Tuesday 6 August 2013

~~ভালোবাসা...অজানা ঠিকানা ~~



 
‘তোমাকে ভালোবাসি’
লেখা আমার শেষ
চিঠিখানি-
আজও হয়ত
পৌঁছাইয়নি অজানা এক
ঠিকানায়,
তবু রোজ ছুটে যাই পিওনের ডাক
শুনে,
যদি সেই চিঠির জবাব পাই
আমি ...
আজও
অপেক্ষা অজানা ঠিকানা চিঠির
উত্তরে ।
মনে নেই কোন এক
মুহূর্তে তোমার সাথে দেখা,
ক্ষণিকের পরিচয়ে দাগ
কাটো মনে... অন্তরে,
অজান্তে ভালোবেসে ফেলি তোমাকে,
যদিও তোমার জানার কথা নয়,
আমার গোপন
ভালোবাসা একান্তই আমার ।
পাগলের মতো শুধু
ভালোবেসে যাই নীরবে,
তোমাকে খুঁজি সময়ের
প্রতি ক্ষণে,
যেখানে তুমি নেই-
থাকি না আমিও,
হৃদয়ের বুকভরা ভালোবাসা- শুধু
তোমার জন্যই,
আমার রক্তক্ষরণ এই
ভালোবাসা-শুধু তোমার জন্যই ।
হলে হোক আমার সর্বনাশ আর
কাঁদি না আমি,
মুছে ফেলেছি সব চোখের জল ,
তোমাকে হৃদয়ে রেখে পূজার
আসন সাজিয়েছি মনের
অন্দরে,
রাজী আছি আরও কিছু
অপেক্ষার,
পেতেও
তো পারি অজানা ঠিকানা চিঠির
উত্তর ।
===============================================

সাঁজী, নরম প্রেমকে ছুতিটি দিতে এসেছিলে কঠিন মুখে,
রাস্তার ওপারে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা শুধু সংকেত এতটুকু, 
এত শূন্য হৃদয়ের মোড় ভাঙ্গে অযথা কথা…

সাঁজি তোমার আকাশ-নীলা ওড়না আজ অভিমানে কাদা ছেটা..

তাই সেদিনের কথা দিয়েও ভুলে গেছ-
আমার হৃদয়ের বিচড়নে ছিল তোমার নিল আকাশ ছুঁই ছুঁই..
সেদিন-ও ডানা মেলে উড়ে আসতে গভীর চুম্বনে,
সেদিন-ও ভেজা শরীর কেপেছিল থরথর আমার ছোঁয়ায়..
মনে পড়ে না দিনগুলো বৃস্টি ভেজা?

রাস্তার ব্যবধান পেড়িয়ে এসো হীন ভাবে..
কঠিন বিদায় জানাও অবশেষ আক্ষেপ না রেখে..
চাপা দিয়ে দাও ছাই আমার হৃদয় চিতা জ্বলন্তে,
সুন্দর মুহূর্ত গুলো মুছে দাও তোমার হাত দিয়ে,

ভাঙ্গা কাঁচের চুড়ি গেঁথে দাও মনের চোখে শেষ বিদায়ে-
কেঁদে উঠুক রক্ত ঝরিয়ে আপ্রান ভয়ার্ত,
যাতে দেখতে না পাই আমার অধিকারের বাইরে তোমার স্বপ্ন,
যাতে অদৃশ্য হয়ে যায় পলকে তোমার ডাক-হাতছানি,
যাতে পঙ্গু হয়ে যায় আশার সঞ্চার আহত হৃদয় থেকে..
যাতে আবছা হয়ে যায় ঝাপটা বৃস্টির মধ্যেও তোমার ছায়া ক্রমশ,
যাতে আর না পাই দেখতে- সাঁজী,
অন্যের বাহুতে তোমায়.....

ভিজে যাচ্ছ সাঁজী,
তোমার সর্বাঙ্গ ধুয়ে যাচ্ছে আমার সত্তা...
শুধু বহতা বাতাস গন্ধ এনেছে মাতাল করা.. |

=============================================

~~তুমি এলে~~


 
আমার হৃদয় সুবাসে তোমার অজস্র চিত্রকলা,করিওগ্রাফি করা হয় নি
না ..করার দরকার হয় নি...
তারা নিজেরাই নিজস্ব অভিমানে প্রহর সাজিয়ে বসে আছে নিজস্ব রূপকলায়
বাতাস প্রহরে রাখিনি যদি কিছু হৃদয় আভাষ এসে পরে অজান্তে মনের দুর্বলতায়
ভয়....
পাছে বাতাস আরো কিছু অন্যায় ফিসফিসে সাজিয়ে দেয় তোমার বিতান বিভাসে !

আমি ঢাকা দেয়া বিষন্ন রুমাল মুখে মেখে ঘুমিয়েছি সারা রাত সাজানো ডাইনিং টবিলে....
সরাইখানার সুন্দরী বিতশোককে পাঠিয়ে দিয়েছি তার ঘরে
কি জানি, চিত্রকলায় আবার কোন অসঙ্গ তুলির টান লাগে
যদি পিয়ানোর সুর থেকে বেড়িয়ে পড়ে নোংরা ইন্দুর
সুন্দর জীবন এখন সাজানো অস্তিত্ব আর বিহঙ্গ কৌতুক
কাঁপা কাঁপা ঢেউ বুকে নিজস্ব বিন্যাসে রাখে তোমার বিতানে অজস্র বয়ান !

সন্ধা হলো ..
অন্ধকারের ভেতরে আরও এক ঝাঁক অন্ধকার ঘনিয়ে এলো
কি এক সুন্দর অনুবাসে তুমি এলে !
তুমি এলে.....অফুরান আলোয় যেন ঘর উদ্ভাসিত হলো
তুমি এলে..... উচ্ছ স্বরে ডেকে উঠলো ঘরের দেয়াল
তুমি এলে....স্বরূপের কথা ভেসে বেড়াল সারা ঘরে উত্তপ্ত মোহময়
তুমি এলে....হৃদয় নিংড়ে কিছু খেদ ঝরে গেল বিসন্ন রুমাল থেকে কার্পেটে
তুমি এলে.....দেখা গেল জানালার ওপাশে উঁকি দিলো চাঁদ নিজস্ব চাঁদনিতে
তুমি এলে...চাঁদের সকাশে জ্যোত্স্না হেসে বলে গেল..
বাহ ...কি সুন্দর সাজানো হৃদয় বিতান সমস্ত কিছু রাখা আছে যেমন
উপন্যাসের সাজে একে একে পাতায় পাতায়
তুমি এলে....সমস্ত ঘরে যেন প্রেম উছলে উঠে জানিয়ে দিলো বৃষ্টি সুবাস
থর থর কাঁপা ঠোঁট ...নি:ব্যক্ত মনের ওষ্ঠ থেকে
ঝরে গেল অসংখ্য উষ্ণ টিপ বাঁধা জল !
রাত আরও ঘন হলে.... . তুমি চলে গেলে
আমি আঁকি মগ্ন উল্লাসে না পাওয়া ছবির বিতান
ভেসে গেল সাত রং ধুসরের হাত ধরে কুয়াশা উঠোনে !!
==========================================


হঠাৎ কেন মেঘের চাঁদর ঢেকেছ লজ্জার রক্তিম হয়ে,
সরাও লজ্জার আবরণ আমি দেখি তোমার অবয়ব দু-চোখ ভরে,
রূপলি জ্যোৎস্নার আঁচল ঢেকে রাখো নিটোল বুক,
আমি আঁকতে চায় গলন্ত চাঁদ তোমার প্রতিরূপ ,
বাক্স বন্দি তুলির রং আজো আধরা বিক্ষিপ্ত চিত্রপট
উন্মাদ করা রূপ এনো তোমার, সঙ্গে এনো অহংকার,
তোমার রাগী মুখে আরো ফুটুক স্নিগ্ধ দিপ্তি তোমার,
শিল্পীর তুলি হৃদয় জাগিয়ে তোলো কামুক প্রেমের বন্যায়,
শুষে নি তোমার একান্ত প্রেম আমার শিল্প ছোঁয়া দিয়ে,
বহির্জগৎ দেখুক আমার চাঁদ কতটা মায়াবিনী রে..... |
============================================

~~পুঞ্জিকা ~~ 



তোমরা দিন পুঞ্জিকার পাতা দেখে 
বেধে দিয়েছিলে 
আমার জীবনের খেলা ঘর । 
আর সেদিন থেকে হারালাম
আমি জীবনের মানে ।
পুঞ্জিকার পাতায় বাড়ল দিন , বছর ।
আমি রইলাম পরে
তোমাদের বেঁধে দেওয়া
দিনের গাঁথুনি মালায় ।
আমি যুক্তকরতে পারলাম না
নিজেকে নতুন পুঞ্জিকার পাতায় ।
মেঘ ভেসে বৃষ্টি ঝরায় ,
পাহাড় ক্ষয়ে আগুন জ্বলে ,
নদীর বুকে পলি পড়ে ভরাট হয় বলে ,
নদী কেটে টলটলে পানির স্রোত বারায় ,
শুধু বারে না,
পুঞ্জিকার পাতায় বেঁধে দেওয়া
দিনের বৈরতা ।।
==========================================

 
~~তুমি~~ 
 

তুমি বল্লে চৈত্রের রং ভালবাসার প্রতীক
আমি তো জানি বসন্তে... বস্তুত মানসী এলে
পরজের মীর দেখে তোমার মহিমা মি আধুনিক তাই বর্ষা হেমন্ত বসন্ত
দিক জানে দিকদর্শনে সময়ের তাল...
ধরে রাখার মতো সময় ভুলে
তোমাতে বাজে খাম্বাজ ললিত তরঙ্গ!! 

=======================================


No comments:

Post a Comment