Monday 5 August 2013



~~জীবন~~ 

 

জীবন থেমে থাকে না কারো জন্য 
থমকে যায় জীবন হয়তো কিছু সময়ের জন্য 
খুব প্রিয়জনকে হারিয়ে 
বেদনার লাল রঙ মাড়িয়ে 
হয়তো খুঁড়িয়ে চলতে হয়ে কিছুদূর পথ একা একা
তারপর আবার জীবন চলে জীবনের মত করে ছকে আঁকা 
আগের সেই আনন্দ সুর হয়তো বাজে না 
হয়তো বেজে যায় করুণ সানাইয়ের কান্নার ধ্বনি 
আগের সেই ছন্দবদ্ধ লয় হয়তো থাকে না 
ধিমা লয়ে ছন্দপতন বারে বারে কান পেতে শুনি 
তবুও জীবন বয়ে চলে বাস্তবতার পঙ্কিল কর্দমাক্ত পথ ধরে
জীবন কেটে যায় ক্যাকটাসের কাঁটা ঘেরা পথ বেয়ে 
জীবনটা আসলে এমনই
থেমে থাকে না কারো জন্য 
শুধু খুঁড়িয়ে চলা জীবন যুদ্ধে।
===============================================
~~অমলিন ভালবাসা~~


অন্তহীন ভালবাসার মধ্যে হারিয়ে যায়না বিশ্বাসের মোহমায়া।
ভাব যদি কোন বেদনার কথা থাকবে অটুট সকল আশা।
নিঃশ্বাসের ছোয়া গাথবে মনে থাকবে বহমান সকল মায়া।
হারাবেনা কখনও বিশ্বাসের ভালবাসা থাকবে চীরঞ্জীব ।
না পারিবে সকল ত্যাগ চীর ছিন্ন করিভে, বলয়ে আছে
আছে গেথে সকল মায়ার বিশ্বাসের মধ্যে।
নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি, তুমি চীরকাল থাকবে
অন্তরের মনিকোটায় জাগ্রত।
হারাবার নয় , ফেলনার নয় , নয় তাহা অবহেলার।
ভালবাসা চীরন্তন দিয়াছ আমায় রাখিব যতন করে।
আগাত আসিবে যত রাখিব তোমায় ভালবেসে অন্তরে।
হারাবার নয় , ফেলনার নয় , নয় তাহা অবহেলার।
অন্তহীন ভালবাসা আসে চীর অমলিন।
ছোট্র কুটিরে ভালবাসার আদর রাখিয়াছি আদরে,
তোমারই কথা মনে আছে, থাকবে সর্ব কালের স্বাক্ষী হয়ে।
আকাশে বাতাসে তোমার নিঃশ্বাস আজও বাজিয়াছ আমার অন্তরে বহমান,
তাহার মাঝে খুজে পাই তোমার আর্তচীৎকারের দুর্বহ হাহাকার।
হারাবার নয় , ফেলনার নয় , নয় তাহা অবহেলার।
=========================================
খুঁড়ে দেখ আজ আমার হৃদয় 
চিরে দেখ রক্ত মাংসের বুক
ক্ষয়িষ্ণু হাড়ে কেমন পচন ধরেছে 
ক্যান্সার বীজ দানা বেঁধে আছে 
প্রতিটা অস্থিমজ্জার কোণায় কোণায় 
তবু আজো বুনে যাচ্ছি তোর প্রেমের গাঁথা ভালোবাসার সুতায়
আজো আমাদের ভালোবাসায় ঢুকতে দেইনি কোনো ভাইরাস
মনের গভীরে লুকিয়ে রেখেছি তোরে শেষ একবার দেখার আশ
তোর প্রেম ঢাকা দিয়ে রেখেছি কেমোর নজর এড়িয়ে
সাধ্য কি মরণ ব্যাধির তোকে আমা থেকে নিয়ে যাবে ছিনিয়ে।
=============================================

~~সুরমা~~

প্রতিটি বিকেল কাটে সুরমার পাশে হেঁটে-বসে,
প্রতিটা মূহুর্ত হয় সুখময়,
এঘাট থেকে ওঘাট,

এক কাপ চা, একটা সিগারেট। আর কিছু নয়।

কত ইচ্ছে ছিল-
ছুঁয়ে দেখবে তার বদন,
তার বুকে সাঁতার কাটবো,
তার কোলে শুয়ে থাকবো,
নিশিত রাতের অন্ধকারে তাকে করব অলিঙ্গন...

হয়না, হয়না কিছুই।
সময় আমাকে বেঁধে রেখেছ,
সময়ের কাছে সপে দিয়েছি আমার যত আশা, ইচ্ছে... |
===============================================

~~ভাসালে আমারে ভাসালে~~

 
শুধুই আমি তুষারিত গতিহীন আঁশে,
সব কিছু আমার চারিপাশে যায় আসে।
কত কাল আর আমি রব দিশাহারা,
প্রশ্ন করে আমায় নীল ধ্রুব তারারা।
কোথা গো হায় কোথায় গো ধ্রুবতারা,
হয়েছি দিশাহারা কাঁদিয়ে হলেম সারা।
আমি সদা নিজের ছায়ার পিছে পিছে,
একা একা, ঘুরে ঘুরে, মরি মিছে মিছে।
একদিন চেয়ে দেখি আমি, তুমি-হারা,
চোখ দুটু ভরে ঝরছে শুধু অশ্রু ধারা।
খুঁজি না পথ আমি পথ মোরে খুঁজে,
পাবো না যে তোমায় তাও মন বুঝে।
ভালোবেসে যেন আলো জ্বেলেছিল,
তাই সূর্যের আলো নিভে গিয়েছিল।
সূর্যের বুকে থাকে না যতটা আলো,
তোমায় বেসেছিলাম তারও বেশি ভাল।
নিষী যত ভরে থাকুক আঁধার কালোয়,
আলোকিত হতে চাই তোমারি আলোয়।
বাতাস বহে মরি মরি করে ফন ফন,
বেঁধে রেখো না তরী খোল তার রন।
নিবিড় বেদনায় ফাটিয়া পড়িবে প্রাণ,
শূন্য হিয়ার বাঁশিতে বাজিবে তব গান।
কাঁদতে আসিনি তবুও কাঁদেছি একেলা,
কাঁদতে দেখেনা কেউ কেঁদে যায় বেলা।
একবার কেঁদে থামলে চলে অভিরত,
ওঠে শত কান্নার ঢেউ সমুদ্রের মত।
তুমি কবে নিয়ে নিলে আমার বাঁশি,
বাজাবে গো আপনি হেতায় আসি।
তোমার বাঁশি বাজে আমার বুকে,
কঠিন দুখে তমার বিধুরে গভীর সুখে।
কত যে তুমি মনোহর মন তা জানে,
হৃদয় মম থরথর কাঁপে তোমার গানে।
বেদনাতে বাঁশি বাজায় সকল বেলা যে,
তোমাতে গানের খেলা সুরের খেলা যে।
ক্ষণে ক্ষণে আমি না জেনে করেছি দান,
জানি আমি জানি ভেসে যাবে অভিমান।
অশ্রুত বাঁশি হৃদয়গহনে বাজে ধিরে ধিরে,
আমাতে লুকায় বেদনা অঝরা অশ্রুনীরে।
সকল প্রাণ টানিছে পথপানে অনেক দূরে,
পাষাণ তখন গলিবে নয়নজলে গভীর সুরে।
বাজিল মধু সুর তোমার আমার গানে গানে,
নিবিড়তর তিমির চোখে আনে লাগিছে প্রানে।
জানি আমি জানি কোন্‌ আদি কাল হতে,
ভাসালে আমারে ভাসালে জীবনের স্রোতে।।
==========================================

~~অতল অন্ধকারে~~
 

ধরিস নে হাত আমার হাতে
পথ চলিস নে আমার পাশে থেকে একসাথে 
সেই প্রথম দেখাতেই তো বলেছিলেম
সইতে পারবি না।

আমার হাত রক্তমাখা রিপুর লালসায় সিক্ত
খুনি হাতে রেখা নেই কোনো
না ভাগ্যের না জীবনের
দেখিয়েছিলেম তোকে হাত মেলে
শুধু লাল লাল ছোপ ছোপ রক্তে মাখা;

আমার পথ বন্ধুর চারিদিকে জল কাদায় ভরা
তীক্ষ্ণ সব নুড়ি পাথর ছড়িয়ে আছে এদিক ওদিক
বিস্তীর্ণ প্রান্তর জুড়ে বুনো কাঁটায় ঢাকা।

রক্তের লাল তোকে বইতেই হবে, আমার হাতে হাত রাখলেই
বেদনার গ্লানি সইতেই হবে, আমার সাথে গাঁঠ বাঁধলেই
কাঁটার আঘাত রক্ত ঝরাবে, আমার সাথে পথ চললেই
বলেছিলেম আমি চীৎকার করে গলা ফাটিয়ে
ফেরাতে পারিনি তোকে সেদিন দূরে হঠিয়ে
হাতে হাত রেখে পথ হেঁটেছিলি কিছুদূর
সইতে পারলি না রক্তের ঘ্রাণ
বইতে পারলি না কাঁটার বেদনা।

রাখিস নে চোখে চোখ বলেছিলেম সেদিন
কথা শুনলিনা
এ চোখে ভালোবাসা নেই আছে শুধু ঘৃণা
স্বপ্ন নেই, আশা নেই, আকাঙ্ক্ষা নেই
শুধুই শূন্যতা
মায়া নেই, মমতা নেই আছে মরীচিকার ছায়া;
রাখিস নে মাথা আমার বুকে বলেছিলেম সেদিন
এখানে বিশ্বাস মুছে গেছে
এখানে রক্ত মাংসের হৃদপিণ্ড ধ্বক ধ্বক করে না
এখানে প্রেম কথা বলে না এখানে জ্যোৎস্না খেলে না
এখানে রিপুর ঘন অন্ধকার
এখানে বিশাল এক কষ্টের পাহাড়
ডিঙোতে পারবি না, তবু কথা শুনলি-না
কষ্টের কুহেলিকায় ঝাপ দিলি অতল অন্ধকারে
আমার সাথে মিলে
হাতে হাত রেখে, চোখে চোখ চেয়ে
কণ্টক পথে পা বাড়িয়ে, হৃদয়ে হৃদয় মিলিয়ে।

কি পেলি বলতো আমায় ভালোবেসে?
সবই জানা ছিল তোর
তবে এখন কেন ভাসছিস মিছে দুঃখের সাগরে?
==========================================

~~লজ্জা দ্বিধায় আমি তোমাকে পেলাম~~

 
রাত ভোর হলে আমি তোমাকে পেলাম,
সকালের কৈশোরে আমি তোমাকে পেলাম,
হাসিতে খুশিতে আমি তোমাকে পেলাম,
রাগ অভিমানে আমি তোমাকে পেলাম,
ঝগড়া আপোসে আমি তোমাকে পেলাম,
অকাল বোধনে আমি তোমাকে পেলাম,
দেখা না দেখায় আমি তোমাকে পেলাম,
না-বলা কথায় আমি তোমাকে পেলাম,
এক কাপ চায়ে আমি তোমাকে পেলাম,
অনুরোধে মিনতিতে আমি তোমাকে পেলাম,
বেদনার আর্তিতে আমি তোমাকে পেলাম,
শ্লোগানে শ্লোগানে আমি তোমাকে পেলাম,
এ জীবন ভরে আমি তোমাকে পেলাম,
নিঝুম অন্ধকারে আমি তোমাকে পেলাম,
শীর্ষেন্দুর কোন নতুনে আমি তোমাকে পেলাম,
নতুন নভেলে আমি তোমাকে পেলাম,
কবেকার শহরের পথে আমি তোমাকে পেলাম,
পুরোনো নতুন মুখ আমি তোমাকে পেলাম,
ঘরে ইমারতে আমি তোমাকে পেলাম,
অগুন্তি মানুষের ক্লান্ত মিছিলে আমি তোমাকে পেলাম,
অচেনা ছুটির ছোঁয়ায় আমি তোমাকে পেলাম,
নাগরিক ক্লান্তিতে আমি তোমাকে পেলাম,
এক ফোঁটা শান্তিতে আমি তোমাকে পেলাম,
চৌরাস্তার মোড়ে আমি তোমাকে পেলাম,
পার্কে দোকানে আমি তোমাকে পেলাম,
আষাঢে শ্রাবণে আমি তোমাকে পেলাম,
আষাঢ়ের মেঘে আমি তোমাকে পেলাম,
বৈশাখী ঝড়ে আমি তোমাকে পেলাম,
শহরে গঞ্জে গ্রামে আমি তোমাকে পেলাম,
এখানে ওখানে আমি তোমাকে পেলাম,
স্টেশন টার্মিনাস আমি তোমাকে পেলাম,
ঘাটে বন্দরে আমি তোমাকে পেলাম,
অচেনা ড্রয়িংরুমে আমি তোমাকে পেলাম,
চেনা অন্দরে আমি তোমাকে পেলাম,
বালিশ তোশক আমি তোমাকে পেলাম,
কাঁথা পুরোনো চাদরে আমি তোমাকে পেলাম,
ঠান্ডা শীতের আমি তোমাকে পেলাম,
রাতে লেপের আদরে আমি তোমাকে পেলাম,
ভীষণ অসম্ভবে আমি তোমাকে পেলাম,
অবোধ্য কবিতায় আমি তোমাকে পেলাম,
ঠুংরি খেয়ালে আমি তোমাকে পেলাম,
লজ্জা দ্বিধায় আমি তোমাকে পেলাম।।
===========================================

~~বিবেকে শৈত্য প্রবাহের অনুভব~~
 
 

মনে করে নাও তোমরা লেপের তলায় শুয়ে আছ
প্রিয়জনের ওম বুকে ধরে 
শরীরটারে আরেকটু গরম করে;
এবার ওদিক তাকাও -
দেখো বাইরে শৈত্য প্রবাহ চলে
উলঙ্গ তুমি শুয়ে আছ ছাঁদের পরে
সত্যি না হলেও একবার ভাব অনুভবে
শুধুই একবার।

না হয় একবারের জন্য হলেও ঘুরে এসো রাজপথ ধরে
না হয় আজকের একটু বেশী খাওয়াটুকু হজম করে দিতে
বের হয়ে এসো হিটারের ওম দেওয়া ঘর থেকে
তবেই বুঝবে শীত কাকে বলে
হাড় কাঁপানো...............

না হয় গায়ে ভারি উলের সুয়েটার জড়িয়ে
তার ওপর মোটা জ্যাকেট একটা পড়ে নিও
হাতে পায়ে মোটা উলের মোজা
না হয় কানটাও ভালুক চামড়ার কান-টুপিতে ঢাকা থাক
গরম উলেন অন্তর্বাসের ওপরে
মোটা জিন্সের প্যান্টটাও না হয় পড়ে নিও
তবুও অনুরোধ
আজ এই শৈত্য প্রবাহের রাতে
একবার হেঁটে এসো রাজপথ ধরে
তবেই বুঝবে শীত কাকে বলে
হাড় কাঁপানো.....................

আমি একদিন এভাবেই হেঁটে গিয়েছিলেম কোন এক গলি পথ ধরে
এমনই এক শৈত্য প্রবাহের রাতে খুব প্রয়োজনে
থমকে দাঁড়িয়ে পড়েছিলাম খুব হঠাৎ করেই
রাস্তার পাশের মানুষগুলোর হাড় কাঁপা হি হি দাঁত ঘষা শব্দে
বিবেকের চাবুক যেন ফিরিয়ে এনেছিল আমায় মর্তে
চোরের মতন মুখ লুকিয়ে পালিয়ে এসেছিলেম কেন জানি
আগাপাছতলা গরম উলের জামা গায়ে দিয়ে
মুখটা লজ্জায় ঢেকে ফেলেছিলেম মাফলারে আমি.......... |
=============================================
~~জোছনা-কাব্য~~
০১.
জোছনার মুখরতা-
পুলক-পরশে ভাঙে শিশিরের,স্নিগ্ধ নিরবতা!
০২.
কি মধুর আলাপন!
শিশিরের কথা শুনিতে জোছনার,নিশি হয় সমাপন!
০৩.
জোছনার বরিষণে,
স্নিগ্ধ-স্নানে ক্লান্ত শিশির, হারায় সঙ্গোপনে!
০৪.
অশান্ত জোছনায়-
পুলকিত প্রেম-মধুকর, মম চিত চঞ্চল হায়!
০৫.
জোছনায় জাগা চোখ,
দেখেছে কত পতঙ্গ দের,আবেগ আপ্লুত শ্লোক!
=================================================================
~~অপেক্ষায়~~

 



অন্ধকারের রাত বড্ড প্রলম্বিত মনে হয়
ক্ষরণ জাগায় হৃদয়ে, রক্ত ঝরায় কিছু মনে
প্রতীক্ষার অবাঞ্ছিত প্রহর দীর্ঘায়িত হয়ে রয়
বড্ড ধীরে কাটছে আজকাল অপেক্ষার সময়।
টিক টিক টিক টিক বয়ে যাওয়া সময় ঘড়ির কাঁটা
থামে না এক মুহূর্ত যেন
খসে পড়ে না একবারও প্রতিদিন বেড়ে ওঠা টিক টিক করা
ঐ টিকটিকির ল্যাজের মত
মূল্যবান জীবন খসে পড়ে প্রতিদিন নানা কৌশলে
ওত পেতে থাকা মৃত্যুফাঁদে
অপলক চেয়ে দেখি নিশ্চুপ আমি
দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা অশরীরী ছায়া
যেন প্রতীক্ষায় তাকিয়ে থাকে আমারই চোখদুটি
তবুও করে না দয়া
অরুচি যমের কেন এত বেশি শুধু আমাতেই?
আর কতকাল দীর্ঘায়িত প্রহর গোনা টিক টিক করে
অতলে তলিয়ে যাই ভাবলেশহীন এক গভীর অন্ধকারে........|
===========================================================

~~শীতের শিশীর ভেজানো রাতে,~~


 শিশীর ভেজানো রাতে,
বস্ত্র বিহীন কোন খেত মুজুরের ভেঙ্গেপড়া কুঠিরের ইকিভিকি জ্বলে থাকা তূষে ঢাকা আগুনের
রাক্তম যেন এক উত্তাপ হোই,রাক্তম যেন এক উত্তাপ হোই,রাক্তম যেন এক উত্তাপ হোই,
শীতের শিশীর ভেজানো রাতে,শিশীর ভেজানো রাতে,
ষংখ্যালঘু কোন সম্প্রদায়ের ভয়ার্ত মানুষের না ফোঁটা কোন অর্তনাদ যখন গুমড়ে কাঁদে
আমিযেন তার নিরাপত্তা হই,
আমিযেন তার নিরাপত্তা হই,
আমিযেন তার নিরাপত্তা হই ।।
========================================================
~~দূর গগনে~~ 


যদি হারিয়ে যাই গোপন কোনো জায়গায় 
যেথায় খুঁজে পাবে না কেও আমায় 
শুধুই স্মৃতি হয়ে রব হয়তো
কারো মনের সোনালী ভাবনায়;
যদি হারিয়ে যাই সন্ধ্যের ধোঁয়া ধোঁয়া ধুসর কুয়াশায়
পথ খুঁজে খুঁজে হারিয়ে যেতে পথের ধুলোয়
হয়তো শুধুই রয়ে যাব
কিছু মানুষের স্মৃতির ভাবনায়;
কিংবা যদি জলে ভেসে ভেসে অনেক দূরে চলে যাই কোথাও
যেথায় দহনের জ্বালাগুলো সাগরের লোনা জল কুড়ে কুড়ে খায়
ভালোবাসাগুলো কি ঢেউ জাগাবে তোলপাড়ে
না পাওয়ার বেদনায়?

পোকা মাকড়ের বাস যখন দেহের ভেতর কিংবা মনে
ব্যাকটেরিয়া আর ভাইরাসের কিংবা ভালোবাসার দহনে
কুড়ে কুড়ে খায় দেহ মন আর হৃদয়
তখন হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে অন্য কোথাও, অন্য ভুবনে
ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায়।

একদিন হয়তো ধুসর রং ধরবে ওয়াটার কালারের আঁকা ছবিগুলোতে
একদিন হয়তো ধুলো জমবে মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা ভালোবাসাতে
একদিন হয়তো স্মৃতিগুলো ঢাকা পড়ে যাবে বিস্মৃতির অতলেতে
একদিন হয়তো সূর্য ঢেকে রবে ঘন মেঘের অন্ধকারে
একদিন হয়তো আমিও চলে যাব ভুবনের ওপারে
ইচ্ছে হয় না যেতে তবু মানুষ হারিয়ে যায়
ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায়।
=============================================

আমরা জীবনকে কতটা অনুভব করি? মনটাকে ডাস্টবিন না বানিয়ে আনন্দলোক বানাই। একটু চৌকষ হই!

জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত আবেহায়াতের মত। প্রতিটা মুহুর্ত নিয়ে যায় পরের মুহূর্তে । জীবনটা কেমন চলছে? বেশ ভাল। মনের আবর্জনা দুর্গন্ধকে সরাতে পারলে মনটা বিশুদ্ধ হয়ে উঠে। কেউ কেউ মনটাকে ডাস্টবিনে বানিয়ে ফেলে। এসব দুর্গন্ধ আবর্জনা থেকে বিভিন্ন রোগ জীবানু মনকে অসুস্থ করে দেয়। কিছু কিছু জীবানু মনঘাতী! দুনিয়ার যত আজে বাজে বিষয়ে নিজেকে সম্পৃক্ত করা, পরচর্চা, সমালোচনা, আরও কতকি! এসব কি সত্যিই জীবনে দরকার? যদি এই জীবনে কারো সমালোচনা না করি, তাতে জীবনের কি কোন ক্ষতি হবে? এই জীবনে যদি ঈর্ষা না রাখি তাতে জীবন কি চলবে না? এই জীবনে যদি ইগোকে জাহান্নামে পাঠিয়ে দেই তাতে কি জীবন চলবে না?

বোকা কারা? গর্ধব কারা? নিজের জীবনের আনন্দকে আমরা কিভাবে হারিয়ে ফেলি? কোন চৌকষ বা স্মার্ট মানুষ কি অন্যের সমালোচনা করতে পারে? অদরকারী বিষয়ে জীবনকে জড়াতে পারে? এসব দিয়ে সুন্দর মনোজগতকে একটা আবর্জনার ভাগারে পরিণত করি। 
কি দরকার?তার চেয়ে ভাল একটু নিজেকে সময় দেই! নিজেকে যারা সময় দেন, তারাই স্মার্ট। নিজেকে গড়তে পারলে অন্যের সাফল্য ঈর্ষার উদ্রেক করবে না। নিজেকে সময় দিলে আমাদের সমৃদ্ধি বাড়বে। আর তখনই সমস্যা নিয়ে বিরামহীন আলাপ না করে আমরা স্বল্প সময়ে সমাধানের ক্ষমতা অর্জন করব।

নিজেকে গড়ে তুলি পরিপূর্ণভাবে। আর নিজেকে গড়ে তোলার বড় শত্রু হচ্ছে অহেতুক বিষয়ে নিজেকে জড়ানো। এতে জীবন থেকে আমাদের মনোযোগ চলে যায়। জীবনের প্রতি মনোযোগি হলে সমৃদ্ধি আর আনন্দ ক্রমশ কাছে আসতে আসতে স্থায়ী জীবনসাথী হয়ে যায়, কাছে আসে ব্যর্থতা। নিজেকে ভালবাসুন, নিজেকে ভাল রাখুন। জীবনের প্রতি যত্ন নিন, তবেই একটা নির্মল জীবনের প্রয়োজন রক্তে মাংসে আপনি অনুভব করবেন। নির্মল জীবনের তৃষ্ণা যদি একবার পেয়ে বসে, তাকে পাওয়ার জন্য যা করতে থাকবেন, তা আপনাকে আপনার জীবনের সাথে আরো ঘনিষ্ঠ করে তুলবে।

তখন আর সময় কোথায় অহেতুক আর অদরকারী বিষয়ে নিজেকে জড়ানোর?
==================================================
~~এই দেশটা কার?~~


এই দেশটা কার?
বৃটিশ-এর নাকি মুসলিম-লীগের?

এই দেশটা কার?
ভারতের নাকি পাকিস্তানের?

এই দেশটা কার?
মৌলবাদী নাকি সংগ্রামী মুক্তিযোদ্ধার?

এই দেশটা কার?
আওয়ামী-লীগ, বি,এন,পি নাকি অন্যান্য কোন দলের?

এই দেশটা কার?
সেনাবাহিনীর নাকি তৃতীয় কোন শক্তির?

এই দেশটা কার?
কারু স্বামীর, কারু জ্ঞাতির রেখে যাওয়া সম্পত্তি নাকি কারু বাপের?

এই দেশটা কার?
সরকারের নাকি জনগনের?
=================================================
~~অন্তঃকরণ~~ 


গভধারিনী থেকে বাহিত তোমরা ক্লান্তি নাহি আসে মায়ের যন্ত্রনা।
অন্তঃকরণ করিয়া রাখিয়াছে তাকে কোমল অনুভূতি দিয়া ।
স্হানান্তরে নীত হইয়া আধারে আলোয়,ছিদ্র করিবার জন্য বিদ্ধ কিরয়াছে
উদ্ভাসিত সত্তা ব্যবহার করিয়া।
বুঝনি তুমি উদ্ভাসিত ব্যাথায় গভধারিনীর নিকট আস্ফালন।
ব্যতিথ হইয়া নিয়াছে সে কত কষ্টের বৃদ্ধাশ্রম।
ভাবেনা মা আসবেনা আর অন্তঃকরণ রাখা সন্তান।
হারিয়েছে সব ভেবেছে কভু নহি আর নহে পাবার।
আকস্মিক প্রবল আঘাত হানিয়া ভাঙ্গিয়া যাওয়া বেধেছে অন্তঃস্ত্রাণ।
বৃথাই বলা হতচ্ছাড়া দাহ জনিত ক্ষত আত্ন সমপন করিরবেনা ।
অবলম্বন না, মৌনী না, নৈকট্যহীন ভালবাসার অন্তঃকরন।
===============================================


No comments:

Post a Comment