Monday 5 August 2013


~~প্রজম্ম চত্বরের গান~~

লাখো মানুষের ঢলে উঠেছে তুফান
আজ সবার মুখে মুখে বাংলার গান।। 
আমিও এসেছি বলতে আমার কথা 
দেখাতে এসেছি হৃদয়ের গভীর ব্যাথা।। 
আজ দাবী শুধু একটাই চিৎকার দিয়ে বলি 
ন্যায্য বিচারে ধুয়ে দাও, ধুয়ে দাও বাংলার ধুলি।। 

দেখে নাও দেখে নাও তুমি
একাত্তরের ভূমি। 
সেখানে আমার ভাই ঘুমানো
সেখানে আমার বোন
লজ্জায় খুঁজে ফেরে হায় মৃত্যুর সম্ভ্রম।। 
সেখানে আমার বাড়ি জ্বলে পুড়ে ছাই ছাই 
তাই আজ বুক টান টান করে গাই 
আমি সেই, আমি সেই পশুদের বিচার চাই ।। 
আজ দাবী শুধু একটাই চিৎকার দিয়ে বলি 
ন্যায্য বিচারে ধুয়ে দাও, ধুয়ে দাও বাংলার ধুলি।। 

আমার মায়ের কান্নার রোল আজো বাতাসে ভাসে
আমার পিতার রক্তের দাগ লেগে আছে এই বাংলার ঘাসে। 
আজ তাই নতুন একাত্তরে, প্রজম্ম চত্বরে 
বুক টান টান করে গাই 
আমি সেই, পশুদের ফাঁসি চাই ।
রাজাকারমুক্ত বাংলা চাই
আজ দাবী শুধু একটাই চিৎকার দিয়ে বলি 
ন্যায্য বিচারে ধুয়ে দাও, ধুয়ে দাও বাংলার ধুলি।। 
============================================
~~আসছে দারুণ ফাল্গুন~~

 
সুন্দর একটা মিষ্টি স্বরের আবেশ নিয়ে আজ ঘুম ভাঙল
ঝলমলে মন নিয়ে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম
সামনের খোলা জায়গাটায় অনেক রকম ফুল ফুটেছে
আজ সব কিছুই অন্য রকম লাগছে....
স্নিগ্ধ মন কেমন-করা সকালটা যেন
আজ সকালটা নতুন কোনো সাজে সেজেছে
এক মিষ্টি মেয়ে খোঁপায় হলুদ ফুল জড়িয়ে
হলুদ শাড়ি পরে হেঁটে যাচ্ছে,
যেন জগতের সব আলো ওর সাথে শাড়ির আঁচলে,
চোখের পাতায় জড়িয়ে আছে,
ভাবছিলাম আজ কি কোনো বিশেষ দিন!
হঠাৎ মনে পড়ল আসছে দারুণ ফাল্গুন
আমার মন নেচে উঠল আনন্দে
সব ফুলের রেণু যেন ছড়িয়ে পড়ল আমার মনে
দু হাতে পরাগ মেখে চোখে বোলাতে ইচ্ছে করছে
দূরে কোথাও হারিয়ে যাওয়ার আসছে দিন
কাজকে দিয়ে ছুটি হারাবে ফাগুনের আগুনে
এখনই কেউ কেউ শাড়ি খুঁজে বের করবে
লাল টিপ পরবে আর খোঁপায় হলুদ গাদা ফুল
মনে মনে গল্প করবে বন্ধুর সাথে, কবিতা লিখবে।
নবীন প্রাণ নবীন উদ্দীপনা নিয়ে আসছে ঋতুরাজ বসন্ত
বসন্তের পুষ্পময় গন্ধেভরা দখিনা বাতাসে বন্ধুরা-
ভাবুকের মনে জাগবে ভাব,
কবির মনে জাগবে ছন্দ,
আর গায়কের মনে জাগবে গান
বসন্তের অনিন্দ্যসুন্দর হাসির পুষ্পবৃষ্টি আর কোকিল কণ্ঠের
কুহুতান সবাইকে জানিয়ে দেয় বসন্ত আগমনের বার্তা।।
=========================================

~~আহা এ বসন্তে~~
 

‘দখিন সমীরণে শিহরণ’ জাগানোর দিন আসছে
মাতাল হাওয়ায় কুসুম বনের কাঁপনে, দেখ
মৌমাছিদের ডানায় ডানায়, চেয়ে দেখ
গাছের কচি কিশলয় জেগে উঠবার আভাসে,
পল্লব মর্মরে আর বনতলে কান পেত
কোকিলের কুহুতাল জানাল ‘আসছি বসন্ত’।
শীতের রিক্ততা মুছে দিয়ে
প্রকৃতিজুড়ে আসছে সাজসাজ রবে
প্রকৃতিতে জেগে উঠেছে নবীন জীবনের ঢেউ
নীল আকাশে সোনা ঝরা আলোর মতই হৃদয় আন্দোলিত
হৃদয়ে সুর জাগছে ‘আহা এ বসন্তে, কত ফুল ফোটবে!
কত বাঁশি বাঁজবে, কত পাখি গায়বে..’
ঋতুরাজ বসন্তের দিনগুলো এসেই গেল!
মধুরেণ মায়াবী এক আবেশে ঘিরে রাখবে
বৃক্ষ, লতা, পাখ-পাখালি আর মানুষকে।।
===============================================


~~রাজাকারদের ফাঁসির দাবি~~

 

এখনি সময় সমস্ত দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে দলমত নির্বিশেষে
সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ গড়ে তোলার !
এখনি সময় প্রিয় স্বদেশ বাংলার মাটি থেকে
রাজাকারদের বিষদাঁত তুলে ফেলার !
এখনি সময় ৭১ এর ঘোমটাপড়া ঘাতকদের ফাঁসির
রায়ে নিমর্ূল করা ,নতুন প্রজন্মকে জানিয়ে দেয়ার !
এখনি সময় আমার মায়ের চোখের অশ্রু-
যুদ্ধাপরাধীদের রক্তে পুষ্পঞ্জলিতে সিক্ত করার ।

এখনি সময় বীর বাঙালীর দামাল ছেলেদের ৭১ এর
চেতনায় হাতে হাত কাধে কাধ রাখার !
এখনি সময় বিক্ষুদ্ধ শ্লোগানে সকল শ্রেণীপেশার
মানুষের প্রতিবাদী প্রতিবেদন গড়ার !
এখনি সময় যারা ৭১ এ আমাদের স্বর্বস্ব কেঁড়ে নিয়ে
স্বজন হারা করেছে তাদের মাতৃভূমি থেকে
চিরতরে বিধ্বস্ত বিপন্ন করে দেয়ার !
এখনি সময় আমার বাবার মৃত্যু আত্মার নিরব দহন
যন্ত্রনা মুছে ফেলার ।

এখনি সময় ভয়াল উত্তাপে শাহবাগের চত্বরে আগ্নিয়
মশাল জ্বালার,একাত্তরের দালালদের প্রতিহত কারার!
এখনি সময় একাত্তরে আমার বোনের
সম্ভ্রমকারিদের-হাতে পায়ে শিঁকল বাঁধার!
এখনি সময় তাদের পিঠের চামড়া তুলে নেবার
যারা ৭১ এ আমার ভাইয়ের বুকে গুলি বিদ্ধ করেছে!
এখনি সময় প্রশাসনকে বলছি-জনতার দাবি মেনেনিন
আমরা ৭১ এর দেশদ্রোহীদের ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি ।

==============================================
~~আরেক~~

মায়ের মুখের আদর মাখা স্নিগ্ধ আলাপন-
অবোধ শিশুর তৃপ্তি সম্ভাষণ!!
=======================================
~~সান্ধ্যলিপি~~

দেশ-জনতার আবেগ নিয়ে
এমন করা কাজ কি ঠিক ?
যুদ্ধাপরাধ ইস্যু নিয়ে
করছে খেলা রাজনীতিক ।

ট্রাইবুনালে ভূত ঢুকেছে
রায় ঘুরেছে কোন দিকে ?
ফাঁসির বদল দেয়া হল
যাবজ্জীবন বন্দিকে ।

গাধা নাকি ঘোলা করে
অবশেষে খায় পানি
ঘটতে পারে এমন কিছুই
বদলে গিয়ে রায় খানি ।
===========================================
~~চ।রিণীর শোভামান~~

অপহরনে পরিবর্তন করিয়া দিয়াছ আমার ক্ষরণ হৃদয়।
জ্ঞানের অন্তরালে অস্পষ্ট চেতনা জাগিয়েছ বাসনার নিবিষ্টে।
লুপ্ত প্রেমের অসাড় মনে আপনার প্রয়াসে করিয়াছ পরমানন্দে উদ্ভাসিত।
তোমারই হৃদ্যতায় সমাদৃত করিয়া ধারণে রাখিয়াছ তৃপ্তির সুখ্যতায়।
তন্ময় হয়ে আবেষে প্রকাশ করে হৃদয়ে নাড়া দিয়া প্রভায় ভূষণ করিয়াছ।
বিশ্বাসে বিশ্বাসী ছিলাম তোমাকে পাব এই মহাময়তা কাটিবে,
বুকে জড়াইয়া ধরে লাঘব করিয়াছ।
ভালবাসার নিবিড় ছায়ায় আমি তোমাকেই দিব আদর প্রাণের উচ্ছাসে।
কল্পনাকে উদ্দীপ্ত করিয়াছ আলোকিত পরিত্রাণের উদার বোধোদয় জ্ঞানের উম্মেষে।
তোমাকে অবতারণা করিয়াছি বলিয়াছি মোহিনী করিয়াছ বেষ্টিত স্বীয় অঙ্গের নিবৃত্তি।
আমিতো তোমায় ভদ্রতার কসুর করি নাই সকাতরে অনুযোগ করিয়াছি সহায়তায় তোমার সন্নিধানে।
নির্জনতা থেকে এনেছিলা আধারে আলো পারিবেনা প্রস্তানের কপটতায় ফেলিতে।
তুমিই ক্ষমাশীল নিরন্ত পারিবে রাখিতে বিতরণে হৃদয়ের উপাধিতে মঞ্জুরী করিতে।
প্রীতিকর খেয়ালে রাখিও বাধনে তোমার চারিণীর শোভামানের বিন্যাসে।
আমাকে করিও নিরেট ভালবাসার বিশ্বাসের মহিমায় অন্তরের প্রবৃত্তির গাঁথনের সুবিন্যাস্তে।
অলক্ষিত থেকে হৃদয়ের অন্তঃপুরে দিয়াছ অধিকার, 
গুন আছে বলিয়া পরমেশ্বর ভ্রমে তোমার।
=====================================
~~অতীত বাজায়।~~


শর্তের নিকটতম আশ্রয়ে গিয়ে
আমার ডান হাত কিছুটা অস্থির হয়
আমি লাল মরিচের কাছে আশ্রয় খুঁজি
এবং চন্দ্রমৌনতায়
মানুষের সমর্পিত প্রশ্নগুলো থেকে
নিজেকে আড়াল করি
রাতভর দুইচোখের জলে ভিজে
আমার অচল অপরাধগুলো…
একেকটি নিঃশ্বাসের
কতো যে ওজন
কোন স্বস্তি পাইনা
বজ্রে
বিজলীতে
কালো আকাশের দিকে উড়ে যায়
শাল সেগুন ও মেহগনি গাছের ছায়া
স্বস্তি পাইনা স্বস্তি পাইনা
তোমার শাড়ীর আঁচল আমার বুকে
অতীত বাজায়
তোমার চোখের কাজল আমার বুকে
অতীত বাজায়
আমি প্রতিদিন
কষ্টে কষ্টে বেঁচে থাকি।
=========================================

~~প্রশান্ত হৃদয়ে~~


অবধানে তোমাকে করেছি নিরুপন, 
জনম অবধি ধারণ থাকিবা প্রশান্ত হৃদয়ে।
প্রতিশ্রুত প্রভার ব্যাপ্তিতে বিস্তৃত করেছ অমরাবতী ইন্দ্রতে
উচ্ছাসিত প্রাণের অধিক শোভমানে নিবৃত্তি করিয়াছে আনয়ন।
ক্লেশদানে উৎসৃষ্টতায় অধঃপতিত করনা,
তুমিই হয়েছ উদ্ভুত স্ফীত হৃদয়ের কল্পনার উদ্দীপ্ত গগন।
অভিষঙ্গের দিকে তারিত করিওনা পরণাগতে আগমন তোমায়।
কুন্ঠিত করনা মন নির্দয়তায়,
আমি যে তোমার কুলীনের প্রাপ্য দক্ষিণা।
থাকিব তোমার পরমাত্নার মধ্যে আত্নার বিলীন হয়ে,
চিত্তের সংস্কার দগ্ধের মুক্তিতে।
মনোহারিতা হৃদয়ে জাগরুপ আছে উদিত হওয়া স্বর্গোদ্যান।
========================================

~~অভিমানের ছোঁয়া~~


ওই রাতের তারাটি জানে
তোমারই জন্য আমার এ মন
কাঁদে ক..ত্ত অভিমানে।
সবাই ঘুমালে জেগে থাকি আমি
চাঁদ যেন তা জানে।

তুমি হীনা বড় একা পরে রই
মৃত্যু স্বাদের ঘ্রাণে।
চিৎকার করে মোর আত্মা কাঁপে
বিরহের সন্ধিক্ষণে।

শুন কি তুমি অশ্রু পতন,
অঝোরে ঝরে মুক্তোর মতন!
দুমড়ানো মন ছটফট করে
শুধু তোমায় মনে করে।

হৃদয় ছেড়া মানুষ দেখেছ?
কেমন লাগে তার কি ছুঁয়েছ?
আমায় দেখ দুচোখ ভরে,
জেগে ওঠ আজ উচ্চ শীরে।

আর কতক্ষণ ঘুমাবে তুমি,
কেঁপে উঠে যে আমার ভূমি।
পাইনা ফিরে কেন বল আর
দিনগুলি ঐ তোমার আমার!

প্রভূ কে ‍শুধাই, বলোনা প্রভূ!
প্রেম কেন জ্বলে নিভে যায় কভু?
তুমি তো পার জ্বালাতে আবার
হয়েছ যে তুমি করুণার আধার।

পারিনা আমি আর কষ্ট নিতে,
জেগে উঠেছি এক ঘুর্ণিবাতে।
আমি হব আজ সাইমুম ঝড়,
করে দিতে আজ সব তোলপাড়!

কি করে দেখাব মোর হাহাকার
তুমি ছাড়া আমি শূণ্য অসাঢ়।
ফিরে আস সখা এসে বসো নীড়ে
হারানো নাও ভিড়বে যে তীরে।

হৃদয় আমার যায় বুঝি পুড়ে
বেলা অবেলায় আমি যাই মরে।
বন্ধ দু’চোখে ডাকি যে তোমারে
ক্ষণিকে বুঝিবা আসিতে ফিরে।

ভাল থেকো সখা আসবেনা জানি
একা মরে যাবে এই অভিমানী ।
তুমি থেকো ভাল বেলা অবেলায়
তোমার প্রিয়া যে আরতি জানায়।

যদি পার দিতে একটু দোয়া
মরণ হবে যেন পুষ্প ছোঁয়া।
দু’ফোটা জলের অশ্রু নিও?
আমার মনকে ভিজিয়ে দিও?

চাইবনা আমি কোন কিছু আর
চেয়েছি যে শুধু সবটা তোমার।
সুখে থেকো সখা পারবে তা জানি,
জ্বালাবেনা যে আর এই অভিমানী।
=============================================
আমি নিজেই নিজের ব্যাথা করি সৃজন,
শেষে সেই আমারে কাঁদায়, 
যারে করি আপনারি জন।।
===========================================

~~ছোঁয়া ~~

জোছনা–শিশির প্রণয়-গাঁথার শুনতে আলাপন,
পতঙ্গদের রাত্রি জাগরণ!! 
========================================

~~পুলিশ আমাকে পায়নি~~
 

অদৃশ্য আতংকের
হাততালি শুনে
ভীত চড়ুই জল পান করে
পোকার কামড়ে বেলা চলে যায়
শীতল মাটিতে নাচে
জাগতিক ছায়া
বাড়ীর পেছনে দাঁড়ানো
দীর্ঘ রোদ
আমি রোদের উচ্চতা দেখি,
মাছের জাল থেকে
কাদার গন্ধ এসে আমাকে
খুঁজে পায়
পুলিশ আমাকে পায়নি…
=======================================
~~রেড সিগনাল~~

দিন গেল যাক না
খাবে কতো খাক না
আর ক'টা দিন তুই
চুপচাপ থাক না।

ক'দিন আর মস্তির!
কেনো এতো অস্থির
হতে দে যাই হোক
দম নে সস্তির।

সময় ঘনালে আর যায় নাতো থাকা
মরার সময় গজে পিঁপড়ার পাখা।
=========================================

~~নিয়তি~~

 
সারা দিনমান কাছাকাছি,
তবু যেন বহুদূরে,
হৃদি মাঝে পাই,
পাই না তোমায় বাহুডোরে।

স্ব্পনেতে পাই,
পাই না তোমায় ধরা পরে,
যতো দূরে থাকো,
রয়ে যাও এই অন্তরে।

এতো ভালোবাসি,
তবু কেন পাই না আপন করে?
নিয়তির রীতি,
খেলাঘর শুধু ভাঙ্গে আর গড়ে।।
============================================
একদিন মানুষের 
জলাবদ্ধ হৃদয়ের খুব
নিকটে গিয়ে
দুই হাতে জল ঠেলেছি
ছদ্ম নামে ছদ্ম বেশে
এড়িয়ে গেছি কতোজনের
কতো প্রশ্ন
আর আজ আকাশ থেকে
পড়ে যাচ্ছি আমি একা
শীতের চাদর দূরে রেখে
মাঠের মধ্যে
আগুন পোহাই আমি একা
জোত্স্না রাতে
পাখির সাথে খাবার কুড়াই
আমি একা
আমার সচেতন রক্ত কিছুতেই
ভুলতে পারে না সেই স্বর্ণজাল, পোড়া বসন্ত
আমি জানি
মানুষ আমাকে নেবে না
কিন্তু মাছ আমাকে নেবে
নদী আমাকে নেবে
ধুলো বালির বুকে
ঘুমিয়ে যাওয়ার পুর্বে
আমি শুধু দেখে নেব
পাখিদের ঘরবাড়ী
জোত্স্না রাত্রি আর
দূরের কুয়াশা।
==========================================

যে পূজা পূজিনি আমি স্রষ্টা ভগবানে,

যারে দিনু সেই পূজা সে-ই আজি প্রতারণা হানে!
=======================================
~~কাব্য-কণা ~~

স্বপ্ন দোলায় দুলছিল এক লজ্জাবতীর সুখ,
দুষ্টু হাওয়ার মিষ্টি ছোঁয়ায়, লাজে লুকায় মুখ!!
==========================================
~~শিরার অনুকম্পন~~

তোমাকে নির্দিষ্ট করিয়া আঁখি, অনিমিষের দৃষ্টিতে বদ্ধ করিয়াছি।
অনিলের স্পন্দনের প্রসন্নতায় শিরার অনুকম্পনের নিপুণতায় তৃপ্ত।
ভেদশুন্যতা করিওনা শোভায় সুশোভিত বপনে তুষ্টির প্রেমের আগোরি।
সুহৃদের অনুরাগে করিয়াছি অন্তরে সংগুপ্ত সন্নিধানের অন্বেষনে।
নিবীতে তোমায় পড়িয়াছি গলেতে মালা,
নিবার্পিত হয়েছে দিপ্তী জ্বেলে আবিষ্ট নিঃসহায়।
অভিনিবিষ্টে আমি তোমাকে করিয়িছ আপন,
ভালভাবে জালিয়েছি হৃদয়ে তোমারই যৌবনের প্রদীপন।
কুন্ঠাহীন ব্যাকুলতায় নৃপতিকে করিওনা ক্ষরণ,
পরাক্রমে বিচেতনের স্ফলন ঘটিবে জনম।
মথিতে তুমি করিওনা বিমর্দন এমনিতে আমি আছি তোমারই,
ভূষণ হবেনা ভেদ সৃষ্টিতে বিয়োজন।
রাখিয়াছি তোমায় ভাস্বর শিখায় প্রসন্ন চিত্তের প্রীতিতে,
আভাময় পরিতৃপ্ত ভূষণ প্রিয়তার বিশ্বাসে।
অনুভূতির গাঢ়তা অন্তরের গৃঢ় ভাব গ্রহনে থাকিবে,
শত ভাস্কর রচে বুদ্ধের শত জনমের রুপ।
===============================================
~~দু'টি~~

দু'টি আঁখি কথা বলে
দু'টি দিকে চেয়ে
দু'টি মন সুর তোলে
একি গান গেয়ে।

দু'টি পাতা দু'টি ফুল
দু'টি ঝরা রোদ
দু'টি মনে ক্ষণে ক্ষণে
প্রেম প্রেম বোধ।

দু'টি সব করে রব
দু'টি দু'টি ভাগে
অনুরাগ ও বিরাগ
দু'টি রাগে রাগে।
========================================

আমার অসুস্থ আংগুলের
নানা আহ্বান অতিক্রম করে
তুমি আজ পথে পথে
তারকা বাজাও
সন্ধ্যায় বুকের ভিতর
অন্ধকার ছড়িয়ে
চুপচাপ বসে থাকো
আমিও নানা রকম
যোগবিয়োগে বেলা কাটাই
এবং রচিত অন্ধকারের
খুব নিকটে গিয়ে একা একা
বসি

এখন আর আমার মনোরেখা
অতিক্রম করো না তুমি
আমিও সীমান্ত
অতিক্রম করিনা তোমার

আমাদের অশ্রুবিন্দুগুলো
গোপনে গোপনে বাতাসের বুকে
অস্ত যায় আর
মাথার স্বপ্নগুলো পুড়ে যায়
প্রাত্যহিক দীর্ঘশ্বাসে,
এভাবেই খসে পড়া পাতায়
মূদ্রিত হয় সময়ের আন্দোলন

এ কথা সত্য যে
জাগতিক সংখ্যাচিত্কারে
আমি আজ অভ্যস্ত
পাখির দুই ডানায়
বিভাজিত পৃথিবীতে আজ আর
সেইসব জলজ দূরত্ত নেই
সেইসব আগুনও নেই
তবুও সাদা কালো
দুইটি রেখা এসে
মাঝেমাঝে হামাগুড়ি দেয়
অন্তরের ভিতর।
=============================================
~~বালুচর~~ 

কে যেনো ডকে-
রোজ রাতে তার কণ্ঠে বাজে
আমার নামের ধ্বনি
বড় আহত-হৃদয় কাঁপানো
তার সুরে-সে জপে আমার
নাম...

আমার না আছে ঘর
না আছে দ্বার
জীবনের খুঁজে-জীবনহারা
একটি জীবন্তলাশ

পথের বিভাজনে বদলে গেছে
রক্তের রঙ
তুমার সুরের মধু তুমি
তুলে নাও

কবির বুকে বহতা নদী
এখন শুকনো বালুচর
কুসুমের কদর মিটাবেনা তার পিয়াস
=================================================================
~~ডাকপিয়ন~~
 

ঘুণপোকায় কাটে আমার বেসাতির দলিল
যন্ত্রের ম্যাজিকে বিলীন হয়
বাপ-দাদার কামাই, বুরো ক্ষেতের আইল
ধরে হেঁটে আসা বণিক সখার
বার্তা বাহক ডাকপিয়ন
আজ আর দেখি না_
কালের বিশেষ নিয়মে বদলে গেছে
সোনার দিন, মাটি-মায়ার সুর...

শস্য কীর্তনের সরল মুখগুলো খুঁজে
শুঁকে নেই পাহাড়ের ঘ্রাণ, এই শহরের
বর্ষার ঢেউ শতত শূন্যতা বাড়ায়
সূর্য ডোবার পাড়ে দাঁড়ানো পথিক!

তুমি একবার ধরিও ভালোবাসার গান...
===========================================
~~অনুর্বর ভূমির কবি~~

যেখানে প্রেমের সুধায় ভেজানো হয়না প্রেমিকের অধর
যেখানে ভালবাসা নেই, নেই প্রেমিকের যথাযথ কদর
আমি সেই পল্লীর অধিবাসী, সেই নগরের নাগরিক
যাদেরকে মোহাচ্ছন্ন করে আছে সমস্ত জাগতিক
বিষয়, আমি এখানে হয়েছি জীবন্ত লাসের স্বরুপ
আমার চারপাশের সবাইকে মনে হয় অথর্ব লোকের স্তুপ
এখানে মানুষ বোঝেনা ফুলের ভাষা, পাখির কলতান
এখানে উপেক্ষিত হয় কবির কবিতা, ছন্দ ও গান
আলো-আঁধারেরও ভেদাভেদ নেই এখানের জনমনে
এখানে সৌন্দর্য নেই ঝরা বকুলের প্রভাতকাননে
আমি সেখানের প্রকৃতির কবি, প্রেমহারা প্রেমিক গোপন
সেখানের হ্নদয়ভূমিতে করেছি প্রেমের বৃক্ষরোপন
==========================================

~~কাব্য-কণা~~

‘অনুভূতি’ যেন ‘লাজুক বঁধু’, 
ঘোমটা-ঢাকা মুখ!!
‘ভাষা’ যেন ‘বর’, বঁধুর 
ঘোমটা তূলিতে হয় উন্মুখ!!
========================================

~~ফুল~~

 
বাগান সৌন্দর্যের উৎস 
কেবল শুধুই সৌন্দর্যের উৎস
বাগান মানুষের আয়েরও উৎস
শুধুই আয়ের উৎস? ফুলের বাগান-

ফুলের প্রতি
অপরিসীম ভালবাসার জন্য
মানুষ
নানা উপলক্ষে ফুল দিয়ে ঘর সাজায়।
ফুল
সৌন্দর্য়ে প্রতীক
পবিত্রতার প্রতীক
বলে
ফুলকে মানুষ ভালবাসে
খুব ভালবাসে।
যে গাঁয়ের যে বাড়িটি
বাগানহীন
খালি যেন
দীনহীন ।।
============================================

~~আলোকিত শহরের ছবি~~ 


আমি শুধু শুভ কামনা নিয়ে
এই একচালা ঘরে বসে
রৌদ্র ধরি
ধারালো আলোকে অচেনা মনে হয়
তবুও সমর্পন করি
নিজের মেধাবী রক্ত
রাত জেগে পার হয়ে যাই
ভাস্কর্যের শাসন
শহরের অলিগলিগুলো,
সবকটি ল্যাম্পপোস্ট
সকল আধুনিকতা
চুপচাপ মুখস্ত করে নেই
তারপর ইতিহাসের আলো নিয়ে
শুধু মানুষের দিকে যাই
শুধু মানুষের দিকে যাই
এবং টিভি স্ক্রিনে তুলে ধরি
আলোকিত এক শহরের ছবি।
============================================

~~একুশের কন্ঠ~~

একুশের কন্ঠ রুদ্ধতার নয়,
ফেব্রয়ারী বার বার মনে করিয়ে দেয়।
১৯৫২ থেকে ২০১৩ দীর্ঘ পথ পরিক্রমা।
দিয়াছে শত সহস্র রক্ত,
পারে নাই আমাদের ভূমত্ব লুন্ঠন করিতে।
যতই আগাত এসেছে,
গর্জে উঠেছে দাবানলের মত হাতিয়ার।
একুশের কন্ঠ রুদ্ধতার নয়,
রক্ত ঝরাতে কুন্ঠিত নয় অধধিকারে।
পারেনি ১৯৯৫২তে, পারেনি ১৯৭১
আমাদের স্বাধিকারের অধিকার দমন করিতে,
দিয়াছে রক্ত রফিক, জব্বার, বরকত,
দিয়াছে ৩০ লক্ষ আত্ত্বদান।
পারে নাই কোন পরাশক্তি
আমাদের অধিককার রুদ্ধ করিতে।
একুশের কন্ঠ রুদ্ধতার নয়,
লুন্ঠন নয়, হরন নয়
পারিবেনা কেও অঅধিকার রুদ্ধ করিতে।
একুশের কন্ঠ রুদ্ধতার নয়,
আমাদের চিত্তে চেতনার বহমান
গর্জে উঠবে চেতনায় আবারও হাতিয়ার।
একুশের কন্ঠ রুদ্ধতার নয়।
=============================================
রাত্রির আঁধারে কোলাহল শূন্য কালো অন্ধকারে
এখনো আমি জেঁগে থাকি একলা একা!
বিরামহীন আমার দু'নয়ন তন্ময় তাকিয়ে থাকে
যোজন দূরের নক্ষত্রের পানে, অচেনা গ্রহে ।
ভাবনায় ভিঁজে যায় বুকের অতল গহীন,
ক্লান্ত আমি অবিনশ্বর বিমূর্ত আঙিনায়!
বিষাদ বেদনা আর কান্না মিলেমিশে একাকার,
দিগভ্রান্ত উন্মাদের মতো আজো খোঁজি তোমায়!
বুকে জমাট স্মৃতির ঢল বারিধারার বর্ষণে বিলুপ্ত!
এরই নাম কি বেঁচে থাকা?এরই নাম কি জীবন ?
নাকি জীবন নামের চন্দ্রগ্রহন_________??
==========================================

~~সেই আনন্দ~~



নিটোল বাতাসে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় যায়
তোমার,নুয়ে পড়া চুলের মাধুরী
প্রথম গোপন খোলার নিবিড় শব্দ
চোখের পাতায় আনন্দ ফোটার শব্দ;
একটি সবুজ পাতার আড়ালে পাখি
ডাকে সৌব্দর্যের নীল শব্দে।

নিশ্চুপ পাখির ডানা
উড়াল খোঁজে না কোথাও
কেবল আনন্দ ভাষা খোঁজে
সেই আনন্দ কি ফিরে গেছে
কার বাড়ি গেছে?
সাত সমুদ্র তেরো নদী..
পেরিয়ে?
তেপান্তর ছাড়িয়ে?
===========================================

আইজ তিন চাইর বছর
গিরস্তি মিরস্তি খেমা দিয়ালাইছি..…
গাও-গতোরো জোর ফাই না
ক্কে করে
নিজের শইল থায়ে না বালা
কত্ত ডাক্তর- কবিরাজ দেহাইছি
অষুদ- বরি কোনোডা কাম করে না।

বড়মায় হগির আনছিলো
তাবিজডি তোলনে
শইলডা কিছু ফাতলা লাগে

তিন্ডা তাবিজ
ক্কে ক্করে এডি
ক্কার এমন খতি করলাম
দুস্ট ডাহাইত..…
একবার ফাইন্না বান মারছিল
কবিরাজ আইয়া হেই বান কাটলো

আর এইবার তিন্ডা তাবিজ
একটা কর্ছে কাফনের কাফর দিয়া
আরেকটাত ছিতাহালের আংরা
একটাত চিলের ফাকনা…
জিনের ফসম দিয়াঅ করছে
কবিরাজের উছিল্লায় কোন খতি করতো পার্ছে না
ক্কি দুস্ট ক্কে করে এডি
ক্কার এমন খতি করলাম।
============================================

~~হুলুস্থূল~~


ফুলবাগানে ফুটল ফুল
মৌমাছিদের হুলুস্থূল
ভ্রমর শুনে রাগে-রোষে
রাওনা দিল গাঁথতে শূল

ওদিক দিয়ে বুলবুলি
রাখছে নজর ফুলগুলি
কখন যে সে ফুলে বসে
উড়িয়ে দেবে চুলগুলি
===============================================
~~ভালোবাসা পেলে~~
 
ভালোবাসা পেলে আজন্ম মেনে নেবো
দ্বিধাহীন তোমার তাবেদারী। সকল নষ্টামির খোলস
খুলে দিয়ে বাংলাদেশের সর্বোত্তম যুবকদের
শীর্ষস্হান জিতে নেবো..
ভালোবাসা পেলে সম্পূর্ন বদলে যাবো
আমার মাঝে হবে আমার পুনঃ জন্ম
ভালোবাসা পেলে দেখিয়ে দেবো
আমিও ভালোবাসতে জানি..
"ভালবাসা পেলে আমিও ভালবাসতে শিখবো । 
তুমিও শিখবে । 
আমরা মিলিত শক্তি হয়ে উঠবো ।
===============================================

~~নিজেকে গুটাবো এবার~~

 
ভাগ্যের নির্বন্ধ পালক যেনো
এরকমই হওয়ার কথা ছিল,
এমনই হবে
অমোঘ শব্দ উচ্চারণের পরেই
সব পাল্টে যাবে
সময়, ব্যস্ততা, উদাসীন সুর
নিখুঁত বেণীর মতো
মোবাইলটা দু’তিন বার বাজলেই
ক্রমাগত উঠবে হাই,
কপালের রেখাও লম্বা হবে,
হবে চোখের কোণে গাঢ় ঘুমের রেশ
অসুস্থতা শিয়রের কাছেই
মুখ থুবড়ে থাকে,
দায়িত্বের ঘোড়া ছুটে চলে
এমন পাগলা,
পেছনে পড়ে থাকে বিভ্রান্ত সময়,
প্রতিশ্রুতির পালক ঝেড়ে তাই
শীতঘুমের মতো
নিজেকে গুটাবো এবার।।
=========================================
~~ভুলোমনা~~

জীবনের আগপিছু
ভুলে যাই সবকিছু
ভুলে যাই সব ভুলে যাওয়াটাও

ভুলি ভুলানোর পণ
নিজ হয়ে ভুলোমন
ভুলে যাই পাওয়া না পাওয়াটাও
=====================================
বিদূরিত একরুপতা বিলাসে কোঁচার পত্তন

মিথ্যার বড়াই করনা তুমি, আমিত জানি তুমি কি।
কি মজার চালই চেলেছ, কোন সুফল ফলিবেনা।
অভিলাষে তোমার মিঠিবেনা সাধ জীবন নহে রঙ্গীন।
অবলোকন করিতে পারিবেনা মিথ্যা জাঁকে পূর্ণতায়।
তোমার বিবেচিত চিন্তান্বিত পরম জ্বালা ধরানো নিরন্তর দীর্ণ।
চিরাগত ভ্রষ্টতার ছিদ্রান্বেষী আচ্ছাদনে পারিবেনা জঠরজ্বালা নিবারন করিতে।
তোমার লুক্কায়িত বিদূরিত একরুপতা বিলাসে করিবে কোঁচার পত্তন,
তাইতো করিবে দেহে নিষ্ঠাবন, লোলপতাতে ছোড়বি হবে বিসরবিতে।
নিস্পন্দন করিতে পারিবেনা তোমারই নাকাল সমারোহপূর্ন ক্রোধের দূর্গে।
তাড়না করা হয়েছে মন তোমারই ভৎসিত আচরন দম্ভ করিবে দর্প চূর্ন।
পরম সুন্দর তোমাকে করিয়াছে ত্যক্তভূষণ নিঃসঙ্গ রুপ।
=================================================

~~সাদা পৃষ্ঠা~~


প্রতিদিন একটি সাদা পৃষ্ঠার উপর
নানা ভংগিতে ভেংগে পড়ি
আমন্ত্রিত আলো অন্ধকার বুকে নিয়ে
তোমার হাসি ভূলে যাই
কপালের টিপ ভূলে যাই
চোখ চোখের কাজল
কিছুই মনে করতে পারি না
আম জাম কাঁঠাল কামরাংগা
বর্ষায় ভিজে ভিজে গন্ধ বিনিময়
করে
বিশটি বছর ফিরে ফিরে আসে
সাদা পৃষ্ঠা কুচকে যায়
কান্না আসে
আমি তুমি
কালের কবিতা হয়ে হেঁটে যাই
সন্ধ্যায় ভাস্কর্যের মতো বসে পড়ি।
===========================================

~~মনের উর্বরতায় আশার বীজ~~
 

তুমি আছো বলে এখনো কথার ভাঁজে বাঁধি সুর
তুমি আছো বলেই আজো দু'চোখ স্বপ্ন বিভোর!

তুমি আছো বলে এখনো মনে বিবর্ণ যত আশা
তুমি আছো বলেই আজো শীণর্ বুকে বাঁধি বাসা!

তুমি আছো বলে এখনো পৃথিবীটা দেখি রঙিন
তুমি আছো বলেই আজো সুখগুলো আমার অমলিন!

তুমি আছো বলে এখনো প্রভাতে বাগানে ফুটে ফুল
তুমি আছো বলেই আজো জোয়ারে ভিঁজে নদীর কূল!

তুমি আছো বলে এখনো পাখির ঠোঁটে সুমধুর গান
তুমি আছো বলেই আজো ঐ সমুদ্রে বহমান কলতান!

তুমি আছো বলে এখনো আকাশে সুপর্বা নীলিমা
তুমি আছো বলেই আজো বাতাসের নির্মল বহতা!

তুমি আছো বলে এখনো চাঁদ হাসে পূর্ণিমা
তুমি আছো বলেই আজো জোনাকিরা দীপ্ত প্রতিমা!

তুমি আছো বলে এখনো রাত গড়িয়ে হয় ভোর
তুমি আছো বলেই আজো সূযর্োদয়ে ধরনী প্রজ্জ্বলন উর্বর!
=============================================

 
॥~~চিরকুমার~~ ॥


তোমার জন্য আজ অবধি আমি
দাঁড়িয়ে কত করেছি সময় ব্যয়
হিসেব নিলে সময় অনেক দামি
তারচে বরং হিসেব ছাড়াই শ্রেয়

নিত্যদিনই কয়েক খানে ভ্রমি
তোমার কলেজ তোমার বাসার লেন
বললে সেটা বলা হবে কমই
লিখে দিলেও ফুরিয়ে যাবে পেন

তবুও তুমি আমার গতিবিধি
লক্ষ্য করেও কর ন্যাকার ভান
আমিই তোমার যোগ্য প্রতিনিধি
আর কারো নেই আমার সমমান

অন্য কিছু আমি কি আর গণি
আমার আছে পবিত্র এক মন
তদুপরি আমি অনেক ধনী
না থাক আমার বিত্ত অগণন

অবশেষে ফিরিয়ে দেয়া তোমার
আমার মনে জাগায় প্রেমের ক্ষোভ
এখন আমি হয়ে চিরকুমার
বাদ দিয়েছি বিয়ে করার লোভ |
==================================================
আমি আমার নিজস্ব হাঁসগুলি
ছেড়ে দিয়েছি
সূচালো বাতাসের দিকে
দাঁড়িয়ে দেখছি
সাদা প্লেটের সীমান্তে এসে
সব সুগন্ধ ফিরে যায়
আমার ধাতব ইন্দ্রীয়ের ভিতর
খসে পরা পুরনো তারকারা
গোপনে অস্থির হয়ে উঠে
নিশ্বাসগুলো গলিত লোহার মতো
বিদ্ধ হয় ফুসফুসের ভিতর
আমি কোনো কথা বলতে পারি না
কিন্তু বলতে চাই
বলতে চাই
আমারো ইতিহাস আছে
ধাতব পাখি, আগুনের আকাশ, মাটির ফুল, বিবস্র বুলেট
আমি কোনোদিন দেখিনি
আমি ইতিহাসে ছিলাম
ইতিহাসেই আছি।
=========================================================
~~অনুভব~~
 

তোমার চোখ দেখছে আমায় 
অনুভবে বুঝি 
তোমার ঠোঁট আমার ঠোঁটে
অনুভবে অনুরাগে
তোমার নিঃশ্বাস আমার প্রশ্বাসে
অনুভব করি
তোমার হৃদয় আমার হৃদয় ছুঁয়ে আছে
গভীর অনুভবে
তোমার মন আমার মনে
দুজনে দুজনে
তোমার হাত আমার হাতে
চির বন্ধনে
তোমার শরীর জড়িয়ে রেখেছে আমাকে
দৃঢ় প্রত্যয়ে
তবু ধরে রাখতে পারিনি,
তোমাকে
ব্যর্থতার দায়ভার সব;
আমারই............|
============================================================


No comments:

Post a Comment