Sunday 4 August 2013


~~বহু দূরে~~

 

বৃষ্টি আমার নিত্য সঙ্গি
তবু কেন খড়ার সাথে সন্ধি 

কাঠ ফাটা রোদে পৃথিবী পুড়ে
মর্মর সুরে পাতারা ঝরে 

তোমরা বল সবুজ পৃথিবী 
আমিতো দেখি মলিন মরুভূমি 

নিরাশায় দুটি চোখে বর্ষা নামে
বেদনার গান - 
কে যেন শুনায় কানে কানে 

সর্ষে ফুলে ফুলে ভ্রমরেরা উড়ে 
মধু জমাবার আঁশে

তার ঘরেতে থাকে না মধু
অন্যরা নিয়ে যায় ডাকাতি করে 

স্বপ্ন দেখায় সে কোন ভ্রষ্টা 
সেতো নয় যুগের স্রষ্টা 

ছেঁড়া কাঁথা ছিঁড়ে যায় আরও 
লক্ষ টাকা যায় আরও দূরে সরে 

অন্ধ কারের রাত্রি আরও বেড়ে যায় 
পাই না খুজে স্বস্তি 

মনের কোনেতে আগেই ঘুণ ধরেছে
এবার ঘুনে ধরেছে অস্তি 

বসত ভিটা নিলামে তুলে 
হতে চেয়ে ছিলাম হস্তি

ভূমিহীন আমি খুজে পাইনা- 
মাথা গোঁজার ঠাই 

খুজে পাই না কোন বস্তি 

তাই হতাশার বাতাসে যাই উড়ে
দূরে , বহু দূরে  
================================================
~~আলো ছায়ার খেলা~~ 
 

রাতেঁর মেঘেঁরা খেলে যায় একি খেলা ,
চাঁদকে ঢেকে দিতে ব্যাস্ত সারাবেলা । 

টিপটিপ তারাঁ গুলো মিটিমিটি জ্বলছে ,
তার সাথে জোনাকিরা
পাল্লা দিয়ে চলছে ।

তুমি হেসেছো তাই এত
আয়োজন
তুমি আমার ভালবাসার
প্রিয়জন 
 
===================================================

~~কথাঃ~~

তার রূপে যেন অভিমান 
এতো মধুর লাগে
কতো আদর রক্তিম ঠোঁটে
মরুও সোহাগ মাগে ।।

কাজল কেশে আঁধার লুকায়
আঁচলে হারায় বাতাস
মন তার মনের মাঝে
লুকিয়ে রাখে বিশ্বাস
এতো সুধা পান করি
পরাণের মধু বাগে ।।

ফুলের পাপড়ি কতো মিহিন
তুমি তারও অধীক
শরীর বেয়ে নামে সুন্দর
যেন ভালবাসার প্রতীক
ভ্রমর ছুটে বকুল ঘ্রাণে
ওয়াহিদ তোমার রাগে ।।
============================================

~~কৃষ্ণ বিবরে~~

ইংগিত পাই- প্রায় প্রতিনিয়তই

আমার সোহাগ বন্দনা গুলো,
আড়াআড়ি ভাজ করা খামে
জমা হতে থাকে,
পায়ে পায়ে চলে
অবিরাম, অবিরত ঠিকানার খুঁজে।

সময়ের উলটোরথে দিনগুলো চলে উল্টোপায়-

তাই চোখের কর্নিয়া থেকে গন্তব্যে পৌঁছেও
কোনো ছবি আর আকৃতি পাবে না জানি।
প্রকৃতির অবশেষ অবকাঠামোও ভোজনে বিলীন
হবে মৃত্তিকা উদরে।

আলগা মুঠয় কি ধূলিকণা ধরে রাখা যায়?
তেমনি জীবনের স্থিতি গুলো দ্রুত লয়ে হেঁটে চলে
পললিত অবস্থা থেকে ক্রমশ বন্ধ্যত্বের দিকে।

এভাবেই নিত্যদিন প্রিয়তম নিঃশ্বাস চূর্ণ হতে থাকে
আকাশটা ভাজে ভাজে উল্টে যায় পাতা
শেষের মলাটে জমা অবশেষ অবসাদ কৃষ্ণ বিবরে।

আর মাত্র দু কদম বাঁকি,
তাঁর পরই অনায়াসে ছোঁয়া যাবে অসীম প্রহর। 
=================================================
~~কবির রুপ~~

কবির ঢোল বাজে কবিত্ব আকাশে
কিন্ত কবি নিজেও জানেনা সেই কবিতার মানে ।
লিখে যাই মন যা চাই
আবেগে গড়ি পর্বত হিমালয়
রাজার কন্যারে রাখাল ছেলের গলায় ঝুলিয়ে দিই
নিমেষেই ।
পাঠক খুশি সে খুশি এইত ।
কবি তার কবিতায় কখনো বাস্তব রুপ যদিওবা পাই
কিন্ত তার বাস্তব জীবনের রুপ সে কখনো পাইনা ।
মানতে হবে এটাই কবির বাস্তবতা
বহতা ।
কত হাহাকার করুণার জীবন যাপন
তবুও যার নাম কবি, মানব শোধন ।
=============================================

~~ঈদ হোক সকলের~~


ঈদ হোক দীন দুখি, ধনিকের
ঈদ হোক চাকুরে বা বনিকের
ঈদ হোক মুটে চাষা কুলিদের
ঈদ হোক শ্রমজীবি জুলি'দের
ঈদ হোক দোকানি বা কবিদের
ঈদ হোক বোবা মেয়ে ছবি'দের
ঈদ হোক লেখক বা পাঠকের
ঈদ হোক খাঁটি। নয় নাটকের।

ঈদ হোক অফিসার গৃহিনীর
ঈদ হোক সুন্দরী শ্রী-হীনির
ঈদ হোক বয়সী বা ছেলেদের
ঈদ হোক নদীবাসী জেলেদের
ঈদ হোক যুবা শিশু নারীদের
ঈদ হোক গা আদুল বারী'দের
ঈদ হোক বহুতল মালিকের
ঈদ হোক গৃহহীন খালিকের।

ঈদ হোক মামি নানু মামাদের
ঈদ হোক আয়া, খানসামাদের
ঈদ হোক দাদু জ্যাঠা চাচাদের
ঈদ হোক ছোট কচি-কাঁচাদের
ঈদ হোক প্রেয়সী ও মা-বাবার
ঈদ হোক কু-ভাবনা না ভাবার
ঈদ হোক রায়হান ও রাফিনের
ঈদ হোক সোনামুখ শাফিনের।
অবসান হোক মেকী নকলের
ঈদ হোক ধরা জুড়ে সকলের।
===========================================
অন্যের কাছে তুমি কেমন সেটা না ভেবনা।
তুমি নিজের কাছে কেমন সেটা ভাবো।
তাহলে বুঝবে তুমি ভালনা খারাফ।
পৃথিবীতে সুন্দর মানুষ নয়।
ভাল মানুষের প্রয়োজন।
=========================================

~~আসমানী নিলিমা~~

আকাশের দিকে চেয়ে দেখি তোমাকে
কত খুজেছি বাসাঁয় ফেরা গাংচিলের দলের মাঝেঁ ,
সুমেরু থেকে কুমেরুতে কোথাও নেই এই আলো ছায়ার মাঝেঁ ।

আকাঁশের নিলিমায় লুকিয়ে আছো
বলেছে সন্ধাতারা
তোমায় হারিয়ে আমি বড় দিশেহারা ।
=============================================

~~কেনো ফিরে এলে~~

কতোদিন পরে হৃদয়ের দরজায় তোমার পদচিহ্ন
ভেবেছিলাম ভুলেই যাবো যতোটুকু হয়েছে মনোমালিন্য
আবেগের মনিকোঠায় যতোটুকু নিরবে জড়িয়ে রাখতে
কতোটা সময় চলে গেছে তবু পারিনি ভুলে থাকতে
তপস্বিনী নীরবতায় স্তব্দ হয়ে গেছে এই অনচিত্ত
চেতনার নিস্কারণ বেদনায় কুড়ে কুড়ে খেয়েছে নিত্য
স্মৃতির মায়াজালে হারিয়েছি অযাচিত মোনে কতোবার
সখের বাস্তবতায় যতোটুকু পেয়েছি সবই হারাবার
কতোটা সময় কেটে গেছে অপেক্ষিত প্রাণহুতাশনে
সন্ধা হয়েছে তবু জ্বলেনি প্রদীপ আঁধার ঘেরা মোনে
ধুলোপড়া চিঠি বারবার দেখেছি তোমার লেখা কথা
ক্ষণতরে ছিলে হৃদয়ের অতিথি তাইতো পেয়েছি ব্যাথা
আবার কেনো এলে অবেলায় বলো কোনসে মায়ায়
সুখ চাইনা আর,হারাতেই চাই আঁধারের ছায়ায়
মৌনতার ভুলে দেখতে চাইনা আর কোনো আলো
দীপ্ত অনলজ্বালায় ক্ষত গহীনে আজ শুধুই কালো
ওগো উম্মাদ অতিথি তোমাকে দেয়ার মতো কিছু নাই
দীর্ঘপথে ক্ষয়ে ক্ষয়ে গেছে যতোটুকু ছিলো সবই তাই
বাসনা বিহগ দূর্গম পথে পথে কতোটা দিয়েছি পাড়ি
অচল স্মৃতি হবেনা সচল কভু,যতো করি আহাজারি
তাইতো বলি ফিরে যাও আবার নতুন কোন গগনে
তোমার লীলাক্ষেত্র মুখরিত করো বিজয়ী মননে 
=========================================
= ~~আড়ি~~ =
 

কোন এক মধ্য রাতের আগে
খুঁজেছিনু প্রেম একলা অন্ধকারে
সেদিন পূর্ণিমা ছিল মেঘে ঢাকা
হয়তো লজ্জায় ঢেকেছিল মুখ
তোমার অন্তরঘরে আমার প্রবেশ।
লাগালে আগল দ্বারে অন্ধকারে
বললেম, দীপ জ্বালো?
তুমি কিছু বললে না
স্তব্ধ নির্বাক অভিমানে।
ততক্ষণে দু'দণ্ড কেটে গেছে
অতঃপর বললে, যে দীপ নিভে গেছে
আর কি জ্বালাবার দায় আছে?
বুঝলেম, গ্রন্থি হতে ছিন্ন হয়েছে অঙ্গুলি
সময়ের কাছে হয়েছি ঋণী অনেক
এ ঋণ কি শোধ হবে
জীবনে যতদিন বাঁচি।

এখনো ভাবনাগুলো এলোমেলো করে
কখনো-বা ছুটে যাই আলো-আঁধারির মাঝে
কখনো-বা গভীর অন্ধকারে, প্রেমের কাছে;
তার সাথে কথা কই আপন মনে।
প্রশ্ন করি আমি কি প্রেমিক তোমার?
বলে, প্রতিদিন এসো আমার কাছে;
আলোর সাথে আমার আড়ি।
==========================================

কদম ফুল এবং ভালোবাসা
জিয়াউর রাহমান জনি।

কদম ফুলের বায়না ধরছে
লোপায়,
কদম ফুল পড়িয়ে দিল
খোপায়।

কে পড়ালো কে পড়ালো
ভালোবাসায় যে ঝড়ালো।
=============================================

~~সেখানে বাহির বলে কিছু নেই~~

তোমাকে ভোলা হয়ে উঠেনি আর৷
শরৎ ভুলে হেমন্ত৷হেমন্ত ভুলে বসন্ত৷
ভোলার ভেতরে ভুল৷
ভুলের মাশুলে আরো কত কিছু৷

তোমার কথা৷ছোট ছোট ব্যথা৷
ব্যথার ভেতরে না জানা কথা
কথার ভেতরে না জানা সুখ
সুখের অনাদরে দীর্ঘ সময়
দীর্ঘ সময় ব্যবধানে হৃদয় অসুখ
অসুখের সঙ্গে সহবাসে হৃদয়
হৃদয়ের ভেতরে ঘর
ঘরের ভেতরে বিড়ম্বনা দেয়াল
দেয়ালে ঝুলে থাকা কিছু প্রতিবিম্ব৷

কোনটা ছোট৷কোনটা বড়
বড় ছোট’র ভেতরে কোনটা আবার অসম্পূর্ণ
অভিমানে মাথা কাটা স্কন্ধের মতো ৷

দেখার ভাবনা নেই৷
ভাবনার সুযোগ নেই
সুযোগের ভেতরে ভরসা নেই
ভরসার ভেতরে আত্মজা নেই
আত্মজার ভেতরে তোমার মুখ
মুখের আদলে স্বপ্ন ম্রিয়মান৷

সব শেষে যেখানে এসে থেমে পরতে হয়
সেখানে বাহির বলে কিছু নেই৷

ভেতরে ভেতরে শুধু তুমি ৷
===========================================

 ~~আয়েশা এক আফগান নারীর কাব্য।~~  

আয়েশা :-------
বাস্তব জীবনে
আছে শয়তান
যদি চাও দেখতে
যাও আফগান
দেখা পাবে নারী ঘাতী
বদমাশ লম্পট
যার কাছে তুচ্ছ
নারীদের ইজ্জত।
যারা করে মারধর
কেটে ফেলে কান নাক
নারীদের ঘৃনা দিয়ে
ছাড়ে শুধু হাঁকডাক।
ওরা ভাবে নারী নয়
সমাজের অংশ
শুধু চায় করতে
নারীদের ধ্বংস।
তাই ভেবে ক্রোধানলে
কাটে নাক আয়েশার
মেয়েটির জীবনে
নামে মেঘ হতাশার।.
বিশ্বটা কেঁপে উঠে
হিংস্র এ থাবাতে
সমাজটা নড়ে উঠে
বেদনা ও মায়াতে।
দয়াবান লোকজন
আয়েশার পাশে যায়
এই দেখে তালেবান
লেজ তুলে পিছু ধায়।
================================================

জীবনে কিছু অপূর্নতা থেকেই যায়.....
কোনো কিছুর বিনিময়ে যা পুরন করা যায় না.....
আর অপূর্নতা গুলো থাকে বলেই জীবন এতো সুন্দর......
===========================================
হয়ত আমি পারব না তোমাকে।
পৃথিবীর সব সুখ এনে দিতে।
কিন্তু এটাই পারবো।?
তোমাকে সারা জীবন ভালবাসতে।
যা তুমি সারা পৃথিবী খুজেও পাবে না।??
.…
.…
.…অসমাপ্ত…
ভালবাস..……ইতি.…
==========================================

~~ভাঙ্গা তরী~~

জীবন যেখানে থেমে ছিল সেখান থেকে শুরু,
ক্লান্ত পথিক চলতে আবার বুক কাঁপে দুরু দুরু ।
তবুও আমায় দিতে হবে পাড়ি বাঁকি অনেক পথ,
দুখের সাগর পাড়ি দিয়ে খুঁজবো সুখের রথ ।
হবে কি কেও সঙ্গী আমার চলতে কঠিন পথে,
যেতে চাইলে হাতটি বাড়াও এসো আমার সাথে ।
ভাঙ্গা তরী ছেড়া পাল তীর হারা এক মাঝি,
তাইতো কেহ সাথে যেতে হয়না কভু রাজী ।
যে আসে একটু কাছে শেষে বিদায় নেই,
ভালোবাসার চেয়ে আমায় দুঃখ বেশি দেয় ।
তাইতো আমি একলা চলি সঙ্গী সাথী হীন,
দুঃখ কষ্ট দুয়ের মাঝে কাটছে আনার দিন ।
==========================================
~~প্রিয়ারা কেন কথা রাখেনা ~~

প্রত্যাশিত ভালোবাসা হয়েছে প্রতারিত
স্পন্দিত হৃদয় হয়েছে কম্পিত
সঞ্চিত স্বপ্ন হয়েছে বঞ্চিত
প্রনয় আঘাতে হয়েছে ক্ষত বিক্ষত !

হুতাশনে প্রেম কেদে মরে নির্জনে
আমার সপ্নচারিনি অন্যের আলিঙ্গনে
স্বর্নালী বসন্ত ডেকে গেলো মিথ্যের আবরণে
তব তার সুখ কামনায় হাত পাতি খুদার সিংহাসনে.

আমরণ আখাংকা থেকে যায় না পাওয়ার
জীবন তবু ও চলমান থেমে থাকেনা
আনমনে সংগুপনে প্রশ্ন যাগে মনে
প্রিয়ার কেন কথা রাখেনা 
!
=============================================

প্রতিদিনের মত তোমাকে,
স্মরন করে ঘুম ভাঙ্গলো।
সারাটা দিন এভাবেই কাটবে আমার।
প্রতিক্ষার কার প্রহর ভীষন,
ভয়ংকর ভীষন জ্বালাময়।
তুমি তো কখন ও আমার কথা ভাবনা।
আমার কথা ভেবে চোখের জল ফেলনা।
তুমি কি বুজবে এ যাতনা।
তুমি তো নির্বোধ,
ভালবাসতেই জানোনা।
=============================================================

~~আত্মকাব্যঃ~~


আমি তোমাকে ভালবাসতে বাসতে
পাথরের কাছে জীবন প্রার্থনা করছি
আমি তোমাকে ভালবাসতে বাসতে
একটি কোকিলের জানাজায় একা দাঁড়িয়ে আছি ।

উলঙ্গ বাতাসের কাছে আজ ফুলটি বড় অসহায়
একটি ভ্রমর দেখি বৃন্ত খসে জীবন হারায় !

দেখে এলাম জীবনের ঘর্ষণে অন্তহীন কূলে
একটি পরাণ কূল হারিয়ে যাচ্ছে অকূলে ।

ভালবাসায় পাহাড় তার ছায়াকে বুকে চায় বলেই
আজ সমতলে ঝরে তার চোখের জল ।
===========================================================
~~স্বপ্নের জগত~~


আমি চলে যাই সপ্নের জগতে,
পুকুড় পাড়ে বসে দেখতে দেখতে ঐ
রুপালী চাঁদের জ্যোত্‍স্না।
কখনো রাতের দ্বিপ্রহরে,
বিশাল খেলার মাঠের কেন্দ্রে একা একা বসে
আকাশ পানে থাকিয়ে।
কখনো গোধূলি বিকেলে নদীর মোহনায় বসে,
তোমার ছোট্ট একটা হাসি মনে করে।
চৈত্রের এক দুপুরে
আমার মনকে তুমি ভেঙে দিয়েছিলে
স্রেফ একটি বাক্যে,
কখনো সেই বাক্যটা মনে করে।
ঝড় শেষে আম কুড়াতে গিয়ে
হয়েছিল মন বিনিময়...
প্রেমময় হয়েছিল আমার পৃথিবী,
কখনো সেই আম গাছে লটকিয়ে থাকা
থোকা থোকা আমের দিকে থাকিয়ে।

আজ এই জ্যোত্‍স্না রাতে
পুকুড় পাড়ে চুপ করে বসে থেকে
ভাবছি তার কথা,
সে যদি পাশে এসে বসতো...!
হাতে হাত রাখতো...!
আসে না সে!
আসবে কি সে?
আসবে কি কেউ?
এভাবে আশা-নিরাশার নানান হিসাব নিকাশে
চলে যাই আরেকটি সপ্নের জগতে।
==========================================================

~~মানুষ থামলে~~

কাঁচের পাশে কাঁচ
কাঁচ বাক্স
মাঝে ফুটে আছে গোলাপ ফুল
মৃত অথবা কোনদিন জন্মায়েনি
কি সুন্দর,চল্ সাজাই ওকে ।
কাঁচের পাশে কাঁচ
কাঁচ বাক্স
মাঝে শুয়ে আছে মানুষ
মৃত অথবা কোনদিন জন্মায়েনি
কি কুৎসিত,চল্ পোড়াই ওকে ।
মানুষ থামলে এতো অপ্রয়োজনীয়,
যন্ত্রের থেকেও ।
=========================================================
~~প্রতিশোধ~~


নিম দাঁতনে দাঁত মেজেছি,মুখ হয়েছে তেতো,
কার পিছনে লাগি এবার,খুঁজতে থাকি ছুতো।
কেউ নেই তো আশেপাশে,যাচ্ছে উড়ে কাক,
হেঁড়ে গলা হাঁকিয়ে বলি,-''ডাক রে বেটা,ডাক।
তোর বাবা-মা আর কিছু তো শেখায় নি রে তোকে,
কা-কা রবে হল্লা জুড়িস কেবল থেকে থেকে।
চার দিকেতে মানুষ কাকে করছে কেবল কা-কা-
শুধুই প্রচার নিজের গুণের,যায় না যে আর থাকা।
মাথায় ওদের শুকনো গোবর,পোকাতে কিলবিল,
ঠুকরে দে গে ওদের মাথায়,নয় তো খাবি ঢিল।
কাক হয়েছিস,বেশ করেছিস,কাকের বাচ্চা থাক,
ময়ূর সাজা মানুষ-কাকের গুষ্ঠি নিপাত যাক''।

হঠাত দেখি,পথ দিয়ে এক যাচ্ছে হুলো বিড়াল,
দাঁত খিঁচিয়ে বলি,-''বেটা,তুই কি চীনের দালাল?
মিঁয়াও,মিঁয়াও করে চেঁচাস,কি পাস ওতে সুখ?
সুযোগ পেলেই চুরি করে,দুধেতে দিস মুখ!
মাছের গন্ধে পাগল হলে,চুরি করেই খাস,
যার ঘরেতে থাকিস,তার-ই করিস সর্বনাশ।
পরের ধনে পোদ্দারি তোর,বেটা রাঙা মুলো।
বাবা-মা য়ে তোকে এমন শিক্ষা দিয়েছিল?
চুরি করিস,আবার চাটিস প্রভুর গায়ের ঘাম।
তোর মত সব মানুষ যারা,তাদের ই আজ দাম।
সাধু সেজে মানুষ বিড়াল ঘুরছে সমাজেতে,
যা বেটা তুই,থাক না গিয়ে তাদের বিছানা তে''।

গালি দেওয়া নয় কো স্বভাব,ইতর তো আর নই,
মনের ভিতর জ্বললে আগুন,চুপ কেমনে রই?
প্রতিবাদের নেই তো সাহস,কেমন করে বলি?
কাক,বিড়ালের উপর গায়ের ঝাল মিটিয়ে চলি।
ওদের গালি দিচ্ছি কি আর ? ওরা তো নির্বোধ,
ভেবে দেখো,কাদের উপর নিচ্ছি প্রতিশোধ।
============================================================
~~নগ্নতা= আধুনিকতা=নেড়ী কুত্তা~~

পর্দা আর হিজাবকে বলা হচ্ছে
অনাধুনিক পোশাক। ইদানীং
মেয়েরা পিনপিনে পাতলা কাপড়ের
হাতাকাটা স্কিনটাইট জামা পরে,
চিপা প্যান্ট হাঁটু অবধি তুলে রাত
বিরাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে রাস্তায়।
নির্লজ্জ পিতামাতা দেখেও নির্বিকার!
শরীর উদোম করে নগ্নতা প্রদর্শনে
ওরা নিজকে স্মার্ট ও আধুনিক
মনে করে গর্বিত হয়। অথচ এ
গৌরব পশুদের।

নগ্নতা যদি আধুনিকতা হয় তাহলে
নেড়ী কুত্তা, রাম ছাগল, গাভী
কিংবা ষাঁড় এরাই বেশি আধুনিক।
=============================================
~~হাসির ছড়া।~~ 


ভিমরতি ------
অনেক আগে পেরিয়ে গেছে
বয়স তাহার আশি
এই সময় বলল নানা
তেতুল ভালবাসি।
নাতি বলে নানা
তেতুল বলা মানা
জানলে লোকে তোমায় ধরে
করবে জরিমানা।
তুচ্ছ হেসে বলে নানা
ওরে নাতি মোর
এই বয়সেও গায়ে আমার
আছে অনেক জোর।
তেতুল এবং আমলকি
সব কিছু চায় আজ
তেতুলে হয় চাঙা দেহ
বলেন কবিরাজ।
এই বয়সে তেতুল চাওয়ার
লজ্জা আমার জানা
তাই তেতুলের জন্য আছে
গোপন আস্তানা।
শেষ বয়সে ভিমরতিতে
তেতুল খোঁজে মন
তাই এখনো দিচ্ছে উঁকি
ঘুমন্ত যৌবন।
=========================================================
~~মালালা~~ 


মালালা :------
কিশোরীর আশা আলোকিত হবে
দুর্গম গ্রাম পাহাড়
অসুর এসে চাইলো ভাঙতে
স্বপ্নটা মালালার।
মালালার চাওয়া লিখবে পড়বে
ছোট বড় সব নারী
আঁধার কাটবে জ্ঞানে ভাসবে
সোয়াতের ঘর বাড়ি।
অর্থনীতি, উন্নয়নে
নারীরা রচিবে ভিত
সমাজ সেবায় নারীও হবে
দীপ্ত পথিকৃত।
হটাৎ পশুর হিংস্র থাবায়
রক্ত ঝরেছে দেহে
আতংকিত হয়নি কিশোরী
নিশ্বাসে বিশ্বাসে।
থামেনি মালালা হাঁটেনি পিছু
খুনিকে পায়নি ভয়
আদর্শ আর বিশ্বাস তার
পথ চলে অক্ষয়।
=======================================================
~~শুভাশীষ~~

দুটি কুড়ির একটি পাতাঁ
সিলেটের ই গৈরবগাথাঁ
অন্তরে অন্তর মেশাই
রাখিও না আর বিষ
সিলেটের কবি ও কবিতার জন্য রইলো প্রাণ ভরা
আমার শুভাশীষ ।

লেখনিটা অটুট রেখো আর রাখিও সাম্য
লেখক হয়ে লেখনির
এটাই আমার কাম্য ।
========================================================
~~কবিতা সমসাময়িক~~

সমসাময়িক শব্দের অর্থে কবিতা ভীষণ
আলগোছ হয়ে যাচ্ছে আজকাল৷
গোষ্ঠী নিরপেক্ষতা নয়৷ গোষ্ঠী প্ররোচনায়৷
জন্জাল বাসি উইঁপোকা সেলফে ভেসে ভেসে
শেষে গিয়ে ঠেকে যা্ছে কবিতার অন্তজ ছায়ায়৷

তবু কবিতা চাই৷ কবিতার কথা৷ কবিতার ব্যথা৷
কবিতাকে নিয়ে শীতের লেপের মত ওম খুঁজে
শেষে ক্লান্ত রাজপথ৷ যেন বৈধব্য আধুনিকতার গাঁথা৷

কবিতা সমসাময়িক!
নাকি সমসাময়িক কবিতার শব্দ আলগোছ হয়ে যাচ্ছে আজকাল৷
সাময়িক অশব্দ সন্ভারে কবিতা নিয়ে উড়ে যাচ্ছে উত্তরের হাওয়া৷ দিনকাল৷ 
=================================================================

ভূত্‌ কি আছে রে ? বিশ্বাসে ভূত্‌ ।
যাস্‌ একা রাতে ? বাঁশ তলা !
তেমনি "প্রেম এক ভূতের গল্প"
রাখে মশগুল 'আশ্‌' তলা ।

মানব মানবী প্রেম ভালোবাসা
ক্ষণিকের মোহ ! চাওয়া, পাওয়া, আশা
বল্‌তে পাইনা সাহস ও ভাষা
ওটাই তবুও বাঁচার বল্‌ ?

বল্‌ এর ছলনে বাঁচ্‌বি ? বল্‌ ?

সহমর্মিতা, সহাবস্থান, সহবাস আর সহযোগী
এই ই তো তোর সংজ্ঞা প্রেমের !
রাজী তুই ? হতে এই রোগী ?

সহ সহ সহ সহজে যে প্রেম
নাই আমি তাতে, বাদ্‌ দে তো !
সহ মরণেও যাবি ? যদি মরি !
তাই বলি প্রেম নাই যে গো ।

তুই ই বল্‌,
থাক্‌তোই যদি প্রেম বলে কিছু
কাবীন লেখকে ছাড়তো কি পিছু ?
স্রষ্টারও বাণী ভালবাসা প্রেমে
পাস্‌ কি ধর্মে ?

খুঁজি তো ! চল্‌ !
===================================================================
~~কবিতা: ছাত্রী-ধর্ষণ~~


প্রেমে বা বন্ধুত্বে
দুষ্টুমি-আনন্দে
ঝরে বৈকালের আবির।

ঘাঢ় সঙ্গোপনে
অনুভবের বাহনে
ঝরায় রাত্রীর ক্ষীর।

বাড়ে অজুহাত
বন্ধ কবাটে রাত
একা অস্থির নিবিড়।

উদোম ভালবাসায়
বুকে কি করে জড়ায়
পরমাত্মীয় শরীর?

পরিমল ও পান্না
লাগছে বড় ঘেন্না
সুশীল সমাজ সুস্থীর।

পিষ্ট হোক পাথরে
কিবা মাটির চাপরে
-এটিই পথ মুক্তির।
=========================================================
~~সমস্ত মুগ্ধতায়~~


আত্মার সমস্ত মুগ্ধতায় তাকে যখন
দেখি;জোছনা রঙের হাসি হাসতে,
জানালার পাশে দাড়িয়ে বৃষ্টির গান শুনতে,
গোধূলি বেলায় বিলের জলে শালুক কুড়াতে,
বড্ড বেশি স্নিগ্ধতায় মাখা তারাভরা রাতে হাটতে,
বর্ষায় এক ঝাঁক সাদা রাজঁহংসীর ভীড়ে,
পঊষের জোছনায় কূয়াশা মাখা ঘাসে,
চৈত্রের জোছনায় সুরমার বাঁকে,
ঐ কাজল কালো চোখ দৃষ্টি নন্দন- নান্দনিকতায়!
এ দেখার শেষ কোথায়?
কে বলবে?
বলতে পারবে কি কেউ?
বলবে কি কেউ!
========================================================
= ~~রৌদ্র ছুঁয়ে যাও~~=

হে রৌদ্র ছুঁয়ে যাও!
হে রৌদ্র! তুমি আমার হৃদয় ছুঁয়ে যাও
যে স্পর্শে হৃদয় ভেঙ্গে যায়
ভালোবাসা হয়ে যায় একাকিনী
তুমি সেরকম আমাকে ছুঁযে যাও।

তোমাকেই ভালোবেসে ছাই হব
ঊর্বর হবে ভবিষ্ণু জীবনের ক্ষেত
আর কি চাইবো বল?

হে রৌদ্র! তুমি ছুঁয়ে যাও আমার শরীর
ওষ্ঠ অধর কম্পিত হোক
স্পর্শে স্পর্শে জেগে উঠুক যৌবন
ঘাসফুলে ভরে যাক জীবন উঠন
নিস্তরঙ্গ জলের মেঘ বর্ষিত হোক
ওঁ জবাকুসুমসঙ্কাশং।
===============================================================







No comments:

Post a Comment