Sunday 4 August 2013


''~~ভেবেছিলাম~~''


আমি ভেবে ছিলাম তোমাকে আর মনে করব না।
কিন্তু সকালের হতচ্ছাড়া সুর্য টা এসেই।
তোমাকেই মনে করিয়ে দিল।
আমার আবার ও মনে হতে লাগল।
যে তোমাকে ছাড়া সবই শূন্য আমার।
=============================================

~~নির্জনতা~~ 


 
বাতাসের শোঁ-শোঁ শব্দে সেদিন তোমার চুল ও উড়েছিলো , 
সেই নির্জনতা রাতে ছড়িয়েছিলো হাসনাহেনার মোহনীয়তা , 
আর ভালবাসার টানে বুনো হাসের দল ছুটে এসেছিলো ।

রাতের আধাঁরে শেয়ালের গোপণ বৈঠক
লক্ষিপেচার দল করেছিলো পন্ড ।
==========================================
~~জলতরঙ্গ~~


এক ফোটা দুই ফোটা
টাপুর টুপুর ,
বৃষ্টি পড়ে টিনের চালে
বাজিয়ে নুপুর ।
রিমঝিম রিমঝিম
অঝোর শ্রাবণধারা ,
সকাল সন্ধ্যা বৃষ্টিতে
মন মাতোয়ারা ।
========================================

~~বধু বরণ~~


বধু এল শ্বশুর বাড়ি
পড়শির নেই ঘুম
গাঁতলো বসে ফুলের মালা
আপ্যায়নের ধুম।
দলে দলে আসলো সবাই
দেখলো গাঁয়ের বউ
একটু দেখেই সবার মুখে
উঠলো খুশির ঢেউ।
উপচে উঠে আনন্দতে
ধরলো সুখে গান
এমন বধুর কল্যানে আজ
বাড়ল গাঁয়ের মান।
এমন ছেলের এমন বধু
কটা গ্রামের জুটে ?
তাই গঞ্জের নারী পুরুষ
কর্ম ফেলে ছুটে।
====================================

“~~স্মৃতিকণ্ঠ উদ্ধার~~”


প্রতিনিয়ত মহাকাশের অই অচেনা ইথারে ইথারে জমা হয়
আমার একটা একটা করে মৌনতা ভরা দীর্ঘশ্বাস।
ভেসে ভেসে বেড়ায় সমুদ্রনীল আকাশটার বুকে
আমার অগোছালো আধভাঙ্গা অশ্রুসিক্ত শব্দমালা।
বুক পকেটের মাউথ অর্গানটায় বড় যত্নে
রাতের নির্জন ছাদে বসে তোলা বিরহের সুর
যেন মিশে যায় হাজার হাজার মহাকালে।

মনে হয়,জীবনের রংগুলো সঞ্চিত হয়
মহাকাশের বিস্তীর্ণ সেলুলয়েডে নিঃশব্দে।
তবু সময়ের উত্তাল সৈকত
আমাকে তাড়িয়ে নিয়ে যায় অতীতের মহাসোপানে
যেখানে ছিলো প্রেম কিছু আলো মাখা সন্ধায়।

আজও দৃষ্টির সীমারেখায় আর্তনাদ করে
সেই সব ধিক্কারময় ম্লান হাসি
ও আমার অতিবিলাসী অকারণ আবেগ।
রাশি রাশি ভালোবাসারা নিজের উপরই
বিদ্রুপ করে একান্ত পরাজয় মেনে।

ইথারে ভেসে যায় আমার পাগল প্রলাপ
যারা করে তোলে দূর্বোধ্য নিজের কাছে নিজেকেই।
ক্লান্তির অবশেষে আমার সহস্র নিঃশ্বাস
তবু চিৎকার করে করে উন্মাদ হয়
তোমাকে ভূলে যাওয়া দিনের গল্প শোনাবে বলে।

তুমি শুনতে পাও আর না-ই পাও
তবু জমা হয়ে থাক্‌ শব্দময় ইথারে ইথারে।
হাজার বছর পরেও কোনোদিন শুনে নিও
মহাকাশের ইথারে,আমার অতৃপ্ত ছন্দগুলো,
আমার বাচাল কণ্ঠ ও নির্মল ভালোবাসার
মাধুরীতে জড়ানো আবেগময় ক’টি শব্দ;
কতবার উচ্চারণ করেছি---
“ভালোবাসি তোমায়”।

========================================
= ~~প্রতীক্ষায় মহাকাল~~ =


রাত্রির বুক চিরে বেরিয়েছে পথে
অন্ধকার কেড়ে নিয়ে গেছে জমাট দুঃখ
কি হবে চেরি রাতের আকাশে ফুটে?
অন্ধকার আরও জোরালো হলে
মহাকাল ডেকে গেছে জোড়হাতে;
শরীরে উদ্বায়ী গন্ধক মেখে
এ কোন কালের যাত্রা তোমার।

জোত্‍স্না ভাঙার গান শুনে শুনে
মনের ক্ষতয়ে ধরেছে অযাচিত ভাইরাস
কোমল অবয়বে ভেষজ প্রলেপ
ভিতরে বাহিরে বিষ
বিষাক্ত চুম্বনে অন্ধকার
অন্ধকার হতে আরও প্রগাঢ় অন্ধকার।

তারপর শূন্য হতে শূন্যে বেমালুম হারিয়ে যাওয়া;
এ যাত্রায় বেঁচে গেলে বলে
ভাবনায় আত্মতুষ্টির শিখরে চরম ঘুর্ণিপাক
সকাল থেকে বিকাল
বিকাল থেকে সন্ধ্যা
সন্ধ্যা থেকে রাত।

আবার রাত্রির বুকে
অসহ্য যন্ত্রনার ঘামে;
মলিন সমকাল।
দিবসের অভিমানে রাত্রিতেই ঝরে গেছে
নাইট কুইন;
এখন পড়ন্ত যৌবনে
থেমে গেছে গোলাপি শাড়ির জৌলুস,
এখন রাতের জোনাকীও হিংসুটে হয়ে গেছে
এখন প্রতীক্ষায় শুধু মহাকাল। 
=============================================
~~এবার তোদের সাহায্য খেলা শুরু~~


সে এক হৈ হৈ কান্ড৷ রৈ রৈ ব্যপার৷
ঠিক যেমন ছোট বেলার চেন টানা রিক্সার পেছনে ছুটে চলছে এক দঙ্গল ছেলে মেয়ে৷
ছুড়ে দেয়া জেমিনী সার্কাসের রঙ্গিন ‘লিফ লেট’
হাওয়ায় উড়ছে৷ধরতে পারছে না ওরা৷

আমি’ও ছুটে চলেছি আজকাল৷
শব্দ ধরতে পারছি না৷ কলমে মোচড় আসছে না শব্দের ৷
আর কবিতা আসছে না হাতে৷ সাদা কাগজে৷
বল্গের তরুন তুর্ককবিরা বলছেন শতকরা পঁচাত্তর ভাগ প্রবন্ধ৷
করেছেন দুঃখ এক সুন্দরী বিদেশিনী সরাসরি কবিতা না হওয়া অভিযোগ৷

প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে৷
সব লেখা কি কবিতা হয় ?
কবিতা প্রকাশিত হওয়া যেন ভাগ্যচাষী চাষ করে লিখে গেল কিছু
সাহায্য সার দিলে না কিছুই৷
কবিতা পড়ে রইলো দপ্তরে৷ ই-বল্গের দুরন্ত আফিসে ধরা ছোঁয়া বিহিন৷
নিয়ম৷ এটাই নিয়ম৷
‘অস্কার’ পুরস্কার অনুপাতে সাহায্য সার চমকায়৷
‘দাবাং’ সবাইকে দাবিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় বাজার চত্বরে৷
‘লাগান’ পড়ে থাকে ‘অস্কার’ প্রাঙ্গনে বিনা সাহায্য সার বিনিময়ে৷

একটি কবিতা আজ নন্দন পার্কে দু চারটি গাছ বাছাবাছি ক’রে
শেষে কোনো এক গাছ ডালে লটকে যায়৷
উন্মেষ করা কয়েকটা পঙক্তি (হলুদ ‘হাইলাইটা’রে বন্দী করা) যদি দিনশেষে পড়ে ফেলে৷
কবিপিতা সব অসহযোগ একপশে তুচ্ছ ক’রে কবিতা সন্তান পিঠে হাত রেখে বলে—
ওরে কাঁচা --ওরে কচি দলবল
গাছের ডালে দোলা দিয়ে যা তোর শরীর পঙক্তিগুলো
শব্দ না ভেঙ্গে স্পষ্ট উচ্চারন ক’রে বল ৷

এবার তোদের সাহায্য খেলা শুরু ৷
================================================

~~ক্রমাগত বদলে যাওয়া মানুষ~~


আমি রাতের বেলা রিস্কা পান করে
গ্রামের রাস্তায় রিক্সা চালাই,
গরুর গাড়ীর হেড়লাইট দেখে
দ্রুত বেল বাজাই টুংটাং বেল,
গাঢ় ঘুমে ক্লান্ত গ্রামবাসীর
শহুরে সঙ্গমের অভ্যেস নেই
ওরা ঘুমোবার জন্য শোয়,
সূর্যের বর্ণালীতে রমণের ফুল ফোটায়।
আমিও শুয়ে শুয়ে আজব সব ছবি দেখি
আমার চোখের পর্দায় নিয়তি দেখি
শব্দহীন ভালুকেরা আমার কানেরলতি চেটেপুটে খায়,
বৃক্ষদের শব্দ অবলীলায় সব কিছু দেখে যেতে থাকে
বদলে যাওয়া মানুষের ক্রমাগত বদলে যাওয়া।
============================================

নোনতা বুড়া পান্তা বুঝে
বটতলা তার বাসা
পঁচা ইলিশ , জাটকা পোনায়
মাটির হাড়ি ঠাসা !
============================================

''~~ দুঃখ~~ ''


দুঃখ সবার মাঝেই থাকে।
কিন্তু সবাই কি তা সইতে পারে।
কেউ সয়ে যায় নিরবে।
কেউ বা আবার বুকে জমা রাখে হাসির সুরে।
কেউ আবার সইতে নাপেরে
হারিয়ে যায় চিরতরে।
==========================================================

আমি ঘর ছারিয়া বাহির হইয়া।
জোছনা ধরিতে যাই।
হাত ভর্তি চাঁদের আলো।
ধরতেই গেলেই নাই।
=========================================

~~প্রতিক্ষার হলুদ প্রজাবতী~~

এই বখাটে জন্ম আমার নয়
চতুর বেহিসেবী খুনসুটির আঁধারের মগ্নতা
বড় বেশী নেশা ধরে গেছে জীভের আগায় ৷

যে হলুদ প্রজাবতী ঘুমাত বেশ রাতে
তার মাঝারি প্রচ্ছায়ারা পড়ে আছে দুটি পাতার দেশে
ঝুলবারান্দায় বসে সমস্ত দিন জুড়ে অপলক
বিমোহিত ঝিঁঝিঁদের খুনসুটি ,অতঃপর মেঘ করে ছিনাল মনে
আমি আবার তলিয়ে যাই সন্ন্যাসী আঁধারের মগ্নতায়,

মাতালের মত চুপচাপ চেয়ে আছি
আটপৌরে যৌবন আমার বেশ্যার রক্ত মিশে,
রাতের ত্রিভূজ বন্দীফ্রেমে অপেক্ষার স্বাধীন সঙ্গমের প্রতিক্ষায়
পড়ে আছি জনমানবহীন জোছনার মহাসড়কে,
উৎকণ্ঠা দু'চোখে চতুর কামনার উদ্যত ছুরি হাতে ,
নষ্ট অভিলাষের রক্ত চিৎকারে মোড়ানো ,নিপুণ যৌনতা

আমাকে তিরস্কার করে
ঈশ্বরের হাতে গড়া নির্ভুল কারুকাজ
রোজকার ব্যক্তিত্বের অপ্রকাশিত কার্তুজ
আমাকে ছিন্ন ভিন্ন করে তোমার হৃদপিণ্ড,
আমি নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করি ,তবুও তোমাকে
কোন অশুভ আশঙ্কার কাছে নতজানু হতে দেই না ৷
============================================
ভালোবাসা প্রকাশ করার
মত কোন ভাষা আজো
আবিষ্কার হয়নি, তাই
নীরবতাকেই বেছে নিলাম ।
কতটুকু ভালোবাসি তা
প্রকাশ করার জন্য কোন স্কেল আবিস্কার হয়নি, তাই
হৃদয় জুড়ে ভালবাসলাম...
==========================================
চিঠি দিও প্রতিদিন
নইলে'ই--- অভিমান ।
হতে হবে রঙ্গিন খাম
নইলে'ই--- অভিমান ।
লিখতে হবে ভালোবাসি শুধু ভালোবাসার কথা
নইলে'ই--- অভিমান ।
লেখার মাঝে ভাসে যেন তোমার আমার নাম
ইতি টানলেই--- অভিমান ।
==========================================
~~নিরব অশ্রু ~~

তোমার গোপন অশ্রু গুলো আমার অন্তরে বৈশাখী ঝড় হয়ে প্ল্রাবন হয় ।
তবুও তোমায় এ প্ল্রাবন দেখায়নি ।
অহেত তোমার এতই করুণ দিনে আমার অশ্রু ছাড়া আর
দেবার ছিলনা ।
আমার সামনে চোখের জল ফেলেছ
আমি নিরব হয়ে তাকিয়ে দেখেছি আর
পর্বত সম কষ্ট সহ্য করেছি ।
কারণ সে গোপন প্রশ্ন তুমি জাননা
আমার হাত কোন শিকল হীনায় বাধা ।
এই আমি যাদের কষ্টের ফসলের ধন
তোমার অসহায় দিনে ঠিক একই সময়
আমার পরিবারও সেই অসহায় ।
উপত্যকায় আমি কাকে ফেলে কাকে চাই
সেদিন তোমরা দুইয়ের মাঝে সব চেয়ে অসহায় ছিলাম আমি ।
আর তুমিত অশ্রু দিয়ে বুঝিয়ে দিলে বিদায়ের বাণী
সে আমি এখনো কাউকে বিদায় দিতে পারিনি ।
ব্যথার দহনে ব্যথিত নয়নে মরিচিকা ব্যধি প্রজ্ঞা করেছে পংগু আমায় ।
এখন সেই তুমিও সুখে আছ পরিবারও সুখে আছে
শুধু আমার সুখের মনটা হারিয়ে গেছে ।
==========================================
।।~~অসম সমীকরণ~~।।
.
বুকের গভীরে ধিক্ ধিক্ জ্বলে
বিমর্ষ অতীত
অস্পৃশ্য শৈশব অনুভূ আগামী
অক্ষরেখা অনুনাদ
বৃষ্টির স্বরাঘাত সঙ্গীত
শব্দের নিঃসঙ্গ অন্তরীক্ষ
অলস রাত্রির জলছাপ
হিমালয়ে রূপোলী সরব
অনন্ত শূণ্য মহাশূণ্যতা ।।

ধাবমান ক্লান্ত ক্ষণে
চমকে দেখি বালিকার সিথান
নৈঃশব্দে জ্যোৎস্না রৌদ্রের প্রোথিত শেকড়
দিনমান মূলদ জীবন
স্বপ্নবোধে স্বপ্ন ভেঙ্গে রঞ্জনরশ্মির
বর্ণালী ভিতে ওঠে আসে রঞ্জিত রামধনু
বিপলে বিশাখে দোলে
স্তব্দ আলোকের বিলীন বিকেল রাত্রি
সকাল দুপুর অসম সমীকরণ ।।
=========================================
~~জোনাকি মেয়ে~~ 


তোমার বাধ ভাঙ্গা হাসিতে নিমন্তন পায় ,
সাইবেরিয়া থেকে উড়ে আসা অগনিত অতিথী পাখিরা ।

তোমার দীঘল কালো চুল দেখে আকাশের মেঘ ভেবে ভুল করে ক্লান্ত পথিকেরা ফিরে যায়,
নষ্ট মনের কষ্ট নিয়ে।

রাতের আধারে জোনাকির তোমায় নিয়ে 
 
=============================================
~~বৃষ্টি~~

অহরহ বৃষ্টি বারিশ
স্বপ্নরা যদি ফিরতে পারিস
লেপ্টে থাকি একসাথে আয় আদুল গায়ে !

ডাগর চোখে নয়নাবতী
নীল সাদা জল দুষ্টুমতি
জাপটে ধরি তোরেই আজ হাত বাড়ায়ে ! 
===============================================
বৃষ্টির মাঝে দৃষ্টির দোলা
মনে লাগায় দোল
বৃষ্টির মতই ঝির ঝির ঝির
তোমার মুখের বোল!

কাঁজল চোখে বৃষ্টির ফোঁটা
হৃদয়ে ধরে চির
তোমায় পেয়ে সার্থক হলো
শ্রাবণের ঐ নির!

বন্ধু তোমায় চাইগো আমি
শ্রাবণ ধারার মাঝে
ভিজবো মোরা দু'জন মিলে
প্রতিটি সকাল সাঁঝে!
=========================================
~~চায়ের কাপ~~


সুনীতা... অনেকটা দিন
দেখা হয় না তোমায়,
সেই যে বৈশাখে চলে গেলে
তারপর থেকে, হয় না আর
মান-অভিমানের পালা।

ভেজা হয়নি আষাঢ়ে বৃষ্টিতে,
দেখা হয়নি তুমি নেই বলে
শ্রাবন আকাশের টুকরো মেঘ,
শোনা হয়নি হেমন্ত বাবুর গান।

ইজি চেয়ারের পাশে পরে আছে
তোমার শেষ খাওয়া চায়ের কাপটা,
জানো সুনীতা.... আমি
ইচ্ছা করেই কাপটি সরাইনি।

কাপের বুকে তোমার
ঠোটের স্পর্শ ছাড়া,
আমার কাছে তোমার আর
কোন স্মৃতিই যে রইলো না।

প্রত্যেকটা দিন চেয়ে থাকি
ঐ কাপটার দিকে,
চেয়ে থাকতে থাকতে
কখন যে নোনতা জলে ভেজে আমার বুক.... 
===========================================
~~অশনি সংকেত~~


এ তোমার কিসের পাগল পণ’ 
কণ্টক করল আমার জীবন- 
বেশ তো ছিলাম- মন নিয়ে, 
আপন খেয়ালী মার্গ সুরে
তপস্বী ছিল দেউলিয়া মুক্ত পবন।

উচ্চাঙ্গের আত্মহনন করে
কোন এক অশনি সংকেত
হারাল বার বার
নতুন গীতিয়ালেখ্য চয়নে ।
সে যে সবটাই ছিল ছলনা
জানা ছিল না আমার
সহজ প্রতিবিম্ব মন তাই
রাহুগ্রস্ত হল ।

অবেলায় অনেক শোনাল সাত কাহন
দিশাহীন গতিশীল ছিল সে মনন।
অস্তিত্বের দ্বৈত অভিলাষ
পারল না হানতে শমন ।
সে ছিল মোহ না মায়া
কঠিন ছিল সে বিস্মরণ।
তবুও থামতে হয় জেনে
ভাস্করের ভাস্বর মানে না
কোন ছন্দ পতন।
===========================================
~~তুমি এলে~~

আমার হৃদয় সুবাসে তোমার অজস্র চিত্রকলা,করিওগ্রাফি করা হয়নি৷
না, করার দরকার হয় নি৷
তারা নিজেরাই নিজস্ব অভিমানে প্রহর সাজিয়ে বসে আছে নিজস্ব রূপকলায়৷
বাতাসকে প্রহরে রাখিনি৷ কি জানি যদি কিছু হৃদয় আভাষ এসে পরে অজান্তে মনের দুর্বলতায়৷
ভয়৷
পাছে বাতাস আরো কিছু অন্যায় ফিসফিসে সাজিয়ে দেয় তোমার বিতান বিভাসে৷

আমি ঢাকা দেয়া বিষন্ন রুমাল মুখে মেখে ঘুমিয়েছি সারা রাত৷ সাজানো ডাইনিং টবিলে৷
সরাইখানার সুন্দরীকে পাঠিয়ে দিয়েছি তার ঘরে৷
কি জানি, চিত্রকলায় আবার কোন অসঙ্গ তুলির টান লাগে৷
যদি পিয়ানোর সুর থেকে বেড়িয়ে পড়ে নোংরা ইন্দুর
সুন্দর জীবন এখন সাজানো অস্তিত্ব আর বিহঙ্গ কৌতুক
কাঁপা কাঁপা ঢেউ বুকে নিজস্ব বিন্যাসে রাখে তোমার বিতানে অজস্র বয়ান৷

সন্ধা হলো৷
অন্ধকারের ভেতরে আরও এক ঝাঁক অন্ধকার ঘনিয়ে এলো৷
কি এক সুন্দর অনুবাসে তুমি এলে৷
মোহময় চতুর নগ্নতা ঢাকা পড়ে অন্ধকারে৷

তুমি এলে৷অফুরান আলোয় যেন ঘর উদ্ভাসিত হলো
তুমি এলে৷উচ্ছ স্বরে ডেকে উঠলো ঘরের দেয়াল
তুমি এলে৷স্বরূপের কথা ভেসে বেড়াল সারা ঘরে উত্তপ্ত মোহময়
তুমি এলে৷হৃদয় নিংড়ে কিছু খেদ ঝরে গেল বিসন্ন রুমাল থেকে কার্পেটে
তুমি এলে৷দেখা গেল জানালার ওপাশে উঁকি দিলো চাঁদ নিজস্ব চাঁদনিতে
তুমি এলে৷চাঁদের সকাশে জ্যোত্স্না হেসে বলে গেল..
বাহ৷কি সুন্দর সাজানো হৃদয় বিতান সমস্ত কিছু রাখা আছে যেমন
উপন্যাসের সাজে একে একে পাতায় পাতায়
তুমি এলে৷সমস্ত ঘরে যেন প্রেম উছলে উঠে জানিয়ে দিলো বৃষ্টি সুবাস
থর থর কাঁপা ঠোঁট ...নি:ব্যক্ত মনের ওষ্ঠ থেকে
ঝরে গেল অসংখ্য উষ্ণ টিপ বাঁধা জল !
রাত আরও ঘন হলে,তুমি চলে গেলে
আমি আঁকি মগ্ন উল্লাসে না পাওয়া ছবির বিতান
ভেসে গেল সাত রং ধুসরের হাত ধরে কুয়াশা উঠোনে ৷
===============================================

~~চিতার চন্দন কাঠ~~

আমাকে হত্য করা হবে
আমি তোমার ভিতর লুকতে পারিনা
নিজের ফাঁদে নিজেই শিকার
পৈশাচিক দিনের বিশ্বাস আমাকে উলঙ্গ করে ৷

দূরে কোথাও সাইরেন বাজে ,
আততায়ীর ছোঁড়া বুলেটে তুমুল ঘৃণা
আগুনে ছাই হয় ঘৃণা-ক্রোধ
আবার আগুন খেলায় জীবন বদল করেছে কেউ কেউ ৷

আমার সবকটা আঙ্গুল মৌসুমী প্রেম খুঁজে নেয়
শখের প্রজাপতি মন তৃষ্ণার্ত ছুরি হাতে
বিগত সুখের...ছায়ারা পড়ে থাকে...
শিমুল, কৃষ্ণচূড়া রক্তের রঙে লাল চিকচিক গোধূলি মায়ায় ৷

রাস্তা ভুলে হাঁটে চলেছি ,জানিনা কি কপালে লেখা আছে
চোখ কৌটার বিষণ্ণ উপত্যকায় অন্ধকার নেমে আসে
ঈশ্বরের ক্ষতদেহ আগুনে পুড়ছে ,পশ্চিমের বারান্দা ক্রন্দনরত
বুকের উষ্ণ উঠোন বৃষ্টিতে ভেসে যায় ,
তুমি ঘুমুচ্ছো... শান্তির ওপাড়ে মধ্যগগনে যূগলবন্ধি হয়ে ৷

জাগতিক নিয়মের
ধ্বংসস্তূপের নীচে উজ্জ্বলতা হারিয়ে সত্যেদিন
গুনছে হলুদ হয়ে যাওয়া মৃত্যুর প্রহর ,
বিগত মুখের ছায়া ভেসে ওঠে আভীমানি আয়নায় ৷

অথচ মঙ্গল শোভাযাত্রায় তোমাকে খুজে পাইনি ,
হুলুস্থুল হয়ে খুঁজেছি , নির্ধারিত প্রতিটি স্থানে
সারাজীবনের বিশ্বাস হত্যায় দায়ে অকস্মাৎ শুরু হয় খুনি বজ্রপাত
অবশেষে তোমার সন্ধান মিলেছে ধূপের ধোঁয়া ময়দানে
শেষকৃতের সুন্দরম চিতার চন্দন কাঠ পোড়া শ্মশানঘাটে ৷
============================================

~~আত্মকাব্যঃ~~

দুই হাতে তীব্রতা চোখের জলে তৃষ্ণা
বিকেলের অবুঝ বাতাসের মতো ছুটছি
তোমাকে হারানোর যন্ত্রণায় তুলেছি হাত
দেখো কি ছিল সওয়াল এখন ভুলে গেছি ।

===========================================


~~শশীশেখর~~


কাল রাতে তোমায়
খুব মনে পড়েছে
সারা পৃথিবী জোছনায় ডুবে গেছিলো,
ইচ্ছা ছিলো আমি চকোর আর তুমি চকোরী হয়ে জোছনা পান করিয়া তৃপ্তিলাভ করি ।

যদি সত্যি কাল নিশিতে আসতে
স্বর্গের দেবতার কাছ থেকে
ধার চেয়ে নিতাম রথখানা 
==========================================
আমি পথ খুঁজিতেছি পথে পথে ঘুরি,
মনে হয় সব ভূল পথ যেই পথই ধরি,
বেবাক পথভূলো আমি এখন কি করি!
পথ ভ্রষ্ট থেকেই যাবো কি আমি মরি!
=========================================
পৃথিবীর সব ছেয়ে অসহায় প্রাণীটি হলো 
নারী !!!!
আর সেই নারীর ধাবানলে পুড়ে চাই হয়ে গেছেন দুনিয়ায় অনেক কবি ,
যুগী ঋষি,রাজা,প্রজা,
হয়েচেন অনেকে সন্নাশী !!!
নারীর নারিত্ব আসলে কোথায় 
মাতৃত্বে,ছলনায়,স্বপ্ন নাকি ডানায় ?
=========================================
~~প্রিয়ংবদা ~~

সেই বিকালবেলা 
আর চায়ের কাপটা 
আর রোকেয়া পিসির গল্প এবং তোমার চুড়ির 
টুং টাং আওয়াজ আজো আমায় হাতছানি দেয় ।

প্রথম তুমিই বলেছিলে ভালবাসার কথা
তখন বুঝিনি
সুখ
দুঃখ
কান্না
আর বাধ ভাঙ্গা হাসি ।
=======================================
'' ~~অন্ধকার~~ ''

তোমাকে অন্ধকার থেকে।
প্রতিনিয়তই দেখার অপেক্ষায় থাকি।
তুমিও খুব স্পষ্ট হয়ে
আমার অন্ধকার আকাশে বেসে ওটো।
আমি স্বপ্ন সাজাই তোমার জন্য।
আর '' দিপা '' তুমি যখ মেঘে ঢেকে যাও।
তখন শুধুই একা একাই আমি।
ভীষন অন্ধকারে থাকি।
=========================================







No comments:

Post a Comment