Sunday 4 August 2013


~~বিয়ের ফুল~~


বিয়ের ফুল তখনো ফুটেনি
সবই নিষিদ্ধ পল্লীর ষড়যন্ত্র মনে হয়
মেয়ে দেখবার নেশা ,জমে বসেছে নিভৃতে যতনে বেলাভূমি
সোনালী স্বপ্নগুলো বেনী পাকানো শুরু
দেহ থেকে মস্তিস্ক পযন্ত ক্ষুধার্ত কুকুরের মতো
যৌবন জুলুম হুলিয়া তুলে হাসে
নিজের আঙ্গুলো অচেনা ঠেঁকে মাঝ প্রহরের নীদ্রহীনতায় ৷

রাত নিস্তব্ধতায় আয়ু বড় ঘেউ ঘেউ করে পরম অপ্রাপ্তির দীর্ঘশ্বাসে
গল্পের সোনালী প্রান্তর জুড়ে নস্টালজিয়ার চতুলতার ব্যকারন
অনুভূতির খোলা মাঠে হতাশার গ্যাস বেলুন উড়ে
এক খণ্ড আশ্রয়ের খোঁজে অসম্ভব অস্বস্তি রাত জাগা ৷

মুখ থুবড়ে মুষড়ে পড়ছে আছে চোখ আর নীলমনির সহবাস
একঘেয়ে বর্ষণের মারদাঙ্গা অনিশ্চয়তা বন্ধুত্ব হচ্ছে ক্ষতের পাশে
বকাটে ঘৃণার আগুনের রোদেলা চতুর ছায়ারা যাপিত শিহরণে বিরক্ত
উন্মুক্ত তেপান্তরে বালকবেলার ছোটকালের অসহ্য কষ্টের দাপাদাপি ৷

আমি বারবার বাবুই পাখি হই তোমার নীল নীল আকাশ জুড়ে
তুমি বেদনানাশক খাঁচায় নীল বেদনা ছুঁয়ে, নীলতুলো ছেড়া মেঘে
আহত কান্না বড় নীল কেন হয় , তোমার নীল কেন এত পছন্দের ৷

আমার বিয়ের ফুল তখনো ফুটেনি ,আমি ধর্ষিত হই চোখে চোখে
প্রকাশ্য নিলাম হই জাগতিক সন্ন্যাসের অপ্রত্যাশিত ইব্দ্রনে
কালের ছলছল চোখ পিছনের হাত নাড়ে ,বন্ধুর পথ পিপাসা মিটে না
আমি মধ্যরাতে পূর্বপ্রকাশিত হই,পথিক যেমন তার নিকট গন্তব্য জানে ৷
================================================
=জাতিস্মর বসন্ত ও ইতিহাস=


এবার বসন্তে তোমাকে লাল চুড়ি কিনে দিব
রক্তে রাঙা লাল টিপ
তোমার কপাল জুড়ে আলোর দ্যূতি
ছড়িয়ে যাবে সমস্ত পৃথিবীর কোনে কোনে;
সবুজ ঘাসের শাড়ির আঁচল
হেলে দুলে এই বসন্ত হাওয়ায়
শাহবাগ থেকে আলাবামা
উত্তর দক্ষিণ সবখানে
তোড়নে তোড়নে প্রাঞ্জল
সমষ্টিবদ্ধ শান্তি মিশন ।
হেরে যেতে পারে না কবি
তোমার উত্তর পুরুষ জাতিস্মর, উত্তাল ইতিহাস।

গ্রামে-গঞ্জে, শহরে, চায়ের দোকানে,
রাস্তার মোড়ে হাটুরিয়ার সংলাপে।
কবি কখনো হারতে জানে না,
হারবে না;
বসন্তে বেঁচে থাকবে
শিশুদের ঝোলানো বইয়ের ব্যাগে
কৃষকের হাতে মোছা ঘামে
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ...।
আবার জন্ম নেবে শিশু
সুস্থ ফসলের ক্ষেতে।
তারপর
বটতলার বাসন্তী মেলায়
আলতা, চুড়ি, পুঁতির মালা, জড়ির ফিতা
সব সব কিনে দিব।
নতুন করে সাজাবো তোমায় এবং
তুমি আমি ইতিহাস হব
জাতিস্মর এ আমার বাংলাদেশ ও বসন্ত। 
=======================================

~~খাতা ভরতি না লেখা ~~

আজ লিখিনি কিছুই
খাতা ভরতি না লেখা,কালি শেষ ।
আমার জীবন লিখতে গিয়ে মা, তোর মতই, আমিও ।
মা তোর নাপারাগুলো রপ্ত করতে বেশ লাগে, জানিস ।
আঁচড় আগলে আমি,আমার আত্মজ,
কাল বেয়ে বেয়ে থাকবো শুঁয়োপোকা হয়ে ।
নিয়মের নিব না ভাঙ্গা অবধি,
কয়েক নিঃশ্বাস ফরফরানি।
=====================================

~~বন্ধু দিবসের কবিতা ~~


বন্ধু তুই যেখানেই থাকিস
বন্ধুই আছিস

হউক না দূরত্ব
সাত সাগর তের নদী পার

বুঝে নেবো খুজে নেবোই
হৃদয়ের আবদার

কত দিন দেখি না তোরে
হয়নি কথা মোবাইল ফোনে

চোখের তারা ঝাপসা হয়ে আসে
হৃদ বীণা তাল হারিয়ে ফেলে

স্মৃতি রা ম্লান হয়ে যায়
হারান দিনের মৃদু কথা কয়

হউক না দূরত্ব
সাত সাগর তের নদী পার

প্রাণের টানে তোকে,
খুজে নেব আবার

সেদিনের মিছে অভিমান
সেদিনের আনন্দ-বেদনার গান

সেদিনের ছোট ছোট দূরত্ব
হিরো সাজার ভান

সবই ছিল ছেলে মানুষী
মনে হলে হাসি এসে যায়
মন শুধু স্মৃতিতে হারায়

হউক না দূরত্ব
সাত সাগর তের নদী পার
বন্ধুত্ব নয় হারিয়ে যাবার 
============================================

~~ছাই হয়ে যাই~~

অনেক রাতে তারা জেগে থাকে মৃত্যূকে ঘিরে
দুরে রাত জাগা কুকুরের ডাক,
নাইট গার্ড ডেকে উঠে হুসিয়ার সাবধান। 
মধ্যরাতের ঘোড়সাওয়ার,
ঘুমন্ত মানুষ ক্ষুরের আওয়াজ শোনেনা
যারা জেগে থাকে তারা সুখে থাকে।

ভাবনার মাঠটাই নারীর দখলে
নদীর বাঁকে ভাঙ্গনের হুল্লোড,
যা ধরি সব ছাই হয়ে যায়
যদি মরে যাই যেন ছাই হয়ে যাই। 
=================================================
এ দুনিয়া পাপশালা!
ধর্ম- গাধার পৃষ্ঠে এখানে শূন্য পুণ্য ছালা!
হেথা সবে সম পাপী,
আপন পাপের বাটখারা দিয়ে অন্যের পাপ মাপি!
============================================

নির্ঝর পথে ব্যাকুল তনয়া কাশফুলের নাড়াচাড়ায়
হঠাৎ করেই সঙ্গ নিলাম
তনয়া বামে তাকাল
দেখল - আর মুচকি হাসল
আমিও হাসলাম আর বললাম চলো
কতদিন সূর্যের তড়িঘড়ি ডুবে যাওয়া দেখিনি
আজ দু'জনার সন্নিকটে সূর্য ডুবে যাবে
পৃথিবীর একপাশে অন্ধকার হচ্ছে আরেকপাশে সূর্য ডুবছে
দু'বৈচিত্রের মাঝে আমরা দুজন-
এরকম কাল্পনিক কথা হয়ত তুমি আগে শুননি-
শুনবে কি করে , কারণ এর আগে তো তোমাতে আমি আসিনি -
আজ তোমাকে কল্পনায় পুর্নতা দেব-
আর তুমি কাল্পনিক হবে আমাতে-
================================================
~~ফিরে এসো~~


খুলে দাও তৃতীয় নয়নের সবকটা জানালা
ঝেড়ে ফেল রাগ-অনুরাগের ত্রুটি বিচ্যুতি
শুন নৈকট্য লাভের করুন আর্তনাদ!

প্রাচীরে কান্নার দহন!অমোচনীয় দাগ
বিবর্ণ হয়ে গেছে সাজানো অট্টালিকা
টেলিপ্যাথির এই আহবান বড়ই নিখাদ!

প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত নিরঙ্কুশ ভাবে চাই
বৈপরীত্য উপেক্ষা করে স্বগৃহে ফিরে এসো
সবটুকু প্রাণশক্তি দিলাম! মিটাও আহ্লাদ!

হৃদয় স্রোতে প্রতিক্ষণ রক্ত কণিকা নিঃসরিত
হয়েছে অবহেলার যবনিকা ! বন ফুল নও
ফিরে এসো সাহসিকা, খুঁজি জীবনের স্বাদ !
==========================================
~~প্রেমের সংজ্ঞা~~

প্রেমের সংজ্ঞা কেমন হবে চিন্তা ক’রে মরি,
যুতসই সেই প্রেমের সংজ্ঞা খুঁজে খুঁজে ফিরি।

কোনটা আসল, কোনটা নকল, কোনটা হবে খাঁটি
কোন প্রেমেতে বৃক্ষরাজি আঁকড়ে থাকে মাটি?
কোন সে প্রেমের টানে থেকে বাবুই পাখির ছা,
ফিরে এলে লক্ষ্মী মা তার ...মুখটি করে হা?
কোন সে প্রেমের টানে এসে ভ্রমর ফুলে ব’সে
সোহাগ ভরে আদর ক’রে নেয় মধুটি শুষে?
কোন প্রেমেতে প্রেমিক যুগল করছে জীবন দান?
কোন প্রেমেতে বিজ্ঞানীরা করছে ব’সে ধ্যান?
কোন প্রেমেতে লেখক কবি লেখে দিবস রাত?
যদিও তাঁর নেইকো টাকা ঘরেতে হাভাত।

মায়ের প্রেমে, ভাইয়ের প্রেমে আছে রকম ফের,
পিতা-পুত্র-কন্যা প্রেমের অন্য রকম জের।
প্রেমের সংজ্ঞা খুঁজতে তোমার গুলিয়ে যাবে মাথা,
লিখতে যদি করো শুরু ভরবে তোমার খাতা। 
==============================================
~~হৃদয়ে বন্ধু দিবস~~

বিশুদ্ধ স্মৃতির বন্ধন থেকে বলছি বন্ধু দিবস
এটা সে হৃদয় যেখানে দীপ্তিমান ভালোবাসার নিবাস
রূপালী জোৎস্নার আলোয় ভরে থাকে শুধু এ আকাশ
অনুভবের বাতায়নে বয়ে চলে কালিমাহীন সুবাতাস

পরস্পরের আহ্বানে হৃদয়ে হৃদয় মিলে একই মোহনায়
প্রাত্যহিক ক্লান্তিগুলো ভুলে যায় স্বপ্নীল পদচারনায়
সুতীব্র আবেগের বৃষ্টি ভিজিয়ে দেয় এ মোন কতো
রাত্রি শেষে অমল প্রভাতের অভিলাষী উল্লাসের মতো

উদাত্ত রঙের ঘুড়ি গুলো এলোমেলো ভাবনায় উড়ে
অহর্নিশ মুখোরিত থাকে স্বার্থক এ হৃদয় জুড়ে
ভালোবাসার আঙ্গিনায় ছড়িয়ে থাকে নিতান্তই বিশ্বাস
এটা চলমান,থামবেনা জানি যতোদিন রবে নিঃশ্বাস
 
============================================
'''''''''''' আমি চাই না '''''''''''

জীবনে জদি কাউকে ভালবাসো।
তা হলে এমন একজন কে ,
ভালবাসো যাকে তুমি পাবে।
কারন ভালবাসা পেয়ে খুসি হওয়ার চেয়ে।
হারানোর কস্ট অনেক বেশী।
যেমন…দিপা…কে ভালবেসে আমি কস্ট পাচ্ছি।
আমি চাই না যে সেই কস্ট,
বন্ধুরা তোমরা ও পাও।
========================================
“~~বাসন্তীর প্রেম~~”


হে রঙ্গিন বসন্ত,
তোমাকে তো দেখেছি একদিন প্রিয়তমার চোখে
আমাকে দেয়া তার গোলাপের পাপড়ীতে।
একদিন শীতের জ্বালা শেষে-
শিমুল,পলাশ আর কৃষ্ণচূড়াদের ভীড়ে
তার দৈহিক ঘ্রাণে পেয়েছিলাম বকুলের ঘ্রাণ।

হে সুরের বসন্ত,
প্রকৃতির সবুজ উঠোন আর পার্থিব লোকালয়ে-
প্রিয়তমার আহ্‌বান আর পাখীদের কলতানে
আমাকে সুরেলা হাওয়ায় সেদিন,
ফাগুন আগুনের সূক্ষ ছটায়
জীবন বসন্তের নিবিড় সমন্বয়ে
অনুপম শিল্পে করেছিলে মগ্ন।

হে স্বপ্নীল বসন্ত,
অলস প্রহরের মৃদুমন্দ বাতাস,
উজ্জ্বল রোদের চঞ্চল বিকিরণ
আর গোধূলির মায়াবী আলো সেদিন
তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছিলো ছন্দহীন জীবনে আমার।

তারপর…
হে সবুজ বসন্ত,
প্রিয়তমার কণ্ঠে ভ্রমরের গুঞ্জন আর
কোকিল সুরের সিম্ফনি তুলে
কী নির্বিকার আহ্লাদে,মোলায়েম ভোররাতে
একদিন প্রিয়তমার মত করে
উপহার দিলে তোমার ছেঁড়া জ্যোৎস্না।

অতঃপর...
জীবন গোছাতে গোছাতে কেটে গেছে বহুকাল
কত ফাগুন নিঃশব্দে গেছে কেটে।
বসন্ত আর দেখি নি কারো চোখে
পুষ্প আর ফোটে নি আমার আম্র কাননে।
শুধু নির্বাক চেয়ে দেখেছি
প্রিয়তমার বিদায় আর বসন্ত বদল।

সেই থেকে
বাউন্ডুলে আমি ছিন্নমূল পথপ্রান্তে
কোটি আলোকবর্ষ দূরত্বে আছি
যেখানে বাসন্তীর ঘ্রাণ পোঁছায় না
আর পৃথিবীর উপরে ছুটে চলছি
বহুদূর থেকে বহুদূরে.........
===========================================
~~বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা~~

বন্ধু তোমায় শুভেচ্ছা জানায় বন্ধু দিবসে,
তুমি বন্ধু আছো আমায়, অস্তিত্বে মিশে।
বন্ধু তুমি যতই থাক আমায় থেকে দূরে,
তোমায় আমি যত্ন করে রেখেছি অন্তরে।

বন্ধু তুমি পোড়া অন্তরে বেচেথাকা জান,
তোমার জন্যই শপেছি,আমার মন প্রান।
বন্ধু তুমি হৃদাকাশের একটি ধ্রুব তারা,
তোমার জন্য আমার, মনটা পাগলপারা।

শুধু তোমার জন্য বেচে আছি এই ধরায়,
জীবনে যেন তোমায় বন্ধু ,আর না হারায়।
আমার মনে যত কষ্ট, থাকনা যত যাতনা,
ভাল থেকো বন্ধু তুমি, এই মোর কামনা।
=======================================

""ফিরে আসবো এবং..... ""


মায়ের টানে মাটির টানে আমাকে ফিরে আসতেও হবে ,
আজ আমায় পিছু ডেকো না ওগো রাজবংশী প্রিয়ে ।
শত শত গাংচিলের ঘরে ফেরা কেউ রুখতে পারেনি তাই আমিও
 ফিরে আসবো এবং ...

আমাকে বেধোনা কোন ঋষিদের বাধা বাণে
তবুও আমি আসবো ।
=========================================
'''''''''''''' বন্ধু ''''''''''''''''''

বন্ধু বলে ডাক যারে।
সে কি তোমায় ভুলতে পাড়ে।
যেমন ছিলাম তোমার পাসে।
আজ ও আছি ভালবেসে।
==========================================
আমাকে ভালবাসার পর তোমার আর কিছুই থাকবেনা আগের মতো -
স্বপ্নের রঙে মন ভেজাতে ভেজাতে তুমি ঘুমাতে যাবে -

চাদের কদাচিদ আলো তোমার বারান্দায় পরতেই তুমি কল্পনাতীত হবে-
অযথাই গান গাইতে থাকবে -

আমাকে ভালবাসার পর -

তমি আমাকে তোমার মত ভাবতে শিখবে
অযথাই হাতে মেহেদি সাজিয়ে বসে থাকবে-
তোমার নূপুরের শব্দে ভোরের পাখি ডাকবে-

আমাকে ভালবাসার পর-

তুমি জগতের সব মায়া হতে আলাদা হতে থাকবে-

আমার অস্তিত্বে তোমাকে খুঁজে পেতে চাইবে-
আমার প্রতিটা মূহুর্তে আমার হতে থাকবে-

আমাকে ভালবাসার পর-

তুমি প্রতিরাতে ঘুমাবার আগে আমার চিন্তায় ব্রত থাকবে-
আমাকে ভালবাসার পর তুমি আমার হতে চাইবে-
শুধু আমার -
============================================
আমার ছোট একটি পৃথিবী আছে,
হয়তো তেমন বিশাল না,
 তোমার  টির মত । 
আর এই পৃথিবী জুড়ে শুধুই তোমারই পদ চারণা ।
 সেখানে তুমি ছাড়া আর কেহ নেই ।
 সেই পৃথিবীর বুক জুড়ে স্তরে স্তরে সাজানো
তোমার প্রতিচ্ছবি ।
============================================
~~মন ময়ূরী ধরেনা সাজ~~ 


মন ময়ূরী ধরেনা সাজ আমার আঙ্গিনায়
তুমি চলে গেছ বলে দূর অজানায়

কি সুখে আছতুমি স্বাদ জাগে দেখিবার
যানি আর দেখা হবেনা এপার ।

যানি আমি মরেগেলে কাদবেনা অস্রু ফেলে
আমার জীবন পিষ্ট করে গেছ পদতলে ।

যে বুকে তুমি ছিলে সেই বুকে জ্বালিয়ে আগুন
তুমি বেছে নিলে সুখের ফাগুন.......

=========================================
'' ==মনে পড়ে না== ''


এখনো কি সেই আগের মত আকাশ দেখ।
নাকি সময় পাও না।
এখনো কি আগের মত বৃস্টিতে ভেজ।
নাকি ইচ্ছে করেনা।
দিপা এখনো কি তুমি আমায় ভাব।
নাকি মনে পড়ে না।
=========================================
'' ==মন== ''

মনটা কে রাস্তার মত খুলে দিওনা।
যাতে সবাই চলা চল করতে পারে।
বরং মনটা কে আকাশের
মত বিশাল করে রাখ।
যাতে করে সবাই আশ্রয় নিতে পারে
কিন্তু ছুতে পারবে না।
==========================================

প্রেম হচ্ছে পাবলিক
টয়লেটের মত.......
যে ভেতরে গেছে সে
বাহির হওয়ার জন্য
ছটফট করে ।
আর যে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে
সে ভেতরে যাওয়ার
জন্য ছটফট করে....

=========================================
সেদিন দেখলাম ভালবাসা গুলো কাকে যেন দিতেছ
যেগুলো তোমায় দিয়েছিলাম - শিখিয়েছিলাম
অনুভুতির সব রং একেছিলাম
তোমার চুড়ায় - শিহরণে
একসময় দেখবে তোমার থেকেও
অনুভুতিগুচ্ছ হারিয়ে গেছে
তখন তুমি একা হয়ে যাবে
অনুভুতিহীন মহীয়সি
আমার মাঝে কল্পনার ছক আকতে চাইবে
তখন হয়তো তোমার বৃত্ত আমার অধুরে চলে যাবে
কারন তোমার কল্পনার সবটুকু রং আমার আকা
আর তুমি হইতেছ বিষাদ সাধা পুতুল-

অবেলায় সন্ধ্যা -
===========================================
=হৃদি যমুনা=


হৃদি যমুনা! ও হৃদি যমুনা আমার
তোমার বুকে যে পদ্ম ফুটে
বলো কেমনে তুলিব তারে
বলো কি দিয়ে পূজিব যুগল চরণ তাঁর।
ও হৃদি যমুনা আমার ...
যদি মন পবনের ঢেউ এসে
আমার কুলে ভিড়ে
তুলতে গিয়ে পড়ে গেলে কি
রাখবে বুকে ধরে?
ও যমুনা ! হৃদি যমুনা আমার।
==========================================
~~আত্মকাব্যঃ~~


একদিন নিজেকে খোঁজতে গিয়ে আমি
হতাশার মৌরসিপাট্টায় দাঁড়িয়ে দেখেছি
বংশের ঘামে ভিজে যাচ্ছে আমার ভবিষ্যৎ ।

একদিন নিজেকে খুঁজতে গিয়ে আমি
স্তব্ধতার শুকনো ঠোঁটে অসংখ্য গোলাপের কান্নায়
ভেঙ্গেছিলাম অতীতের মতো জীবনের শপত ।

তারপর
পাখির বুক জড়িয়েছে দুপুরের রোদ্দুর
কারো মন চমকিয়ে সূর্যাস্তের রঙের মতো
তোমার বুকে ডুবল দুরান্তের একখণ্ড বাতাস,
কি ব্যাকুল আগুনে গড়া সত্ত্বাময় আধখানা চাঁদ
অন্তরাল ছিঁড়েখুঁড়ে প্রবেশ করছে নিবিড়
নরম অগ্রজ হাহাকারে !
==========================================
~~সেদিন এলে ঘরে~~

বিয়ের ক’দিন পর
কী জানি কী হ’লো,
আমার হৃদয় কোণে
তোমার আসন হ’ল।

মায়ের হাতে গড়া
হৃদয় ছিল ফাঁকা,
সেই হৃদয়ে শুরু
তোমার ছবি আঁকা।

মায়ের আসন খানি
নড়েনি এক চুল,
পতিত হৃদয় ভূমে,
ফুটল তোমার ফুল।

ধীরে অনেক পরে
কেমন করে আসি,
বসলে জেঁকে তুমি
মায়ের পাশাপাশি।

সেই যে চলা শুরু
২৫ বছর পরে,
অবাক এ মন বলে
সেদিন এলে ঘরে!! 
===========================================
মফস্বলের কোন এক কিশোরীকে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম-
‘তোমার হৃদয়ের উল্টোপিঠে কোন শুন্যস্থান আছে কি ?’
কলেজের চৌহদ্দিতে পা রাখা কিশোরীটি প্রতিউত্তর করেছিলো-
‘হৃদয় বলতে তোমরা কি বোঝ আমি জানিন না ।
তবে; ভেনেটি ব্যাগের কয়েকটি প্রোকষ্ঠকে আমরা হৃদয় বলি
তুমি কি সেই হৃদয়ের শুন্যস্থানের কথা বলছো ?’
কাধেঁ ঝুলে থাকা হৃদয়ের ভার আমি বইতে পারিনা
ওতে কেবল বোগলের দামি পারফিউমের ঘ্রাণ চুয়ে পড়ে।
তোমাদের হৃদয় খুলতেই ভেসে উঠে-
স্মৃতিসৌধ আর শহীদ মিনারের ছবি সম্বলিত কিছু ছাড়পত্র
তাতে লিখা থাকে-“চাহিবা মাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে”।
=============================================
~~মূর্খ জন।~~

আমি কে ? আমার আসল ঠিকানা কোথায় ?
ইদানীং অনেকে আমাকে প্রশ্ন করে,
উত্তরে বলি আমি মূর্খ আমার স্থায়ী ঠিকানা
অবহেলিত গ্রাম বাংলার কোন এক অখ্যাত নীড়ে।

অনেকে কবি ভাবেন জেনে খুশি হই
কিন্ত সে যোগ্যতা মোর নায়,
মাঝে মধ্যে শখে একটু কবিতা ছড়া ইত্যাদি
লিখতে কেন জানি মন চায়।

তাই মাঝে মধ্যে মনের ভিতরের মন
কোন বিষয় নিয়ে একটু ভাবে যখন,
কোথায় থেকে কিছু শব্দ ছন্দ অন্ত চয়ন
আমার শিরে এসে তুলে শিহরণ।

আর তখনই আসে পাশে পেলে কাগজ কলম
কিম্বা আধুনিক লিখার কোন সুবিধাজনক উপকরণ,
একটু ভেবে চিন্তে লিখার চেষ্টা করলেই খোদার কৃপায়
হয়ে যায় কোন সাধারণ কবিতা কিম্বা ছড়ার উদাহরণ।

আর হয়ত তখন এই অতি সাধারণ
শব্দ ছন্দ অন্তমিল চয়ন,
কোন উদার মনের কাছে লাগে
পড়তে শুনতে কবিতার মতন।

তাই বলে মোর অতি অল্প দর
শব্দ চয়নে কথার মালা গুলা,
কখনও যাবেনা করা কোন উচু মাপের
কবিতার সাথে তুলনা।

কারণ কোন উচু মাপের কবিতা মানেই
অপরিচিত শব্দ চয়ন কঠিন উচ্চারণ,
ভাবার্থ বুঝতে সাহিত্যের শিক্ষক
বা অভিধানের প্রয়োজন।

কিন্ত সে তুলনায় আমার কবিতায়
এমন কিছুই নাই বর্তমান,
সেজন্য বলি আমার কবিতা কিম্বা ছড়া
অতি তুচ্ছ নগন্য নেই কোন গোমান।

তাইতো বলি আমার কবিতা পড়ে আমাকে কখনও
কবি ভাববেন না কোন সুমন,
ভাল উচু মানের কবিতা লিখাতো দূরের কথা
এখনও সেগুলো ভাল পড়তে পারিনা আমি মূর্খ জন। 
==========================================
~~একটা পাঞ্জাবি চাই~~

একটা পাঞ্জাবি কেনা হলোনা
খুব বেশিতো আমার শখ ছিলনা
অল্প,শুধু একটুখানি চাওয়া....
না কিছুতেই হলোনা তা পাওয়া
রোজা গুলো ঠিকই রেখেছি
সংযমী হতে ও অনেক শিখেছি
কিইবা করার ছিলো আর ....
অসহায় জীবনে কতো তার
প্রতিদিন কতো কষ্ট করেছি
রাতে পেটভরে কি দুমুঠো খেয়েছি?
না,তা হয়ে ওঠেনি কখনো...
হতাশায় দিন কাটে এখনো
যোগাতে কষ্ট হয় দুবেলার অন্ন
দূর্লব হয়ে গেছে বাজারের পণ্য
তবু ভাবি অনেকটাই সুখী
অভিমানে কি লাভ ভেবে দুঃখী
জীবনটা তো ঠিকই চলছে
হয়তো সূর্যের মতো ঢলছে
না রাগ নেই,নেই কোন ক্ষোভ
যা পেয়েছি সবই করি উপভোগ
কারো আছে দাদা কারো আছে দাদী
বাবা-মা হারিয়ে,আজো আমি কাঁদি
রাস্তার পাশে থাকি তাতে কি...
ধনী বিত্তবানদের রোজইতো দেখি
তবে ওরা কখনোই হয়না আপন
ওদের চোখে শুধু আগামীর স্বপন
পথে থাকি বলে করে কতো উপহাস
নতুন নয়,এটাই পুরানা ইতিহাস
কদিন পরেইতো ঈদের দিন আসবে
পুরানো কাপড়েই আমার মন হাসবে
সবাই লাল নীল রঙে সাজবে যে ঈদে
আমাদের কষ্টগুলো শুধু হৃদয়ে বিঁদে
দোকানে পাঞ্জাবি দেখেছি কতবার
না কেউ দিলোনা,দিলোনা উপহার
ইচ্ছে গুলো জানি শুধুই হবে ক্ষত
এভাবেই চলছে,চলবে অব্যাহত...!
==========================================
~~ঘুঘুর শিহরণ~~

ঘুঘু বসে আছে বৃক্ষ শাখায়
সাথে নিয়ে প্রেমিকা
ভর দুপুরে যায়নি কোথাও
সাথী ছেড়ে একা একা।
ইচ্ছা ছিল ঘুরে আসবে
খাল পাড় বাঁশ বন
দোল খাবে বসে বাঁশের উপর
আনমনে নির্জন।
সকালে খেয়েছে আধা মুঠো ধান
দুপুরে খায়নি কিছু
তাইতো ভাবছে যাবেনা ওখানে
ছুটবে পোকার পিছু।
খেতে পারে চাল, সরিষা কিম্বা
মসুরের কচি ডাল
যদি না থাকে শস্য খেতে
ফাঁদ পাতা কোনো জাল।
কেন করে লোক হত্যা ঘুঘু
ক্ষেতে আর ময়দানে ?
শিহরণ আছে, ভালবাসা আছে
ঘুঘুদেরও দেহ প্রাণে।
================================================
~~ফাগুণ বনে সিঁদ কেটেছে~~


ফাগুণ বনে সিঁদ কেটেছে
কৃষ্ঞ চূড়া সই
কোলের বালিশ পাই না খোজে
আঁধার দেখি চক্ষু মুজে
নিশি জেগে রই;
গগন বনে একলা রবি
তনের বনে শোকের ছবি
সুখ বেহুলা কই..?

ফাগুণ বনে সিঁদ কেটেছে
কৃষ্ঞ চূড়া সই
মন কাননে সবুজ পলক
আঁধার ছিড়ে আলোর ঝলক
মাথার উপর কই..?
বটের তলে রাখাল বাঁশি
নদীর জলে নারীর হাসি
পাইবি তোরা কই ?

ফাগুণ বনে সিঁদ কেটেছে
কৃষ্ঞ চূড়া সই
হৃদকমলা দিচ্ছে নাড়া
মন মহুয়া দেয় না সারা
ক্যামনে আপন হই ?
ফাগুন অমার বড়ই নিঠুর
আঁধার ঘরে কাটায় দূপুর
শুনলো তোরা সই..

ফাগুণ বনে সিঁদ কেটেছে
কৃষ্ঞ চূড়া সই
কেমন জ্বালা মরুর চরে
পুষ্পকলি হারায় ঝড়ে
চুনায় হল দই;
নিরব কেন আজকে তুমি
কাঁদাও কেন প্রেমের ভূমি
বড় জটিল পই……………
==========================================
~~চাঁদ কেন আসে না মেঘরাজ ঘরে~~

ভোর সকালে চাঁদ ফের একবার উঠে এলে
সুর্য্যের গায়ে লাগে বেসুতি আদর৷
সকালবেলা তার নিজস্ব নরম শরীর তাপে বেসুতি আদর জমে ভাল৷
মেঘ গুলো একবার তাকিয়ে হাসে,
এ যেন রহস্যঘনা চাঁদ নেমেছে তার শুভ্র বিহারে৷

নির্মল তাপ চাঁদ ও উত্তাপ সূর্য্যের রহস্যময় মৈথুনে মিলিত হলে
মেঘরাজ ঘরে হানা দেয় তীব্র ঝড়৷
দেখুন পাঠক, মেঘরাজ এক চর্মবেড়া দেবতা
তার অ্ল্প বয়েসের অপরাধ জল না থাকুক
মুল ভাবনায় চন্দ্রপথে হাঁটার নিশানা,সে তো অনেক আগে৷

চাঁদ কেন আসে না মেঘরাজ ঘরে,
তার শীতল বিছানায়৷
সবুজ হতাশ জাগে মেঘরাজ মনে
ক্ষমতার যাবতীয় অহংকার, মেঘরাজ গর্জায় বিজলী হানে
শেষে সুর্য্য উত্তাপশরীর লজ্জায় কালোবরন মেঘরাজ
পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে শান্ত সমিধি জলে৷ 
============================================




No comments:

Post a Comment