Monday 5 August 2013

~~মানব দানব~~


 

দানব তোমরা মানব নও
দোহাই দাও মনুষ্যত্বের 
কাপড় বিলাও শীতার্তের মাঝে হিটার চালিয়ে গাড়িতে
খাবার বিলাও গরীবের মাঝে পচা বাসি আর উচ্ছিষ্ট কিছু হোটেলের
নিজেরা উদর পূর্তি করো মহা আয়োজনে 
সাথে কিন্তু ঠিক ক্যামেরা থাকে, টি ভি চ্যানেল গোটা পাঁচ ছয়
সাংবাদিক অনেকগুলো, তোমারের মানবতা তুলে ধরে খবরের কাগজে
কিংবা টি ভির নিউজের হেডলাইন হয়ে; 
তোমাদের মাঝেই থাকে কিছু তোষামোদকারী, জী হুজুর হ্যাঁ হুজুর করতে 
তোমাদের ছেটানো ভাত খেতে জড়ো হয় 
উল্লসিত কুকুরের দল, তোষামোদির পা চাটতে চাটতে
আমি পারিনি সে দলে ভীরতে, তাইতো বেছে নেয়া এই একাকীত্বের জীবন 
খুঁটে তুলতে ভাতের দানা, কষ্টের ঘাম ঝরিয়ে 
কর্কশ মাটিতে লাঙ্গল চালিয়ে, পৃথিবী মায়ের বুক থেকে।
================================================

~~শপথ~~


মাটির গন্ধে একদিন আমার ক্ষুধামিটে যাবে
ঠিক ভাত-রুটি, তেহরী-বিয়ারীনির মতো,
অথচ আজ আমি দম্ভে শির তুলি
মান্য করিনা সময়ের নিয়ম-অনিয়ম—–
একদিন মাটির টানে প্রকৃতির নিয়মে হবো সবাই বিলীন।

কি লাভ বলো, অন্ধ সুখের পিছু ঘুরে ?
এখানে না হয় অন্য কোথাও–যেখানে পবো একটু ঠায়,
দুঃখকে ভালোবাসি করিনা ভয়,
তবে কেন মিথ্যার সাথে থেকে সত্যকে করি ভয়?
হয়তবা থাকবো না তোমাদের মাঝে, সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে
ছেড়ে মায়া-মমতা, যতদিন থাকব চলবে সত্যের জয় গান
সৌচ্চারের প্রতিবাদ থাকবে এ বুকে,
মাটির গন্ধে একদিন সবার ক্ষুধামিটে যাবে।
==============================================

~~অসমাপ্ত ভালবাসা~~

কালের বিবর্তনে ভালোবাসার গল্প কি একটুও মলিন হয়েছে—-?

“না”–ভালোবাসা আছে ঠিক আগের মতোই।পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকে যেমনটি ঠিক তেমনটি।অবশ্য বদলেছে প্রেমের রকম সকম, বদলেছে রীতি নীতি।চিঠি পত্রে কিংবা টেলিলাভ এর যুগ পেরিয়ে ডিজিটাল ভালোবাসায় এসে পৌছেছে। কিন্তু প্রেমের মূল সুরটি আজ ও আগের মতোই মধুর এবং অকুন্ঠ।প্রেম ভালোবাসা একটি শব্দ, সকলের মুখে প্রযোজ্য। পবিত্র এ শব্দটি গ্রহণযোগ্য এবং অযোগ্য প্রায় সকলের নিকট। মায়া – মমতা আমাদের বাঙ্গালী রমনীদের একটি আদর্শ। প্রথমে নিবেদন ও পরে দাবী এবং পরিশেষে স্বীকৃতি। সীমা হতে অসিমের সফল অন্বেষণ।| এ অন্বেষণে আছে সুখ, আছে আনন্দ, আছে অনুভুতি। এসবের ত্যাগের মহীমাও প্রশংসনীয়। মোহমুক্ত তাদের স্বীকৃতি ভালোবাসার নন্দিত এক মহাক্ষণ। বাঙ্গালী রমনী আজ সকলের পাশাপাশি সব দেশে সর্বত্র বিরাজিত। এর সূচনা একমাত্র প্রেম ভালোবাসা, মায়া – মমতায়। আমাদের মনি কোঠায় একমাত্র তারাই। আবেদন দাবী এবং স্বীকৃতি নিয়েই এর পরিসমাপ্তি হয়নি, অফুরন্ত এর আবেগ, ক্ষীপ্ত দুর্বার এর গতি, অফুরন্ত এর আকাঙ্খা, তবুও অসীমের মাঝে এর সীমানা নির্ধারিত। তবু কেনই বা এ মন এতো চঞ্চল।
তবুও প্রশ্ন এসে যায়—–
অনেকে দূর থেকে ভালোবেসে তৃপ্ত, সাফল্যের ব্যাপারে অনেকে আবার দ্বিধাদ্বন্ধে ভুগলেও আবার কেউ কেউ ভীষন আত্নবিশ্বাসী।
ভালোবাসা যদি শুদ্ধ হয়, তবে প্রেমিকা নিজেই ডাক পাঠাবে——
শুধু এই জানালায় আলো জ্বলিতেছে
অন্ধকার শহর নিরালা
কাছে এসে চোখ তুলে যেই তাকালাম
বুঝিলো জানালা,
নিলাম তাহারই ফাকে পলকের তরে—-
একখানা সাদা হাত দেখে।
শুধু ডাক পাওয়ার আকাঙ্খাই অনেকের জন্য আবার কাল হয়ে দাড়ায়।কথা ফুটবার আগেই প্রেমিকা অন্যর ঘরনী হয়ে যায়। প্রেম নিয়ে কেউ গুঞ্জণের শিকার হয়েছেন, কেউ প্রতারিত, কেউ বা ভীষণ সুখী। তবে ভালোবাসা অটুট রাখতে চাই বিশ্বস্ততা, চাই পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ।
প্রথম দেখা কলেজের শেষ দিবসেই। চেয়ে থাকতে থাকতেই দিনের পরিসমাপ্তি। আক্ষেপ এরকম দৃশ্যের কোন মানে হয় না। মন খুলে একটি কথাও হলো না। কেন এরকম দেখা হল ? শুধু রাতের ঘুম নষ্ট করা ছাড়া কিছুই করার নেই।
রাত জাগতে হয়েছি স্বপ্ন নিয়ে বিছানায় আকাশের অর্ধ জীবনের স্বাদ। মনে মনে রোমাঞ্চিত হলেও মনের দুঃখের কথা ভোলা হয়নি আকাশের। ক’দিন ধরেই আকাশের মাথায় একই পোকা। তার জীবনে কোন মেয়ের স্পর্শ আসে নি। প্রেম করার সুযোগ সে পায়নি। পড়া শোনা এবং একটু মেয়ে ভীতির কারণেই মেয়েদের সম্পর্কে কোনও আলাদা আগ্রহ তৈরী হয়নি কখনও। তার বাড়ী মা এবং বাবা এই তিন সদস্য।
কথাবার্তা এবং যাতায়াত বড় সমস্যার কারণ। বন্ধুদের সহায়তায় প্রথম দর্শনের শুভ যাত্রা। ফুল নিয়ে চমৎকার সাজে ঠিকঠাক করা স্থানের উদ্দেশ্যে রওনা দিল আকাশ। অচেনা একটি মেয়ে কিভাবে মনের অব্যক্ত কথা গুলো বলবে ভেবে ভেবে ততক্ষণে শরীর ভিজিয়ে ফেলেছে। এটাই স্বাভাবিক প্রথম দিন তো।
দু’গাছের মাঝখানে মাথা নিচু করে যে সুন্দরী বসে আছে তার নজর কোথাও নেই। আকাশ ভাবল, ভালবাসার কথা যে ভাবেই হোক তাকে আজই বলতে হবে। সংকোচ আর ভয় হওয়ারই কথা। ধীরে ধীরে পাশে গিয়ে দাড়ালো। তারপর আস্তে আস্তে পাশে গিয়ে বসল।
আকাশঃ আমি আকাশ তুমি–?
রুপাঃ আমি রুপা।
আকাশঃ আজ নিশ্চয়ই তোমার মুড ভাল নেই। অন্যদিন না হয় কথাটা বলা যাবে। তুমি বরং একটু সহজ হয়ে নাও। আমি এখানেই একটু সময় কাটিয়ে বাড়ী চলে যাব।
রুপাঃ না, তেমন কিছু নয় বলতে পারেন।
আকাশঃ (আকাশের খেয়াল হল) সরি। আমার মনে হয় আপনি দিয়েই শুরু করা উচিত ছিল। এই প্রথম কথা বলছি তো তাই। আমরা তো কেউ কাউকে চিনি না।
রুপাঃ (কমলা লেবুর কোষের মতো দু’খানা ঠোঁটের মুচকি হাসি দিল, তারপর মুখ ফিরিয়ে বলল) আপনার সঙ্গে আমার কিছু কথা আছে।
আকাশঃ খুব জরুরী।
রুপাঃ খুব জরুরী (রুপা মুখ ফেরাচ্ছিল না দেখে আকাশ অবাক হল)।
আকাশঃ বেশ, বলেন।
রুপাঃ আপনি হয়তো নিশ্চয়ই আমাকে খুব খারাপ ভাবেন।
আকাশঃ না, না, অকারণে খারাপ ভাবতে যাবো কেন?
রুপাঃ অকারণ নয়। মানে আপনি সত্যি কারেই একজন ভাল মানুষ।
আকাশঃ (সোজা হয়ে বসল) বুঝতে পারছি না, মানে না শুনলে বোঝব কেমন করে?
রুপাঃ হ্যাঁ। আপনি জিজ্ঞাসা করতে পারেন, আমি আগে বলিনি কেন ? একটা ফোন করে বলে দিলেই তো ভাল হতো। সেটা আমি পারিনি। না পারার কারণ ছিল। আপনিও তো বুঝতে পেরেছিলেন।
আকাশঃ মাথা নেড়ে নিঃশব্দে না বলল। আমার ভয় হয়, আর সেটা আমাকে যন্ত্রণা দেয়। আমি প্রকাশ্যে যন্ত্রণা চাই না।
রুপাঃ আপনি কেন ঠকবেন ?
আকাশঃ ভয় হয়। যাকে ভালবাসা বা ভাল লাগার কথা বলব সে যদি অন্য কোন মানুষকে মন দিয়ে বসে থাকে। তাহলে, ভালবাসা না পাওয়া এক আর ভালবাসার প্রস্তাবে অপমান সেটা মানতে পারব না।
রুপাঃ তাই নাকি ?
আকাশঃ হ্যাঁ। চারটি বছর একই কলেজে পড়া লেখা করছি। সেদিন দেখার পর মনে হল এটাই প্রথম দেখা। তার বেশি কিছু দেখেছেন কোন দিন ?
রুপাঃ আপনি যে এতটাই সহজ সরল ছিলেন আমি ভাবতেই পারিনি। তাই আমি আপনাকে ঠকাতে চাই না। আমি দুই বছর ধরে টানা প্রেম করেছি তানিমের সাথে। পার্কে ঘুরেছি, কত ফুসকা খেয়েছি, একসাথে সিনেমা দেখেছি, তার বেশি কিছু নয়।
আকাশঃ তাহলে তো তাকেই বিয়ে করা উচিত ছিল।
রুপাঃ তা ঠিক বলেছেন। কিন্তু আপনি যেটা সহজে বললেন তা আমার বাবা-মা ভাবতেই পারেনি। কলেজে আসা বন্ধ করে দিল। মোবাইল ব্যবহার নিষেধ। কিন্তু আমিও রাগি একরোখা মেয়ে ছিলাম। আমি যখন তাদের এসব মানা থেকে অবাধ্য হলাম। একদিন মা একপাতা ঘুমের ঔষধ খেল। সবাই বলতে লাগল মায়ের মৃত্যুর হলে আমি দায়ী। আল্লাহর অশেষ রহমতে মা বেচে উঠলেন। ভাল হতে না হতেই মা আমাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন আমাদের পছন্দ করা ছেলেকে যদি বিয়ে না করি তাহলে আমার মরা মুখ দেখবি। এবার আপনিই বলুন ?
আকাশঃ ভেবে পাচ্ছিল না সে রুপাকে কি বলবে।
রুপাঃ সব কিছু জানার পর যদি আমাকে আপনার ভাল লাগে তাহলে আপনি প্রকাশ করতে পারেন। আর এসব কথা সম্পর্কের পর একদিন শুনতেই পারবেন। আপনার মনে প্রশ্ন জাগবে তখন এসব কেন আমি লুকিয়েছি ? তখন হয়তবা হিতের বিপরীত হতে পারতো। তাই বললাম। বাকিটা আপনার উপর।
আকাশঃ হ্যাঁ। অবশ্যই সেটা ঠিক কথা বলেছেন।
রুপাঃ তখন যদি আপনিও আমাকে ধিক্কার দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়াতেন তখন কিন্তু আমার জন্য একটি রাস্তাই খোলা ছিল। সেটা হল মৃত্যু।
আকাশঃ তা অবশ্য সত্য। কিন্তু তানিম ছেলেটির ব্যাপারে আপনার বাবা-মায়ের আপত্তি কেন?
রুপাঃ তানিম কবিতা লিখে। কবিদের ওপর ভরসা করা যায় না বলে মায়ের ধারণা। বাড়ির অবস্থাও তেমন ভাল ছিল না। ওদের বাড়ির সদস্য ও একাই ছিল। বাংলায় অনার্স, বেসরকারী স্কুলে পড়ায়। বাবা-মায়ের মূল ধারণা ছিল বিয়ে হলে ঘর জামাই হতে চাইবে। কিন্তু ওর মতো মনের অধিকারী আমি কারও দেখি নি। দুই বছর প্রেম করেছি একবারের জন্যেও আমার শরীর স্পর্শ করেনি। যখন ওকে বিদায় জানালাম তখন ওর চোখ দিয়ে ঝর্ণার মতো পানি ঝরতে লাগল।
=============================================

কার অপেক্ষায় বসে ভাবি,
 আসবেনা সে ফিরবেনা জানি,
 এখন সে অন্য গ্রহে
সে এখন ভিন্ন স্বাদে মন-মজাইয়া মন-ফাগুনে তাই আমাকে ভুলে গেছে।

ধরিয়ে দেয়া দাবানলের আগুন এই উত্ত্বাপ স্পর্শ করেনা তাকে, 
আমি যে তার পথ চেয়ে থাকি, 
মনে পড়েনা ভুলেও ভুলকরে ।।
==============================================

~~ছায়া মানব~~
 

কোথাও না কোথাও কাঁদা লেগেই যায় 
শরীরে কিংবা মনে 
পানি সরে গেলে কিংবা তুমি
ছায়াতে পড়া আবর্জনা স্থির থাকে ছায়া সরে যায়
আলোতে কিংবা অন্ধকারে কি আসে যায়
ক্ষরণ জাগায় না মনে ছায়ামানবের
ভালোবাসার পিপাসায়;
ছায়ার দেহে কাঁদা লাগে না
ছায়ামানবের কান্না বাতুলতা
ছায়া হয়ে কিংবা
ছায়া মানব হয়ে জীবনটা কাটিয়ে দেয়া গেলে
বেশ হতো......... |
================================================

~~ঋণাত্মক শূন্য~~


পশুর সঙ্গে থেকেও পশুত্ব পেলাম না,
পেলাম পশুত্ব থেকে পাওয়া ঘৃণায় জন্মা সত্য,
মিথ্যার চার দেয়ালে শিখেছি যা
হারালাম নিজের মাঝে সে সকল সত্যগুলো,
সত্য শিখতে মিথ্যা জানতে হয়।
ভণ্ডামি কাকে বলে???
সে সকল ভাবনাগুলো,
শূন্য যেখানে উত্তর।
প্রশ্ন থেকে যায় যদি সত্য-মিথ্যায়
আত্মতৃপ্তির নেশা হয়ে যায় সেখানে ভণ্ডামি।
মানবতা খুজতে গিয়ে
কবি দেখেছি,কবিতা দেখেছি
আজও মানুষ দেখিনি।
কবিত্ত থাকলে যদি কবি হওয়া যেত
তাহলে ভাবনা,কাজ আর সৃষ্টি হত ঋণাত্মক শূন্য,
কবিত্তকে কবি বলা অযৌক্তিক।
পশুত্বে যদি ক্ষমা করার অনুভুতি পাওয়া যায়
তা হবে অভিশাপ,
মানুসত্তে ক্ষমা করা ধর্ম মানি
সে ক্ষমা লঙ্ঘিত হবেই।
সব শেষে;সৃষ্টি সত্য আর স্রষ্টা মিথ্যায়
ঋণাত্মক পূর্ণে অথবা ধনাত্বক শূন্যে...|
==============================================

~~অস্তিত্বে তুই~~ 
 

লোহিত কণিকা, শ্বেত কণিকার ছোটাছুটি 
রক্তের ভেতর; শিরা, উপশিরা আর ধমনী জুড়ে 
সাথে কিছু ভাইরাস আর ব্যাকটেরিয়া
আছে যেন জড়িয়ে ধরে
কিছু ভালো হয়ে যায় ঔষধ পেলে
কিংবা তোকে কাছে পেলে
কিছু ভাইরাস কুড়ে কুড়ে খায় মৃত্যুর দিকে ঠেলে
যেদিন থেকে তুই ফেলে গিয়েছিস চলে।

শুরুটা ছিল তোর, সমাপ্তিও তোর
আমি শুধু সাজিয়ে ছিলেম মিথ্যে বাসর
ভাবনার রঙিন ফানুস উড়িয়ে
মিথ্যে স্বপ্নের বোনা জালগুলো এখন যাচ্ছি পুড়িয়ে
সেই সেদিনের পর থেকে
ব্যবহারে পুরোনো ছেড়া ন্যাকড়া
ফেলে দিলি যেদিন ডাস্টবিনের এক কোনে
সম্পর্কের সমাপ্তির ফুলস্টপ টেনে।

এখন স্পর্শের ওপারে তুই ধরাছোঁয়ার অনেক ওপরে
তবুও কেন যেন তোকে একবার ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে
এখন হৃদয়ের ওপর নিয়েছিস কতগুলো হৃদয়ের ভার
একটুখানি তোর হৃদয়টা খুলে দেখতে ইচ্ছে করে
সেখানে আমার স্থান কোথায়, কিংবা ভালোবাসার
আমার, তার কিংবা অন্য কারো জন্যে।
==========================================

~~তুমি বলবেই আমায়,আর থেকো না অপেক্ষায়!~~


 
আজ সারাদিন আমি শুধুই ভেবেছি তোমায়,
কাছে যাওয়ার নেই যে উপায়!
তুমি কবিতার মত নির্মল,
তুমি কবিতার মত কোমল।
তোমার নির্মলতা আর কোমলতা,
বাড়ায় শুধুই ব্যাকুলতা।
এক রাশ আশায় আছি,
ভাবনার হবে ইতি।
তুমি বলবেই আমায়,
আর থেকো না অপেক্ষায়!
=============================================

~~পশু মানব~~

 

ওপর দিয়ে দেখলে মনে হয় কত জ্বলজ্বল করছে কত আলো 
মনের ভেতরে উঁকি দিয়ে দেখনারে মন কত কালো 
মনের মাঝে ঘুরে বেড়াচ্ছে কত স্বপ্ন কত সাধ
খুব সংগোপনে মনের ভেতর লোলুপ তাকিয়ে আছে কতইনা পাপ
দিনের আলোয় ডানা মেলা গাংচিলের ছানা
রাতের অন্ধকারে ডানা ঝাপটায় শকুনের ডানা
দিনের বেলায় দানবীরের মনুষ্যত্ব জেগে রয়
রাতের আঁধারে রিপুগুলো থাবা মেলে, বিবেক ঘুমিয়ে রয়
দ্বৈত স্বত্বার মাঝে বসবাস মানুষেরই
আমি, তুমি বা সে, প্রায় সবাই একই
কারো প্রকাশ প্রকট, কেও ঘুম পাড়িয়ে রাখে স্বত্বার ভেতরের দানব
খুব মাঝে মাঝে বের হয়ে আসে নখ দন্ত বের হওয়া পশু মানব।
===============================================

~~মেহেদীর আবরণে বিবণর্ কষ্ট~~


 
কাঙ্খিত প্রতিটা ভোরের মত সচ্ছ ছিলনা সেদিনের সূর্যোদয়
প্রভাতের সূচনালগ্ন থেকেই আকাশটা ছিল মেঘাচ্ছন্ন
কাননে কুসুম কলি,বাগানের ফুলেরা ছিল অপ্রস্ফুটিত
নিশিজাঁগা পাখিদের গুঞ্জন ছিলনা,ভ্রমরের গুনগুন ছিল স্তব্ধ
সেদিন আমার প্রশান্ত মহা সাগরে উত্তপ্ত ঝড় ছিল
দু'চোখের কোণে নেমেছিল শ্রাবনের বারিধারা,কান্না ছিল সজলا

সেদিন বিকেলের পরন্ত বেলায় গোধূলীর রঙ ছিল ফ্যাকাসে
দলছুট পাখিদের কোলাহল ছিল নিস্তব্ধতায় মুড়ানো
বেলাশেষে রাখালের ঘরেফেরা ছিল বিষন্ন ক্লান্তমুখর
সাঁঝের প্রদীপটা ছিল কষ্টরোহিত-যেন নিভু নিভু
বিধ্বস্ত ভূমির পিপাসিত কান্না ছিল এক ফোটা অনাদৃত বৃষ্টি
অথচ সেদিন আমার দৃষ্টি জুড়ে বৃষ্টি ছিল প্রখর অনির্বাণا

সেই রজনীর উঠোন জুড়ে আকাশে চাঁদ ছিলনা কোথাও........
জ্যোৎস্নারা বিলুপ্ত ছিল অপূর্ণতায়,মেঘের ছুটাছুটি ছিল অক্লান্ত
বিষাদে ঘেরা নিঃশব্দ রাতের আঁধার ছিল অফুরান্ত.............
চঞ্চলা বসুধার দক্ষিণা সমীরণের বহতা ছিল অচঞ্চল স্থির
বুকে আমার পাথর চাপা কষ্ট ছিল,বেদনায় দু'চোখ ছিল নীল
তন্দ্রাহীনতায় রাত্রি দ্বি-প্রহরে আমি এখন (দুঃখের) অতন্দ্র প্রহরীا

আমার সমস্ত পৃথিবীটা যখন নিরাসক্ত,অশ্রুজলে ভাসছে জীবন
তুমি তখন হেসেছিলে,তোমার হৃদয় কল্লোলে ছিল ফাগুন
সেদিন তোমার পল্লবীতে সুখ ছিল,বসন্তে রাঙানো ছিল মন
আমি নির্বাক চাতক দৃষ্টিতে তন্ময় তাকিয়েছিলাম সেদিন
সেদিন তোমার আঙ্গিনা ঘিরে বেষ্টিত ছিল লাল নীল আলোকিরণ
সেদিন তুমি ছিলে নবসুখের সন্ধানে,তোমার হাতে ছিল মেহেদী বরণا
===============================================

কত চড়াই উৎরাই পার হয়ে এসেছি ফিরে
পূর্বাস্তিত অস্তিত্বের মায়া তটে,
ধূলি ধূসরিত দিঘীপাড়ে উষর বেলাভূমে
ক্লান্ত পরিশ্রান্ত মনে হয় হেরে গেছি জীবনে।।
===============================================

~~হিমতম মৃত্যুর ডানা~~


আবারও এসেছে শীত 
হিমের রেজকি প্রকৃতির পাতা 
তূষারের মত যেন ঝরে। 

যেন দূর দেশাগত
সারারাত পাখি
নতুন জীবনের মৃত্যুর সংগীতে
নিঃসঙ্গ কোকিলা যে কোকিলবিহিনী হয়ে
একাকিনী কাঁদে।

জানালার ওপাশের নীরবতা জার
প্রকৃতির বুক চিরে বহমান
পৃথিবীর সকল ভাবনার
আকাশের মাথার উপরে
হিমতম মৃত্যুর ডানা ঝাড়িতেছে
আর আমি
দূরতম মৃত্যুর ডিমের ভিতরে
চলে গেছি ফিরে
যেন এই নিশিথের নীরবতা ফেটে
সূর্যের দেহ নিয়ে জাগি নবতর।
==============================================

~~সম্পর্কের পরিচর্যা~~


আমাদের আনন্দ, সুখ অনেকটাই আমাদের হাতে থাকে না! অনেকটাই নির্ভর করে আমাদের সাথে সম্পর্কযুক্ত ও সম্পর্কের বাহিরের মানুষের উপর। চাই বা না চাই, চারপাশের মানুষজন আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করে। সম্পর্কগুলোকে আমরা কিভাবে দেখি, কিভাব ব্যবহার করি, তাই নির্ধারন করবে আমাদের সুখ, সাফল্য, সমৃদ্ধি।

সম্পর্কগুলোর পরিচর্যার উপর নির্ভর করে আমাদের সুখের ফোয়ারা উৎপাদনশীলতা। এ ফোয়ারা হতে প্রয়োজন মত উষ্ণ জল, ঠান্ডা জল, পরিমাণমত সব পেতে হলে ফোয়ারার পূর্ণ উৎপাদনশীলতা!আর তার জন্য চাই, অবিরাম যত্ন, পরিচর্যা। পুরনো সম্পর্কগুলো ঝালাই করে নিতে যা যা করার দরকার, সবই করতে হবে। নুতন নুতন সম্পর্কগুলোকেও গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। সম্পর্ক গড়া ও তা বজায় রাখার জন্য একটা খোলামেলা মন অপরিহার্য। মনটাকে সদা ছন্দোময় রাখতে হলে মনটাকে উন্মুক্ত করে দিন।

সারাজীবন থাকবেন ফুরফুরা, গভীর প্রশান্তি আপনাকে রাখবে সদানন্দে।
==============================================

কিশোরী রাত্রির এখন ধুমধাম ভরা যৌবন,
চারপাশ সুনসান, সবাই বেহুশ গভীর নিদ্রায়,
জেগে আছে শুধুই একাকী এক প্রেমিক পাগল।
=============================================

সেই ভালবাসা হারিয়েছে বনান্তরে
সেই ভালবাসা একলা পাখি উরে
সেই ভালবাসা ছেঁড়া সিন্ধু ডাকে
সেই একা এক ডাহুকের বুকে বুকে
সেই ঘুড়িয়াল সুরে সুরে।
============================================
যাকে পর ভাব তাকে মিস করোনা
যাকে মিস করো তাকে কষ্ট দিওনা
যাকে কষ্ট দাও তাকে ভালো বেসোনা 
আর
যাকে ভালো বাসো তাকে ভূলে যেওনা |
===========================================

তুমি কবিতার মত সুন্দর
তুমি কবিতার মত গভীর।
তুমি কবিতার মত পদ্য
তুমি কবিতার মত গদ্য।
তুমি কবিতার মত অনন্য
তুমি কবিতার মত বিশুদ্ধ।
=============================================

~~রাত পরি~~


রাত পরি আজ ঘুম দিয়েছে কথা না বলে
আমার চোখে না দিয়ে ঘুম
তার দুই নয়নে স্বপ্ন ঘুমের ধুম পড়েছে
রাত পরি আজ ঘুম দিয়েছে কথা না বলে

তার কথা শুনতে আমার বাড়ি
রাত্রী এসে মাদুর পেতেছে
জোসনা এসে পাশে বসেছে
আমার নির্বাক বাড়ি নিঝুম রাত্রী
আমি শূন্য ভাসছি খেয়ালে
রাত পরি আজ ঘুম দিয়েছে কথা না বলে ।

সব কথা তার বুকের ভেতর
মন কাঁপনের বাজনা বেজেছে
তার হাসিতে ফাগুন ধরেছে

তার হাসিতে আমি হাসি
ভাসি ভাসি শুধুই ভাসি
যাকনা সময় দেখা দেখি
ফিরবেনা মন বাজি ধরেছে ।
রাত পরি আজ ঘুম দিয়েছে কথা না বলে ।
============================================

তুমি এলে নিয়ে যাবো ‘শৈল প্রপাতে’,
‘মেঘলার সুদীর্ঘ সিঁড়ি বেয়ে লেকের শান্ত পানিতে।

শীতল করব তপ্তপদথল পদযুগল ভিজিয়ে,
প্রতীক্ষায় আছি কখন তুমি আসবে ।।
============================================

~~বাসনা~~


ভুল করে অজানা পথে খুঁজি তোমার ঠিকানা
আজ সব হারিয়ে নিস্তব্ধ আমি,
আবেগের টানে হারাই অজানা সুখের বসতি।

আমি ভালবাসিনি তোমার নগ্নতা
তুমি আমি উম্মাদনায় উত্তেজিত যতটুকু,
তোমায় নিয়ে যত ভয়, যদি হারাই সুখের ঠিকানা ?
অজানা অচেনা পথ, একটু হোচট খেতেই পারি, তাই শত ভয়।

কি বলব তোমায় ?
কিশোরী নারীর উথলা দেহখানা,
নিজের চিন্তা নিজে করি না, বড় ভয় হারানোর
পথ ভুলে যদি কোনদিন হয়ে যায় তা অন্যের।

উচ্চবিত্ত আর মধ্যবিত্ত ভাবে না কেউ জীবনের
এ কেমন সুখ, কেমন শান্তি ঘোড়ার মত দৌড়ে বেড়াই,
মহাসাগরের সবটুকু জল শুকিয়ে
নিথর দেহখানি আমার চুপটি মেরে নিদ্রারত
একাকি আমি একপ্রান্তে ঠিকানা হারিয়ে ।
=============================================
অরণ্যের গহীন আড়তে
বাইনোকুলার দিয়েও আমাদের 
থাখুক খুজতে যেখানে ইচ্ছে
কেউ পাবে না খুজেঁ।

ঠিক আমার সামনে
এসে যখন দাঁড়াবে,
মুহুর্তে যাব হারিয়ে
কোন এক স্বর্গে।।
==============================================

~~জনম আন্ধা~~

 
তোমারে কত্তো কইরা কইলাম,
আমারে তুমি বাইসোনা ভালো,
আমার আন্ধার ঘরে তুমি,
জ্বাইলো না আলো,
জনম আন্ধা আমি,
এমুন প্রখর জ্যোৎস্না,
আমি কি সইতে পারি,
তুমি হইলা গিয়া আসমানের চাঁন,
মাটির বামুন আমি,
আমার কি সাধ তোমারে লইয়া,
স্বপন সাধার!,
তবু তুমি জ্বালাইলা প্রেম বাত্তি,
আমারেও জড়াইলা, পুড়াইলা,
স্বপনে দহণে,
নিজেও শ্যাষে ঝাঁপ দিলা গো,
অনলে গরলে।
==============================================

কখন আসবে তুমি ?
তুমি আসবে বলেই
অনাবিল এক শিহরণ
ঢেউ খোলে যায় মনে।

তাকিয়ে নিবিষ্ট হয়ে
আমি দেখব তোমাকে,
তুমি আমি প্রজাপতি হয়ে
হারিয়ে যাব নিমিষে।
==========================================

~~পরশ~~


 
আমার প্রেমের শিখা,
নিবায়েছে যে,
সে আমার,
আমার প্রেমের ক্ষত।
আমাকে শীতল,
করেছে যে,
সে আমর প্রিয়া,
প্রিয়ার উষ্ণ পরশ।
==========================================

~~আগুন আদর~~


 
বড় দুঃসময়-কাল এখন আমার,বুকের ভেতর,
ভয়ানক অস্হিরতা নিয়ে খুঁজেফিরি, খুঁজেফিরি,
উষ্ণ কোনো কোমল পরশ,
কোথাও পাইনি, কেবল প্রেমহীনতা সবখানে,
প্রেমহীন শীত আমাকে ক্রমশ করে নিচ্ছে গ্রাস,
ধীরে অতিধীরে ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাচ্ছে হৃদয় জমিন,
এই প্রেমের আকালে,
তোমাকেই স্মরণ করি,
হে আগুন কন্যা,
কুয়াশা চাদর ভেদ করে তুমি এসো,
বসন্তের সঞ্জীবনী সুধা হাতে তুমি এসো,
প্রেম হাতে তুমি এসে দাঁড়াও সম্মুখে,
আদিম উষ্ণতা দিয়ে ঢেকে দাও,
শীতার্ত আমাকে ঢেকে দাও,
প্রেমের চাদরে,
জড়াও তোমার ওমে,
আমাকে বাঁচাও,
প্রেমহীন জরাগ্রস্হ আমাকে বাঁচাও,
বাঁচাও তোমার আগুন আদরে।
==============================================


No comments:

Post a Comment