Monday 5 August 2013


~~নিরানন্দে অন্তরঙ্গ সঙ্গী~~

অন্তরঙ্গ সঙ্গী হয়ে এসেছিলে নিরানন্দের মাঝে ।
আাত্নসুখে নিহীত হইয়া করনা নিরুদ্ধ নিঃশ্বাসে।
সম্যক পরিচয়ে নিস্পাদন করেছি তোমাকে পরিণেয়।
পরিভ্রষ্ট হইয়না পরিভূক্ত আমার তুমি হৃদয়ের স্পরশমনি ।
তোমার পরশে পরযাকুলের মাঝে ঝলে কন্যা পশরা।
প্রতীয়মান তটিনী প্রতীর তুমিই আমার প্রত্যয়ী।
শুভাশুভ দিন গণনা করিয়া পরাব তোমায় পাকিমালা গলে।
পাছুড়ী ছারিবনা যদিও অনভিপ্রেত কিছু ঘটে এই ভয়ে।
তোমাকে করেছি অঙ্গাঙ্গী, অন্তরিত অনৌদারয হয়ে
অধঃক্ষেপন করনা কলোচ্ছলিত মনে।
তুমিতো নহ পাত্যমান, আদ্যাশক্তি মোর মনে নাহিক পাত্যাবা।
পুরাঙ্গনা তুমি বান্ধব আমার বানারসি পরে সাজিবে বাহার
দীপিত দিয়মান হয়ে এসে কৃতারথ জীবন আজি পূরন করিলে।
অন্তরঙ্গ সঙ্গী হয়ে প্রোজ্জলক করে জীবনে স্পরশ করে লালসার উদীপ্ত বিশ্বাস।
================================================
~~অতঃপর, সে আমার~~

 
অতঃপর, আমি তোমার;
স্বাধীনতা আমার অপার। 
পাওয়া না পাওয়ার আশা,
হোক না সে দূরাশা।
যে আসে, যে চলে যায়;
ফিরে আসারই প্রত্যাশায়!
শেষ হবে তার চলার পথ,
বদলাবে তার খেয়ালি মত।
কাছে এসে ধরা দিয়ে,
বলবে সে , "চলো আমায় নিয়ে"।
একা একা চলবা না আর,
অতঃপর, সে আমার।
============================================

~~সুখে থেকো নন্দিনী~~
 

জীবন সমুদ্রে ভাসমান বেঁচে আছি,কূল কিনারা বিহীন
বেঁচে'তো আছি! তাই বলে ভেবোনা তুমি ভুলে গেছি,
মনের মানুষকে ভুলে থাকা বড় কষ্টের নন্দিনী!
কি করে ভুলে যাই বলো তুমি? আমি আজো ভুলিনি
ভুলতে পারিনি-তুমি আছো হৃদয়ের অষ্টপ্রহরে অহর্নিশ!
তুমি আছো আমার প্রতিটা নিঃশ্বসে-আত্মবিশ্বাসে,
আমি আজো নিঃশব্দে নিরন্তর ভালবাসি তোমাকে ।

তুমিই বলো ভালবাসার মানুষকে কি কখনো ভুলা যায়?
মনের মানুষতো বেঁচে থাকে তার প্রাণবন্ত স্মৃতির আঙ্গিনায়,
সেখানে তুমি আছো গভীর মাঁয়ায়, আমার সুর দরিয়ায়!
বিষাদের নীলিমায় সূর্যাস্তের মতো আমিও ডুবেছি বহুবার,
অমাবস্যার গাঢ় আঁধারে ছুঁয়েছে আমার ভাগ্য দুয়ার!
তবুও আমি স্বার্থপর হতে পারিনি, যেমনটি তুমি........
আমি ভুলতে পারিনি আমার অস্থিত্ব,ভুলিনি তোমায় নন্দিনী ।

নন্দিনী আজ কতোদিন তোমায় দেখিনা যে, কেমন আছো
বড় জানতে ইচ্ছে হয় ? জানি তুমি সুখেই আছো !
আমিও চাই প্রতিনিয়ত তুমি সুখে থাকো,সুখ জোয়ারে ভাসো,
যে সুখের আশায় তুমি বাল্য বন্ধন ছিন্ন করেছো
একনিমিষে মুছে দিয়েছো সমস্ত অতীত,অবহেলায় অনাদরে!
ছোট্ট এ জীবনে চাওয়া পাওয়া বলে এখন আর কিছু নেই
কি হবে সে হিসেব কষে? তুমি তো গেছো চলে............।

নন্দিনী-ভুলেও কখনো জানতে চেওনা আমি কেমন আছি ?
আমি জানি আমাকে শুধাবার সেই সময় তোমার হাতে নেই !
পারো যদি মুছে দিও আমার জারাজীণর্ জীবনের অতীতটুকু,
আমি আমার ভুলগুলো শুধরে নেবো, ভুলের মাশুলে !
বিদায় লগনে সমাধীর তরে ক্ষমা করে দিও বন্ধু আমায় !
ইতি তোমার প্রেম পূজারী পাগল ছেলে,যে ছেলেটি প্রতিনিয়ত
পাগলের মতো ভালোবাসতো তোমাকে--সুখে থেকো নন্দিনী ।
===============================================
~~ছন্দ~~

চলার পথে ছন্দ লাগে
বলার জন্যেও ছন্দ,
ছন্দের জন্যে মিষ্টি গোলাফ
ছডায় মধুর গন্দ।
ছন্দ শুনে ক্লান্ত রাখাল
বাঁশি বাজায় মন্দ,
ছন্দে কবিতা লিখে কবি
পায় আনন্দ।
ছন্দের জন্যে পাগল সবাই
ছন্দ যদি হয় বন্দ,
প্রতিবাদ করবো আমি
লিখে প্রবন্দ।
=============================================
~~কবিতা~~


কার যেন ভালবাসার মন্ত্রণা,
হৃদয়ে জাগালো পাওয়ার বাসনা।
কার যেন দুটো মিষ্টি কথা,
বাড়িয়ে দিল ব্যাকুলতা।
কার যেন কিঙ্কিণী হাসি,
ফোটালো আশার ফুল – রাশি রাশি!
কার যেন লজ্জা পাওয়া,
ভুলিয়ে দিল নাওয়া খাওয়া!
===========================================

~~দেশবাসীর প্রত্যাশা~~

 
আমাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি,
মূল্যস্ফীতি,রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা,
এই তিন শংকার মধ্য দিয়ে শুরু হলো নতুন বছরটা।
কয়েক দফায় জ্বালানি, বিদ্যুত্ আর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে,
বার সালে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে,
দাঁড়িয়েছিল ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশে,
দ্রব্যমূল্য গড়ে বেড়েছিল প্রায় তের শতাংশে।
নতুন বছরে আবার যদি-
বিদ্যুত্ আর জ্বালানি মূল্য বাড়ায় সরকার-
ষোল কোটি মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির বিবেচনা দরকার।
বর্তমান সরকারের এটাই শেষ বছর,
আশংকা করা হচ্ছে এ বছরে,
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বাড়বে।
ক্ষমতাসীন বিরোধীদল উভয়ের নতুন চ্যালেঞ্জের বছর,
দেশের রাজনীতির জন্য অনিশ্চয়তার বছর।
পরিস্থিতি মোকাবিলা, সরকারের জন্য বছরটি একটি চ্যালেঞ্জ;
একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে,
বিরোধীদলের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় শামিল করার মতো,
দুরূহ কাজটি সম্পন্ন করাও মহাজোটের,
অন্যতম আরেকটি চ্যালেঞ্জ হবে এ বছরের।
রাজনীতির দুই বিবদমান পক্ষ অচিরেই,
একটি অর্থবহ সংলাপ অনুষ্ঠানের লক্ষেই,
আন্তরিক হয়ে উঠবে, দেশবাসীর প্রত্যাশা।
============================================

 ~~মানুষ খুন করি~~


একি আমার সার্বৌভোমত্ব?
একি আমার মানচিত্র?
একি আমার দায়িত্ব?
একি আমার কৃতিত্ব?
এই মুখ আমি দেখাইবো কারে,
আমি সত্যের বিরুদ্বে ল'ডি,
অন্যায়ের জন্যে পডি,
কালো পথে ম'রি,
আমি
মানুষ খুন করি,
রাতের আধারে.
আমি টাকার লোভে মত্ব,
মানি যে কোনো শর্ত
আমি মানুষ হয়ে মানুষ খুন করি,
একি আমার মনুষত্ব?
===========================================

ভালোবাসি তোরে এ কথাটি 
আজকেই বলে ফেল দেখি
বাঁচা মরা ওপরওয়ালার হাতে 
কালকের ভরসা কি
দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগে বলা হয় না 
মনের কথা প্রিয়জনে
হারিয়ে গেলে ভালোবাসা
হা হুতাশ রয়ে যায় নিজ মনে |
========================================

যদি কিছুটা গভীর জলাশয় হতাম,
তবে বড় ভাল হতো,
রমণী আমার শরীরে মিশে,
উলঙ্গ হতো কেউ দেখতোনা,
শুধু আমি দেখতাম,
রমণী আমার ভিতর ডুব দিতো,
তার আপদ মস্তক যেতো ভিজে,
আমি তার কানে কানে বলতাম,
আয় তোকে আলিঙ্গন করি চারিদিক থেকে,
তুই ডুবে যা মিশে যা আমার দেহে,
আমি ডুবে যাই মিশে যাই তোর দেহে॥
============================================

~~বিধাতার বিধান~~ 
 


কি যে এলো এক দিনকাল 
টাকার মূল্যে ভালোবাসা নাকি বিকোয় আজকাল
নর কিংবা নারী
প্রেমের ক্ষেত্রে দেখে অপর পক্ষের পকেট কতটা ভারী
হায় কি যে পড়েছে এক দিনকাল
প্রেমের মূল্য ধার্য হয় কাগজের টাকাতে আজকাল
অমর প্রেম পড়েছি যত না কাব্য কথায়
সেসব প্রেমের অনুভবগুলো কোথা গেল আজ হায়!

কি যে হলো আজকের দিনকাল
প্রেমের মূল্যে নাকি দেহ বিকোয় আজকাল
নর কিংবা নারী
পিছিয়ে নেই কেও কাওকে ছাড়ি
বিয়ের আগেই শারীরিক ভালোবাসাবাসি
যেন একে অপরকে ভাল করে পরখ করি
প্রেমের মূল্যের যোগ্যতা আজকাল রমণে
একটু এদিক ওদিক তো দুজনে দুদিক
পুরনো প্রেমের কথা কে রাখে আজ স্মরণে?

ভাবি না আজকাল একবার হায়
সুখ কেনা যায় না কাগজের টাকায়
করি না পরকালের একবার ভয়
দেহ সুখ পেলেই আজকাল যেন হয়
টাকার মূল্যে আজ ভালোবাসা বিকোয়
রমণের সুখে যেন প্রেম গভীর হয়
কি দেখি চারিদিকে আজকাল
হায় কি যে এলো এ যুগের দিনকাল।

টাকারে দেবতা মেনে যে প্রেমের শুভ সূচনা
এ দেবতা বড়ই আনচান কখনো ভাবি না
আজকে পকেট ভারী তো কালকে খালি
আজকের রাজা সে কালকের প্রজা
ওপর ওয়ালার খেলা বোঝা দায়
বোকা নার নারী বোঝে না কি হায়!

শারীরিক ভালোবাসাবাসির সমাপ্তি হবে একদিন
সত্যিকারের প্রেম রয়ে যাবে হৃদয়ে চিরদিন
দেহ বুড়িয়ে যাবে কালের স্রোতে
শুধুই মনটা রয়ে যাবে হৃদয়ে গেঁথে
প্রাণ পাখি উড়ে যাবে, দেহ পড়ে রবে শূন্য মাকান
বোঝে না বোকা নর নারী, এটাই বিধাতার বিধান।
=============================================

~~মোমের মতো মন~~


আমার মন
মোমের মতোন,
কখনো পাই অবহেলা
কখনো যতন,
আগুনে পুডে হয় পতন।
আমার মন আগুনের মাঝে জ্বলে,
সাদা মোমের মতো গলে,
পাখির মতো উডে যাই তাপের ফলে।
মোমের মতো আমার মনের রং,
সহযেই তাতে ধরেনা জং,
সব কাজে এতো করিনা ডং।
আমার মন কঠিন কখনো তরল,
কখনো বাষ্প কখনো সরল।
আগুনে পুডি আমি
বাতাসে নিভে যাই,
আলো দিয়ে সবাইকে সাহায্যের হাত বাডাই।

আমার মন,
মোমের মতোন।
===========================================

~~সুন্দর একটি আগামী~~


 
যা অর্জন! করতে লেগেছে দীর্ঘ নয়টি মাস,
বিসর্জন দিতে হয়েছে ত্রিশ লক্ষ তাজা প্রাণ,
বহু মা-বোনের ইজ্জত।
হাঁটি হাঁটি পা পা করে
স্বাধীনতার একচল্লিশ বছরে পদার্পণ করেছে দেশ।

দীর্ঘ এ সময়ে দেশটির ঝুলিতে,
রয়েছে অনেক অর্জন, অনেক হারানোর বেদনা,
রয়েছে প্রত্যাশা পূরণের হাতছানি।
রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি
সব ক্ষেত্রেই দেশটি এগোচ্ছে সম্মুখপানে।

পক্ষান্তরে নিয়মিত ঘটছে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা,
একের পর এক জন্ম নিচ্ছে বিতর্কিত বিষয়।
এক্ষেত্রে দায়ী কারণের মধ্যে,
অন্যতম রাজনৈতিক পরিস্থিতির অস্থিতিশীলতা।

রাজনীতি এখন রূপ নিয়েছে 'দলীয় নীতিতে',
তা প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের আমলেই বিদ্যমান।
তবে কিছু রাজনীতিবিদ আছেন,
যারা তাদের আদর্শের জায়গাতে অবিচল,
তবে তাদের সংখ্যা নেহাতই কম।
এরূপ বিরূপ পরিস্থিতি ও প্রতিকূল অবস্থার মাঝেও,
আশা জাগায় বাংলা মায়ের কৃতী সন্তানদের সাফল্য।

যখন নোবেল অর্জন করে,
বিশ্বের কাছে আমাদের দেশকে পরিচয় করিয়ে,
দেশের মুখ উজ্জ্বল করে।
যখন ক্রিকেট বিশ্বে একের পর এক সাফল্যে,
মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়।
এভারেস্টের সর্বোচ্চ শিখরে,
আমার দেশের পতাকা পতপত করে উড়ে,
বিশ্ববাসীকে জানান দেয় আমরা বীরের জাতি।

জয়ের নেশায় উন্মত্ত আমাদের মন আর আমরা,
এক সময় বিশ্ব জয় করবোই।
এ সাফল্য আর বীরত্ব আমাদের অতীত ইতিহাসকে,
মনে করিয়ে দেয়।
মনে করিয়ে দেয়,
বায়ান্ন বাষট্টি উনসত্তর একাত্তর আন্দোলনে,সংগ্রামে,
দেশের মানুষের সম্মিলিত প্রয়াসে,
জয়ী হবার কথা।
এ অতীত বিজয়কে অনুপ্রেরণা হিসেবে পুঁজি করে,
বর্তমান কৃতিত্বের উপর ভর করে,
ভবিষ্যত্ সফলতা অর্জনই হবে আমাদের কাজ।

সব বিভেদ ভুলে জাতিয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে,
সমাজকে কলুষিত, পাপ, পঙ্কিলতার কালিমামুক্ত,
এক পরিচ্ছিন্ন সমাজে পরিণত করতে হবে।
যে সমাজে একের পর এক জন্ম নেবে,
সত্, যোগ্য ও আদর্শ নেতৃত্ব।
যে নেতৃত্ব হবে জনগণের,
সাধারণ মানুষের জন্য অন্তঃপ্রাণ।
তবেই আমরা জাতি হিসেবে স্পর্শ করতে পারব
উন্নতির সর্বোচ্চ মাইলফলক,
উপহার দিতে পারব সুন্দর একটি আগামী।
=============================================

~~অদৃশ্য আত্তার অদৃশ্য গর্জন~~

 

অদৃশ্য আত্তার তীব্র আর্তনাদ,
কাঁপিয়ে তোলে আধারে ঘুমন্ত রাত,
তবু'ও রতিক্রিয়ায় ব্যস্ত পিশাচ নরকীট....
নেত্রযুগলে ওদের কেবল জৈবিক ইন্দ্রজাল,
চোখ খোলে দেখেনা আর্ত জীবন্ত কঙ্কাল,
তাই আজ উন্মাদ অদৃশ্য আত্তা
অবলোকনে সভ্যতার পাদপীঠ।

আকাশে বাতাসে এক নিরব হাহাকার,
অদৃশ্য গর্জনে মুখরিত ধরা অদৃশ্য আত্তার,
খোলেছে মুখ মৃত্যুর দ্বারে...
উগড়ে দিচ্ছে এক এক ঘৃনার বর্ষন,
উর্বর মরুতে জুড়বে চাষাবাদ করে মৃত্তিকা কর্ষন,
জীবন্ত কঙ্কাল থাকবেনা অনাহারে।

অদৃশ্য আত্তার মৃত্যুক্ষনে
ফিরে'ও থাকায়নি ঐ পশু,
ঢালেনি করুণা যবে অনাহারে কাঁদছিলো শিশু,
মুখে ছিলো তার হায়েনার উচ্ছ্বাস...
পিশাচের দেখা হয়না গোরের খাতে,
হয়তো ঢেকেছে গা মৃত্যুপুরীর ভদ্রপল্লীতে,
জুড়ে দিয়েছে আবার পিশাচের আবাস।

অদৃশ্য আত্তার অদৃশ্য গর্জন
হারিয়ে যায় শুন্যতায়,
আর্দ্র বাতাসে কাঁদে মৌনতায়,
মুক্তি পায়নি মরে গিয়ে'ও আজ...
মুক্তি দে'রে মুক্তিবর আমারে মুক্তি দে,
কতকাল আর রাখবে আমায় বেঁধে,
ঘনায়েছে যে সন্ধ্যা সাঁজ।
=========================================

~~যাযাবরের গন্তব্য~~
 

সকালের সূর্যোদয় রাঙ্গা প্রভাতে, নতুন দিনে সাজে পৃথিবী 
মনুষ্যের দল ছুটে চলে যে যার পথে কর্ম সংস্থানে 
পশু পাখির দল ছোটে খাদ্য অন্বেষণে
আমি তখন গভীর ঘুমে।

দিনের প্রহর গুলো কেটে যায় নিমিষেই যেন কেমন করে
মনুষ্য সমাজ সারাদিন কর্ম ব্যস্ততার মাঝে দিন কাটায়
গরিবের দুমুঠো ভাতের চাহিদা
মধ্যবিত্তের সংসারের লাঙ্গল টানা
আর উচ্চবিত্তের আরো টাকার পেছনে ছোঁটা
আমার আলসে দিন কাটে খুব ধীরে ধীরে
হয়তো ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিছানায় গড়িয়ে
কোনো দিন হয়তো ব্যস্ত নগরীর দিকে তাকিয়ে
আর খুব মাঝে মাঝে, নাহ ঠিক বললাম না
খুব প্রায়ঃশই দিন কাটে ভালোবাসার অনুরাগে
পথের দিকে চেয়ে, কারো ফিরে আসার প্রতীক্ষায়
যে পথ ধরে সে গিয়েছিল চলে।

পৃথিবী ঘুরতে থাকে তার অক্ষের ওপর
দিন শেষে সন্ধ্যে ঘনিয়ে আসে
রবি বিদায় নেয় পৃথিবী থেকে
মসজিদগুলো থেকে আজানের ধ্বনি ভেসে আসে
মন্দিরগুলোতে কাঁসার ঘণ্টা বাজে
পাখপাখালির দলের ঘরে ফেরার সময়
মনুষ্য সমাজের কর্ম ব্যস্ততা শেষ হয়
ঘরে ফেরার পালা তাঁদেরও
কেও পায়ে হেঁটে
কেও বাসে ঝুলে ঝুলে
আর কেওবা এসি গাড়ির কালো গ্লাসটা উঠিয়ে দিয়ে
গন্তব্যহীন আমি হেঁটে চলি অলিগলি রাস্তার পথে
কখনো রেললাইনের স্লিপার গুনে গুনে একমনে
কর্ম ব্যস্ততা আমার সয় না।

রাতের শুরুতে স্তব্ধতা নেমে আসে ধরাচর জুড়ে
সারাদিনের ক্লান্তি শেষে মানুষ চলে যায় ঘুমের দেশে
পশু পাখিগুলোও যার যার ঘরে নিদ্রায় ঢলে পড়ে
নিস্তব্ধ রাত নেমে আসে পৃথিবীর বুকে
আমার চোখে ঘুম নেই কার কথা মনে করে
কি জানি?
এখন আর ভাবালু মনে আকাশের দিকে চাই না
এখন আর ভরা জ্যোৎস্নায় নিজেকে হারাই না
শুধু চেয়ে থাকি অন্ধকারের দিকে
কি জানি কি ভেবে?

আমার সকাল কাটে গভীর ঘুমে
দুপুর কাটে হয়তো কারো পথ চেয়ে
বিকেল বেলায় আলসে অবসরে
আমি সন্ধ্যের আধো অন্ধকার দেখি নির্লিপ্ত চোখে
রাতের আকাশে তারা গুলো আর গুনতে ইচ্ছে হয় না
প্রহরগুলো কেটে যাচ্ছে ঘোরের মাঝে
মনের বিচরণ আলুথালু বেশে স্বপ্নের দেশে
আমার কাছে সবাই আপন
আবার সবাই কেমন জানি পর
গন্তব্যহীন এক জীবন বেছে নিয়েছি
কারণ আমি এক যাযাবর।

যাযাবরের কোন নির্দিষ্ট গন্তব্য থাকতে নেই
থাকতে নেই কোনো লক্ষ্য, কোনো চাহিদা
তার মনে স্থান নেই কোনো ভালোবাসার
অপেক্ষায় বসে নেই কেও তার জন্য
তাই তাড়া নেই তার কোথাও যাবার
পিছুটান নেই কোনো আপন জনার
তাই তাড়া নেই তার কোথাও ফেরার।
==========================================

~~শিখতে হবে নীতির শিক্ষা~~

 
যে দেশটা দেখে পৃথিবীর রূপ খুঁজিনি কখনো,
সেই বাংলাদেশের রূপ কি আছে আগের মতো?
সোনার বাংলাদেশ আমার কেন থমকে দাঁড়ায়?
যে দেশ দেখতে চাই তার সুন্দর চেহারায়।

স্বাধীনতার তরে যে দেশের মানুষ অস্র ধরি,
কী’ভায় মারছি এসিড বন-জঙ্গল উজাড় করি।
শরীরে বিষের ইনজেকশন দিচ্ছে দুর্নীতি করে,
সম্ভ্রম কেড়ে নিচ্ছি নারীর, নারী নির্যাতন করে।

আহা;বাংলাদেশটা আমি এমন দেখতে চাই-
যেখানে জাতিগত ভেদাভেদ কোথাও নাই।
আমরা যেন ভাই ভাই এক কাতারে সবাই,
এক গগণের তারার মতো জ্বলসে উঠতে চাই।

যেখানে ভাঙ্গা হবে না কোন বৌদ্ধ মন্দির,তথায়,
আগুন লাগানো হবে না আর গার্মেন্টস কারখানায়।
লিমনের মতো কেউ পাবে না আর পা হারানোর ভয়,
দেশের মেয়েদের থাকবে না আর ইভটিজিং-এর ভয়।

এমন একটি বাংলাদেশ দেখতে সচেতন হতে হবে,
আমাদের আরেকটু আত্মসমালোচক হতেই হবে।
প্রতিটা ব্যক্তিকে প্রতিটা কাজে এগিয়ে আসতে হবে,
শিখতে হবে নীতির শিক্ষা আদর্শ বিদ্যা থেকে।

আমরা একটু বাস্তব জীবনে এই শিক্ষাই নিলে,
তাহলেই সম্ভব এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে।
==========================================

~~তোর কাছে লেখা খোলা চিঠি~~

 

কতদিন হয়ে গেছে তোর কাছে চিঠি লিখি না
ভুলেই গেছি দিনক্ষণ এখন আর মনেই থাকে না 
তবুও তোর কথা অনেক বেশি করে মনে পড়ে ইদানীং
আসলে কেমন যেন মনের মধ্যে একটা ভাপ ওঠে প্রতিদিন
তোর কথা মনে হলেই কেন যেন ভিজে ওঠে চোখ লবণ জলে
আসলে কান্নাগুলো গুমরে মরে মনের ভেতর, অশ্রু আসে চোখের পাতায়
নিজেও বুঝি না ঠিক কান্নার স্বরূপ, কেন যে এত চোখ মোছায়
সুখের স্মৃতিগুলো মনে হলে মনে মনে উদাস লাগে, চোখ ভিজে ওঠে জলে
অভিমান, অপমান আর দুঃখ কষ্টগুলোর কথা মনে করতে চাই না
তবুও আপনা থেকেই ভেসে ওঠে মনের চিলেকোঠায়
দেখ, তখনো কিন্তু মনের অনুভূতিগুলোকে বাঁধ দেয়া যায় না
আপনা আপনি চোখ বেয়ে নামে লবণ জল, আমায় যেন ভাসিয়ে দিতে।

তোকে দেখি না সেই কতকাল হয়ে গেছে, চিঠিও দেয়া হয়নি অনেকদিন
তবুও কিন্তু আমার মনের অনেক গভীরে রয়ে গেছে তোর অনুভব
সেই সব পুরনো দিনের কথা মনে হলে আজো নস্টালজিয়ায় ছেয়ে যায় মন
সেই সব সুখ দুঃখ আনন্দ বেদনার কথাগুলো মনে হয় রোজ
তোর চুপ করে বসে থাকা আমার সামনে মুখোমুখি
প্রশ্নবোধক চিহ্ন নিয়ে তাকিয়ে থাকতাম তোর দিকে ভ্রু কুঁচকে
না বলা কথায় তোর মনের ভাব জানতে
কিছুই বুঝতে দিতি না তুই, শুধু কেমন এক চোখ করে তাকিয়ে থাকতি
পলক না ফেলে, কিছু জিজ্ঞাসা করলেই বলে উঠতি তুই তোর কাজ কর
আমি তোকে দেখি।
যখনি জিজ্ঞাসা করতাম নতুন করে কত আর দেখবি?
তুই হেসে উত্তর দিতে তুই বুঝবি নারে গাধা
আমিও মুচকি হেসে উত্তর দিতেম ঠিক আছে রে গারু;
আসলেও আমি বুঝি নি তোর ভেতরের ভালোবাসা
কতটুকু ছিল রে তোর মনে? আজো জানা হলো না
নাকি তুই জানতে দিলি না, তাও ঠিক বুঝি না
শুধু না বলা কথায় চেয়ে থাকা ভালোলাগা কিংবা ভালোবাসার চোখে
তবু মাঝে মাঝে সেখানেও কেন দেখতাম লবণ জল ভেসে ওঠে।

আজ আমরা দুজন দুই ভুবনের বাসিন্দা
তোর আর আমার আর কোনদিন দেখা হবে নাকি জানি না
তবে সেদিন চেয়ে থাকার বদলে যদি আমার বুকে হাত দিয়ে দেখতি একবার
কিংবা হৃদয় স্পর্শ করার চেষ্টা করতি, তবে বুঝতি ভালোবাসা কাকে বলে
তাইতো এখনো তোর কথা মনে হলে চোখ দুটি ভরে যায় লবণ জলে।

বছর ঘুরে নতুন বছর শুরু হয়ে গেছে
তোকে শুভেচ্ছা জানানো হয় নি অন্যান্য বারের মতন
তবে আমার ঠিক মনে আছে তোর কথা
যদিও অনেক আশা ছিল মনের কোণে একটি এস এম এস
কিংবা তোর লেখা একটি চিঠি পাব নতুন বছরে নতুন করে
হায় কেন ভুলে যাই বার বার যে তুই হারিয়ে গেছিস কোনো এক
অজানার দেশে, আমায় একাকী ফেলে।

আজ অনেক দিন পর তোকে চিঠি লিখলাম
হয়তো কিছু গদ্যে হয়তো কিছু পদ্যে
পোষ্ট করে দিলাম তোর না জানা ঠিকানায়
তুই যাবার আগে তো আমাকে ঠিকানা দিয়ে যাসনিরে
তাই খোলা চিঠি উড়িয়ে দিলাম আকাশের গায়ে বাতাসে ভাসিয়ে
শীতের কুয়াশায় যদি ভিজে যাস কখনো বারান্দার কোনায় বসে
তবে ঠিক বুঝে নেব, ঠিকানা-বিহীন চিঠি পৌঁছে গেছে অজানার দেশে
যদি চাঁদনি রাতে জ্যোৎস্না আলো এসে পড়ে তোর বিছানার কোল ঘেঁসে
ঠিক বুঝে নিস আমি অনেক ভালোবাসায় চুমু দিয়ে গেলাম তোর চোখে এসে।
==================================================

~~অবাক পৃথিবী~~
 

শেষ বিকেলের গোধূলীর শেষ রক্তিম আলোটুকু ক্রমশ
তড়িগড়ি ছুটে চলছে সন্ধ্যা তারার অপরাহ্ন আহ্ববানে!
সাঁঝের প্রদীপটা প্রজ্জ্বলন দীপ্ত কিরণে উর্বশীর্,
ক্লান্তমুখর পাখিদের দলবেঁধে প্রত্যার্বতন অভিমুখিا
হতভাগার পদচারন ভীরুপ্রায়,কোথায় আমার গন্তব্য?
চিরচেনা পৃথিবীটা যেন আজ বড়'ই বীভৎস অচেনা!

মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় হারিয়ে যাই,হারিয়ে যাই অন্য
কোন গ্রহে-অন্য কোন এক মায়াবী বসুধার ছাঁয়াতলে,
যেখানে মানুষের বিবেক থাকবে সচ্ছ,মনুষ্যত্ব থাকবে পূণর্!
ভালবাসা থাকবে অকপট,হিংসা বিদ্বেষ থাকবে মৃত,
সেখানে থাকবেনা মানব নামের দানবের হিংস্র থাবা,
পথ ঘাট লোকালয় থাকব অকুতোভয়,ভক্ষক হবে নির্মূলا

আমায় দাওনা প্রভু এমন একটা শান্তিময় নির্ভেজাল পৃথিবী
আমি শুনতে চাইনা আর কোন মায়ের বুক ফাঁটা আর্তনাদ!
প্রভাতের সূচনাতেই দেখতে চাইনা ধর্ষিতা বোনের লাশ
খবরের পাতা খুলতেই যেন কানে তীক্ষ্ণ ধ্বনি ভেসে না আসে
নীরিহ মানুষের নৃশংস অমানবিক মৃত্যু,রাজপথ অবরুদ্ধ
জ্বালাও পোড়াও লুন্ঠন,নৈরাজ্য ভাংচুরে অপদস্ত জীবন জনপথا

আমায় দাওনা প্রভু এমন একটা শান্তিময় নির্ভেজাল পৃথিবী
মনে আমার ভীষণ অশান্তি,অনাগত ভবিষ্যতের কি গতি?
মানবতার দুয়ারে যেন ভাটা পড়েছে,মানুষ হয়েছে বেঈমান,
পাশবিক নির্যাতনে অবিচল শ্বাসরুদ্ধ জীবন,প্রশাসন দাবা ঘর!
ভুলে যেওনা হে মানব সন্তানেরা,দিল্লীর দামিনী মেয়েটি কে?
অবশ্যই কোন না কোন মায়ের সন্তান!টাঙ্গাইলের কিশোরীটি কে?
হতে পারতো সে আমার বোন! হায়রে হতভাগা বিশ্বজিৎ!

ভাবতে আমার অবাক লাগে মানুষের মনুষ্যত্ব অন্ধ বিবেকে,
ঘৃণা হয়, বড় ঘৃণা হয় আজ এ নশ্বর পৃথিবীতে বাঁচতে !
একদিন নির্ঘুম রাতের অন্ধকারে আমিও গুম হয়ে যেতে পারি
গুম হয়ে যেতে পারি সিলেটের ইলিয়াসের মতো খবর বিহীন!
লেখার ভাঁজে কলমের কালিও যেন আজ লজ্জিত বেদুইন,
স্বাধীন দেশের নাগরিক তবুও বাঁচার ভয়ে থাকি নিত্য পরাধীনا
================================================

~~আজকে আমার জন্মদিনে~~



আজকে আমার জন্মদিনে 
ভালবাসা ছাড়া আর আছে কি,
ভালবাসার মাঝেই তো পৃথিবী।
ফাসেকী ছাদেকী মিথ্যা ভন্ড কিছু না,
টিকে থাকে সত্য প্রেম ও ভালবাসা।

মা-বাবা, ভাই-বোন, বন্ধু- বান্ধবী,
পুত্র-কণ্যা-স্ত্রী,শ্বশুড়-শ্বাশুড়ী, প্রতিবেশী।
সংসার সমাজ ও আপন মাতৃভূমি,
সবার ভালবাসায় বেঁচে আছি আমি।

আজকে আমার জন্মদিনে নেই কোন ভাবনা,
সবার তরে আসছে দিনে বিলাবো ভালবাসা।
সবার জীবন ভাল থেক করছি কামনা,
সুখি সুন্দর জীবন গড় রইল শুভেচ্ছা।
========================================

~~~নতুন বছরের আগমন, মনুষ্যত্বের শুভেচ্ছা স্বাগতম~~ 
 

নতুন বছরের আগমন
লাখ লাখ টাকার বাজি পোড়ে
আকাশের বুক চিরে হাউই ওড়ে
আনন্দ ফুর্তি এরে বলে।

নতুন বছরের আগমন
শীতে কাঁপছে সারা দেহ মন
কেও নেই হবে তাদের আপন
পুরনো বাতিল কত গরম কাপড়
পরে থাকে বাক্সবন্দী হয়ে
টাকা লাগে না তাতে, দুটি কাপড় দিতে
শুধু একটু মন লাগে
বাক্স খুলে দু একটি কাপড় বিলোতে।

নতুন বছরের আগমন
ফুর্তির রাত থার্টি ফার্স্ট নাইট
লক্ষ টাকার ব্যান্ড পার্টি চারিদিক জুড়ে লাইট আর লাইট
কত নামী দামি তারকার কনসার্ট এখানে ওখানে
নাচতে হবে তাঁদের গানে তাল মিলিয়ে
থার্টি ফার্স্ট এর রাতে;
টাকার অভাব হয় না সামনের সারির টিকেট পেতে
কতই বা আর দাম? পাঁচ হাজার, দশ হাজার
দেখেছি কত না এমন কনসার্ট
টিকেট কিনেছে তারা, টাকা যেন হাতের ময়লা
দাম যখন হাঁকায় পঞ্চাশ হাজার।

তবু কি কষ্টই না লাগে দুটি গরম জামা কিনে দিতে
ওই শীতার্ত মানুষের তরে
ফ্রিজে কত খাবার পচে, বাসি হয়ে
স্থান হয় ডাস্টবিনের কোনে
তবুও দুয়ারে ভিক্ষুক এলে, দূর দূর করে দেয় তাড়িয়ে
আত্মায় কুলোয় না ফ্রিজের বাসি পচা খাদ্য কিছু
দিতে গরীবেরে বিলিয়ে।

মানুষ বলি আমরা নিজেদের
মনুষ্যত্ব কোথায় ঘুমিয়ে থাকে?
থার্টি ফার্স্ট নাইটের ফুর্তির ফাঁকে
কিংবা বাক্স বন্দী গরম কাপড়ের মাঝে
তেলাপোকার খাদ্য হয়ে।
অথবা ফ্রিজে লুকিয়ে রাখা সযতনে
ডাস্টবিনে কুকুরের খাদ্য হতে।

আরেকটি বছর ঘুরে, নতুন বছরের আগমন
তোমাদের এ হীন মনুষ্যত্বকে জানাই শুভেচ্ছা স্বাগতম।
=============================================

~~নতুন দিনের শপথ~~


নতুন দিনের নতুন আশায়
গত যত ভুল ভ্রান্তি
প্রতিদিন প্রথম প্রভাতে
ছুঁড়ে ফেলে ছুটব বিশ্বে নিজের দেশ ও দশের জন্য
আজ হতে আপন কাজে।

বদলে দাও বদলাতে হবে চাই আর এমন কথা
তিল তিল করে প্রতিবাদ গড়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই,
অসৎ যত ছুড়ে ফেলে সত্যের পথে ছুটে চলব মোরা করি সংকল্প
যাক প্রাণ সত্যের পথে আমার আশা আমার ভালবাসা যদি না পাই
তবুও সার্থক এ প্রাণ, কিছু করতে করেছি দান, সুখে থাক সবাই এই কামনায়।

পেছনের যত ভুল খুন, গুম, ধর্ষণ হতে দেব না আর
নতুন করে নতুন দিনে করি শপথ, তারা তোমার আমারই ভাই বোন
একে একে হয় গত এভাবে যত বেঁচে থাকব সবে
কেন ভাবি না দু’দিনের তরে যত শত আমার পাপ হবে হিসাব,
আজ এ ভালবাসা সেদিনের তরে চিনবে না নিজের অঙ্গপ্রতঙ্গ
এমনি করে আপনজন যত ছিল পাশে রোদ বৃষ্টি ঝড়ে আহার জোগান দিয়েছি সবে
তিল পরিমাণ সুপারিশ করবে না নিজেকে ছাড়া, এসব জেনে তবুও কেন করি এতো শত পাপ ?

এসো আজ সব ভুলে ধর্মের পথে করি জীবন দান
নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত করি আদায়,
বেঁচে থাক তারা যারা তোমার আমার মতো নয় পেটের দায়ে করে শত অপরাধ।

আজ এ উৎসব এতো আয়োজন কতটুকু দিনের পথে করি অর্পণ
খরবের পাতা ভরে কত খরবই আসে,
অবাধ এ চলাফেরা নয় কি গত যত ধর্ষণ তুল্য অপরাধ?
আমি চাই সোনার বাংলায় হোক এমন কোন দৃশ্য,
আমাদের ভাষা আজ কোথায় ? তালে তাল আমরা হয়েছি বেশামাল
রঙের পৃথিবী দেখে, আর নয় ভুল আছে ভালবাসায় যত ধর্ষণ।

নতুন দিনের নতুন আশায়
গত যত ভুল ভ্রান্তি
প্রতিদিন প্রথম প্রভাতে
ছুঁড়ে ফেলে ছুটব বিশ্বে নিজের দেশ ও দশের জন্য
আজ হতে আপনার কাজে।
================================================




No comments:

Post a Comment