~~দিন শেষে~~
গভীর বেদনায় যারা পাশে ছিলেন
ভাষাহীন নীল থেকে বিভোর আলোয়
তাঁদের খুব মনযোগ দিয়ে দেখেছি
প্রতিটি মুখের আদল ছাপ ফেলেছে মনে
আমি দেখেছি- দেখেছি
এক একটি পদক্ষেপ মেপে কাঁধেদের বয়ে নেয়া
ঝুম বৃষ্টিসময়ে পলকহীন চোখেদের উন্মুক্ত দৃষ্টিসীমা
বরাবর
বাঁশের কঞ্চির বেড়া দেয়া ঘর, উঠান ফেলে
বড়রাস্তা ধরে অদূরে- সফেদ মসজিদ
মাথা তুলে দাঁড়ানো বিলাসী মিনারের চূড়া;
ভুখা মানুষের কাতার থেকে খালি গামলার শব্দমুখর
জমিনের আল বেয়ে চাদরেমোড়া মানুষের উঠে আসা অবয়ব
একমুঠো অন্ধকারে জেগে আছি শিশিরের কণায়, দিন শেষে
এখানে দেখা করতে যারাই এসে গেছেন স্মৃতিবদ্ধ ঠিকানায়
তাঁদের কেউই ছিলেন না কখনো মৃত্যুশয্যায়।।
==============================================
~~আমার মৃত্যু বুঝি আমি~~
আজ স্মৃতির আনন্দ দিনের বিষন্নতা
আর আমি আনন্দিত হতে যেয়ে,
একটু ভিন্ন স্বাদ পেতে যেয়ে ,
ছেড়েছি নিজের ঘর আপন পৃথিবীকে|
আমি হেঁটেছি প্রচুর আর দেখেছি অনেক
মন আর মাংসের বেচাকেনা|
আমি বিশ্বাস করেছি প্রচুর
আর ঠকেছি বারে বারে
কখনো নিজের কাছে ,
কখনো আমার অচেনা ভালোবাসা
অথবা চেনা কামনার কাছে|
অনেক দিন ধরে অনেক পথ পেরিয়ে এসেছি
খুঁজেছি কখনো নিজেকে ,
কখনো অজানা নাকি মাংসের মরিচিকাকে
শুধুই বয়স বেড়েছে আমার
এখন ক্লান্ত , অবসন্ন ,আর ব্যথিত আমি
তাকিয়ে নিজের চারিপাশে
দেখি এক নিঃস্ব, চির একাকী,
বিষন্ন মানুষ ছাড়া কেউ নেই ,কিছু নেই
প্রাণহীন শূন্য প্রান্তরে
একটি চকচকে অথচ পুরনো
স্মৃতির চাদর জড়িয়ে
একাকী পৃথিবীতে আমি মৃত্যুর প্রহর গুনি
গুনি দীর্ঘায়িত প্রতিটি সেকেন্ড
আর নির্মম ঘন্টাগুলো
মাঝে মাঝে মনে হয়
আমার মৃত্যু বুঝি আমি,
ঘাতক দন্ড হাতে দাঁড়িয়ে আছি
এক নিষ্ঠুর সত্যের প্রতিক্ষায়|
============================================================
~~~ভালোবাসার দীর্ঘশ্বাস~~~
সত্ত্বার নিঃসঙ্গতা থেকে মুক্তির আশায় আমি তোমাকে স্বার্থপরের মতো ভালোবাসতে পারিনা।
রোদের আলো যখন জানালার ছেড়া পর্দার উপর তোমার দীর্ঘশ্বাসের মতো লেগে থাকে,
আমার বুকের মধ্যে জমে উঠে চাপা অভিমান।
ঘুমের ঘোরে স্বপ্নের গাঢ় অন্ধকারে যখন তোমার কান্না ঝুলে থাকে,
আমার হৃদয়ের মাঝে ঘুরে উঠে রক্ত।
আমি তোমায় নিয়ে স্বপ্নাচ্ছন্ন হয়ে আত্বসুখে মেতে উঠি না।
আমি তোমায় স্বার্থপরের মত ভালবাসতে পারিনা।
===============================================
~~আমি তোমার ভয়~~
ফিরে দেখ, যেতে চাওনা সেখানে বার বার।
আমি তোমার উন্মাদনা,
অনুর্বর জমিতে, হেয়ালিপনায় বুনা বীজ।
আমি তোমার নিষিদ্ধ রাত,
মহাকালের পথে, আদিম গ্রন্থ হাতে,
লক্ষ বছর দাঁড়িয়ে থাকা অপেক্ষা।
তবু কল্পনা ভেবে ভুলে যাওয়া,
তোমার এক টুকরো বর্ণনা।
আমি তোমার সময়, মাঝ রাতে আসা এক ঝড়।
শূন্যতার মাঝে আছড়ে পরা,
অপূর্ণ ইতিহাস।
আমি তোমার অহংকার,
পাহাড়সম সাধ ইচ্ছের বাহারি রঙ।
শ্রেষ্ঠত্বের তাজ, অসম্ভব এক আশ্চর্য,
তবু ফেলে আসা কাল ভেবে আজকের বাস্ততা।
আমি তোমার প্রেম!
জাগতিক ভয়ে লুকানো এক কলঙ্ক,
অপ্রত্যাশিত অধ্যায়।
ভুল করে ভুলে থাকার নিয়ম।
আমি তোমার পাপ,
ঈশ্বরের লীলাখেলার অসমাপ্ত অধ্যায়,
অপ্রকাশিতব্য ব্যাখ্যা,
নিষিদ্ধ ইতিহাস।
==============================================
~~সমীকরণ সহজ নয়~~
লাঙ্গলের ফলার আঘাতে মাটি যেমন কর্ষিত হয়
তেমনি চৌচির হতে থাকে আমার হৃদয়, জুলেখা
তখন তোমার বাড়িতে নহবত বাজে।
ডুব সাঁতারে নদীর তলদেশ থেকে সবাই
কাঁদা মাটি তুলতে জানেনা, জুলেখা
দূর্বা ঘাসের উপর ছোট্ট শিশির বিন্দুর নিচে শুয়ে
তোমাকে স্বপ্ন দেখা সহজ নয় ।
তেঁতুল পাতার মৃদু ঝির ঝির শব্দকে
আমি বজ্রপাত ভেবে ভালবেসেছিলাম
আহা, খাঁ খাঁ রোদ্দুরে বালু চর-বালু চর হয় জানি
ভালবাসা কত সহজেই কেমিস্ট্রির পাতা
ঘুরে হেলাল হাফিজের কবিতায় সুখ পায় ।
=========================================
~~করোটির কালো ফুল~~
মৃত্যুচিন্তাবন্দী ঘর ডাকছে, ছুটে আয়
ঘুমের সময় কেউ দেখছে না, ছুটে আয়
এইখানে তীব্র ব্যথা
ফুটে আছে কালো আকাশে দেখা তারানীল একা একা
ভয় জড়ানো কন্ঠে উচ্চারিত বিনাশী মনপাঠ
কাঁপা হাত জড়িয়ে যাচ্ছে ধারালো ভাবনার খুঁজে
স্পর্শ তুমিময় ছড়ানো হিমঘরে লুকানো নিকষ
ছুটে আসছে না কেউ বা কারো ছায়া এখনো
এখানেই শরীরী আশ্রয়
আমিময় অবাধ্যতায় জাগ্রত
কম্পমান বুকে আঁকা প্রলাপঘন জীবনী।।
==========================================
~~জানি না~~
কর্পোরেশনের ট্রাক এসে ফেলে যায়,
আস্তাকুড়ে পরে থাকে স্বদেশ;
শবদেহ নিয়ে বহুজাতিক কুকুরে কামড়া-কামড়ি চলে;
মেধাবী নেড়ি কুকুরেরাও জিভ চাটতে থাকে, উচ্ছিষ্টের লোভে,
যদি বহুজাতিক তকমাটা লাগানো যায়!
পোষাকি বিপ্লবের ঝান্ডা উড়ে জাগোরনের গানে,
চে থেকে রবীন্দ্রনাথ সবাই বিকোয়;
দেড়শ থেকে আড়াইশোতে,
চিরদিন নিজেই নিজেকে প্রবোধ দেয়া;
‘সূর্যের পথ এ আকাশে থাকবেই',
অনন্ত শীতল ক্রোধকে ঘুম পারিয়ে পথে নামা;
শরতের শান্ত দিঘীর জলের মতো নির্লিপ্ত ঠোঁট,
নিমেষে উড়াতে পারে এক ঝাঁক কষ্ট;
অবলীলায় পোড়াতে পারে একরাশ মন;
এ পুরুষ পায় না, পিতামহের ডাক শুনতে;
জানেনা ভূমি কর্ষণ করতে;
সে ভুলে গেছে, আর্য আগমনে রক্তের হোলি খেলা;
দুর্দান্ত সাগরে নাও বেয়ে চলা;
সে শুধু হেঁটে চলে,
আদিগন্ত শস্য ক্ষেত্র কে পেছনে ফেলে;
উন্মাসিকতা, উদাসিনতা, বিষন্নতা;
এই তিন শুধু খেলা করে,
ও দু চোখে...
========================================
~~এখন সময় দ্রোহের~~
আকাশ নয়, রঙিন প্রজাপতি নয়
এখন সময় দ্রোহের।
মনখারাপ করা দুপুর নয়, বিষণ্ণ বিকেল নয়
আজ দিন এসেছে গনগনে রোদমাখা রাগের।
সুরেলা গান নয়, মিষ্টি কবিতা নয়
দিনরাত রাস্তাগুলো যেন কাঁপতে থাকে
একের পর এক স্লোগানের উত্তাপে।
কোমলতা আর নেই আজ নারীর মর্মে
ঘৃণা আর ক্ষোভ উপচে পড়ে
সেই নিত্যদিনের মধুর কণ্ঠে।
প্রেমের সময় তো পায় না এখন তরুণ-যুবা
সমস্ত কাজ ফেলে মিছিলে যায় দলে দলে, এমনকি বৃদ্ধ-বৃদ্ধা।
শহরের সব পথ, সব গন্তব্য আজ গিয়ে মিলেছে শাহবাগে-
যেখানে তরুণদের চেতনা উদ্দীপ্ত সংগ্রামে।
=============================================
~~জাগরণের ডাকে~~
বাংলার মাটিতে আরেকবার!
গুড়িয়ে দাও এদের মেরুদন্ড চিরতরে!
গুড়িয়ে দাও এদের মেরুদন্ড চিরতরে!
আগুনে পুড়িয়ে দাও অন্ধবিশ্বাসে বিষাক্ত সাপেদের!
বাংলার সন্তান মানুষের কাতারে,
বাংলার সন্তান মানুষের কাতারে,
উর্ধচিত্তে, বিনা সংকোচে উঠে দাঁড়াও রক্তের সম্মানে
আমাদের মা-বোনেদের সম্ভ্রমহাণীতে,
আমাদের মা-বোনেদের সম্ভ্রমহাণীতে,
লাখো শহীদদের প্রাণের বিনিময় -মুক্তদেশের চিন্তাশিখায় গর্জে উঠো মানবসন্তানেরা যদি 'মানুষ' হয়ে থাকো দেশের মাটিতে!
এ মাটি হাতে নিয়ে দেখো,
এখনো হাহাকারে বিদীর্ণ মলিন আমার সোনার বাংলা,
নরপশুদের তান্ডবে ভেঙ্গে পড়া শহীদ মিনার দেখে কি করে বলো তুমি স্বাধীন দেশের মানুষ ?
শপথে পাঠ করো মুক্তমনে, বুকে হাত রেখে,
শপথে পাঠ করো মুক্তমনে, বুকে হাত রেখে,
স্বাধীন দেশের পতাকা হাতে, সাহসী-বীরযোদ্ধার প্রতিমায়,
'আমি বাংলার মানুষ, মানুষের বাংলায় হবে না আর কালসাপেদের আশ্রয়!
বিষাক্ত নিজামী-সাঈদী-মোজাহিদদের জামাত-শিবির-ধর্মবাণিজ্যের কলঙ্কে বড় হবে না আমার সন্তানেরা'
জেগে উঠো হে নযোয়ান,
জেগে উঠো হে নযোয়ান,
প্রজন্মচত্বর থেকে দেশের প্রতিটি কোণায় গর্জে উঠো আজ বাংলার সন্তান!
সময়ের ডাক শুনে মানুষ হয়ে উঠো,
সময়ের ডাক শুনে মানুষ হয়ে উঠো,
মানুষের কাতারে নাম লেখাতে এবারে।।
=================================================
~~এখন সময় দ্রোহের~~
আকাশ নয়, রঙিন প্রজাপতি নয়
এখন সময় দ্রোহের।
মনখারাপ করা দুপুর নয়, বিষণ্ণ বিকেল নয়
আজ দিন এসেছে গনগনে রোদমাখা রাগের।
সুরেলা গান নয়, মিষ্টি কবিতা নয়
দিনরাত রাস্তাগুলো যেন কাঁপতে থাকে
একের পর এক স্লোগানের উত্তাপে।
কোমলতা আর নেই আজ নারীর মর্মে
ঘৃণা আর ক্ষোভ উপচে পড়ে
সেই নিত্যদিনের মধুর কণ্ঠে।
প্রেমের সময় তো পায় না এখন তরুণ-যুবা
সমস্ত কাজ ফেলে মিছিলে যায় দলে দলে, এমনকি বৃদ্ধ-বৃদ্ধা।
শহরের সব পথ, সব গন্তব্য আজ গিয়ে মিলেছে শাহবাগে-
যেখানে তরুণদের চেতনা উদ্দীপ্ত সংগ্রামে।
==========================================
~~নান্দনিক ও ধ্রুব সত্যের কথামালা -২~~
রাত কাটে নির্ঘুম, দিনও তাই
এ কেমন বাঁধনে জড়ালে আমায়?
গলা শুকিয়ে আসে তৃষ্ণায়
তবু ভাবি শুধু তোমার কথাই
জানি, এ এক অন্তহীন পথচলা- আর কিছু নয়, আমায়
ভালোবাসার জল দিও এক আঁজলা।
এত চেষ্টা করি রাগ করতে
তবু পারি না কিছুতে
সারাদিনের উদ্বেগ শেষে
তোমার কণ্ঠস্বর এক মুহূর্তে
শীতল করে দেয় এই মনটাকে!
=========================================
~~মুহূর্তছবি~~
এতো রং -এর মাঝে স্বপ্নহীন তারারাত খুঁজি
যদিও বুকে হাত রেখে-
জানি স্বপের কোনো রং থাকতে নেই
ধার করে ফেরা জীবন স্বপ্নখোরের দৃশ্যপটে ছড়ানো তুলি রং;
ভাবি অন্যদিনের কথামালা, বিলুপ্ত সময়ের ছাপে আঁকা মুখ
তুমিময় হারানো ভোরের মনকল্পরেখা
এখানে কোনো ভোর আসে নাই--
আমিকেন্দ্রিক অবাধ্য রংহীনতায় গতিময় ছুটে যাচ্ছে
এমনই ইচ্ছাসুখী বেঁচে থাকা অনিয়মে।।
=========================================
~~জাগরণের ডাকে~~
ধর্মব্যবসায়ী জানোয়ারেরা জেগে উঠেছে,
ফুঁসে উঠেছে, বাংলার মাটিতে আরেকবার!
গুড়িয়ে দাও এদের মেরুদন্ড চিরতরে!
গুড়িয়ে দাও এদের মেরুদন্ড চিরতরে!
আগুনে পুড়িয়ে দাও অন্ধবিশ্বাসে বিষাক্ত সাপেদের!
বাংলার সন্তান মানুষের কাতারে,
বাংলার সন্তান মানুষের কাতারে,
উর্ধচিত্তে,
বিনা সংকোচে উঠে দাঁড়াও রক্তের সম্মানে
আমাদের মা-বোনেদের সম্ভ্রমহাণীতে,
আমাদের মা-বোনেদের সম্ভ্রমহাণীতে,
লাখো শহীদদের প্রাণের বিনিময় -মুক্তদেশের চিন্তাশিখায় গর্জে উঠো মানবসন্তানেরা যদি 'মানুষ' হয়ে থাকো দেশের মাটিতে!
এ মাটি হাতে নিয়ে দেখো,
এখনো হাহাকারে বিদীর্ণ মলিন আমার সোনার বাংলা,
নরপশুদের তান্ডবে ভেঙ্গে পড়া শহীদ মিনার দেখে কি করে বলো তুমি স্বাধীন দেশের মানুষ ?
শপথে পাঠ করো মুক্তমনে, বুকে হাত রেখে,
শপথে পাঠ করো মুক্তমনে, বুকে হাত রেখে,
স্বাধীন দেশের পতাকা হাতে, সাহসী-বীরযোদ্ধার প্রতিমায়,
'আমি বাংলার মানুষ, মানুষের বাংলায় হবে না আর কালসাপেদের আশ্রয়! বিষাক্ত নিজামী-সাঈদী-মোজাহিদদের জামাত-শিবির-ধর্মবাণিজ্যের কলঙ্কে বড় হবে না আমার সন্তানেরা'
জেগে উঠো হে নযোয়ান, প্রজন্মচত্বর থেকে দেশের প্রতিটি কোণায় গর্জে উঠো আজ বাংলার সন্তান!
সময়ের ডাক শুনে মানুষ হয়ে উঠো, মানুষের কাতারে নাম লেখাতে এবারে।।
জেগে উঠো হে নযোয়ান, প্রজন্মচত্বর থেকে দেশের প্রতিটি কোণায় গর্জে উঠো আজ বাংলার সন্তান!
সময়ের ডাক শুনে মানুষ হয়ে উঠো, মানুষের কাতারে নাম লেখাতে এবারে।।
=============================================
~~কানামাছি ~~
সত্যে আছে আলো
সত্য আবার কালো ,
মিথ্যা তে নেই জোর
প্রতিনিয়ত তবু সত্য মিথ্যার ভোর .
ডানাভাঙ্গা সুখদুখ
ডানাভাঙ্গা ঈশ্বর ,
কাগজের জীবনতরীতে
সত্যই সর্বেশ্বর
সত্যে আছে আলো
সত্য আবার কালো ,
মিথ্যা তে নেই জোর
প্রতিনিয়ত তবু সত্য মিথ্যার ভোর .
ডানাভাঙ্গা সুখদুখ
ডানাভাঙ্গা ঈশ্বর ,
কাগজের জীবনতরীতে
সত্যই সর্বেশ্বর
======================================
~~অপেক্ষা~~
বসন্ত আজো ফিরে আসেনি
লাল, নীল, হলুদ রঙের স্বপ্ন গুলো
ঠুনকু রাবার এর ছোঁয়ায় সেই যে মুছে গেল
আজো তা লিখতে পারিনি মনের মত করে,
প্রতিনিয়ত ক্ষয়ে যাওয়া বেদনার ব্ল্যাক বোর্ডে
সুখের ইতিহাস লিখতে লিখতে আমি যে বড্ড ক্লান্ত,
যত টুকু লিখি মুছে যায়,
ক্ষয়ে ক্ষয়ে মরে যায় আমার হাতের চক পেন্সিল টি
তবু বসন্ত ফিরে আসেনি ।
ক্লান্ত আমি ঘুমের ঘোরে জেগে থাকি
বসন্ত আসবে ভেবে রাত্রি যাপন করি,
নিয়ত অপেক্ষার প্রহর কাটে না
সুখের ইতিহাস ব্যর্থ বেদনার ব্ল্যাক বোর্ডে কেঁদে কেঁদে ফিরে,
আমায় মুক্তি দাও,আমায় মুক্তি দাও
করে চিৎকার করে উঠে আমার হাতের চক পেন্সিল টি,
আজো সুখের ইতিহাস লেখার সমাপ্তি ঘটেনি
বসন্ত তবু ও ফিরে আসেনি।
আমার স্বপ্নে হয়ত অনেক ভুল ছিল
তাইতো গ্রীষ্ম আসে, শরত আসে, আসে হেমন্ত,
বসন্ত আসেনা, সে আমার আকাশ নীলার পাশে রয়,
একা একা আমি নির্বাক সূর্যের পানে অপেক্ষায় জেগে রই,
আকাশ নীলা একদিন আসবে ফিরে বসন্তকে সাথে নিয়ে
সাজিয়ে দিয়ে যাবে আমার জীবনের সেই লাল, নীল, হলুদ স্বপ্ন কে,
আকাশ নীলা একদিন আসবে ফিরে।
=======================================
~~অভিমান~~
ভোরের আলো হব না
সূর্যাস্ত হব।
পূর্ণীমার চাঁদ হব না
অমাবস্যার রাত হব।
নিরবতায় রয়ে যাব
কোলাহলে যাব না।
হিসেবের এলোমেলো খেলায়
আমি আমার হব না।
জলজ বৃক্ষ হব না
চিতার কাঠ হব।
তেপান্তরের মাঠ হব
পথিক হব না।
খোলা আকাশ হব
গাঙচিল হব না।
অভিমানে পাথর হব
ভাবনাহীন হব না।
অচেনাই হয়ে রবো
চেনা হব না।
হিসেবের এলোমেলো খেলায়
আমি আমার হব না।
রোদ ফাটা পথ হব
ছায়া হব না।
আগুনে ঝাঁপ দেবো
সান্ত্বনা নেব না।
স্বপ্ন বেঁচে দেবো
আমি আমার হব না।
======================================
~~বিশ্ব মাতা~~
আমি করব স্নান আজি হাজার সমুদ্রের জলে,
আমাজন-যমুনা যখন পিশাচের শৌচাগার!
মিলন মেলা ভাঙ্গবো ঘরের মঙ্গলসুতা ফেলে-
সীতার বেদী যখন আজি, পাপের সূতিকাগার!
বিচ্ছেদের সব বিষ শুষে খেয়ে শতাধিক দিতি
ভুলিয়েছে অবোধ সন্তানকে আফিমের নেশায়
স্বার্থবাদী রক্ত পিশাচরা বদলিয়ে মন্ত্র-নীতি
আপন স্বার্থ হাসিল করে নীতির অবহেলায়।
সব ব্যথা ভুলে গিয়ে, বাদল ঝরা বকুল দিয়ে-
আমরা এই গ্রহন রাতে গড়ব মিলন মালা!
দূর হয়ে যাক দেশের মোহ বিশ্বমাতার বরে।
আমরা চাই না প্রাচীন মোহ বিশ্ব সাজের ঘরে!
আমরা যীশু, আমরা ভৃগু, আমরা রবের মালা-
দেখাবো নতুন বিশ্ব সৃষ্টি ভালবাসার জয়ে।
======================================
~~নান্দনিক ও ধ্রুব সত্যের কথামালা -৫~~
তুমি কোনোদিন জানবে না
কত দীর্ঘ রাত আমি বিনিদ্র কাটিয়েছি
তুমি কোনোদিন টের পাবে না
কী তীব্র হাহাকার নিয়ে
আমি চুপ করে সব সয়েছি!
তুমি কোনোদিন জানবে না
কী অমোঘ সাধনায় আমি তোমাকে পেয়েছি
তুমি কোনোদিন বুঝবে না
তোমার জন্য প্রতিনিয়ত আমি কী যুদ্ধটা করে চলেছি!
নাই বা জানলে, বরঙ এই ভালো-
তুমি বয়ে চলো, বয়ে চলো অবিরাম
কাণ্ডারীর মতোন শক্ত হাতে ধরো এই নতুনের সংগ্রাম।
বলিষ্ঠ যুক্তিতে সবাইকে হার মানাও
এমনিভাবে যেন তোমার কাছে
হেরে যায় ওই আকাশটাও।
=======================================
~~মিলন মেলায় গর্দভের পদাঘাত~~
উজ্জ্বল আকাশ সোনালী গোধূলি মোহিছে আমায়;
অদৃশ্য অন্ধকারের প্রতিমা দৃশ্যমান শুভ্রতা-
নয় কারো অজানা। পশ্চিমের উদ্দাম হাওয়ায়
দেখেছি অভিবাদন ছলে অপূর্ব পূর্ব নম্রতা।
গঙ্গোত্রী মূল দর্শণ প্রেক্ষাগৃহে অচল পয়সা!
পঙ্গু মুক্তিসেনা ঐ পাপ পুনরুত্থানে দ্বারে দ্বারে
গাসথে নেমেছে। ঐক্যতানের ছোট্ট মিছিল হেরে
যায়, উঠে না জ্বলে। আত্মভোগী এ আধুনা লালসা
সব কুটিরে প্রতিরাতে ভোগ কুরুক্ষেত্র সাজায়।
পিতার পুঁজায় পথে ঘাটে ‘বেশ্যার শত ছিন্নাঙ্গ’
সরকারী জমি সাজ - নপুংসক রাণীর ইচ্ছায়।
মানুষ এক জাতি - নীতি বাক্য মৃত। ব্যবসা সংগ
খাচ্ছে চুষে শেষ রুধির বিন্দু। হে হোমোসেপিয়ান্স
ভাঙ্গরে আজ সহ্য সীমা, দেখ না গাধার রোমান্স!
========================================
~~আমার একদিন~~
একদিন সব হারাবে গহীনে
পাখি হারাবে ডানা,শিকড় হারাবে মাটি
রোদ হারাবে উত্তাপ,গাছ হারাবে পাতা।
একদিন সব হারাবে গহীনে
কণ্ঠ হারাবে সুর,আঙুল হারাবে স্পর্শ
দেহ হারাবে প্রাণ, রঙ হারাবে ফুল।
একদিন সব হারাবে গহীনে
পথ হারাবে দিশা,গতি হারাবে শক্তি,
খনি হারাবে সোনা,বর্ষা হারাবে বৃষ্টি।
একদিন সব হারাবে গহীনে
শালিক হারাবে ঝুট,রাজা হারাবে রাজ্য,
সাইক্লোন হারাবে ঘূর্ণি, উপাসক হারাবে মঠ।
একদিন সব হারাবে গহীনে
কবি হারাবে কাব্য, ইতিহাস হারাবে সাক্ষী,
মৃত্যু হারাবে কফিন,
একদিন সব হারাবে গহীনে
বাঘ হারাবে থাবা,পৃথিবী হারাবে কক্ষপথ,
ঈশ্বর হারাবে ক্ষমতা।
=============================================
~~প্রতীক্ষা~~
আমার তিন বছরের ছোট্ট ছেলেটি কাল রাতে
আমার শার্ট গায়ে দিয়ে বেশ উৎফুল্ল হয়ে খেলছিল আমার সামনে।
আলখাল্লা মত শার্টে ওকে দেখতে প্রথমে আজব অদ্ভুত লাগলেও পরে
কেমন যেন স্বপ্নের ফেরিওয়ালা-স্বপ্নের ফেরিওয়ালা মত লাগছিল আমার কাছে।
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা বাস্তবে দেখতে কেমন তা না জেনেই
আমি এই রকম তুলনা করলাম কারণ
ছেলেটির ছোট্ট শরীরে-লম্বা শার্ট গায়ে দেখতে
কিছুটা হ্যামিলিওন এর বাঁশী ওয়ালার মতই লাগছিল-
যার বাঁশীর সুরে শহরের সব শিশু সম্মোহিত হয়ে ছুটে গিয়েছিল তার পিছু পিছু ।
ধান ভানতে শিবের গীত হয়ে যাচ্ছে জেনেও আমার এই সব তুলনাই আসে ইদানিং ।
আমাদের এই সোনার দেশ কি এই চলমান অরাজকতা
এই বিদ্বেষ-বিশৃঙ্খল প্রতিযোগিতার হাত থেকে অথবা
সুযোগ সন্ধানী রাজপুত্র রাজকন্যা ও তাদের মৌসুমী সঙ্গী–সাথীরূপী
হায়েনাদের হাত থেকে কোনদিনই আর রেহাই পাবেনা
বেরিয়ে আসবেনা মাতাল বাঁশীর মোহনীয় সুর অথবা মায়াজাল থেকে ?
কোন এক মুজিব, কোন এক জিয়া অথবা
দেশী বীরদের নাম শুনলে যাদের ভাল লাগেনা তাদের জন্য বলি
কোন এক চে গুয়েভারা কোন এক ইয়াসির আরাফাত,
মহাত্মা গান্ধী অথবা মাও সে তুং, নেলসন ম্যানডেলা যাই বলিনা কেন
কেউ কি আসবেনা কোন দিন আর
কেউ কি আসবেনা কোন দিন আর
এই বিশাল বাংলার মাঠ ঘাট শহর বন্দর কাঁপিয়ে
গণপ্রজাতন্ত্র মন্ত্র ভুলে, সাম্যবাদের ডাক বুকে নিয়ে ।
==========================================
~~পতঙ্গপালে আরো একজন~~
কখনো আগু্নের কাছে নিয়ন্ত্রণ দিয়ে দেখেছো
কিভাবে দপদপ করে আমূলে বদলে যায় চেনা দৃশ্যপট?
জ্বলে উঠা শিখার আড়ালে লে্লিহান
অতৃপ্ত বাসনার দেয়াল মাঝে তুমি বড়ো অসহায় জানো;
এ জানার ক্লান্তি ভুলে গেলে নির্মল বুঝে নিবে
নিজেকে খুঁজে পাওয়ার কষ্ট কি অনিয়মে
আলো তোমাকে ডেকে নেয়,
আলো তোমাতেই ক্ষয়ে যাওয়া জীবনের চিহ্ন মুছে দেয়;
আগুনের কাছেই উড়ে যাও হে, হীন জীবনের খুঁজে প্রতিবারে।।
===========================================
~~আঁধার~~
ভালোবাসি কাকে আমি? ভালোবাসি সবে!
লয়ক্ষেত্রে বাসে যদি ক্ষুদ্র পিপীলিকা-
বালুভূমে থাকে যদি শুভ্র ক্রৌঞ্চী একা-
সিক্ত প্রেম সুধা মোর তোমাদের রবে।
কালো বুকে আলো জ্বালা সৌম্যশক্তি মেলা
কেঁদে ফেরে সীমা মাঝে সাঁঝ-ঊষা বেলা
আকাশ-অণুর মাঝে নিত্য ঘুরে যারা
মিত্র মোর, সহোদর-চতুর্শক্তিবরা।
ভাগ্যলিপি এক গতি-এক রক্তে লেখা
ললনা হুর-হেলেন আশাহতে কাঁদা।
বায়ু তুমি বয়ে নিও আমার সালাম-
সিন্ধু পাড়ে যেথা দেখো জীবন কালাম।
সন্ধ্যা বাতি নিভে যবে সাঙ্গ হবে দেখা;
বেলা- তুমি খুঁজে নিও – তোমার বিষ্ণু দা!
==========================================
~~মরীচিকার পথ~~
আমি তো কবেই মরে গেছি মন ভাঙ্গার সাথে তবু কেনো দেখা দাও স্বপ্নে এসে রাতে|
আমি তো কবেই মরে গেছি মন ভাঙ্গার সাথে তবু কেনো দেখা দাও স্বপ্নে এসে রাতে|
তোমার সুখের জন্য ভুলে গেছি সব স্মৃতি কষ্ট দিয়ে আবার কেনো জ্বালাও প্রেমের বাতি|
আলোর মাঝে হাটলে তুমি অন্ধকারে হাটি ছায়া হয়ে এসে তবু ঢাকো দেহের মাটি|
কাছে গেলে দূরে ঠেল দূরে গেলে ডাকো কাছে কোনটা তোমার সত্যি বল, কোনটা বল মিছে|
তার চেয়ে হৃদয় পুড়ো থাকো তুমি দূরে আমি ছুটেছি কোনো অজানায় মরীচিকার পথ ধরে|
==================================
~~দিন শেষে~~
গভীর বেদনায় যারা পাশে ছিলেন
ভাষাহীন নীল থেকে বিভোর আলোয়
তাঁদের খুব মনযোগ দিয়ে দেখেছি
প্রতিটি মুখের আদল ছাপ ফেলেছে মনে
আমি দেখেছি- দেখেছি
এক একটি পদক্ষেপ মেপে কাঁধেদের বয়ে নেয়া
ঝুম বৃষ্টিসময়ে পলকহীন চোখেদের উন্মুক্ত দৃষ্টিসীমা
বরাবর
বাঁশের কঞ্চির বেড়া দেয়া ঘর, উঠান ফেলে
বড়রাস্তা ধরে অদূরে- সফেদ মসজিদ
মাথা তুলে দাঁড়ানো বিলাসী মিনারের চূড়া;
ভুখা মানুষের কাতার থেকে খালি গামলার শব্দমুখর
জমিনের আল বেয়ে চাদরেমোড়া মানুষের উঠে আসা অবয়ব
একমুঠো অন্ধকারে জেগে আছি শিশিরের কণায়, দিন শেষে
এখানে দেখা করতে যারাই এসে গেছেন স্মৃতিবদ্ধ ঠিকানায়
তাঁদের কেউই ছিলেন না কখনো মৃত্যুশয্যায়।।
==============================================
~~আমার মৃত্যু বুঝি আমি~~
আজ স্মৃতির আনন্দ দিনের বিষন্নতা
আর আমি আনন্দিত হতে যেয়ে,
একটু ভিন্ন স্বাদ পেতে যেয়ে ,
ছেড়েছি নিজের ঘর আপন পৃথিবীকে|
আমি হেঁটেছি প্রচুর আর দেখেছি অনেক
মন আর মাংসের বেচাকেনা|
আমি বিশ্বাস করেছি প্রচুর
আর ঠকেছি বারে বারে
কখনো নিজের কাছে ,
কখনো আমার অচেনা ভালোবাসা
অথবা চেনা কামনার কাছে|
অনেক দিন ধরে অনেক পথ পেরিয়ে এসেছি
খুঁজেছি কখনো নিজেকে ,
কখনো অজানা নাকি মাংসের মরিচিকাকে
শুধুই বয়স বেড়েছে আমার
এখন ক্লান্ত , অবসন্ন ,আর ব্যথিত আমি
তাকিয়ে নিজের চারিপাশে
দেখি এক নিঃস্ব, চির একাকী,
বিষন্ন মানুষ ছাড়া কেউ নেই ,কিছু নেই
প্রাণহীন শূন্য প্রান্তরে
একটি চকচকে অথচ পুরনো
স্মৃতির চাদর জড়িয়ে
একাকী পৃথিবীতে আমি মৃত্যুর প্রহর গুনি
গুনি দীর্ঘায়িত প্রতিটি সেকেন্ড
আর নির্মম ঘন্টাগুলো
মাঝে মাঝে মনে হয়
আমার মৃত্যু বুঝি আমি,
ঘাতক দন্ড হাতে দাঁড়িয়ে আছি
এক নিষ্ঠুর সত্যের প্রতিক্ষায়|
============================================================
~~~ভালোবাসার দীর্ঘশ্বাস~~~
সত্ত্বার নিঃসঙ্গতা থেকে মুক্তির আশায় আমি তোমাকে স্বার্থপরের মতো ভালোবাসতে পারিনা।
রোদের আলো যখন জানালার ছেড়া পর্দার উপর তোমার দীর্ঘশ্বাসের মতো লেগে থাকে,
আমার বুকের মধ্যে জমে উঠে চাপা অভিমান।
ঘুমের ঘোরে স্বপ্নের গাঢ় অন্ধকারে যখন তোমার কান্না ঝুলে থাকে,
আমার হৃদয়ের মাঝে ঘুরে উঠে রক্ত।
আমি তোমায় নিয়ে স্বপ্নাচ্ছন্ন হয়ে আত্বসুখে মেতে উঠি না।
আমি তোমায় স্বার্থপরের মত ভালবাসতে পারিনা।
===============================================
~~আমি তোমার ভয়~~
ফিরে দেখ, যেতে চাওনা সেখানে বার বার।
আমি তোমার উন্মাদনা,
অনুর্বর জমিতে, হেয়ালিপনায় বুনা বীজ।
আমি তোমার নিষিদ্ধ রাত,
মহাকালের পথে, আদিম গ্রন্থ হাতে,
লক্ষ বছর দাঁড়িয়ে থাকা অপেক্ষা।
তবু কল্পনা ভেবে ভুলে যাওয়া,
তোমার এক টুকরো বর্ণনা।
আমি তোমার সময়, মাঝ রাতে আসা এক ঝড়।
শূন্যতার মাঝে আছড়ে পরা,
অপূর্ণ ইতিহাস।
আমি তোমার অহংকার,
পাহাড়সম সাধ ইচ্ছের বাহারি রঙ।
শ্রেষ্ঠত্বের তাজ, অসম্ভব এক আশ্চর্য,
তবু ফেলে আসা কাল ভেবে আজকের বাস্ততা।
আমি তোমার প্রেম!
জাগতিক ভয়ে লুকানো এক কলঙ্ক,
অপ্রত্যাশিত অধ্যায়।
ভুল করে ভুলে থাকার নিয়ম।
আমি তোমার পাপ,
ঈশ্বরের লীলাখেলার অসমাপ্ত অধ্যায়,
অপ্রকাশিতব্য ব্যাখ্যা,
নিষিদ্ধ ইতিহাস।
==============================================
~~সমীকরণ সহজ নয়~~
লাঙ্গলের ফলার আঘাতে মাটি যেমন কর্ষিত হয়
তেমনি চৌচির হতে থাকে আমার হৃদয়, জুলেখা
তখন তোমার বাড়িতে নহবত বাজে।
ডুব সাঁতারে নদীর তলদেশ থেকে সবাই
কাঁদা মাটি তুলতে জানেনা, জুলেখা
দূর্বা ঘাসের উপর ছোট্ট শিশির বিন্দুর নিচে শুয়ে
তোমাকে স্বপ্ন দেখা সহজ নয় ।
তেঁতুল পাতার মৃদু ঝির ঝির শব্দকে
আমি বজ্রপাত ভেবে ভালবেসেছিলাম
আহা, খাঁ খাঁ রোদ্দুরে বালু চর-বালু চর হয় জানি
ভালবাসা কত সহজেই কেমিস্ট্রির পাতা
ঘুরে হেলাল হাফিজের কবিতায় সুখ পায় ।
=========================================
~~করোটির কালো ফুল~~
মৃত্যুচিন্তাবন্দী ঘর ডাকছে, ছুটে আয়
ঘুমের সময় কেউ দেখছে না, ছুটে আয়
এইখানে তীব্র ব্যথা
ফুটে আছে কালো আকাশে দেখা তারানীল একা একা
ভয় জড়ানো কন্ঠে উচ্চারিত বিনাশী মনপাঠ
কাঁপা হাত জড়িয়ে যাচ্ছে ধারালো ভাবনার খুঁজে
স্পর্শ তুমিময় ছড়ানো হিমঘরে লুকানো নিকষ
ছুটে আসছে না কেউ বা কারো ছায়া এখনো
এখানেই শরীরী আশ্রয়
আমিময় অবাধ্যতায় জাগ্রত
কম্পমান বুকে আঁকা প্রলাপঘন জীবনী।।
==========================================
~~জানি না~~
কর্পোরেশনের ট্রাক এসে ফেলে যায়,
আস্তাকুড়ে পরে থাকে স্বদেশ;
শবদেহ নিয়ে বহুজাতিক কুকুরে কামড়া-কামড়ি চলে;
মেধাবী নেড়ি কুকুরেরাও জিভ চাটতে থাকে, উচ্ছিষ্টের লোভে,
যদি বহুজাতিক তকমাটা লাগানো যায়!
পোষাকি বিপ্লবের ঝান্ডা উড়ে জাগোরনের গানে,
চে থেকে রবীন্দ্রনাথ সবাই বিকোয়;
দেড়শ থেকে আড়াইশোতে,
চিরদিন নিজেই নিজেকে প্রবোধ দেয়া;
‘সূর্যের পথ এ আকাশে থাকবেই',
অনন্ত শীতল ক্রোধকে ঘুম পারিয়ে পথে নামা;
শরতের শান্ত দিঘীর জলের মতো নির্লিপ্ত ঠোঁট,
নিমেষে উড়াতে পারে এক ঝাঁক কষ্ট;
অবলীলায় পোড়াতে পারে একরাশ মন;
এ পুরুষ পায় না, পিতামহের ডাক শুনতে;
জানেনা ভূমি কর্ষণ করতে;
সে ভুলে গেছে, আর্য আগমনে রক্তের হোলি খেলা;
দুর্দান্ত সাগরে নাও বেয়ে চলা;
সে শুধু হেঁটে চলে,
আদিগন্ত শস্য ক্ষেত্র কে পেছনে ফেলে;
উন্মাসিকতা, উদাসিনতা, বিষন্নতা;
এই তিন শুধু খেলা করে,
ও দু চোখে...
========================================
~~এখন সময় দ্রোহের~~
আকাশ নয়, রঙিন প্রজাপতি নয়
এখন সময় দ্রোহের।
মনখারাপ করা দুপুর নয়, বিষণ্ণ বিকেল নয়
আজ দিন এসেছে গনগনে রোদমাখা রাগের।
সুরেলা গান নয়, মিষ্টি কবিতা নয়
দিনরাত রাস্তাগুলো যেন কাঁপতে থাকে
একের পর এক স্লোগানের উত্তাপে।
কোমলতা আর নেই আজ নারীর মর্মে
ঘৃণা আর ক্ষোভ উপচে পড়ে
সেই নিত্যদিনের মধুর কণ্ঠে।
প্রেমের সময় তো পায় না এখন তরুণ-যুবা
সমস্ত কাজ ফেলে মিছিলে যায় দলে দলে, এমনকি বৃদ্ধ-বৃদ্ধা।
শহরের সব পথ, সব গন্তব্য আজ গিয়ে মিলেছে শাহবাগে-
যেখানে তরুণদের চেতনা উদ্দীপ্ত সংগ্রামে।
=============================================
~~জাগরণের ডাকে~~
বাংলার মাটিতে আরেকবার!
গুড়িয়ে দাও এদের মেরুদন্ড চিরতরে!
গুড়িয়ে দাও এদের মেরুদন্ড চিরতরে!
আগুনে পুড়িয়ে দাও অন্ধবিশ্বাসে বিষাক্ত সাপেদের!
বাংলার সন্তান মানুষের কাতারে,
বাংলার সন্তান মানুষের কাতারে,
উর্ধচিত্তে, বিনা সংকোচে উঠে দাঁড়াও রক্তের সম্মানে
আমাদের মা-বোনেদের সম্ভ্রমহাণীতে,
আমাদের মা-বোনেদের সম্ভ্রমহাণীতে,
লাখো শহীদদের প্রাণের বিনিময় -মুক্তদেশের চিন্তাশিখায় গর্জে উঠো মানবসন্তানেরা যদি 'মানুষ' হয়ে থাকো দেশের মাটিতে!
এ মাটি হাতে নিয়ে দেখো,
এখনো হাহাকারে বিদীর্ণ মলিন আমার সোনার বাংলা,
নরপশুদের তান্ডবে ভেঙ্গে পড়া শহীদ মিনার দেখে কি করে বলো তুমি স্বাধীন দেশের মানুষ ?
শপথে পাঠ করো মুক্তমনে, বুকে হাত রেখে,
শপথে পাঠ করো মুক্তমনে, বুকে হাত রেখে,
স্বাধীন দেশের পতাকা হাতে, সাহসী-বীরযোদ্ধার প্রতিমায়,
'আমি বাংলার মানুষ, মানুষের বাংলায় হবে না আর কালসাপেদের আশ্রয়!
বিষাক্ত নিজামী-সাঈদী-মোজাহিদদের জামাত-শিবির-ধর্মবাণিজ্যের কলঙ্কে বড় হবে না আমার সন্তানেরা'
জেগে উঠো হে নযোয়ান,
জেগে উঠো হে নযোয়ান,
প্রজন্মচত্বর থেকে দেশের প্রতিটি কোণায় গর্জে উঠো আজ বাংলার সন্তান!
সময়ের ডাক শুনে মানুষ হয়ে উঠো,
সময়ের ডাক শুনে মানুষ হয়ে উঠো,
মানুষের কাতারে নাম লেখাতে এবারে।।
=================================================
~~এখন সময় দ্রোহের~~
আকাশ নয়, রঙিন প্রজাপতি নয়
এখন সময় দ্রোহের।
মনখারাপ করা দুপুর নয়, বিষণ্ণ বিকেল নয়
আজ দিন এসেছে গনগনে রোদমাখা রাগের।
সুরেলা গান নয়, মিষ্টি কবিতা নয়
দিনরাত রাস্তাগুলো যেন কাঁপতে থাকে
একের পর এক স্লোগানের উত্তাপে।
কোমলতা আর নেই আজ নারীর মর্মে
ঘৃণা আর ক্ষোভ উপচে পড়ে
সেই নিত্যদিনের মধুর কণ্ঠে।
প্রেমের সময় তো পায় না এখন তরুণ-যুবা
সমস্ত কাজ ফেলে মিছিলে যায় দলে দলে, এমনকি বৃদ্ধ-বৃদ্ধা।
শহরের সব পথ, সব গন্তব্য আজ গিয়ে মিলেছে শাহবাগে-
যেখানে তরুণদের চেতনা উদ্দীপ্ত সংগ্রামে।
==========================================
~~নান্দনিক ও ধ্রুব সত্যের কথামালা -২~~
রাত কাটে নির্ঘুম, দিনও তাই
এ কেমন বাঁধনে জড়ালে আমায়?
গলা শুকিয়ে আসে তৃষ্ণায়
তবু ভাবি শুধু তোমার কথাই
জানি, এ এক অন্তহীন পথচলা- আর কিছু নয়, আমায়
ভালোবাসার জল দিও এক আঁজলা।
এত চেষ্টা করি রাগ করতে
তবু পারি না কিছুতে
সারাদিনের উদ্বেগ শেষে
তোমার কণ্ঠস্বর এক মুহূর্তে
শীতল করে দেয় এই মনটাকে!
=========================================
~~মুহূর্তছবি~~
এতো রং -এর মাঝে স্বপ্নহীন তারারাত খুঁজি
যদিও বুকে হাত রেখে-
জানি স্বপের কোনো রং থাকতে নেই
ধার করে ফেরা জীবন স্বপ্নখোরের দৃশ্যপটে ছড়ানো তুলি রং;
ভাবি অন্যদিনের কথামালা, বিলুপ্ত সময়ের ছাপে আঁকা মুখ
তুমিময় হারানো ভোরের মনকল্পরেখা
এখানে কোনো ভোর আসে নাই--
আমিকেন্দ্রিক অবাধ্য রংহীনতায় গতিময় ছুটে যাচ্ছে
এমনই ইচ্ছাসুখী বেঁচে থাকা অনিয়মে।।
=========================================
~~জাগরণের ডাকে~~
ধর্মব্যবসায়ী জানোয়ারেরা জেগে উঠেছে,
ফুঁসে উঠেছে, বাংলার মাটিতে আরেকবার!
গুড়িয়ে দাও এদের মেরুদন্ড চিরতরে!
গুড়িয়ে দাও এদের মেরুদন্ড চিরতরে!
আগুনে পুড়িয়ে দাও অন্ধবিশ্বাসে বিষাক্ত সাপেদের!
বাংলার সন্তান মানুষের কাতারে,
বাংলার সন্তান মানুষের কাতারে,
উর্ধচিত্তে,
বিনা সংকোচে উঠে দাঁড়াও রক্তের সম্মানে
আমাদের মা-বোনেদের সম্ভ্রমহাণীতে,
আমাদের মা-বোনেদের সম্ভ্রমহাণীতে,
লাখো শহীদদের প্রাণের বিনিময় -মুক্তদেশের চিন্তাশিখায় গর্জে উঠো মানবসন্তানেরা যদি 'মানুষ' হয়ে থাকো দেশের মাটিতে!
এ মাটি হাতে নিয়ে দেখো,
এখনো হাহাকারে বিদীর্ণ মলিন আমার সোনার বাংলা,
নরপশুদের তান্ডবে ভেঙ্গে পড়া শহীদ মিনার দেখে কি করে বলো তুমি স্বাধীন দেশের মানুষ ?
শপথে পাঠ করো মুক্তমনে, বুকে হাত রেখে,
শপথে পাঠ করো মুক্তমনে, বুকে হাত রেখে,
স্বাধীন দেশের পতাকা হাতে, সাহসী-বীরযোদ্ধার প্রতিমায়,
'আমি বাংলার মানুষ, মানুষের বাংলায় হবে না আর কালসাপেদের আশ্রয়! বিষাক্ত নিজামী-সাঈদী-মোজাহিদদের জামাত-শিবির-ধর্মবাণিজ্যের কলঙ্কে বড় হবে না আমার সন্তানেরা'
জেগে উঠো হে নযোয়ান, প্রজন্মচত্বর থেকে দেশের প্রতিটি কোণায় গর্জে উঠো আজ বাংলার সন্তান!
সময়ের ডাক শুনে মানুষ হয়ে উঠো, মানুষের কাতারে নাম লেখাতে এবারে।।
জেগে উঠো হে নযোয়ান, প্রজন্মচত্বর থেকে দেশের প্রতিটি কোণায় গর্জে উঠো আজ বাংলার সন্তান!
সময়ের ডাক শুনে মানুষ হয়ে উঠো, মানুষের কাতারে নাম লেখাতে এবারে।।
=============================================
~~কানামাছি ~~
সত্যে আছে আলো
সত্য আবার কালো ,
মিথ্যা তে নেই জোর
প্রতিনিয়ত তবু সত্য মিথ্যার ভোর .
ডানাভাঙ্গা সুখদুখ
ডানাভাঙ্গা ঈশ্বর ,
কাগজের জীবনতরীতে
সত্যই সর্বেশ্বর
সত্যে আছে আলো
সত্য আবার কালো ,
মিথ্যা তে নেই জোর
প্রতিনিয়ত তবু সত্য মিথ্যার ভোর .
ডানাভাঙ্গা সুখদুখ
ডানাভাঙ্গা ঈশ্বর ,
কাগজের জীবনতরীতে
সত্যই সর্বেশ্বর
======================================
~~অপেক্ষা~~
বসন্ত আজো ফিরে আসেনি
লাল, নীল, হলুদ রঙের স্বপ্ন গুলো
ঠুনকু রাবার এর ছোঁয়ায় সেই যে মুছে গেল
আজো তা লিখতে পারিনি মনের মত করে,
প্রতিনিয়ত ক্ষয়ে যাওয়া বেদনার ব্ল্যাক বোর্ডে
সুখের ইতিহাস লিখতে লিখতে আমি যে বড্ড ক্লান্ত,
যত টুকু লিখি মুছে যায়,
ক্ষয়ে ক্ষয়ে মরে যায় আমার হাতের চক পেন্সিল টি
তবু বসন্ত ফিরে আসেনি ।
ক্লান্ত আমি ঘুমের ঘোরে জেগে থাকি
বসন্ত আসবে ভেবে রাত্রি যাপন করি,
নিয়ত অপেক্ষার প্রহর কাটে না
সুখের ইতিহাস ব্যর্থ বেদনার ব্ল্যাক বোর্ডে কেঁদে কেঁদে ফিরে,
আমায় মুক্তি দাও,আমায় মুক্তি দাও
করে চিৎকার করে উঠে আমার হাতের চক পেন্সিল টি,
আজো সুখের ইতিহাস লেখার সমাপ্তি ঘটেনি
বসন্ত তবু ও ফিরে আসেনি।
আমার স্বপ্নে হয়ত অনেক ভুল ছিল
তাইতো গ্রীষ্ম আসে, শরত আসে, আসে হেমন্ত,
বসন্ত আসেনা, সে আমার আকাশ নীলার পাশে রয়,
একা একা আমি নির্বাক সূর্যের পানে অপেক্ষায় জেগে রই,
আকাশ নীলা একদিন আসবে ফিরে বসন্তকে সাথে নিয়ে
সাজিয়ে দিয়ে যাবে আমার জীবনের সেই লাল, নীল, হলুদ স্বপ্ন কে,
আকাশ নীলা একদিন আসবে ফিরে।
=======================================
~~অভিমান~~
ভোরের আলো হব না
সূর্যাস্ত হব।
পূর্ণীমার চাঁদ হব না
অমাবস্যার রাত হব।
নিরবতায় রয়ে যাব
কোলাহলে যাব না।
হিসেবের এলোমেলো খেলায়
আমি আমার হব না।
জলজ বৃক্ষ হব না
চিতার কাঠ হব।
তেপান্তরের মাঠ হব
পথিক হব না।
খোলা আকাশ হব
গাঙচিল হব না।
অভিমানে পাথর হব
ভাবনাহীন হব না।
অচেনাই হয়ে রবো
চেনা হব না।
হিসেবের এলোমেলো খেলায়
আমি আমার হব না।
রোদ ফাটা পথ হব
ছায়া হব না।
আগুনে ঝাঁপ দেবো
সান্ত্বনা নেব না।
স্বপ্ন বেঁচে দেবো
আমি আমার হব না।
======================================
~~বিশ্ব মাতা~~
আমি করব স্নান আজি হাজার সমুদ্রের জলে,
আমাজন-যমুনা যখন পিশাচের শৌচাগার!
মিলন মেলা ভাঙ্গবো ঘরের মঙ্গলসুতা ফেলে-
সীতার বেদী যখন আজি, পাপের সূতিকাগার!
বিচ্ছেদের সব বিষ শুষে খেয়ে শতাধিক দিতি
ভুলিয়েছে অবোধ সন্তানকে আফিমের নেশায়
স্বার্থবাদী রক্ত পিশাচরা বদলিয়ে মন্ত্র-নীতি
আপন স্বার্থ হাসিল করে নীতির অবহেলায়।
সব ব্যথা ভুলে গিয়ে, বাদল ঝরা বকুল দিয়ে-
আমরা এই গ্রহন রাতে গড়ব মিলন মালা!
দূর হয়ে যাক দেশের মোহ বিশ্বমাতার বরে।
আমরা চাই না প্রাচীন মোহ বিশ্ব সাজের ঘরে!
আমরা যীশু, আমরা ভৃগু, আমরা রবের মালা-
দেখাবো নতুন বিশ্ব সৃষ্টি ভালবাসার জয়ে।
======================================
~~নান্দনিক ও ধ্রুব সত্যের কথামালা -৫~~
তুমি কোনোদিন জানবে না
কত দীর্ঘ রাত আমি বিনিদ্র কাটিয়েছি
তুমি কোনোদিন টের পাবে না
কী তীব্র হাহাকার নিয়ে
আমি চুপ করে সব সয়েছি!
তুমি কোনোদিন জানবে না
কী অমোঘ সাধনায় আমি তোমাকে পেয়েছি
তুমি কোনোদিন বুঝবে না
তোমার জন্য প্রতিনিয়ত আমি কী যুদ্ধটা করে চলেছি!
নাই বা জানলে, বরঙ এই ভালো-
তুমি বয়ে চলো, বয়ে চলো অবিরাম
কাণ্ডারীর মতোন শক্ত হাতে ধরো এই নতুনের সংগ্রাম।
বলিষ্ঠ যুক্তিতে সবাইকে হার মানাও
এমনিভাবে যেন তোমার কাছে
হেরে যায় ওই আকাশটাও।
=======================================
~~মিলন মেলায় গর্দভের পদাঘাত~~
উজ্জ্বল আকাশ সোনালী গোধূলি মোহিছে আমায়;
অদৃশ্য অন্ধকারের প্রতিমা দৃশ্যমান শুভ্রতা-
নয় কারো অজানা। পশ্চিমের উদ্দাম হাওয়ায়
দেখেছি অভিবাদন ছলে অপূর্ব পূর্ব নম্রতা।
গঙ্গোত্রী মূল দর্শণ প্রেক্ষাগৃহে অচল পয়সা!
পঙ্গু মুক্তিসেনা ঐ পাপ পুনরুত্থানে দ্বারে দ্বারে
গাসথে নেমেছে। ঐক্যতানের ছোট্ট মিছিল হেরে
যায়, উঠে না জ্বলে। আত্মভোগী এ আধুনা লালসা
সব কুটিরে প্রতিরাতে ভোগ কুরুক্ষেত্র সাজায়।
পিতার পুঁজায় পথে ঘাটে ‘বেশ্যার শত ছিন্নাঙ্গ’
সরকারী জমি সাজ - নপুংসক রাণীর ইচ্ছায়।
মানুষ এক জাতি - নীতি বাক্য মৃত। ব্যবসা সংগ
খাচ্ছে চুষে শেষ রুধির বিন্দু। হে হোমোসেপিয়ান্স
ভাঙ্গরে আজ সহ্য সীমা, দেখ না গাধার রোমান্স!
========================================
~~আমার একদিন~~
একদিন সব হারাবে গহীনে
পাখি হারাবে ডানা,শিকড় হারাবে মাটি
রোদ হারাবে উত্তাপ,গাছ হারাবে পাতা।
একদিন সব হারাবে গহীনে
কণ্ঠ হারাবে সুর,আঙুল হারাবে স্পর্শ
দেহ হারাবে প্রাণ, রঙ হারাবে ফুল।
একদিন সব হারাবে গহীনে
পথ হারাবে দিশা,গতি হারাবে শক্তি,
খনি হারাবে সোনা,বর্ষা হারাবে বৃষ্টি।
একদিন সব হারাবে গহীনে
শালিক হারাবে ঝুট,রাজা হারাবে রাজ্য,
সাইক্লোন হারাবে ঘূর্ণি, উপাসক হারাবে মঠ।
একদিন সব হারাবে গহীনে
কবি হারাবে কাব্য, ইতিহাস হারাবে সাক্ষী,
মৃত্যু হারাবে কফিন,
একদিন সব হারাবে গহীনে
বাঘ হারাবে থাবা,পৃথিবী হারাবে কক্ষপথ,
ঈশ্বর হারাবে ক্ষমতা।
=============================================
~~প্রতীক্ষা~~
আমার তিন বছরের ছোট্ট ছেলেটি কাল রাতে
আমার শার্ট গায়ে দিয়ে বেশ উৎফুল্ল হয়ে খেলছিল আমার সামনে।
আলখাল্লা মত শার্টে ওকে দেখতে প্রথমে আজব অদ্ভুত লাগলেও পরে
কেমন যেন স্বপ্নের ফেরিওয়ালা-স্বপ্নের ফেরিওয়ালা মত লাগছিল আমার কাছে।
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা বাস্তবে দেখতে কেমন তা না জেনেই
আমি এই রকম তুলনা করলাম কারণ
ছেলেটির ছোট্ট শরীরে-লম্বা শার্ট গায়ে দেখতে
কিছুটা হ্যামিলিওন এর বাঁশী ওয়ালার মতই লাগছিল-
যার বাঁশীর সুরে শহরের সব শিশু সম্মোহিত হয়ে ছুটে গিয়েছিল তার পিছু পিছু ।
ধান ভানতে শিবের গীত হয়ে যাচ্ছে জেনেও আমার এই সব তুলনাই আসে ইদানিং ।
আমাদের এই সোনার দেশ কি এই চলমান অরাজকতা
এই বিদ্বেষ-বিশৃঙ্খল প্রতিযোগিতার হাত থেকে অথবা
সুযোগ সন্ধানী রাজপুত্র রাজকন্যা ও তাদের মৌসুমী সঙ্গী–সাথীরূপী
হায়েনাদের হাত থেকে কোনদিনই আর রেহাই পাবেনা
বেরিয়ে আসবেনা মাতাল বাঁশীর মোহনীয় সুর অথবা মায়াজাল থেকে ?
কোন এক মুজিব, কোন এক জিয়া অথবা
দেশী বীরদের নাম শুনলে যাদের ভাল লাগেনা তাদের জন্য বলি
কোন এক চে গুয়েভারা কোন এক ইয়াসির আরাফাত,
মহাত্মা গান্ধী অথবা মাও সে তুং, নেলসন ম্যানডেলা যাই বলিনা কেন
কেউ কি আসবেনা কোন দিন আর
কেউ কি আসবেনা কোন দিন আর
এই বিশাল বাংলার মাঠ ঘাট শহর বন্দর কাঁপিয়ে
গণপ্রজাতন্ত্র মন্ত্র ভুলে, সাম্যবাদের ডাক বুকে নিয়ে ।
==========================================
~~পতঙ্গপালে আরো একজন~~
কখনো আগু্নের কাছে নিয়ন্ত্রণ দিয়ে দেখেছো
কিভাবে দপদপ করে আমূলে বদলে যায় চেনা দৃশ্যপট?
জ্বলে উঠা শিখার আড়ালে লে্লিহান
অতৃপ্ত বাসনার দেয়াল মাঝে তুমি বড়ো অসহায় জানো;
এ জানার ক্লান্তি ভুলে গেলে নির্মল বুঝে নিবে
নিজেকে খুঁজে পাওয়ার কষ্ট কি অনিয়মে
আলো তোমাকে ডেকে নেয়,
আলো তোমাতেই ক্ষয়ে যাওয়া জীবনের চিহ্ন মুছে দেয়;
আগুনের কাছেই উড়ে যাও হে, হীন জীবনের খুঁজে প্রতিবারে।।
===========================================
~~আঁধার~~
ভালোবাসি কাকে আমি? ভালোবাসি সবে!
লয়ক্ষেত্রে বাসে যদি ক্ষুদ্র পিপীলিকা-
বালুভূমে থাকে যদি শুভ্র ক্রৌঞ্চী একা-
সিক্ত প্রেম সুধা মোর তোমাদের রবে।
কালো বুকে আলো জ্বালা সৌম্যশক্তি মেলা
কেঁদে ফেরে সীমা মাঝে সাঁঝ-ঊষা বেলা
আকাশ-অণুর মাঝে নিত্য ঘুরে যারা
মিত্র মোর, সহোদর-চতুর্শক্তিবরা।
ভাগ্যলিপি এক গতি-এক রক্তে লেখা
ললনা হুর-হেলেন আশাহতে কাঁদা।
বায়ু তুমি বয়ে নিও আমার সালাম-
সিন্ধু পাড়ে যেথা দেখো জীবন কালাম।
সন্ধ্যা বাতি নিভে যবে সাঙ্গ হবে দেখা;
বেলা- তুমি খুঁজে নিও – তোমার বিষ্ণু দা!
==========================================
~~মরীচিকার পথ~~
আমি তো কবেই মরে গেছি মন ভাঙ্গার সাথে তবু কেনো দেখা দাও স্বপ্নে এসে রাতে|
আমি তো কবেই মরে গেছি মন ভাঙ্গার সাথে তবু কেনো দেখা দাও স্বপ্নে এসে রাতে|
তোমার সুখের জন্য ভুলে গেছি সব স্মৃতি কষ্ট দিয়ে আবার কেনো জ্বালাও প্রেমের বাতি|
আলোর মাঝে হাটলে তুমি অন্ধকারে হাটি ছায়া হয়ে এসে তবু ঢাকো দেহের মাটি|
কাছে গেলে দূরে ঠেল দূরে গেলে ডাকো কাছে কোনটা তোমার সত্যি বল, কোনটা বল মিছে|
তার চেয়ে হৃদয় পুড়ো থাকো তুমি দূরে আমি ছুটেছি কোনো অজানায় মরীচিকার পথ ধরে|
===========================================
~~বৃষ্টি জলের সাথে~~
নিক্কণ সুরে ঝরা
ছলছল বেদনা,
ভাসিয়ে নদীকূল
একান্ত নিরিবিলে–
হৃদয় বৃষ্টিরূপে-
ঝরে হয় ঝরণা ।
প্রাণের আকুলতা
হৃদয়েরে ব্যাকুলে!
ঘুনে ধরা স্মৃতিরা
আবার ঘিরে ধরে;
টেনে নেয় অতীতে,
কোথায় কোন রাতে
আমারি হাতখানি
অচেনা প্রিয়া হাতে
রেখেছিলাম ভুলে ।
নব্য প্রেমের জ্বরে
প্রেমহীন নারীরে
বেসে ছিলেম ভালো ।
সেই প্রেম আজিকে
বরসার দুর্দিনে
চক্ষু বাদল ধারায়
এ ভুল ভেংগে দিলো
আকাশের নীলিমা
নেমে এলো এ মনে।
কচু পত্রে শিশির
আর নারীরে প্রেম
দু’য়ে গড়ে এ জগতে,
ক্ষণস্থায়ী হেরেম।
নিক্কণ সুরে ঝরা
ছলছল বেদনা,
ভাসিয়ে নদীকূল
একান্ত নিরিবিলে–
হৃদয় বৃষ্টিরূপে-
ঝরে হয় ঝরণা ।
প্রাণের আকুলতা
হৃদয়েরে ব্যাকুলে!
ঘুনে ধরা স্মৃতিরা
আবার ঘিরে ধরে;
টেনে নেয় অতীতে,
কোথায় কোন রাতে
আমারি হাতখানি
অচেনা প্রিয়া হাতে
রেখেছিলাম ভুলে ।
নব্য প্রেমের জ্বরে
প্রেমহীন নারীরে
বেসে ছিলেম ভালো ।
সেই প্রেম আজিকে
বরসার দুর্দিনে
চক্ষু বাদল ধারায়
এ ভুল ভেংগে দিলো
আকাশের নীলিমা
নেমে এলো এ মনে।
কচু পত্রে শিশির
আর নারীরে প্রেম
দু’য়ে গড়ে এ জগতে,
ক্ষণস্থায়ী হেরেম।
==========================================
~~আত্মকথা ~~
ঘন ভালবাসা আর কুয়াশার চাদরে মোড়া ভালবাসার দিনলিপি
আর বাস্তবতার মাঝে থমকে চলা জীবন গাড়ি ,
রাতজাগা পাখির চিৎকারকে সঙ্গ দেয় সপ্তাহ শেষে
মিলন ক্লান্ত স্বামী স্ত্রীর দল।
আধপেটা খেয়ে বেঁচে থেকে আর উঠোনে শোয়া শিশু দেখে
খদ্দের পান করে চলে তার মায়ের বিষ থলি।
ভালবাসা কি বুঝতে গিয়ে উন্মাদ হয়ে ওঠা যুবক
ঘুরে বেড়ায় উলঙ্গ হয়ে আর
ত্রিফলার বাতিতে লেগে থাকে একরাশ ঘেন্না
আমরা খুঁজিনি ভালবাসার মানে, খুঁজিনি আমরা কেউ কাউকে
গন্তব্য মিলিয়েছিল আমাদের দুজনকে
বাঁধাধরা পথে আমরা হাঁটিনি, পাশে থাকার শপথ ছিল আমাদের।
ভালবাসায় আছাড় খেয়ে কেউ চলে বেশ্যাবাড়িতে
আর কেউ আজও খুঁজে চলে ভালবাসার মানে।
জীবন ঘড়ি ঘুরে চলে, রয়ে গেছে সেই ফুচকা
কিন্তু আজ নেই আমার হাত ধরা অবলম্বন।
তোমাকে হারিয়ে আমি হতে পারিনি সেই,
গীটার হাতে বইমেলার আতেল.........
কারণ আজও আমি চিঠি লেখায় ব্যস্ত,আর আমার কানে বাজে
আই .সি.ইউ থেকে ভেসে আসা তোমার শেষ দুটি লাইন
ভালো আছি ,ভালো থেকো
আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো....
ঘন ভালবাসা আর কুয়াশার চাদরে মোড়া ভালবাসার দিনলিপি
আর বাস্তবতার মাঝে থমকে চলা জীবন গাড়ি ,
রাতজাগা পাখির চিৎকারকে সঙ্গ দেয় সপ্তাহ শেষে
মিলন ক্লান্ত স্বামী স্ত্রীর দল।
আধপেটা খেয়ে বেঁচে থেকে আর উঠোনে শোয়া শিশু দেখে
খদ্দের পান করে চলে তার মায়ের বিষ থলি।
ভালবাসা কি বুঝতে গিয়ে উন্মাদ হয়ে ওঠা যুবক
ঘুরে বেড়ায় উলঙ্গ হয়ে আর
ত্রিফলার বাতিতে লেগে থাকে একরাশ ঘেন্না
আমরা খুঁজিনি ভালবাসার মানে, খুঁজিনি আমরা কেউ কাউকে
গন্তব্য মিলিয়েছিল আমাদের দুজনকে
বাঁধাধরা পথে আমরা হাঁটিনি, পাশে থাকার শপথ ছিল আমাদের।
ভালবাসায় আছাড় খেয়ে কেউ চলে বেশ্যাবাড়িতে
আর কেউ আজও খুঁজে চলে ভালবাসার মানে।
জীবন ঘড়ি ঘুরে চলে, রয়ে গেছে সেই ফুচকা
কিন্তু আজ নেই আমার হাত ধরা অবলম্বন।
তোমাকে হারিয়ে আমি হতে পারিনি সেই,
গীটার হাতে বইমেলার আতেল.........
কারণ আজও আমি চিঠি লেখায় ব্যস্ত,আর আমার কানে বাজে
আই .সি.ইউ থেকে ভেসে আসা তোমার শেষ দুটি লাইন
ভালো আছি ,ভালো থেকো
আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো....
==========================================
~~চিন্তার বলাৎকার~~
কার জন্য সব?
পিঁপড়ে ঘাসফড়িং মাকড়সা
কিম্বা দূরের গাঙচিল।
সুন্দরের প্রতিমায় নির্মম সত্যের
আজব রাজ্য এই দেবশিশুর মন-
উদরপূর্তি-শিশ্নভর্তি বৃষ্টির জল,
নর্দমার গোবরে পোকার ফসল নিশ্চয়ই-
দান প্রেম ভালবাসা-
নিশ্চয়ই হেরেমের আয়না।
কাম- নিশ্চয়ই ত্রিশঙ্কুর ভগ্নদশা।
পূর্ণমনোহতে পরিস্কার বাহক-
নাকি শুভ্রশশ্রুধারী পক্ককেশী দলের
অথবা মা মেরীর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যীশুর ।
বিস্তীর্ণ গোলকে দিকে দিকে বৈসাদৃশ্যের
বিচ্ছিন্ন পূঁতি গড়ে হেলেনের মুক্তামালা।
হাহাকার প্রতিনাদে ফেরে কেন-
আমারি সন্তানের হাস্যমুখে।
সকাল দুপুর বিকেলে দখিনা বাতাস
মরুর হু হু বাতাসে মিশে একে একে।
একেকটি পাপড়ি পড়ে ঝরে।
শিশির, সে ঝরে পড়েছিলো তো
অনেক আগেই-
প্রথম উষ্ণ আলোর স্পর্শে!
মূল্যহীনা পাপড়ি দেখছো কি সবাই
কত বিবর্ণ তারা, আজ মাটির দোসর
প্রিয়ার বেণীতে কাটানো সাতটি প্রহর
অতীতের অবাস্তব প্রত্যক্ষণ!
এক মুঠো ধূলি
সাত মহাদেশ বিচারীর দেহাবশেষের
মনের আবাস।
বালুর অণুতে অণুতে দ্বার তার প্রবেশের
অনন্ত অসীম মাঝে।
আজব পাখি
ডানাময় ডানাহীন প্রাগৌতিহাসিক।
কেবল বেহেস্তী বলে-
কেবল আদমী বলে
স্বর্গ, পিতৃপ্রদত্ত জলসা, ভাবিও না একবারও!
আলোভরা শরৎ আকাশ-
যদিও দেখনি একবারও প্রকৃত রূপে!
কত কাছে দীপাবলির মিটির মিটির-
কত সহজে প্রবেশ করে অনন্ত চেতনে-
কত কঠিন নির্মম সে দীপের কান্না-
কত সহজ সুন্দর ফ্রাঙ্কেসস্টাইন তারা।
বলে গেল শাহাদাত বানী-
কাঁদি মোরা তরী হীনা মাঝি বলে।
কোনটি সবচে’ স্থায়ী-
আকার না নিরাকার?
গড়ে নিরাকার জমে প্রচণ্ড চাপে;
মাটির দোসরে
গড়েছিলো কোন কালে।
আজব চিন্তা আঁস্তাকুড়ের পলিথিন;
লীন হারা সব বলে হবে কেবল বিলীন।
আমার প্রেমিকার গোপন নরমে
আমার অস্তিত্ত্বের মায়াবী গরমে!
কার জন্য সব?
পিঁপড়ে ঘাসফড়িং মাকড়সা
কিম্বা দূরের গাঙচিল।
সুন্দরের প্রতিমায় নির্মম সত্যের
আজব রাজ্য এই দেবশিশুর মন-
উদরপূর্তি-শিশ্নভর্তি বৃষ্টির জল,
নর্দমার গোবরে পোকার ফসল নিশ্চয়ই-
দান প্রেম ভালবাসা-
নিশ্চয়ই হেরেমের আয়না।
কাম- নিশ্চয়ই ত্রিশঙ্কুর ভগ্নদশা।
পূর্ণমনোহতে পরিস্কার বাহক-
নাকি শুভ্রশশ্রুধারী পক্ককেশী দলের
অথবা মা মেরীর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যীশুর ।
বিস্তীর্ণ গোলকে দিকে দিকে বৈসাদৃশ্যের
বিচ্ছিন্ন পূঁতি গড়ে হেলেনের মুক্তামালা।
হাহাকার প্রতিনাদে ফেরে কেন-
আমারি সন্তানের হাস্যমুখে।
সকাল দুপুর বিকেলে দখিনা বাতাস
মরুর হু হু বাতাসে মিশে একে একে।
একেকটি পাপড়ি পড়ে ঝরে।
শিশির, সে ঝরে পড়েছিলো তো
অনেক আগেই-
প্রথম উষ্ণ আলোর স্পর্শে!
মূল্যহীনা পাপড়ি দেখছো কি সবাই
কত বিবর্ণ তারা, আজ মাটির দোসর
প্রিয়ার বেণীতে কাটানো সাতটি প্রহর
অতীতের অবাস্তব প্রত্যক্ষণ!
এক মুঠো ধূলি
সাত মহাদেশ বিচারীর দেহাবশেষের
মনের আবাস।
বালুর অণুতে অণুতে দ্বার তার প্রবেশের
অনন্ত অসীম মাঝে।
আজব পাখি
ডানাময় ডানাহীন প্রাগৌতিহাসিক।
কেবল বেহেস্তী বলে-
কেবল আদমী বলে
স্বর্গ, পিতৃপ্রদত্ত জলসা, ভাবিও না একবারও!
আলোভরা শরৎ আকাশ-
যদিও দেখনি একবারও প্রকৃত রূপে!
কত কাছে দীপাবলির মিটির মিটির-
কত সহজে প্রবেশ করে অনন্ত চেতনে-
কত কঠিন নির্মম সে দীপের কান্না-
কত সহজ সুন্দর ফ্রাঙ্কেসস্টাইন তারা।
বলে গেল শাহাদাত বানী-
কাঁদি মোরা তরী হীনা মাঝি বলে।
কোনটি সবচে’ স্থায়ী-
আকার না নিরাকার?
গড়ে নিরাকার জমে প্রচণ্ড চাপে;
মাটির দোসরে
গড়েছিলো কোন কালে।
আজব চিন্তা আঁস্তাকুড়ের পলিথিন;
লীন হারা সব বলে হবে কেবল বিলীন।
আমার প্রেমিকার গোপন নরমে
আমার অস্তিত্ত্বের মায়াবী গরমে!
=========================================
~~অবদমন~~
অনাকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নেরা
বিরহের মালা গাঁথে।
পরিচিত মুখ
ভিন্ন কাপড় পরিধেয়
বড় অচেনা লাগে।
আর্তনাদ ছড়িয়ে আকাশের সীমানায়
নীলিমায় মিশে আশার আলো,
তুমি মেঘ হলে আকাশে
স্মৃতিরা বৃষ্টিতে ভিজে।
রাতের শূন্যতা ভাঙ্গে
শুকনো পাতার ঠুনকো শব্দে।
হাত বাড়িয়ে-
নাগাল না পাওয়ার দুরত্বে,
তুমি আমি হালকা বিশ্বাস।
তুমি নেই! আছে
স্মৃতি বিজড়িত হতাশার আহাজারি।
তবুও আবার দেখা হলে বলবো-
এই বেশ ভালো আছি।
=========================================
~~ভুল ফুল~~
সেদিন কাঁটাবনে একটা ফুল ফুটেছিল
সূর্যের মত উজ্জ্বল আর চাঁদের মত কোমল
একটা ফুল - লাল টকটকে গোলাপ।
তাই দেখে শান্তিনগর থেকে আমি
সমস্ত যুদ্ধ ও দ্বন্দ্ব ফেলে রেখে
সমস্ত রাগ ও ক্রোধ ফেলে রেখে
সমস্ত ক্লান্তি ও শ্রান্তি ফেলে রেখে
প্রাণপণে ছুটে এসে দেখি গোলাপের পাপড়ি গেছে ঝরে
রং বিবর্ণ হয়ে এটাকে এখন বড়জোর
মরা মেরুন বলা চলে-
সতেজতা চলে গিয়ে ফুল এখন বিবর্ণ বিদূর খুব
অথচ দূর থেকে এটাকে টকটকে গোলাপ ভেবে
এই প্রখর রৌদ্র দুপুরে
সমস্ত রাজনীতি ও কূটনীতি ফেলে রেখে
সমস্ত মদ ও মাদকতা ফেলে রেখে
সমস্ত রূপ ও রহস্য রমণীদের ফেলে রেখে
শান্তিনগর থেকে আমি ছুটে এসেছিলাম-
একটা সূর্যের মত উজ্জ্বল আর চাঁদের মত কোমল
লাল টকটকে গোলাপ কে কাঁটাবনে ফুটে থাকতে দেখে ।
============================================
No comments:
Post a Comment