Tuesday 20 August 2013


তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম

নিবিড় নিভৃত পূর্ণিমানিশীথিনী-সম॥

মম জীবন যৌবন মম অখিল ভুবন

তুমি ভরিবে গৌরবে নিশীথিনী-সম॥

জাগিবে একাকী তব করুণ আঁখি,

তব অঞ্চলছায়া মোরে রহিবে ঢাকি।

মম দুঃখবেদন মম সফল স্বপন

তুমি ভরিবে সৌরভে নিশীথিনী-সম॥


রাগ: বেহাগ
তাল: একতাল
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৮ কার্তিক, ১৩০২
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1895
রচনাস্থান: জোড়াসাঁকো
=============================================

যে কথা শুনিবেনা কেহ আর..
নিভৃত নির্জন চারিধার।
দুজনে মুখোমুখি গভীর দু:খে দু:খী
আকাশে জল ঝরে অনিবার..
জগতে কেহ যেন নাহি আর।।
==============================================
তুমি যে আমারে চাও আমি সে জানি।
কেন যে মোরে কাঁদাও আমি সে জানি।।
এ আলোকে এ আঁধারে কেন তুমি আপনারে
ছায়াখানি দিয়ে ছাও আমি সে জানি।।
সারাদিন নানা কাজে কেন তুমি নানা সাজে
কত সুরে ডাক দাও আমি সে জানি।
সারা হলে দে’য়া-নে’য়া দিনান্তের শেষ খেয়া
কোন্‌ দিক -পানে বাও আমি সে জানি।।
=========================================
অবেলায় যদি এসেছ আমার বনে দিনের বিদায়ক্ষণে
গেয়ো না, গেয়ো না চঞ্চল গান ক্লান্ত এ সমীরণে॥
ঘন বকুলের ম্লান বীথিকায়
শীর্ণ যে ফুল ঝ’রে ঝ’রে যায়
তাই দিয়ে হার কেন গাঁথ হায়, লাজ বাসি তায় মনে।
চেয়ো না, চেয়ো না মোর দীনতায় হেলায় নয়নকোণে॥
এসো এসো কাল রজনীর অবসানে প্রভাত-আলোর দ্বারে।
যেয়ো না, যেয়ো না অকালে হানিয়া সকালের কলিকারে।
এসো এসো যদি কভু সুসময়
নিয়ে আসে তার ভরা সঞ্চয়,
চিরনবীনের যদি ঘটে জয়– সাজি ভরা হয় ধনে।
নিয়ো না, নিয়ো না মোর পরিচয়
এ ছায়ার আবরণে॥
==========================================
আমি কেবলি স্বপন করেছি বপন
বাতাসে---
তাই আকাশকুসুম করিনু চয়ন
হতাশে।
ছায়ার মতন মিলায় ধরণী,
কূল নাহি পায় আশার তরণী,
মানসপ্রতিমা ভাসিয়া বেড়ায়
আকাশে।

কিছু বাঁধা পড়িল না শুধু এ বাসনা-
বাঁধনে।
কেহ নাহি দিল ধরা শুধু এ সুদূর
সাধনে।
আপনার মনে বসিয়া একেলা
অনলশিখায় কী করিনু খেলা,
দিনশেষে দেখি ছাই হল সব
হুতাশে।
আমি কেবলি স্বপন করেছি বপন
বাতাসে
==============================================
না বুঝে কারে তুমি ভাসালে আঁখিজলে ।
ওগো, কে আছে চাহিয়া শূন্য পথপানে–
কাহার জীবনে নাহি সুখ, কাহার পরান জ্বলে ॥
পড় নি কাহার নয়নের ভাষা,
বোঝ নি কাহার মরমের আশা,
দেখ নি ফিরে–
কার ব্যাকুল প্রাণের সাধ এসেছ দলে ॥
=======================================
এবার উজাড় করে লও হে আমার যা-কিছু সম্বল।
ফিরে দাও, ফিরে চাও, ফিরে চাও ওগো চঞ্চল॥
চৈত্ররাতের বেলায় নাহয় এক প্রহরের খেলায়
আমার স্বপনস্বরূপিনী প্রাণে দাও পেতে অঞ্চল।
যদি এই ছিল গো মনে,
যদি পরম দিনের স্মরণ ঘুচাও চরম অযতনে,
তবে ভাঙা খেলার ঘরে নাহয় দাঁড়াও ক্ষণেক-তরে----
সেথা ধুলায় ধুলায় ছাড়াও হেলায় ছিন্ন ফুলের দল।
===============================================
আমরা দুজনে ভাসিয়া এসেছি যুগল প্রেমের স্রোতে
অনাদি কালের হৃদয় উৎস হতে ।

আমরা দুজনে করিয়াছি খেলা কোটি প্রেমিকের মাঝে
বিরহবিধুর নয়নসলিলে, মিলনমধুর লাজে
পুরাতন প্রেম নিত্যনূতন সাজে ।।
===========================================
আমার জীবনপাত্র উচ্ছলিয়া মাধুরী করেছ দান--
তুমি জান নাই, তুমি জান নাই,
তুমি জান নাই তার মূল্যের পরিমাণ॥
রজনীগন্ধা অগোচরে
যেমন রজনী স্বপনে ভরে সৌরভে,
তুমি জান নাই, তুমি জান নাই,
তুমি জান নাই, মরমে আমার ঢেলেছ তোমার গান॥
বিদায় নেবার সময় এবার হল--
প্রসন্ন মুখ তোলো, মুখ তোলো, মুখ তোলো--
মধুর মরণে পূর্ণ করিয়া সঁপিয়া যাব প্রাণ চরণে।
যারে জান নাই, যারে জান নাই, যারে জান নাই,
তার গোপন ব্যথার নীরব রাত্রি হোক আজি অবসান॥
==============================================
সেই ভালো সেই ভালো, আমারে না হয় না জান ।
দূরে গিয়ে নয় দু:খ দেবে, কাছে কেন লাজে লাজানো ।।
মোর বসন্তে লেগেছে তো সুর, বেণুবনছায়া হয়েছে মধুর–
থাক্‌-না এমনি গন্ধে-বিধুর মিলনকুঞ্জ সাজানো ।।
গোপনে দেখেছি তোমার ব্যাকুল নয়নে ভাবের খেলা ।
উতল আঁচল, এলোথেলো চুল, দেখেছি ঝড়ের বেলা ।
তোমাতে আমাতে হয় নি যে কথা মর্মে আমার আছে সে বারতা–
না-বলা বাণীর নিয়ে আকুলতা আমার বাঁশিটি বাজানো ।।
==============================================

জানি জানি, তুমি এসেছ এ পথে মনের ভুলে ।
তাই হোক তবে তাই হোক, দ্বার দিলেম খুলে ॥
এসেছ তুমি তো বিনা আভরণে, মুখর নূপুর বাজে না চরণে,
তাই হোক তবে তাই হোক, এস সহজ মনে ।
ওই তো মালতী ঝরে পড়ে যায় মোর আঙিনায়,
শিথিল কবরী সাজাতে তোমার লও-না তুলে ॥
কোনো আয়োজন নাই একেবারে, সুর বাঁধা নাই এ বীণার তারে,
তাই হোক তবে, এসো হৃদয়ের মৌনপারে ।
ঝরোঝরো বারি ঝরে বনমাঝে, আমারি মনের সুর ওই বাজে,
উতলা হাওয়ার তালে তালে মন উঠিছে দুলে ॥
============================================
বধু কোন আলো লাগলো চোখে !
বুঝি দীপ্তিরূপে ছিলে সূর্যলোকে !
ছিল মন তোমারি প্রতীক্ষা করি
যুগে যুগে দিন রাত্রি ধরি,
ছিল মর্মবেদনাঘন অন্ধকারে-
জন্ম-জনম গেল বিরহশোকে ।
অস্ফুটমঞ্জরী কুঞ্জবনে,
সঙ্গীতশুন্য বিষন্ন মনে
সঙ্গীরিক্ত চিরদুঃখরাতি
পোহাবো কি নির্জনে শয়ন পাতি !
সুন্দর হে, সুন্দর হে,
বরমাল্যখানি তব আনো বহে, তুমি আনো বহে !
অবগুন্ঠনছায়া ঘুচায় দিয়ে
হেরো লজ্জ্বিত স্মিতমুখ শুভ আলোকে ।।
============================================
আয় তবে সহচরী, হাতে হাতে ধরি ধরি

নাচিবি ঘিরি ঘিরি, গাহিবি গান।

আন্‌ তবে বীণা--

সপ্তম সুরে বাঁধ্‌ তবে তান॥

পাশরিব ভাবনা, পাশরিব যাতনা,

রাখিব প্রমোদে ভরি দিবানিশি মনপ্রাণ।

আন্‌ তবে বীণা--

সপ্তম সুরে বাঁধ্‌ তবে তান॥

ঢালো ঢালো শশধর, ঢালো ঢালো জোছনা।

সমীরণ, বহে যা রে ফুলে ফুলে ঢলি ঢলি।

উলসিত তটিনী,

উথলিত গীতরবে খুলে দে রে মনপ্রাণ॥



রাগ: ছায়ানট
তাল: ত্রিতাল
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1286
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1879
স্বরলিপিকার: প্রতিভা দেবী, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর
============================================
চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে, উছলে পড়ে আলো।
ও রজনীগন্ধা, তোমার গন্ধসুধা ঢালো ॥
পাগল হাওয়া বুঝতে নারে ডাক পড়েছে কোথায় তারে--
ফুলের বনে যার পাশে যায় তারেই লাগে ভালো ॥
নীল গগনের ললাটখানি চন্দনে আজ মাখা,
বাণীবনের হংসমিথুন মেলেছে আজ পাখা।
পারিজাতের কেশর নিয়ে ধরায়, শশী, ছড়াও কী এ।
ইন্দ্রপুরীর কোন্‌ রমণী বাসরপ্রদীপ জ্বালো ॥
===========================================
জীবনে আমার যত আনন্দ পেয়েছি দিবস-রাত
সবার মাঝারে আজিকে তোমারে স্মরিব জীবননাথ ॥
যে দিন তোমার জগত নিরখি হরষে পরান উঠেছে পুলকি
সে দিন আমার নয়নে হয়েছে তোমার নয়নপাত ॥
বারে বারে তুমি আপনার হাতে স্বাদে সৌরভে গানে
বাহির হইতে পরশ করেছ অন্তরমাঝখানে।
পিতা মাতা ভ্রাতা সব পরিবার, মিত্র আমার, পুত্র আমার,
সকলের সাথে প্রবেশি হৃদয়ে
তুমি আছ মোর সাথ ॥
=======================================
এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মেলে না।
শুধু সুখ চলে যায়।
এমনি মায়ার ছলনা।
এরা ভুলে যায়, কারে ছেড়ে কারে চায়।
তাই কেঁদে কাটে নিশি , তাই দহে প্রাণ ,
তাই মান অভিমান।
তাই এত হায় - হায়।
প্রেমে সুখ দুখ ভুলে তবে সুখ পায়।
সখী, চলো, গেল নিশি, স্বপন ফুরালো ,
মিছে আর কেন বলো।
শশী ঘুমের কুহক নিয়ে গেল অস্তাচল।
সখী, চলো।
প্রেমের কাহিনী গান হয়ে গেল অবসান।
এখন কেহ হাসে, কেহ বসে ফেলে অশ্রুজল।।
=========================================
আমি মারের সাগর পাড়ি দেব বিষম ঝড়ের বায়ে
আমার ভয়ভাঙা এই নায়ে ॥
মাভৈঃ বাণীর ভরসা নিয়ে ছেঁড়া পালে বুক ফুলিয়ে
তোমার ওই পারেতেই যাবে তরী ছায়াবটের ছায়ে ॥
পথ আমারে সেই দেখাবে যে আমারে চায়--
আমি অভয় মনে ছাড়ব তরী, এই শুধু মোর দায়।
দিন ফুরালে, জানি জানি, পৌঁছে ঘাটে দেব আনি
আমার দুঃখদিনের রক্তকমল তোমার করুণ পায়ে ॥
=========================================
বর্ষ গেল, বৃথা গেল, কিছুই করি নি হায়-
আপন শুন্যতা লয়ে জীবন বহিয়া যায় ।।
তবু তো আমার কাছে নব রবি উদিয়াছে,
তবু তো জীবন ঢালি বহিছে নবীন বায় ।।
বহিছে বিমল উষা তোমার আশিসবাণী,
তোমার করুণাসুধা হৃদয়ে দিতেছে আনি ।
রেখেছ জগতপুরে, মোরে তো ফেল নি দূরে,
অসীম আশ্বাসে তাই পুলকে শিহরে কায় ।।
========================================
শুধু তোমার বাণী নয় গো, হে বন্ধু, হে প্রিয়,
মাঝে মাঝে প্রাণে তোমার পরশখানি দিয়ো।।.
সারা পথের ক্লান্তি আমার সারা দিনের তৃষা.
কেমন করে মেটাব যে খুঁজে না পাই দিশা-
এ আঁধার যে পূর্ণ তোমায় সেই কথা বলিয়ো।।.
হৃদয় আমার চায় যে দিতে, কেবল নিতে নয়,
বয়ে বয়ে বেড়ায় সে তার যা-কিছু সঞ্চয়।.
হাতখানি ওই বাড়িয়ে আনো, দাও গো আমার হাতে-
ধরব তারে, ভরব তারে, রাখব তারে সাথে,
একলা পথের চলা আমার করব রমনীয়।।...
============================================
আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে।
তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে।
তবু প্রাণ নিত্যধারা, হাসে সূর্য চন্দ্র তারা,
বসন্ত নিকুঞ্জে আসে বিচিত্র রাগে।
তরঙ্গ মিলায়ে যায় তরঙ্গ উঠে,
কুসুম ঝরিয়া পড়ে কুসুম ফুটে।
নাহি ক্ষয়, নাহি শেষ, নাহি নাহি দৈন্যলেশ-
সেই পূর্ণতার পায়ে মন স্হান মাগে।
=========================================
নিভৃত প্রাণের দেবতা
যেখানে জাগেন একা,
ভক্ত, সেথায় খোলো দ্বার,
আজ লব তাঁর দেখা।
সারাদিন শুধু বাহিরে
ঘুরে ঘুরে কারে চাহি রে,
সন্ধ্যাবেলার আরতি
হয় নি আমার শেখা।

তব জীবনের আলোতে
জীবন-প্রদীপ জ্বালি
হে পূজারি, আজ নিভৃতে
সাজাব আমার থালি।
যেথা নিখিলের সাধনা
পূজালোক করে রচনা,
সেথায় আমিও ধরিব
একটি জ্যোতির রেখা।
==========================================
লিখন তোমার ধূলায় হয়েছে ধূলি
হারিয়ে গেছে তোমার আখরগুলি ।।
চৈত্ররজনী আজ বসে আছি একা , পুন বুঝি দিল দেখা -
বনে বনে তব লেখনীলীলার রেখা ,
নবকিশলয়ে গো কোন ভুলে এলো ভুলি তোমার পুরানো আখরগুলি ।।
মল্লিকা আজি কাননে কাননে কত
সৌরভে ভরা তোমারি নামের মতো ।
কোমল তোমার অঙ্গুলি ছোঁয়া বানী মনে দিল আজি আনি
বিরহের কোন ব্যথাভরা লিপিখানি ।
মাধবী শাখায় উঠিতেছে দুলি দুলি তোমার পুরানো আখর গুলি ।।
=================================================
আমি কেবলি স্বপন করেছি বপন
বাতাসে---
তাই আকাশকুসুম করিনু চয়ন
হতাশে।
ছায়ার মতন মিলায় ধরণী,
কূল নাহি পায় আশার তরণী,
মানসপ্রতিমা ভাসিয়া বেড়ায়
আকাশে।

কিছু বাঁধা পড়িল না শুধু এ বাসনা-
বাঁধনে।
কেহ নাহি দিল ধরা শুধু এ সুদূর
সাধনে।
আপনার মনে বসিয়া একেলা
অনলশিখায় কী করিনু খেলা,
দিনশেষে দেখি ছাই হল সব
হুতাশে।
আমি কেবলি স্বপন করেছি বপন
বাতাসে
==============================================
আমি পথভোলা এক পথিক এসেছি।
সন্ধ্যাবেলার চামেলি গো, সকাল বেলার মল্লিকা,
আমায় চেন কি।’
‘চিনি তোমায় চিনি, নবীন পান্থ–
বনে বনে ওড়ে তোমার রঙিন বসনপ্রান্ত।
ফাগুন প্রাতের উতলা গো, চৈত্র রাতের উদাসী,
তোমার পথে আমরা ভেসেছি।’
‘ঘরছাড়া এই পাগলটাকে এমন ক’রে কে গো ডাকে
করুণ গুঞ্জরি
যখন বাজিয়ে বীণা বনের পথে বেড়াই সঞ্চরি।’
‘আমি তোমায় ডাক দিয়েছি ওগো উদাসী,
আমি আমের মঞ্জরী।
তোমায় চোখে দেখার আগে তোমার স্বপন চোখে লাগে,
বেদন জাগে গো–
না চিনিতেই ভালো বেসেছি।’
‘যখন ফুরিয়ে বেলা চুকিয়ে খেলা তপ্ত ধুলার পথে
যাব ঝরা ফুলের রথে–
তখন সঙ্গ কে লবি।’
‘লব আমি মাধবী।’
‘যখন বিদায়-বাঁশির সুরে সুরে শুক্‌‍নো পাতা যাবে উড়ে
সঙ্গে কে র’বি।’
‘আমি রব, উদাস হব ওগো উদাসী,
আমি তরুণ করবী।’
‘বসন্তের এই ললিত রাগে বিদায়-ব্যথা লুকিয়ে জাগে–
ফাগুন দিনে গো
কাঁদন-ভরা হাসি হেসেছি।’
=================================================
তোমার সুর শুনায়ে যে ঘুম ভাঙাও সে ঘুম আমার রমণীয়--

জাগরণের সঙ্গিনী সে, তারে তোমার পরশ দিয়ো ॥

অন্তরে তার গভীর ক্ষুধা, গোপনে চায় আলোকসুধা,

আমার রাতের বুকে সে যে তোমার প্রাতের আপন প্রিয় ॥

তারি লাগি আকাশ রাঙা আঁধার-ভাঙা অরুণরাগে,

তারি লাগি পাখির গানে নবীন আশার আলাপ জাগে।

নীরব তোমার চরণধ্বনি শুনায় তারে আগমনী,

সন্ধ্যবেলার কুঁড়ি তারে সকালবেলায় তুলে নিয়ো ॥


রাগ: আশাবরী-ভৈরবী
তাল: দাদরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ২৭ অগ্রহায়ণ, ১৩৩৪
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ১৩ ডিসেম্বর, ১৯২৭
রচনাস্থান: কলকাতা
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
==============================================



No comments:

Post a Comment