Monday 5 August 2013



~~হে নন্দিনী।~~
 

তোমার সাফল্য তুমিই
হে নন্দিনী।
শৈশবে যখন তুমি,
পুতুলের বিয়ে নিয়ে
দুশ্চিন্তা করার কথা,
তুমি তখন ব্যস্ত,
আশপাশের দুনিয়া নিয়ে,
দারুণ কৌতূহলী ছিলে তুমি।
কোথায় কী ঘটছে,
সব তার জানা চাই!
রাস্তায় বোমা ফুটল কেন?
অনেকগুলো লোক মিছিল কেন?
কেনই বা চেনা পরিবেশটা এমন করে,
পালটে যাচ্ছে সময়ের সাথে সাথে?
এসবের উত্তর দিতে দিতে দিতে
তুমার বাবা-মায়ের নাভিশ্বাস উঠত!
তখন কে জানত এই তুমি একদিন!
একদিন ঝড় তুলবে মঞ্চে?
মুহুর্মুহু করতালিতে
মুখরিত হবে চারপাশ?
নিজের যোগ্যতাতেই তুমি!
আজকের অবস্থানে।
=============================================

~~বছরের এই শেষ প্রান্তে~~ 


পুরোনো সব ব্যর্থতা, হতাশা, না পাওয়ার গ্লানি,
চলুন সবাই মন থেকে ঝেড়ে মুছে ফেলি ।
সবাই জীবনযাপনে নতুন প্রত্যাশার আলো জ্বালাতে,
যার যার মতো প্রস্তুতি লই বছরের এই শেষ প্রান্তে।
বছর শেষে নিজের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে,
নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে মনে মনে।
হিসেবের খাতায় হয়তো উঁকি দিচ্ছে-
কিছু সাফল্য কিছু ব্যর্থতা,
জানেন তো, হোঁচট খাওয়ার জায়গাটিই-
মানুষে মনে রাখে ভুলেনা।
নিজের হোঁচট খাওয়ার জায়গা গুলোকে-
তাই বছর শেষে,
সংশোধন করে নতুন চিন্তা, নতুন পরিকল্পনা-
জরুরি ভাবছি অবশেষে।
পরিকল্পনাহীন জীবন থাকে এলোমেলো-
বিশৃঙ্খল, লক্ষ্যহীন,
একসময় সেই জীবন ব্যর্থতা আর বিপর্যয়ের-
করাল গ্রাসে হারায় কেনদিন।
দীর্ঘদিনের একঘেয়ে জীবনযাপনে-
হয়তো ক্লান্ত-বিরক্ত হয়ে পড়ছি,
জীবনটাকে বড্ড পানসে-
বিরক্তিকর, ক্লান্তিকর মনে করছি।
নতুন বছরে জীবনটাকে-
বৈচিত্র্যের ছোঁয়ায়,
আনন্দময়, উপভোগ্য, তাত্পর্যময় করে-
কি করে তোলাযায়।
নিজের সামর্থ্য আর সুযোগকে-
বিবেচনায় আনতে হবে,
আমরা কেউই অসুন্দর, ব্যর্থ, বিপর্যস্ত জীবন-
চাই না ভবে।
জীবনের সব ক্ষেত্রেই শতভাগ-
সফলতা না হলেও,
বেশ ভালো ভাবেই সফল হতে চাই-
যেন তবোও।।
=============================================

~~পরকীয়া ভাইরাসে বিচ্ছিন্ন সংসার~~

 

কেমন যেন এক আদিম যুগে চলে যাচ্ছি আমরা
কিংবা হয়তো এটাই এ যুগের আধুনিকতা 
আমার বোধগম্য হয় না
তাই হয়তো অচল আমি এ যুগের জন্য।

পরকীয়ার পতঙ্গ আজ ডানা মেলে দিয়েছে আকাশে
ভাইরাসের জীবাণু ছড়িয়ে দিচ্ছে বাতাসে
পরকীয়ার ভাইরাস ডানা মেলে পতঙ্গের মতন
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে সংসার সব মেতেছে ধ্বংসের খেলাতে।

পার্থক্য কি সহবাসে আর পরকীয়া সম্পর্কের সঙ্গমে?
দেহের সাথে দেহের মিলন, সংজ্ঞায় বলে এটাই রমণ
বিধাতা বেঁধে দিয়েছে বিবাহ নামক মধুর এক বাঁধনে
পুরুষ আর রমণী জোড়া বেঁধে দুজন দুজনে।

তবু আজ পরকীয়ার পতঙ্গ ওড়ে আকাশে বাতাসে
ধ্বংসের লীলাখেলায় মত্ত হয়ে
কি লাভ হচ্ছে একের পর এক সম্পর্ক ছিন্ন?
পুরুষ আর রমণী দেহ দুটোই তো শুধু ভিন্ন
আমার পছন্দ মোটা দেহ কিন্তু আমার সে যে চিকন
আমারটা উনি বড়ই খাটো আর সে অনেক লম্বা তখন
দেখতে দুটি দেহ হয়তো অন্যরকম
তবে মনটা তো সবারই একই রকম
স্বামী স্ত্রীর পরস্পরের ভালোবাসায় পূর্ণ;
তবে কেন করে যাই ভাইরাসের পতঙ্গ উড়িয়ে
মনটাকে পাপে পূর্ণ?
আত্মহননের সর্বনাশের পিছু
এ অর্বাচীন ছোটাছুটি কিসের জন্য?

দুটি সংসারে কতগুলো মানুষ জড়িত
ভালোবাসাবাসি আর মমতার বাঁধনে
জানাজানি হবার পর থেকে সব হয় ছিন্নভিন্ন
এই পরকীয়া ভাইরাসের আক্রমণে।

তবে এ সর্বনাশা নেশার বলি হয়ে
দুটি ঘর ভাঙ্গা কিসের জন্য?
কখনো ভেবে দেখেছি কি
মনের ভেতর থেকে একটিবারের জন্য?
=============================================

~~পড়েছি আমরা ছোটবেলায়~~

 
শিষ্টাচার উন্নতির প্রধান সোপান,
শিষ্টাচারে মানব হয় মহা মহীয়ান।
সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে,
মানুষের পরিচয় তার কর্মে;
বুদ্ধিমত্তায়, সৌজন্যবোধে,
তথা শিষ্টাচারে।
ভদ্রতা, সৌজন্যবোধ, পরিমার্জিত-
ব্যক্তি মাত্রই শিষ্টাচারে গুণান্বিত,
ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত ।
ইচ্ছে করলেই নিজের সৌজন্যবোধ,
বাড়ানো যায় না।
ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে নিয়মিত অনুশীলনে,
শানিত করে নিতে হয়,
নিজের সৌজন্যবোধ কে।
কথাগুলোও যেন জীবন ছুঁয়ে যায়,
পড়েছি আমরা ছোটবেলায়।।
==========================================

জীবনটা খুব বেশি হ্যাং হয়েগেছে.............
ফরমেট দিয়ে, স্কেনিং করে.............
আপডেট দিতে হবে! আমি ভুলে যেতে চাই সবি। 
আমি আমার উপর অনেক অবহেলা করেছি,
 অত্যাচার করেছি, 
পস্রয় দিয়েছি মনকে তাতে সবই হারিয়েছি বিনিময় ইকোয়েলটু জিরু।।.
============================================

~~বরফ গলাবেন কিভাবে?~~


জন্মগতভাবে কিছু মানুষ আছেন যারা সবাইকে মাতাতে পারেন। তারা নিজেরা যেমন সহজেই যোগাযোগে সারা দেন তেমনি অন্যদের বন্ধ দরজা জানালা গলে সহজ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন। হ্যাঁ, তারা কিভাবে সম্ভব করেন খেয়াল করেছেন কি?

এটা যেন কিছু মানুষ বিনা চেষ্টায় কম্পিউটার কি বোর্ড –এর অক্ষরগুলো না দেখেই টাইপ করতে পারার মত। কিন্তু শিখেও তো তা সম্ভব, দেখে দেখে একসময় না দেখেই অনেক ভালো টাইপ করতে মানুষ শিখে যায়। সহজ সম্পর্কের অনুশীলনও আমাদের একসময় এমন এক স্তরে নিয়ে যায়, যেখানে আমাদের আর সহজ সম্পর্ক নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। যে কোন মানুষই হোক না কেন, আপনার অভ্যাস হয়ে যাবে সাবলীলভাবে সাড়া প্রদানে এবং কার্যকর সংযোগ তৈরিতে।

খরস্রোতা নদীর দুইপার কি সংযুক্ত করা যায় না? যত জটিলতা, ততই হয়তবা অভিজ্ঞ প্রকৌশলী, ভু-তত্ববিধদের দরকার হয় এবং তা তারা সম্ভব করে তুলেন। আপনার চারপাশের মানুষগুলো যতই কঠিন হোক না কেন, পরিস্থিতি যতই প্রতিকূল হোক না কেন, সাবলীল সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব? আপনি কি মনে ও প্রাণে বিশ্বাস করেন সম্ভব? মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন আর কিছুই লাগবে না। বিশ্বাস আপনার আত্মবিশ্বাস গড় তুলবে। আর আত্মবিশ্বাস থাকলে সাফল্য আসলো বলে!

গীটারের তারে টুং টা্ং করতে আপনি তার ভেতর থেকে সুরকে বের করতে পারবেন একটা সময়ে। অনুশীলন করুন একটু কম মিশুক মানুষদের সাথে, তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ার পরীক্ষাগুলো দিন, তবেই হবে। সম্পর্ক গড়ার সুরটাকে আবিষ্কার করুন। একটা মানুষ এক এক রকম। এক একটা মানুষের সাথে এক একটা সম্পর্ক এক একটা গানের মত। প্রাণবন্ত, সাবলীল সম্পর্ক আপনাকে অবিরাম শ্রুতিমধুর গান শুনিয়ে যাবে যদি সম্পর্কের তাল আর লয় সম্পর্কে বুঝতে পারেন। এটা অনেকটা সাইকেল চালানোর মত। তত্ত্ব দিয়ে কি সাইকেল চালানো শিখা যায়? নেমে পড়ুন সাইকেল নিয়ে। তত্ত্ব দিয়ে কি মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন? অথচ এর চেয়ে সহজ কিছুই নেই। একটু খেয়াল করতে হবে, প্রতিটা সম্পর্কের গুরুত্ব বুঝতে হবে। প্রতিদিনই আমরা অনুশীলন করতে পারি। আর অনুশীলন করতে করতে প্রতিটি মানুষই সাবলীল সম্পর্ক গড়ার দক্ষ কারিগর হয়ে উঠতে পারে।

আমরা অনেকে শুরু করব কি নিয়ে তা ভেবে চিন্তিত আর শংকিত হয়ে পড়ি। আর এসব চিন্তা আর শংকা একটার পর একটা দেয়াল তৈরি করতে থাকে। সালাম দিন, কুশল জিজ্ঞাসা করুন। নিরুত্তাপ উত্তর দিলে হতাশ হবেন না, তখনও থাকুন প্রাণবন্ত। আপনার প্রাণবন্ত আচরণ তাকেও ছুয়ে যাবে, তাকে তার তাৎক্ষণিক অবস্থান থেকে সরাতে বাধ্য করবে। যত কঠিন মানুষই হোক না কেন, আপনি যদি ধরে নেন যে সে আপনার সাড়ায় সাড়ায় দিবে, তবে কিন্তু সম্পর্ক গড়ার পথের দেয়ালগুলো নিশ্চিহ্ন হওয়া শুরু করবে। আপনার সে ধরে নেয়া, সে বিশ্বাস কাজ করবে যাদুর মত। আপনার সে ইতিবাচক বিশ্বাস আসলে তার প্রতি আপনার ইতিবাচক আস্থা আর সে আস্থার কথা কেমন করে জানি তাকে স্পর্শ করে এবং সে বদলাতে শুরু করে দেয়।

কথা বলুন প্রাণ নিয়ে। নিস্প্রান, নির্জিব মানুষকে তা সজিব করে তুলবে।আপনি দীর্ঘসময় সজিব থাকতে পারলে, প্রাণবন্ত থাকতে পারলে “অসমোসিস” প্রক্রিয়ায় তা আরেকজনকে সজিব করে তুলবে। অচল ঘড়ির কাটা চলতে শুরু করবে যদি আপনি চার্জ দিতে পারেন। আপনার চারপাশের মানুষকে চার্জ দিন, রিচার্জড করে তুলুন।

তারপর দেখুন, বহুদূর চলে গেছেন, ঘড়ির কাটা চলতে শুরু করে আপনার খেয়াল করার আগেই বহু বার ঘুরে আসবে।
==================================================

~~শুদ্ধ জীবনের পরিস্ফুটন,অমূল্য রতন পুনর্জীবন!~~


 
দেহের প্রাণ থাকতেও কেউ কেউ থাকে আত্মাহীন,
প্রেতাত্মা বসবাস করে নিশিদিন।
প্রেতাত্মার মৃত্যুই তোমাকে বোঝাতে পারে,
ভালবাসার অমূল্য রতন ফেলেছ তুমি হারায়ে।
একটা অমানুষের মানুষ হতে,
কত কিছুই না হয় হারাতে!
আত্মা এসে ঠাই নিয়ে হয় আপন,
তোমাকে দেয় পুনর্জীবন।
এক স্বপনের কফিন কাঁধে,
নতুন স্বপন বাসা বাঁধে।
এক পা দু পা করে দ্বিতীয় জীবন,
সাজাতে পারো এবার নির্মল বাঁধন।
মাঝে আবার জাতিস্মর হওয়ার বাসনা,
মনের কোথাও একটুও রেখো না।
শুদ্ধ জীবনের পরিস্ফুটন,
অমূল্য রতন পুনর্জীবন!
=========================================

~~বাস্তবতায় বেঁচে থাকা~~
 

অনেক অনেক ওপরে উড়ে যেতে মন চায়
যেখানে মেঘের ভেলা ঢেকে রাখবে আমার বিবেকবোধ
সেখানে মনুষ্যত্ব ক্রমাগত পীড়া দেবে না
অনেক অনেক দূরে চলে যেতে মন চায়
যেখানে গভীর কোনো অরণ্য ঢেকে রাখবে আমার হৃদয়টাকে
ক্ষরণের যন্ত্রণাগুলোতে মলম লাগাবে বন্য গাছের কষে
চাঁদের দেশে চলে যেতে মন চায় বড় পূর্ণিমার রাতে
স্বপ্ন-জগত থেকে উড়ে উড়ে অনেক দূরে
আমার চাঁদনিকে একবার দেখব বলে।

কিছুই করা হয় না, শুধু কল্পনার রাজ্যে বসবাস
জীবনের কঠোর বাস্তবতার সাথে যুদ্ধ করে
তিল তিল করে নিজেতে নিজে মরে
প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ, প্রতিটি মুহূর্ত
শুধুই বেঁচে থাকা সংসারকে আঁকড়ে ধরে।
==============================================

~~প্রথম গোধুলির আমি, শেষ গোধুলির রাঙ্গা মেঘেদের~~ 

 

কথার রাজ্যে চলো যাই
বেঁচে থাকি কিছুটা সময়
প্রভাতের রোদ মেখে শিশিরের গায়ে
দুজনে ভ'রে রাখি প্রথম গোধুলী।

হিমের সূতো-বাঁধা রাতের আঁটসাঁট জঠর-প্রসূত
বেদনার ঘোরে আমি কুয়াশার সুবিদিত
প্রথম গোধুলির শিশিরের ঘরে
শেষ গোধুলির রাঙ্গা মেঘেদের
পাতার মুখে পড়া আলোর চিকচিকে ক্ষণ ধাবমান

নীরবিনী মমতার প্রসবিনী রাত্রিকে কখনও চিনিনি
প্রথম গোধুলীর চারপাশে ঝ'রে পড়া প্রকৃতির পাতা
ঘূর্ণিত বাতাসের নূপুরের তালে নাচে এসো
শব্দ হোক নূপুরের মধুপের গুণ্জনে
সুরারোপ করা সেই কথার মদিরা
প্রথম গোধুলী ভ'রে খেতে দাও।
===========================================

~~ছায়াহীন আওরত~~

 
একটি কবিতা তুমি পড়ো,
আমার আখ্যায়িত ভ্রান্ত-কুহক তুমি পড়ো। 
চিরকাল বেহদ্দ লাজুক কেন আর,
যার ভার বহনে ক্লান্ত আমি পারি না আর।
সে তো ভোলায় কেবল চিত্তকে,
হৃদপত্রে জাফরানি কালির আঁচড়ে আঁকে।
বিকাবে এর দামে কোন সে দিন,
কত আর দর-কষাকষি হাট হবে বিলিন।
তো’’ বুভোকের হৃদ্দত রাজত্ব,
দিতে চাও দাও মনে রাখার এক পক্সিক্ত।
দাও সিংহাসন চুড়ান্ত মনোনয়নে,
আলেয়ার মতো করে ভোলানোর এক লাইনে।
জমিনের সমস্ত ভু-ভার,
অকাট্য বিশ্বাসে আজ ঝরে যাক্ আবার।
মুছে মুছে যাক্ সব তার,
অনঙ্গ ছায়ায় এসে মুছে যাক্ অঙ্গভার।
তুমি শুধু এক কবি, হে কবি!
ঋদ্ধ করি, সৃষ্টির ভাঁজে ভাঁজে তোমার ছবি।
দোহাই পড়ো এই বুকে যতদিন,
ফুটে থাকা পদ্যের কুসুম কুসুমিত স্নেহা অম্লিন।
নেড়েচেড়ে একবার দেখো মনের সুরত,
সাক্ষ্য নয়, সাক্ষী তুমিণ্ড ছায়াহীন আওরত।।
============================================

~~তুমি আর আমি~~



আমরা দুজনে যেখানেই থাকি
যাইনা কখনো কোথাও
মিছিমিছি যাই যাই বলি
চলে যাই দুরে
যেন আর নেই
যেন আর আসবোনা কখনো
যেন আর তাকাবোনা বলাকার মেঘে।

সেতো নয় আহা,
তোমার পদতলে বিছানো যে মটি
পাতানো সে কার পাটি সেতো তুমি জানো
আমিইতো এ মাটিতে সময়ের বুক পেতে থাকি
আকাশমণি তুমি রাধাচূড়া ফুল হয়ে
ফুটে থাকো বটে বুকের মাটিতে।
============================================

~~অন্যরকম অনুভব~~ 

 

আজ না হয় অন্যরকম কিছু হোক 
অন্যভাবে অন্য অনুভবে......... 

প্রতিদিনের মাছ ভাত শাক ডাল থেকে
না হয় বের হয়ে আসি আজ
চল না আজ উপোষ দেই!

কত লোক পড়ে থাকে রাস্তার আনাচে কানাচে
ঘুম আসে না তাদের চোখে
খিদে নামক কোনো এক দানবের কল্যাণে
তুই, আমি কিংবা আমরা দেখিনি সে দানব
চলনা আজ অন্যকিছু করে দেখে আসি
কিভাবে কাটায় বেলা ক্ষুধার জ্বালায় ওইসব মানব।

প্রতিদিনের একই রুটিন লেপের তলা থেকে
কিংবা হিটারের গরম থেকে চল না আজ বের হয়ে আসি
চল না একটু শীতের সংজ্ঞা বুঝে আসি।

আজ চল হেঁটে যাই শীতার্ত রাজপথে
দুজন দুজনার হাত ধরে ওই রেললাইনের বস্তির পাশ ঘেঁসে
ঘরে পড়ার প্রতিদিনের দুটো পাতলা জামা গায় দিয়ে দুজনে
চল না আজ বুঝে নেই শীত কাকে বলে!

পেপারে খবরে ব্লগে ব্লগে প্রতিদিন শুনে আসছি
আহ্বান আর আবেদন শীতার্তদের প্রয়োজনে
অবজ্ঞা অবহেলায় চ্যানেলটা ঘুরিয়ে দেই
এসব ফালতু খবর শুনতেই
সারাদিন থাকি ব্লগে, এ ধরনে একটি কথা চোখে পড়লে
খুব সাবধানে এড়িয়ে যাই অন্য কোনো মজার গল্পে;
সারাদিন কাটাই ফেসবুকে আর নেটে
এ ধরনের কোনো আবেদন শুনলে করুণা হয়তো জাগে মনে
তবে একটি লাইক একটি কমেন্টও করি না ভয়ে
যদি বিবেক বলে সাড়া দিতে এই সব আহ্বানে।

চল না আজ ঘুরে আসি শীতকে গায়ে মেখে
শীত কাকে বলে বুঝে নিতে
রুম হিটার জ্বালিয়ে
লেপের তলায় বসে কি আর শীত অনুভব করা যায়?
একদিন না হয় বের হলামই রাস্তায়
হাড় কাঁপানো শীতের সংজ্ঞা বুঝে নিতে।

যাবি তুই আমার সাথে একদিনের জন্য হলেও
তাহলে আর কখনো বলবি না কি পাগলে পেয়েছে আমায়
হাবিজাবি এসব কথা লিখে ভরে ফেলি ব্লগ
আর আবেদন জানাই ফেসবুকে
ঘুরে বেড়াই একা একা শীতার্ত রাজপথে
কিংবা রেললাইনের পাশের বস্তির কোনে কোনে।

তুইতো আমায় এমনিতেই পাগল বলিস
যখন চুপেচাপে বের হয়ে যাই রাস্তায় রাতের আঁধারে
ওই মানুষগুলোর সাথে সময় কাটাতে
চুপেচাপে বাসা বাড়ির সব শীতবস্র সাথে করে
সঙ্গোপনে তোর কাছ থেকে লুকিয়ে
কিংবা পকেট খালি করে, যৎসামান্য কিছু খাদ্য কিনে
ক্ষুধায় কাঁতর ওই মানুষগুলোর জন্য, আমার সাধ্যমত;
তুই কখনোই বুঝবি না রে
আমার যে বড্ড অন্যরকম সুখ জাগে মনে
তাদের পাশে একটু দাঁড়াতে পারলে
একটু সহানুভূতির হাত তাদের মাথায় রাখলে।

এজন্যই তোকে অনুনয় করছি, চলনা আমার সঙ্গে!
আজ না হয় আমার সাথে একটু অন্যরকম সময় কাটালি
আমার মতন করে, বস্তির ওই মানুষগুলোর সঙ্গে
অন্যভাবে অন্য অনুভবে.........

হয়তো কিছুই অনুভব করতে পারবি না তুই
কিংবা কে জানে? হয়তো তোর বিবেক মনুষ্যত্বকে নাড়া দিলে
আমি একজন সঙ্গী পাব আমার যাযাবর জীবনে।
=============================================

~~বিদায় ২০১২~~ 
 

২০১২ তুমি কত সুখে দুঃখে কেটেছো মোর সাথে 
এখন সে অতিত স্মৃতি কথা 
হয়তো মনে থাকবে বা ভুলবার নয়
জীবনের বাতায়নে দোলা দিবে হালকা মধুর পুলকে
কখনো দুঃখের প্লাবনে অসমাপ্ত কাব্য হয়ে ।।

হৃদপিণ্ডের টিক টিক সময় ঘড়িতে
বেড়েই চলছে ওপাড়ের সময় ঘন্টা
চলে যেতে হবে চলে যাব
নিখিল ভুবনে নব কলকাতানে
আসিব ফিরে বিঁধির আশ্রমে প্রতিপালিত হয়ে
মুক্ত মনে চির মনস্কামন পূরণে ।
===========================================

শুধু আছে আমার স্বপ্নমুগ্ধ অতীত স্বৃতির সোনালী আবার;
পিছু ছাড়েনা আমার সেই সব স্বৃতি, ছাড়ে না পিছু আর

ঝুলে থাকা বিশাল আকাশ মাথার উপর
মুখোমুখি বসে আছি, মুখোমুখি জীবনের।

শুন্য পড়ে আছে প্রপঞ্চ পথ বন্ধুর
হাজারো বাঁক-ক্লেদ-শোক ভরে নিয়েছি বুকে জীবনের।

নয়ন বিষন্ন মনে কিসের আশায় কাতর,
যাপিত জীবনের বন্ধুর পথের।
===========================================

~~ভালোবাসার যতিচিহ্ন~~ 

 
আমায় ছেড়ে জড়িয়ে থাকিস তাকে 
আষ্টেপৃষ্ঠে সারাটা ক্ষণ; 
বড্ড হিংসে হয় আমার
তুই যেন বুঝেও বুঝিস না
মুচকি হাসি দিয়ে আমায় ছেড়ে জড়িয়ে রাখিস তারে
যেন আমাকে হিংসার অনলে পোড়াতে
হায় রে মানবীর মন?
আমি কোন ছাড়! বোঝেনি ওপরওয়ালাও যখন।

এক এক সময় মনে হয় পারতেম যদি
তাকে পুড়িয়ে দিতে আগুন জ্বালিয়ে
কিংবা ধ্বংস করে চিরতরে
তবে সেদিন হয়তো শান্তি মিলতো আমার
একটুখানি মনের ঘরে;
অন্তত সে তো তোকে জড়িয়ে ধরতে পারত না
আমারই চোখের সামনে
কিংবা বাঁধা হতে পারত না আমার দুজনার মাঝে
সারাটা ক্ষণ দুজনার মাঝে ভালোবাসার যতিচিহ্ন হয়ে।

প্রায়ঃশই আমাদের মধ্যে যখন
শারীরিক ভালোবাসাবাসি গুলোর মুহূর্ত
নিবিড় হতে চাওয়া একে অপরের সাথে
ঠিক তখনই বাঁধা পাই মনে;
যেন আড়াল করে রাখতে চায় তোকে
আমার থেকে সরিয়ে অনেক দূরে।

ভালো লাগে না প্রতিনিয়ত
আমাদের দুজনার মাঝের যতিচিহ্ন হয়ে থাকা
আর অপলক চোখে দেখা আষ্টেপৃষ্ঠে তোকে জড়িয়ে থাকতে;
হিংসায় জ্বলে পুড়ে মরি
কেন যে আমিও পারি না ঠিক তারই মতন
সর্বক্ষণ তোকে জড়িয়ে ধরে রাখতে।

একদিন ঠিক দেখিস তাকে আমি ধ্বংস করে দেব
চিরকালের মতন আগুনে পুড়িয়ে
সারাটা ক্ষণ তোকে জড়িয়ে রাখা
তোর পরনের “শাড়ি” টারে।
============================================

~~তুই, আমি ও সে~~ 

 

পার্থক্য কিছু আছে তো বটেই 
তার, আমার আর তোর মধ্যে। 

তার আছে বাড়ি, গাড়ি, টাকা কড়ি
সমাজে সে খ্যাতির চুড়োমনি
সকলেই চেনে তাকে
টাকায় কিংবা খ্যাতিতে
আসলে কি ভালোবাসে তোকে?
না কি টাকার মূল্যে কিনে
সাজিয়ে রেখেছে দামী এক শোকেসে
অনেক মূল্যে কেনা এখান ওখান থেকে
এন্টিক সংরক্ষণে
মানসিক শান্তিতে।

আমি কাঙ্গাল, মূল্য বুঝিনি টাকার আগে
যাযাবর জীবন কাটিয়েছি এখানে ওখানে
দীন হীন হয়ে, কিংবা কিছু দ্বীনের সন্ধানে;
চিন্তায় আসে নি স্বপ্ন ভাঙ্গার বেদনা
কিংবা তোকে হারাবার
মুখোমুখি হয়ে কঠিন বাস্তবতার।
আমার কিছুই নেই, জাগতিক ভুবনে
শুধু ছিল তোর জন্য এক হৃদয় ভালোবাসা
বয়ে চলেছিলাম বুকের অনেক গভীরে।

রূপে গুনে তুই অনন্যা
করে গিয়েছিস ভালোবাসার ছলনা
তাইতো ক্ষরণে পোড়ায় না তোরে বেদনা;
তোর আছে তার টাকা
যা ছাড়া আসলে বাস্তব জীবন চলে না
সাথে অনেক বেশি খ্যাতির বিড়ম্বনা
আর তার সাথে কিছু আছে উপরি পাওনা
সেটা কি বলতে পারিস?
হৃদয়ের গভীরে উঁকি দিয়ে দেখ একবার
উপরি আছে আমার কাছ থেকে পাওয়া
একরোখা সীমাহীন ভালোবাসা।

কি করবি তুই এত কিছু দিয়ে?
বড্ড জানতে ইচ্ছে করে।
============================================

~~শিশুরা বিরুপ প্রভাবে-*A~~


একটু লিখতে বসলাম শিশু নিয়ে অবশেষে,
আমাদের রাষ্ট্র পরিবার শিশু সমাজে।
সব সময় আতঙ্ক, অস্থিরতা বিরাজ করে,
এর নেতিবাচক প্রভাব শিশুদের ওপর পড়ে।
যে কোন অস্থিতিশীল পরিবেশ, শিশুর জন্য,
চরম মানসিক ক্ষতির কারণ,শিশুরই জন্য।
শিশুরা স্বভাবগতভাবে সহজ-সরল বিশ্বাসপ্রবণ।
ধ্বংস করছি আমারাই শিশুদের সোনার জীবন।
চোখের সামনে তারা যা কিছু দেখে,
যা শোনে তাই সত্যই ধরে নিতে থাকে।
কোন কারণে পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রে,
শিশুদের চোখের সামনে যা কিছু ঘটছে,
ঘটে যাওয়া অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার প্রভাব থেকে,
শিশুরা কিছুতেই পারছে না মুক্ত থাকতে।
সত্য-মিথ্যা,ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ, যাচাই করা,
ছোট ছোট এই শিশুদের পক্ষে তা সম্ভব হয় না।
ফলে, শিশুরা যা দেখে তার প্রতিবিম্বে তাকায়,
অবচেতনভাবে তাদের মনের মধ্যে গেঁথে যায়।
শিশুরা কখনো যদি ভালো কোন দৃশ্য দেখে,
অথবা আনন্দজনক ঘটনা ঘটতে দেখে,
তাহলে সেটি তাদের মনের মধ্যে,
ইতিবাচক ধারণা তৈরি করে।
তেমনি তারা যদি কোন খারাপ দৃশ্য দেখে,
অথবা দুঃখজনক ঘটনা ঘটতে দেখে,
তাহলে সেটি তাদের মনের মধ্যে,
তাদের মনকে প্রভাবাণীত করে।
বড়দের অসহনশীল আচরণ,
এবং সেখান থেকে সৃষ্ট,রঞ্জণ,
নেতিবাচক ঘটনা শিশু মনে বিরূপ প্রভাবে ফেলে,
ফলে শিশুরা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত তিলে তিলে।
প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা,
আমাদের দুর্ভাগ্য ছাড়া অন্য আর কিছুনা।
শিশু মনে,কী,কেমনে, কী প্রভাব বিস্তার করে তা,
শনাক্ত করতে পারি না, করার চেষ্টাও করি না।
এসব নিয়ে আমাদের তেমন কোন ভাবনা নেই,
কার্যকর গবেষণার সময় কোথাও কারো নেই।
কী পরিবার,কী স্কুলে কোথাও শিশুদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার,
ভালো লাগার-মন্দ লাগার কোন গুরুত্ব দেয়াই না তার।
অবহেলা অনাদরের মধ্য দিয়েই এভাবে এরা বড় হচ্ছে,
অন্যের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে।
============================================

~~অন্যরকম ভালোবাসার বন্ধন~~

 

আমার জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গী হয়ে জড়িয়ে আছিস 
সেই কত কাল হয়ে গেছে
এখন আর ঠিক মনেও করতে পারি না;
কি যে এক অন্যরকম ভালোবাসার বন্ধনে
জড়িয়ে রেখেছিস এতকাল ধরে
যার কোনো নাম হয় না।
একে একে সবাই ছেড়ে চলে যায়
তবুও তুই কখনোই ছাড়িস নি আমায়।

তোর স্পর্শ ছাড়া নিদ্রাহীনতা
তোকে বুকে না জড়িয়ে ঘুমুতে পারি না
সারাটা রাত থাকিস আমার বুকের সাথে লেপ্টে
কখনো ঘুমের ঘোরে যদি পাশ ঘুরে যাই
পেছনে ঠিকই তোর স্পর্শ পাই
অনুভবে, ঘুমের ঘোরে।

ভালোবাসার এত গভীর অনুভূতি
আর কার মাঝে আছে - তুই ছাড়া?
এও তো এক প্রকার ভালোবাসাই তাই না?
সেই কতকাল ধরে দুজনে দুজনে জড়িয়ে থাকা
রাতের বেলা
বড্ড ভালোবাসিরে তোরে
ও আমার ভালোবাসার “কোলবালিশটা”।
===========================================

~~অভাব যাকে দমাতে পারেনি অবেলায়~~


 
পড়ালেখার খরচ চালাতে চালায় রিকশা,
জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে চালাচ্ছে লেখাপড়া।
এখন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র,
আছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্য্।য়নরত।
বাড়ি রাজশাহীর পুঠিয়ার পল্লী কৃঞ্চবাঢী গ্রামে,
বাবা দিনমজুর, চলেন দু’হাতের শ্রমে।
সংসার চালাতেই হিমশিম খান,
তবুও ছেলের আগ্রহের দিকে তাকান।
দাখিল পর্যন্ত চালিয়ে গেছেন বাবা আফছার আলী,
মনির চান আরো অনেক দূরে যেতে কিন্তু হাত খালি।
বাবা নিরুপায় দেখে মনির রিকশায় পা ফালায়,
ক্লাস শেষে জামাকাপড় বদলে রিকশা চালায়।
এভাবে ফিরে আসে প্রতিদিন সন্ধ্যায়,
নিজেই চালায় লেখাপড়ার খরচ জোগায়।
বাড়িতেও তার থেকে কিছু দিয়ে যায়,
চোখের পানিতে বাবা বুক ভাসায়।
মফস্বলে রিকশা চালিয়ে খুব একটা হয় না তাই,
ছুটির দিনগুলোতে ট্রেনে চড়ে ঢাকায় গিয়ে চালায়।
এক রাত এক দিন সে ঢাকায় রিকশা চালায়,
হাজার খানেক টাকা নিয়ে ফিরে, বাড়ি যায়।
এত খাটুনি তার শরীরে আর সয় না,
লেখাপড়ার ক্ষতি হলেও অন্য উপায় পায় না।
দুই বছর পর অনিয়মিত ছাত্র হিসেবে ফাজিল পরীক্ষা দিয়ে,
ভর্তি হয় নাটোরের নবাব সিরাজউদ্দৌলা কলেজে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে।
ভর্তি ফরম সে বছর টাকার অভাবে কিনতে পারে না,
ছিল স্বপ্ন পড়ালেখা করবে বিশ্ববিদ্যালয়ে,পূরণ হলো না।
এভাবেই কেটে গেল মনিরের চারটি বছর,
তবে ফিকে হয়ে যায় নি তার স্বপ্নের ফসর।
এ বছর সে মাস্টার্সে ভর্তি হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে,
পড়ালেখা শুরু করেছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে।
মনির বার বার স্বপ্ন দেখেন,
মাস্টার্স শেষ করে বিসিএস দেবেন।
জীবন নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই তাঁর,
দুঃখ কেবল একটাই শুধু অভাব টাকার।
ছোট বোন দুটোকে টাকার অভাবে,
লেখাপড়া পারে নি মনির করাতে।
বন্ধুবান্ধব-শিক্ষক কেউ জানে না তাদের মধ্যেই ঘুরে বেড়ায়,
লড়াকু এক তরুণ, অভাব যাকে দমাতে পারেনি অবেলায়।।
===============================================

~~অন্যরকম ইতিহাস~~

 
একবারী নবনীতা দেবসেন,
তার এক ইংরেজি প্রবন্ধে বলেন,
যখন নারী লেখে, সাহিত্যকর্ম করে,
স্বামী অবাক হয়ে বলেন,
ডযধঃ রং ইযব ইঢ়ঃড়।
আর তার ছেলেমেয়েরা,সন্তান বলেন-
গু সঁস রং হড়ঃ ষরশব ড়ঃযবৎ সঁস,
তারপরও নারী সাহিত্য করছেন।
নোবেল পাচ্ছেন,
এটাই আশার কথা।
আবার কোনো কোনো স্বামী,
স্ত্রীকে নিয়ে গর্বও করেন,তাও সত্য।
তাহলে কি বলবো নারী সংগ্রামের দীর্ঘ ট্যানেলে,
কিছু আশার আলো দেখা যাচ্ছে।
কিন্তু তবু নারীর সাহিত্য আজো কি-
দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষের সাহিত্য নয়?
সেই কারণে কেউ খুব ভালো লিখলে বলা হয়,
বেশ লেখেন তিনি,
একেবারে পুরুষের মতো লেখেনি।
নারী তার সংবেদনশীলতায় ও স্পর্শকারতায়-
অনেক বেশি দেখতে পান,
অনেক গভীরে যাওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
নারীর এই পারসেপশন,
অনেক সময় পুরুষ লেখকদের থাকে না।
নারীর এই বিশেষ ক্ষমতা নিয়েই,
সন্তুষ্ট থাকে তাই।
তাকে যে পুরুষের মতোই হয়ে উঠতে হবে<
পেশল,বলবান তার কি খুব প্রয়োজন আছে?
লেখার প্রধান কথা ম্যাচুরিটি।
সেটা থাকলে এরপর তার লেখা পেশল হলো কিনা-
সে নিয়ে ভাবার তেমন প্রয়োজন,
আছে বলে মনে করা নি:প্রয়োজন।
নোবেলের দীর্ঘ ইতিহাসে এগারো জন নারী,
নোবেল পুরস্কার পেরেছেন মাত্র,
এতোদিনে আরো বেশি নারী কি-
নোবেল পেতে পারতেন না?
যদি না তাকে নারী লেখক হিসেবে,
মূল্যায়ন না করা হতো বিশেষভাবে।
নারীর ভাগ্য এসবের থেকে,
এমন ভাবতে পারি না থাকবে।
তাকে এগোতে হবে,
অবদমনের দীর্ঘ রাস্তা ভেঙে।
ভার্জিনিয়া উলফর এ রুম অব ওয়ান্স ওন গ্রন্থে,
নারীর পথ ভাঙার কথা আছে তার লিখনি তন্ত্রে।
তিনি অবশ্যই একজন শক্তিশালী নারী লেখক ছিলেন,
যাঁকে এখনো সকলে শ্রদ্ধার সঙে শ্বরণ করছেন।
আমার ইচ্ছে ছিলো লিখব আরো কিছু,
কিন্তু ইন বক্সের আঘাতে নিতে হলো পিছু।।
লেখায় আঘাত পেলে কেউ কিছুতে,
ক্ষমা চাই এ লেখার শেষটাতে।।
================================================
~~ভালোবাসার ন্যায্যমূল্য~~
 

তোর কথা ভাবলেই 
থমকে যায় সময়
দম বন্ধ ঘড়ির কাঁটা
আমারই মত থাকে থমকে।

তোর কথা ভাবলেই থমকে যায় যেন যৌবন
দেহে ভর করে নপুংসকের স্বত্বা
কামনার অভিলাষ জাগে না এখন আর মনে
তুই ছাড়া তুই বিনে
মনের সাথে সাথে দেহটাও আজ গিয়েছে মরে।

যৌবনের যত আয়োজন
সব ছিলি তুই, তোরই কারণ
আমিতো নিমিত্ত মাত্র, রমণের প্রয়োজনে
উন্মত্ত ভালোবাসায় রতিক্রিয়া
দেহের মাঝে নিত্য নতুন দেহের আবিষ্কার
মনের ভেতর অসীম ভালোবাসায়
দুজনে দুজনার;
সে দিনগুলো কি কভু ভোলা যায়?

কি জানি হয়তো ন্যায্যমূল্য দিতে পারি নি আমি
তোর ভালোবাসার কিংবা কামনার
ডাক উঠিয়েছিলি যখন স্বয়ম্বরা সভাতে
বিকোতে নিজেকে
ভালোবাসা ছাড়া বুঝিনি তখন
টাকারও যে মূল্য আছে কিংবা খ্যাতির
প্রেমের খেলাতে।

অনেক মূল্য দিয়ে তোকে যে কিনে নিয়েছে
টাকায় কিংবা খ্যাতিতে তার কাছ আমি তুচ্ছ,
আজো জানা হলো না টাকায় বিকোলি
নাকি খ্যাতিমানের ধুতি পাকড়ালি;
সাবধানে থাকিস রে তুই, দেখিস আবার......
টাকার নিচে চাপা পড়ে দম বন্ধ না হয়ে যায়
জাগতিক সুখ যেন অসুখে পরিণত না হয়
খ্যাতির বিড়ম্বনায়।

কেন জানি বড্ড ভয় হয় ইদানীং তোকে নিয়ে
যখনি তোর কথা মনে পড়ে
থমকে থাকে সময়
বন্ধ ঘড়ির কাঁটাটার মতন।
=================================================
~~অসমাপ্ত ভালবাসা~~

আকাশঃ এটাই স্বাভাবিক।
রুপাঃ বিশ্বাস ঘাতকতার কারনে ও আমাকে খুন করতে পারতো, আমাকে নষ্ট করে ও প্রতিশোধ নিতে পারত কিন্তু এসবের কোনটিও করে নি।
আকাশঃ তিনি কোথায় আছেন ?
রুপাঃ তানিমকে হয়তবা আমরা কেউ তাকে চিনি না বা জানি না
অবশ্য চেনার কথাও না
কারন, সে তো আর কোন বিখ্যাত কেউ না, যে তার নাম ছাপা হবে পত্রিকার পাতায়..
বা তাকে নিয়ে মিউজিক ভিডিও বানাবে কোন স্যাটেলাইট চ্যানেল।
সে যদি নজরূল হতো তাহলে হয়তো তাকে জানা যেত, বড় জোড় শাহরুখ খান হলেও ছবি দেখা যেত ভিডিও এর মাধ্যমে।
কিন্তু সে এসবের কিছুই নয়, সে একজন মানুষ, ক্ষত বিক্ষত একজন মানুষ।
রাত গভীর হলে যার নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসে।
মাঝে মাঝে কার কার কথা ভেবে মাথা “ আউলা ঝাউলা ” করে ফেলে।
কিছু দিন আগে বাংলাদেশের কোন এক জেলা শহেও তার সাথে আমার পরিচয়…………
নেশার মাঝেও বেশ হাসি খুশী এক যুবক। বাইরে থেকে বোঝাই যায় না যন্ত্রনার কত সাগর তার একটা বুকে ঝড় তুলে চলছে।
যতদুর মনে পড়ে সেদিন ছিল ১৪ই ফেব্রুয়ারী রোজ বৃহঃবার। আমি আর সে বসেছিলাম পাশাপাশি।
প্রশ্ন করেছিলাম………জীবনে কি কোন শরবসী নামক মানবী এসেছিল…………?
উত্তরে সে হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়িয়ে ছিল।
বলেছিলাম কোথায়……? এই শহরে থাকে কি…?
উত্তরে না সূচক বলেছিল সে, পরিশেষে বলেছিল, সে আমার অন্তর।
মনের ভেতর ধাক্কা লাগল……….
আমি অপলক চোখে তাকিয়ে থাকি তার দিকে, এর বেশি কিছু করার ছিল না আমার..!!!
তারপর চলে গেছে অনেক দিন, তানিমকে আর কোন দিন দীর্ঘশ্বাস ছাড়তে দেখিনি। হয়তো তার ভেতর কোন বাতাসই নেই…………শুধুই প্রস্তর খন্ড।
এখনো বৃষ্টি দেখি জোৎন্সা দেখি হয়তো ক্ষণিক পরে ভুলে যাই।
কিন্তু আপনিই বলুন একটি শব্দ কেন আমার ভোলা হলোনি “আমি যাকে ভালোবাসি সে এখন কোথায়”..???
ও হ্যাঁ সে কথাই বা কি করে বলি, মনের কথা তো বলা যায় না, বুঝে নিতে হয়, আর চোখ দেখে নিতে হয় চোখ কি বলে।
“ছোট এ জীবনের মাঝ কোঠায়
হারিয়ে ফেলিছি সব স্বপ্ন গুলো
যা ছিলো মনের অব্যক্ত বাসনায়”
নীল আকাশ কালো হয়ে গেছে, অবিশ্রান্ত বৃষ্টি আর বিকেলের এক ঝলোক রোদ যেন প্রকৃতির কোল জুড়ে বিষন্নতা। প্রকৃতির এমন বেদনা যেন ভাষাহীন অন্ধকারে বৃষ্টিপাত ছাড়া আর কিছুই নয়।
মানুষ মাত্রই স্বপ্ন দ্যাখে। ঘুমের গভীর আবেশে দৃশ্যমান প্রতিটি স্বপ্নই মানুষকে করে তুলে উৎফুল্ল, শিহরিত এবং কোন না কোন সময় বেদনাহত। অথচ এসব দৃশ্যমান প্রতিটি স্বপ্নেই রয়েছে কোন না কোন অজানা কথা……….যা হৃদয়কে প্রলম্ভিত করে তোলে। মনে জেগেছে অনেক কিছু কিন্তু সময়ের নির্মমতায় কিছুই হয়ে ওঠেনি।
আবেগ বড় মনের জ্বালা
চোখে-মুখে, ধূলি-কাদা,
আসল পাগল যায় না বোঝা
অন্ধ যেমন পায় না দিশা।
শব্দহীন কান্না ঝড়ে
চোখের জল মাটিতে পড়ে,
গ্রীষ্ম রোদে গায়ে কাথাঁ
থাকবে না কোন মনের ব্যাথা
বদ্ধ পাগল আমরা যারা।
ভালবেসে ডাকলে কেউ
শুনব কেন তা–?
মন ভেঙে অবশেষে
ঘুরবে তারা বীরের বেশে।
আমিন হাসে তানিম হাসে
হাসে কণা হাসে বীনা,
সেলি, শাহনাজ, মুন্নী, পরাগ
হাসছে না কেন আজ ?
জীবন মানে দুঃখ কষ্ট
জোয়ার ভাটা নদীর মতো
একূল ভেঙে ওকূল গড়ে
অধিক আবেগে জীবন মরে।
ছন্দ তুলে ছুটছে জীবন
জ্ঞানের আলো মিলছে যখন,
বিশ্বাস আর মনের দ্বন্ধ
থাকবে না যখন, দেখবে আলো।
=================================================


No comments:

Post a Comment