিতার পঙ্তিমালার ছেঁড়া কাগজ
বড় অবাক লাগলো তার !
কোথায় থেকে এলো এই অবতার?
পাহাড়ের পাদদেশে
সবুজ গালিচায়
এই কি তবে নি:স্ব নারীহীন কবি?
তবে কি নারীহীন কবি!
অথচ দ্যাখো হ্নদয় উপোকূলে তার
এক সমুদ্রফেনা পূর্ণনীর
অজস্র কবিতার ফুরফুরে সজীব পঙ্তি
কি অপরুপ প্রাণোউচ্ছ্বাস শৈল্পিক অবয়ব
অসীম নীলান্ত জুড়ে কবিতার ফুটন্ত ঘাসফুল
যেনো এক-স্বপ্নের হরিৎমোহকানন
অবিনাশীপ্রেমের এক আত্তারাম পাখি ভালোবাসি
ভালোবাসি আর্তনাদে ডাকে আত্তার ভেতরে-
বুকের পাটাতন ভাঙ্গে রক্তের প্রবলস্রোতে বজ্র নিনাদে
কে দেবে সাড়া কে দেবে !
এমন ক্ষণ কন্দরে রবীঠাকুর এসে গান ধরে
“আমর বেলা যে যায়
সাজ বেলাতে”… …
কি আপদমস্তক কবি !
কবিতার যে বাড়ন্ত শিশুটি জন্ম নিলো সদ্য
নিসর্গ উদ্যানে সে এখন হামাগুড়ি দিয়ে
হাঁটুবলে করোটি থেকে চরণধুলিতে..
হয়তো কালোত্তীর্ণ হবে কোন একদিন-
কি অদ্ভুত ! কি একা-
অনতিদূরে,
এক পশলা বৃষ্টি চুঁয়ে গেল নিঝুম দ্বীপের শরীর
থর-থর-কাঁপে কিংশুকপাতার দেহ
কিছু প্রজাপতি এলো মিষ্টি আলাপন নিয়ে
অহিংস মৎসকুমারীরা মিছিলে মিছিলে সমুদ্রস্নানে নামে
খানেকপরে অদূর পাহাড়ে রৌদ্রতেল মেখে
ঝরণা তলে এক নিসর্গধারিণীর মাতাল নৃত্য
সমস্ত পাহাড়ের মুগ্ধতা তাঁর্ শরীরে নক্ষত্র হয়ে ফুটে
কি কামুকী তন্বঙ্গী রমণীর মাদকীরুপ
অসম্ভব তপস্যা প্রিয় তূষ্ণীনিশিপরীরা
একমুঠো জোৎস্নাজল নিয়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে
সীমাহীন তারা আচড়ে পড়ে আসমানী বারান্দায়
আদিবাসী রমণীদের নিতম্বে খুলে হারানো ছন্দ
চোলাই মদ, কচিবাঁশের মুকুল
পাহাড়িয়া ফুলের সৌরভী ঠান্ডা বিশুদ্ধ বাতাস
বিষন্ন কবির আপ্যায়ন
দ্যাখো কি ক্ষুধার্ত চাহনি আর কি করুণ
রুগ্ন নষ্টালজিয়াভোগী
তবুও কি মিটেনি তরুণ কবির জঠর !
কথার পিঠে কথা উন্মাদ হয়ে ফুটে
প্রকাশ্যে ত্রপাকবি’র চৈতন্যে না বলা কথাগুলো তিরিক্ষিঅশ্বে দৌড়
দেবে কি কামুকী আতঁর
তুমুল প্রিয় দুটি স্তনফুল
সফেদ সুরম্যে কম্পিত কারুময় তনুপাহাড়
ভালোবাসার অতল জলরস-রসাতলে
সন্ধানীচোখ খুঁজে
কোন শশীমুখ কামিনীর কায়া-ছায়া-প্রচ্ছায়ার আকর !
তীব্র আকাঙ্খার ঝড় বযে যায় বক্ষপিজ্ঞরে
সনাতন সামাজিক রীতিনীতি ভেঙ্গে দিবো কি তবে, ইশ্বরী?
কিছুই চাইনি স্বল্পদৈর্ঘ জীবনে
অল্প অল্প সুতীব্র সুখ চাই
এই সব আতিথেয়তা আমার বদহজম হয়
ভালোবেসেই বেপুচ্ছাদিত রস চাই
তোমার রসসমুদ্রে আত্তাহুতী দেওয়ার ইচ্ছাই প্রবল জাগতিক প্রহরে
পড়ন্ত বেলার শেষ রাত্রিতে
এই সব শুনে-
বিস্ময়াবৃত বিমুখ মন নিয়ে “অহেতুক ফ্যাচাল” বলে-
অবিনশ্বরী ঐন্দ্রজালিক ডানার ওম নিয়ে
ভাস্বরী পাখিটিও দিগন্তে মিলিয়ে গেল
আলেয়ার আলোয়ে………..
কি কপোল পোড়া
কি কপাল পোড়া
কত মোহকাল এসে আমার আসমানী বারান্দায় মার্বেল খেললো
শুধূ ধুসর সন্ধ্যাকালে তোমাদের উদ্দেশে
দীর্ঘ কবিতা লেখে লেখে সূচনা ডায়েরীর শেষ পৃষ্ঠায়
আমি ও পৌছে গেছি কালের বিষন্ন খেয়ায় |
আমার আসমানী বারান্দায়
সোনা ঝরা রোদ্দুর মার্বেল খেলে
পর্বতচূড়ায় সমুদ্রবাতাস গড়িয়ে এসে
জানালার কার্নিশে রঙিন উৎসব করে
এমন অবেলায়-সাইকাসের মগডালে
একটি ভাস্বরী পাখি নির্নিমেষ নয়নে তাকিয়ে রয়
আমার নি:স্ব বেডরুমে
পড়ে আছে
এলো মেলো কবিতার পঙ্তিমালার ছেঁড়া কাগজ
বড় অবাক লাগলো তার !
কোথায় থেকে এলো এই অবতার?
পাহাড়ের পাদদেশে
সবুজ গালিচায়
এই কি তবে নি:স্ব নারীহীন কবি?
তবে কি নারীহীন কবি!
অথচ দ্যাখো হ্নদয় উপোকূলে তার
এক সমুদ্রফেনা পূর্ণনীর
অজস্র কবিতার ফুরফুরে সজীব পঙ্তি
কি অপরুপ প্রাণোউচ্ছ্বাস শৈল্পিক অবয়ব
অসীম নীলান্ত জুড়ে কবিতার ফুটন্ত ঘাসফুল
যেনো এক-স্বপ্নের হরিৎমোহকানন
অবিনাশীপ্রেমের এক আত্তারাম পাখি ভালোবাসি
ভালোবাসি আর্তনাদে ডাকে আত্তার ভেতরে-
বুকের পাটাতন ভাঙ্গে রক্তের প্রবলস্রোতে বজ্র নিনাদে
কে দেবে সাড়া কে দেবে !
এমন ক্ষণ কন্দরে রবীঠাকুর এসে গান ধরে
“আমর বেলা যে যায়
সাজ বেলাতে”… …
কি আপদমস্তক কবি !
কবিতার যে বাড়ন্ত শিশুটি জন্ম নিলো সদ্য
নিসর্গ উদ্যানে সে এখন হামাগুড়ি দিয়ে
হাঁটুবলে করোটি থেকে চরণধুলিতে..
হয়তো কালোত্তীর্ণ হবে কোন একদিন-
কি অদ্ভুত ! কি একা-
অনতিদূরে,
এক পশলা বৃষ্টি চুঁয়ে গেল নিঝুম দ্বীপের শরীর
থর-থর-কাঁপে কিংশুকপাতার দেহ
কিছু প্রজাপতি এলো মিষ্টি আলাপন নিয়ে
অহিংস মৎসকুমারীরা মিছিলে মিছিলে সমুদ্রস্নানে নামে
খানেকপরে অদূর পাহাড়ে রৌদ্রতেল মেখে
ঝরণা তলে এক নিসর্গধারিণীর মাতাল নৃত্য
সমস্ত পাহাড়ের মুগ্ধতা তাঁর্ শরীরে নক্ষত্র হয়ে ফুটে
কি কামুকী তন্বঙ্গী রমণীর মাদকীরুপ
অসম্ভব তপস্যা প্রিয় তূষ্ণীনিশিপরীরা
একমুঠো জোৎস্নাজল নিয়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে
সীমাহীন তারা আচড়ে পড়ে আসমানী বারান্দায়
আদিবাসী রমণীদের নিতম্বে খুলে হারানো ছন্দ
চোলাই মদ, কচিবাঁশের মুকুল
পাহাড়িয়া ফুলের সৌরভী ঠান্ডা বিশুদ্ধ বাতাস
বিষন্ন কবির আপ্যায়ন
দ্যাখো কি ক্ষুধার্ত চাহনি আর কি করুণ
রুগ্ন নষ্টালজিয়াভোগী
তবুও কি মিটেনি তরুণ কবির জঠর !
কথার পিঠে কথা উন্মাদ হয়ে ফুটে
প্রকাশ্যে ত্রপাকবি’র চৈতন্যে না বলা কথাগুলো তিরিক্ষিঅশ্বে দৌড়
দেবে কি কামুকী আতঁর
তুমুল প্রিয় দুটি স্তনফুল
সফেদ সুরম্যে কম্পিত কারুময় তনুপাহাড়
ভালোবাসার অতল জলরস-রসাতলে
সন্ধানীচোখ খুঁজে
কোন শশীমুখ কামিনীর কায়া-ছায়া-প্রচ্ছায়ার আকর !
তীব্র আকাঙ্খার ঝড় বযে যায় বক্ষপিজ্ঞরে
সনাতন সামাজিক রীতিনীতি ভেঙ্গে দিবো কি তবে, ইশ্বরী?
কিছুই চাইনি স্বল্পদৈর্ঘ জীবনে
অল্প অল্প সুতীব্র সুখ চাই
এই সব আতিথেয়তা আমার বদহজম হয়
ভালোবেসেই বেপুচ্ছাদিত রস চাই
তোমার রসসমুদ্রে আত্তাহুতী দেওয়ার ইচ্ছাই প্রবল জাগতিক প্রহরে
পড়ন্ত বেলার শেষ রাত্রিতে
এই সব শুনে-
বিস্ময়াবৃত বিমুখ মন নিয়ে “অহেতুক ফ্যাচাল” বলে-
অবিনশ্বরী ঐন্দ্রজালিক ডানার ওম নিয়ে
ভাস্বরী পাখিটিও দিগন্তে মিলিয়ে গেল
আলেয়ার আলোয়ে………..
কি কপোল পোড়া
কি কপাল পোড়া
কত মোহকাল এসে আমার আসমানী বারান্দায় মার্বেল খেললো
শুধূ ধুসর সন্ধ্যাকালে তোমাদের উদ্দেশে
দীর্ঘ কবিতা লেখে লেখে সূচনা ডায়েরীর শেষ পৃষ্ঠায়
আমি ও পৌছে গেছি কালের বিষন্ন খেয়ায় |
=============================================
~~(উৎসর্গ:পৃথিবীর সমস্ত ধর্ষণের শিকার নারীদের)~~
অচিনপারে কা’র চিৎকার!
শীতের শরীর ভেদ করে আসে আমার হরিণকর্ণের ভেতর
আল্লার কসম
মা-কালির দিব্যি
যিশুর ক্রুশবিদ্ধ রক্তের কসম
আমার নি:শ্বাস ফিরে দাও ধরাধমে
তোমাদের পায়ের কাছে রেখে দিও
শুধু মানুষের মত নিশ্বাসটুকু দিও
জানি দিবেনা ।
শিশিরের জালবুনা নগর সেই দিন নিশ্চুপ
পথেরযানে পথেরই বেজন্মা কুকুরের উল্লাসঝড়
আমার নিরুপায় বেপু
তোমাদের দিলাম
আমার ভাঁঙ্গাপাঁজর, অস্থিমজ্জা
অসমাপ্ত বইগুলো, ভাঙ্গা স্বপ্নকাঁচ
রক্তের স্রোত…
দ্যাখো নৈসর্গ শান্ত, কি মৌনব্রত..
ইশ্বর ও কি নীরব দর্শক !
অজস্র কবিতা লিখবো বলে
একটাও লিখতে পারিনি
পঞ্চঅঙ্গুরী হাত আমার বজ্রমুষ্ঠি ব্যোমে
শীতের বিরুদ্ধে শীত প্রতিবাদে নেমেছে
শশ্মান ঘাটে দেহের চাঁইভস্ম উড়ে পড়ে মানুষের মুখে
ধিক্কার বিবেক! ধিক্কার মানবিক বিবেক!
অচিনপারে কা’র চিৎকার!
শীতের শরীর ভেদ করে আসে আমার হরিণকর্ণের ভেতর
আল্লার কসম
মা-কালির দিব্যি
যিশুর ক্রুশবিদ্ধ রক্তের কসম
আমার নি:শ্বাস ফিরে দাও ধরাধমে
তোমাদের পায়ের কাছে রেখে দিও
শুধু মানুষের মত নিশ্বাসটুকু দিও
জানি দিবেনা ।
শিশিরের জালবুনা নগর সেই দিন নিশ্চুপ
পথেরযানে পথেরই বেজন্মা কুকুরের উল্লাসঝড়
আমার নিরুপায় বেপু
তোমাদের দিলাম
আমার ভাঁঙ্গাপাঁজর, অস্থিমজ্জা
অসমাপ্ত বইগুলো, ভাঙ্গা স্বপ্নকাঁচ
রক্তের স্রোত…
দ্যাখো নৈসর্গ শান্ত, কি মৌনব্রত..
ইশ্বর ও কি নীরব দর্শক !
অজস্র কবিতা লিখবো বলে
একটাও লিখতে পারিনি
পঞ্চঅঙ্গুরী হাত আমার বজ্রমুষ্ঠি ব্যোমে
শীতের বিরুদ্ধে শীত প্রতিবাদে নেমেছে
শশ্মান ঘাটে দেহের চাঁইভস্ম উড়ে পড়ে মানুষের মুখে
ধিক্কার বিবেক! ধিক্কার মানবিক বিবেক!
===========================================
~~হৃদয় দিয়ে বুঝতে পারি~~
বুকের ভিতর কষ্ট ওরে ভালোবাসা নষ্ট
আগুন জ্বলছে, বাগান পুড়ছে বাগান,
কোথায় তুমি আমার জানের জান!
নিঃশ্বাসে ভেঙ্গে হলো হৃদয় খান খান।
ভিতরে কষ্ট নিয়ে পাওয়া যায় কী-
ভালোবাসার মানিক রতন ?
তোমায়, হৃদয় দিয়ে বুঝতে পারি
কখন তোমার ছন্দপতন।
সুযোগে, ভালো একটা ছ্যাঁকা দিয়েছো
লাল আলোতে আমায় পোড় দিয়েছো,
স্বঃস্বর্থে, আপন মানুষ ছাড় দিয়েছো
ভুলে,পরের কাছে হার মেনেছো।
আমার মতো, নিঃস্ব হয়ে তুমিও যাবে
ধুকে ধুকে তিলে তিলে অনুতাপে,
নীলাকাশের চাঁদের মাঝে আমায় পাবে
দেখবে তুমি? দোখো জ্যোৎস্না রাতে।।
বুকের ভিতর কষ্ট ওরে ভালোবাসা নষ্ট
আগুন জ্বলছে, বাগান পুড়ছে বাগান,
কোথায় তুমি আমার জানের জান!
নিঃশ্বাসে ভেঙ্গে হলো হৃদয় খান খান।
ভিতরে কষ্ট নিয়ে পাওয়া যায় কী-
ভালোবাসার মানিক রতন ?
তোমায়, হৃদয় দিয়ে বুঝতে পারি
কখন তোমার ছন্দপতন।
সুযোগে, ভালো একটা ছ্যাঁকা দিয়েছো
লাল আলোতে আমায় পোড় দিয়েছো,
স্বঃস্বর্থে, আপন মানুষ ছাড় দিয়েছো
ভুলে,পরের কাছে হার মেনেছো।
আমার মতো, নিঃস্ব হয়ে তুমিও যাবে
ধুকে ধুকে তিলে তিলে অনুতাপে,
নীলাকাশের চাঁদের মাঝে আমায় পাবে
দেখবে তুমি? দোখো জ্যোৎস্না রাতে।।
===========================================
~~স্বপ্ন আগলে ছুটে সবাই~~
মনের স্বপ্নের নড়ন-চড়ন হয়,
স্বপ্নভ্রষ্ট হতে চায় না কেউ
মনে মনে স্বপ্ন লালন হয়।
স্বপ্নের ভেতরে স্বপ্ন দেখে সবাই
সাদা রাজহাঁস, সাদা কবুতরের,
একরাশ স্বপ্ন আগলে ছুটে সবাই
সাদা বলাকা কিংবা বেলিফুলের।
স্বপ্নের ভেতরে স্বপ্ন থাকে
তার ভেতরে পুঁটুলি রাখে
এর ভেতরে একটাতে রং-তুলি
আরেকটাতে রাখে কালি-ঝুলি।
সব স্বপ্ন রঙিন হয় না তবো
ভালোবাসে সবাই স্বপ্ন দেখতে
ধুলোমাখা মাঠে পা বাড়ানো পথে
স্বপ্ন দেখে যাই অজানা আহবানে।
ধুলোর ভেতর হামাগুড়ি দেওয়া শিশু,
কিংবা এক পা-দু পায়ের মানুষ
এগিয়ে চলা জীবন টাকে সম্মুখপানে
অতশত না ভেবেই সবাই বেহুস।
দুঃসাধ্য আশা ছাড়া এগিয়ে চলা
মানুষ বাঁচতে পারে না স্বপ্ন ছাড়া
অজানার আহবানে এগিয়ে চলা
ছেলেমানুষিকে বন্ধু করে বাঁচার খেলা।
============================================
~~ছিন্নভিন্ন জীবন~~
যদি সন্মুখে যাই
কুয়াশায় ভিজে ওঠে দেহ,
যদি আড়ালে থাকি
বাঁকা চোখো করেছে সন্দেহ।
যদি পিছনে ফিরি
অতীথ সাঁড়াশি দিয়ে টানে,
যদি ভিতরে যাই
ফিরে আসি আত্ন অভিমানে।
যদি নিজেকে টানি
অভিমানে হয়ে যাই একা,
যদি মুখোশ খুলি
বুকটান দাঁড়ায় অদেখা।
যদি গুটিয়ে রাখি
শিরদাঁড়া প্রতিরোধ করে,
যদি উজার করি
মুগ্ধছায়া লুকোয় অম্বরে।
যদি বিভেদ টানি
ততই হয়েছি একাকার,
যদি চক্ষু বুজি
আলোকিত হয়েছে আঁধার।।
=============================================
নারী তুমি উজ্জল নক্ষত্রের দীপ্ত তিলোত্তমা
নারী তোমার সৌহাদর্ প্রীতিত্বের হয়না তুলনা !
নারী তুমি যুগে যুগে দগ্ধঘেরা অমাবস্যার রাত
নারী তোমার এইতো সময় বাড়িয়ে দাও হাত !
নারী তুমি এগিয়ে চল দুর্জয় কর নিমর্ান .....
নারী তোমার সমঅধিকারের,আর নেই পিছুটান,
নারী তুমি সম্মানি সনদ তুমিই আমার বোন-মা
নারী তোমার এ অগ্রযাত্রায় নিরলস শুভ কামনা ।
নারী তোমার সৌহাদর্ প্রীতিত্বের হয়না তুলনা !
নারী তুমি যুগে যুগে দগ্ধঘেরা অমাবস্যার রাত
নারী তোমার এইতো সময় বাড়িয়ে দাও হাত !
নারী তুমি এগিয়ে চল দুর্জয় কর নিমর্ান .....
নারী তোমার সমঅধিকারের,আর নেই পিছুটান,
নারী তুমি সম্মানি সনদ তুমিই আমার বোন-মা
নারী তোমার এ অগ্রযাত্রায় নিরলস শুভ কামনা ।
==========================================
~~মানুষ থাকলাম না~~
আমার জন্ম নিশ্চয় আঁতুরঘরে হয়েছিলো?
জন্মেই নাকে লেগেছিলো নেবুপাতার ঘ্রাণ।
সত্য বলছি? সত্যি বলা আমার মনের বিবাদ,
নেবুপাতার ঘ্রাণটাই ছিলো পৃথিবীর প্রথম আস্বাদ।
তারপরই ফুঁপিয়ে কেঁদেছিলাম।
ভয় পেয়েছিলাম, নাকি দুঃখে?
দুটোই তো মানুষকে কাঁদায়!
কিন্তু মানবশিশু কেন কাঁদবে ?
একা একা আমি কেবল বকবক করছি,
আসলে মনের যন্ত্রনায় ছটফট করছি।
এটা কি কোন কবিতা হলো?বলো
এখানে আর নয় কেটে পরি চলো।
কিন্তু মুখ দিয়ে কিম্ভূত কিছু শব্দ ছাড়া,
কিছুই বেরুচ্ছে না, মাথামুণ্ডু বুঝছেন না।
যেদিন থেকে শুরু করলাম পাথর খাওয়া
আমি আর মানুষ থাকলাম না।
বেশি পাথর খাই আমি প্রথম জীবনে,
পাথর খাওয়া শিখে ফেললাম অল্প দিনে।
প্রথম প্রথম ধুরি ধুরি নুড়িগুলো খেতাম,
তারপর ডিম সাইজের পাথর খেতাম।
তারপর ফুটবল সাইজের পাথর খাওয়া শুরু,
খেয়াল করলাম মুখে দাঁতগুলো নেই! গুড়ু।
তখন কী আর করি!গিলতে শুরু করি,
দাঁত নেই, তো গিলে ফেলি,মনে আছে, ভুলিনি।
তারপরই বদলে গেলো আমার সবকিছু,
দাঁতের জন্য দৌড়েছি ডাক্তারের পিচূ পিছু।
আমি পাথরখেকোর দলে নাম লেখালাম!
এখন পাথরও চিবুতে পারি না, ফিরে এলাম।
আগে তো দাঁতে পিষে গুড়োগুড়ো করে খেতাম,
মনে হতো মিসরিদানা খাচ্ছি!কী মজা পেতাম।
আমার পেটটাকে মেশিন বলতে পারেন,
মেশিন না হলে কি আর বলবেন?
শালা কী ছিলাম সব হজম করে ফেলতাম,
আবার কোনো দিন ইচ্ছা হয় পাথর খেতাম।
নিজের একটা চোখ এখনই উপড়ে,
মাছের মাথা খাওয়ার মতো খেতে।।
=========================================
যদি কোন এক ভোরের পাখিডাকা গুঞ্জনে ঘুম ভেঙে শোন
তোমার প্রিয় সেই মানুষটি আর নেই.....................
পরিতাপের শোকাতর্ অশ্রু জ্বলে ভাসিয়ে দিওনা আমায়
আমি তখনো ধ্রবতারা হয়ে ভালোবাসবো তোমায়,
কখনোবা দক্ষিণা হিমেল হাওয়ায়.......................
কখনো প্রচন্ড রোদ্দুরে সূযর্্যের বুকে মেঘের ছাঁয়া হয়ে
কখনোবা তোমার অজান্তে রাতের ঘুম হয়ে-
আসবো তোমার প্রসিক্ত দু'নয়নে.......................
কখনোবা শিশির বিন্দু হয়ে স্পশর্ করবো তোমায়,
আমি বেঁচে থাকতে চাই তোমার বিমূতর্ চিন্তা চেতনায় !
তোমার প্রিয় সেই মানুষটি আর নেই.....................
পরিতাপের শোকাতর্ অশ্রু জ্বলে ভাসিয়ে দিওনা আমায়
আমি তখনো ধ্রবতারা হয়ে ভালোবাসবো তোমায়,
কখনোবা দক্ষিণা হিমেল হাওয়ায়.......................
কখনো প্রচন্ড রোদ্দুরে সূযর্্যের বুকে মেঘের ছাঁয়া হয়ে
কখনোবা তোমার অজান্তে রাতের ঘুম হয়ে-
আসবো তোমার প্রসিক্ত দু'নয়নে.......................
কখনোবা শিশির বিন্দু হয়ে স্পশর্ করবো তোমায়,
আমি বেঁচে থাকতে চাই তোমার বিমূতর্ চিন্তা চেতনায় !
==============================================
~~দেয়াল~~
বাঁধাগ্রস্ত আমার দৃষ্টি সীমা
চারিদিকের কৃত্রিম দেয়ালে বন্দী
আমাদেরই তৈরি করা মনের দেয়ালে
খুব কি বেশী পার্থক্য অন্ধত্বের সাথে
নিজেকে বন্দী করে রাখার এ তৈরি দেয়াল
কিংবা স্বেচ্ছায় নিজেকে বিভ্রান্ত করে রাখা
মনকে চোখের আড়াল করার খেয়াল?
আমরা আজ দেখতে চাই না চোখ মেলে চারিদিকের
অশোভন চারিত্রিক সব মনুষ্যত্ব
চোখ বুজে নিজেকে আড়াল করে রাখি
দেখতে যাতে না হয় মানুষের সব পশুত্ব;
ক্ষুধায় জর্জরিত পৃথিবীর রূপ
শীতার্ত মানুষের অভিশপ্ত জীবন যাপন
নারী লোলুপ অমানুষদের গণ ধর্ষণ এর শিকার
মানুষরূপী হায়েনাদের বর্বর নিঃশংস হত্যাকান্ড আর অত্যাচার।
পালিয়ে থাকি আমরা নিজের মাঝে নিজে দু চোখ বন্ধ করে
চোখের সামনে মনের আড়াল তুলে
কিংবা মনের সামনে অন্ধত্বের এক মেকি দেয়াল তুলে;
এভাবে আর কতকাল?
নিজেকে করে রাখব আড়াল;
নিজে হতে?
সময় এসেছে আজ দেয়াল ভেঙ্গে ফেলার
দেখি না কতটুকু হয়েছে আজকের সভ্যতার অগ্রগতি
কিংবা অসভ্যতার পরিণতি!
আজ সময় হয়েছে দেয়াল ভাঙ্গার, মনের ও চোখের
আর কিছু না হোক চারিদিকে অসংলগ্নতা দেখে
মনেতে জাগবে তো একটু ভয়!
আর যদি কোনো কারণে বিবেক একটু কথা কয়
তবে চোখেতে আসবেই একটু জল
দেখে চারিদিকের অযাচিত কোলাহল।
তবুও তো নিজেকে একটু সান্ত্বনা দিতে পারব –
আমি এখনও মানুষ আছি
আমি আজো মানুষ হয়ে বেঁচে আছি।
বাঁধাগ্রস্ত আমার দৃষ্টি সীমা
চারিদিকের কৃত্রিম দেয়ালে বন্দী
আমাদেরই তৈরি করা মনের দেয়ালে
খুব কি বেশী পার্থক্য অন্ধত্বের সাথে
নিজেকে বন্দী করে রাখার এ তৈরি দেয়াল
কিংবা স্বেচ্ছায় নিজেকে বিভ্রান্ত করে রাখা
মনকে চোখের আড়াল করার খেয়াল?
আমরা আজ দেখতে চাই না চোখ মেলে চারিদিকের
অশোভন চারিত্রিক সব মনুষ্যত্ব
চোখ বুজে নিজেকে আড়াল করে রাখি
দেখতে যাতে না হয় মানুষের সব পশুত্ব;
ক্ষুধায় জর্জরিত পৃথিবীর রূপ
শীতার্ত মানুষের অভিশপ্ত জীবন যাপন
নারী লোলুপ অমানুষদের গণ ধর্ষণ এর শিকার
মানুষরূপী হায়েনাদের বর্বর নিঃশংস হত্যাকান্ড আর অত্যাচার।
পালিয়ে থাকি আমরা নিজের মাঝে নিজে দু চোখ বন্ধ করে
চোখের সামনে মনের আড়াল তুলে
কিংবা মনের সামনে অন্ধত্বের এক মেকি দেয়াল তুলে;
এভাবে আর কতকাল?
নিজেকে করে রাখব আড়াল;
নিজে হতে?
সময় এসেছে আজ দেয়াল ভেঙ্গে ফেলার
দেখি না কতটুকু হয়েছে আজকের সভ্যতার অগ্রগতি
কিংবা অসভ্যতার পরিণতি!
আজ সময় হয়েছে দেয়াল ভাঙ্গার, মনের ও চোখের
আর কিছু না হোক চারিদিকে অসংলগ্নতা দেখে
মনেতে জাগবে তো একটু ভয়!
আর যদি কোনো কারণে বিবেক একটু কথা কয়
তবে চোখেতে আসবেই একটু জল
দেখে চারিদিকের অযাচিত কোলাহল।
তবুও তো নিজেকে একটু সান্ত্বনা দিতে পারব –
আমি এখনও মানুষ আছি
আমি আজো মানুষ হয়ে বেঁচে আছি।
================================================
No comments:
Post a Comment