~~চুপ কর~~
অনেক তো হল, এবার ক্ষ্যামা দেয় না !
এবার একটু থাম, আর পারছি না ।
কি শুরু করেছিস তোরা
সবকিছুতেই হামবড়া
আমরা কি আর গাধা-ঘোড়া ?
বল, পেয়েছিস কি তোরা ?
দেশটা কি তোদের বাবার কেনা,
আমরা কি সব খোকনসোনা,
যা ইচ্ছা তাই করবি,
যেমন তেমন বুঝিয়ে যাবি,
তোদের মতে মাথা নাড়ব,
তোদের না'তে না দোলাব,
এই কি ভেবেছিস তোরা ?
অবোধ-অবুঝ মূর্খ মোরা ?
ওরে, নষ্টের দল ওরে অভাগা,
বিবেকটারে এবার জাগা ;
আর কত সত্যি লুকিয়ে,
চামচামির সীমারেখা ছাড়িয়ে,
দলকানা হয়ে থাকবি ?
মিথ্যার জোরে গলা ফাটাবি ?
চুপ কর হারামজাদা,
ভীরু,কাপুরুষ,হতচ্ছাড়া-গাধা ।
অনেক তো বলেছিস, আমরা শুনেছি
তোর ভ্যাজর-ভ্যাজরে রাগে কেঁপেছি,
আর কত নীচে নামবি, -ওরে
কতকাল সত্যি, রাখবি বগলকরে ।
ইচ্ছে যত ইচ্ছে মত
ইনিয়ে-বিনিয়ে বললি কত,
সত্যি পেঁচিয়ে মিথ্যা ঘুরিয়ে,
রেগে-হেসে আপনাকে বাঁচিয়ে,
বলে চলেছিস প্রতারক-ভন্ডের দল,
এবার চুপ কর, লক্ষীছাড়া-চাটার দল ।
ভাগাড়ে গিয়ে মরগে তোরা,
শকুনও সেথায় দেবে না পারা,
অন্ধ তোরা, বধির তোরা, তোরা সুবিধাবাদী ।
তোরা নাকি সুশীল, সুজন ; আরও কি বুদ্ধিজীবি !
গোঁয়ারের মত গোঁয়ার্তুমিতে সিদ্ধহস্ত হয়ে,
অপরের কথা, অন্যের ব্যাথা কানে না নিয়ে,
আপনবুঝে আপন মতে আছিস তোরা
ভাবটা যেন, -তোরাই জানিস, তোরাই বুঝিস, তোরাই সেরা ।
তোদের এই প্যাচাল আর সহ্য হয় না !
তোদের এই বিবাদ-অভদ্র অপলাপ যন্ত্রনা,
আর যে নিতে পারছি না ।
ওরে চুপ কর ; থাম এবার, ক্ষ্যামা দেয় না !
===========================================
~~নির্বোধ প্রেমিক~~
প্রতিক্ষারত যুবক আমি
সদ্য প্রেমে পড়া নির্বোধ প্রেমিক।
চিন্তাকোষে অভাবনীয় ভালোবাসার উপচে পড়া ঢেউ।
প্রথম গর্ভবতী নারীর মতো গর্ভিত শব্দকোষ।
নবজন্মের প্রতিশ্রুতি
বাহুবগলে আগলে রাখে স্বপ্নমুখ।
মিছিলের ভিড়ে অগ্রগামী যুবকের মতো
উন্মাদনা সম্মুখে।
বিশুদ্ধ কল্পনা বিভোর দুপুরে,
চির হরিতের মেলায় মুখখানি তুলে ধরে বধির মুখ।
দৃষ্টির সীমান্তে অসীম সংকেত
নির্বিঘ্নে প্রহর বুনে বীজ।
অগোছালো কবিতার বর্ণমালাই তোমার বর্ণনা।
রোদ্দুর বিহীন রাতে ভবঘুরে মন
লোকালয়য় ছেড়ে স্বপ্ন খুঁজে তোমার অরণ্যে।
সীমাহীন ভালোবাসা খুঁজে, নির্বোধ প্রেমিক
স্পর্শকাতর তোমার আকাশের নিচে
প্রতীক্ষারত যুবক আমি।।
==========================================
~~আনন্দ আর অরু~~
-অরু তুমি চলে যাবে?
-হ্যাঁ
-তুমি থাকবেনা আর আমার সাথে;
-অরু তুমি চলে যাবে?
-হ্যাঁ
-তুমি থাকবেনা আর আমার সাথে;
এ বন্ধন ছিড়তে কষ্ট লাগছে না।
-নাহ্
-অরু একটুও কষ্ট লাগছে না;
-নাহ্
-অরু একটুও কষ্ট লাগছে না;
এতো নিষ্ঠুর কেন তুমি; কাদাঁতে আমায় ভালো লাগে তোমার?
-না ,তবে আমি মিথ্যে ভালবাসতে জানিনা ;
-না ,তবে আমি মিথ্যে ভালবাসতে জানিনা ;
বিশ্বাসহীন আবেগের তরীতে ভেসে জীবন কাটবে না আমার;
আমি মিথ্যেকে কাছে টানতে জানিনা।
-অরু হৃদয়ের শ্লেটে ভালবাসি লিখে;
-অরু হৃদয়ের শ্লেটে ভালবাসি লিখে;
আজ মুছে ফেলতে কষ্ট লাগছে না।
-না; আমি আর ভালবাসতে পারবনা;
-না; আমি আর ভালবাসতে পারবনা;
তুমি দুই হৃদয়ের বিশ্বাস স্তম্ভটা ভেঙ্গেছো;
জোড়া দেবার ব্যার্থ চেষ্টা করোনো আর।
-অরু; তবে কি ভেবো নেবো ,তুমি সত্যিই ভালবাসনি;
-অরু; তবে কি ভেবো নেবো ,তুমি সত্যিই ভালবাসনি;
নাকি অভিনয় করতে এসে ধরা পড়ে গেছো? নাকি একটু মায়া জন্মেছিলো চোখে,
তাই বলেছিলে ভালবাসি;
অথচ দেখো কতবার তোমাকে ভালবাসি বলে তোমার পিছু নিয়েছি;
এক পলক দেখবো বলে সকাল থেকে ঠায় দাড়িয়ে ছিলেম তোমাদের সদর দরজায়;
তখন তো তুমি ফিরেও তাকাতে না।
অরু আজ বুঝতে পারছি কিছু কিছু ছেলেরা বড্ড বোকা হয়;
অরু আজ বুঝতে পারছি কিছু কিছু ছেলেরা বড্ড বোকা হয়;
ভালবাসার কাবাব খেতে গিয়ে কখনো কখনো মুখটাই পুরিয়ে ফেলে।
-আনন্দ; মেয়েরা বুঝি বেশ চালাক হয় তাই না;
রুপের মোহে পড়ে তোমরা যখন ভালবাসা নামক একটা আয়না নিয়ে এসে সামনে দাড়াও ভিক্ষে চাও;
-আনন্দ; মেয়েরা বুঝি বেশ চালাক হয় তাই না;
রুপের মোহে পড়ে তোমরা যখন ভালবাসা নামক একটা আয়না নিয়ে এসে সামনে দাড়াও ভিক্ষে চাও;
তখন আমরা না দিয়ে পারিনা ;
যখন নারীকে নাগিনি ভেবেও জড়াতে চাও;
তখনও ঘৃণা করতে পারিনা;
ভালবাসার কাবাব খেয়ে তোমাদের তো শুধু মুখটা পোড়ে ,
আর আমাদের হৃদপিন্ডটাও পোড়ে ছাই হয়ে যায়;
দেখাতে পারিনা !
ভালবাসার আয়নাটা একবার নিজের দিকে ফিরিয়ে দেখো তো,
ভালবাসার আয়নাটা একবার নিজের দিকে ফিরিয়ে দেখো তো,
নিজের চোখেই ভালবাসার বিশ্বাসটুকু তোমার ভেতর খুজে পাও, কি’না।
-আনন্দ নিজের মনটাকে আকাশ ভেবে ভালবাসার ছোট্ট একটা ঘুড়ি চেয়েছিলে তুমি;
-আনন্দ নিজের মনটাকে আকাশ ভেবে ভালবাসার ছোট্ট একটা ঘুড়ি চেয়েছিলে তুমি;
আমি তাই ঘুড়ি হয়ে উড়েছিলাম তোমার মনের আকাশটায়,
কিন্তু অবিশ্বাসের জোর বাতাসে হৃদয় নাটাই থেকে সুতো ছিড়ে গেছে এখন আর ঠেকাতে পারবেনা আমায় আমি দুরে কোথাও হারাবো।
-অরু আমি বুনো পালকের খুঁজে নামিনি এ ধরায়;
-অরু আমি বুনো পালকের খুঁজে নামিনি এ ধরায়;
হৃদয়ের ছোট্ট খাজে তোমাকে রাখতে চেয়েছিলাম;
কিন্তু যেখানে অবিশ্বাসের ঢেউ এ ভেঙ্গে যাচ্ছে হৃদয়ের কুল;
সেখানে ভালবাসার বাঁধ দিয়ে কি আর হবে? যাও চলে;
আর ফেরাবো না তোমায়।
-আনন্দ যদি সত্যিই কখনো ভালবাসা চাও,
বিশ্বাসের ঘন্টাটা গলায় বেঁধে নিও;
ভূলে যাবার ফুরসত পাবেনা;
নাড়া পড়তেই মনে হবে বারবার;
কেননা বিশ্বাস ছাড়া ভালোবাসায় ভয় থাকে হারাবার....
কেননা বিশ্বাস ছাড়া ভালোবাসায় ভয় থাকে হারাবার....
==============================================
~~মেঘবালিকা~~
মেঘবালিকা তোমার
প্রতিক্ষায়
কাটে প্রতিটি প্রহর,
বেয়ে অশ্রু
নামে,উরাই
চিঠি নীল
খামে,তবুও
আমি হতাশ
নই,জানি তুমি আসবে ফিরে একদিন,
তোমার জন্য আমার
এ ভালবাসা চিরদিন
রবে অমলিন|
========================================
~~ঐ মুখ~~
আন্তর্জালের কোন এক গোপন পাতায়
লুকিয়ে রেখেছি তোমার ঐ মুখ।
যাদুর বাক্সের গায়ে ঠিকানা লিখে
অবাধে পৌঁছে যাওয়া সেই পাতায় দেখি -
অপলক তাকিয়ে থাকা ঐ মুখ
নির্বাক ভাষাহীন ঐ মুখ
থুতনির মাঝে খাঁজ কাটা ঐ মুখ।
বিরতিহীন দহনে নিক্ষিপ্ত
আমার প্রস্ফুটিত ঘরবাড়ি
প্রার্থনার ফরাশ
আয়নার মত মেঝে
প্রতিদিন...
আন্তর্জালের কোন এক গোপন পাতায়
লুকিয়ে রেখেছি তোমার ঐ মুখ।
যাদুর বাক্সের গায়ে ঠিকানা লিখে
অবাধে ঘুরে বেড়ান সেই পাতায় দেখি -
হৃদয়ে কাঁপন ধরান ঐ মুখ
মায়া ভরা বড্ড আনমনা ঐ মুখ
অস্তিত্বের শেকড়ে টান দেয়া ঐ মুখ।
বিরতিহীন বর্ষণে নিমজ্জিত
আমার প্রস্ফুটিত ঘরবাড়ি
প্রার্থনার ফরাশ
আয়নার মত মেঝে
প্রতিদিন...
========================================
~~কি নিষ্ঠুর!~~
এরকম কখনো দেখিনি-
কি নিষ্ঠুর, হৃদয়হীন!
শুধুমাত্র সূর্যের ভুল অবস্থানের কারণে প্রতিটি সকাল আমার
মধ্যরাত হয়ে যায়, প্রতিটি দুপুর হয়ে উঠে একেকটি বিষন্ন সন্ধ্যা;
তবু আমি কখনই ব্যথিত নই এইসব কারণে-
আমার কোন গোপন দুঃখ নেই, প্রকাশ্য সুখ নেই
আমার কোন গোপন সুখ নেই, প্রকাশ্য দুঃখ নেই
ওরা কেমন যেন, ভাসে ডোবে, ডোবে ভাসে-
ডোবে ভাসে
ভাসে ডোবে...
বড় ভুল হয়ে যায়, বড্ড ভুলে যাই আজকাল- ভুলে গিয়ে-
মাথার উপরে সূর্য নিয়ে আমি সন্ধ্যা উদযাপন করি;
শুধুমাত্র সূর্যের ভুল অবস্থানে এই রাত জাগা হলো খুব...
(যা কিনা আমার নিজস্ব সকাল!)
এরকম কোথাও কখনো দেখিনি-
কি নিষ্ঠুর, হৃদয়হীন!
=========================================
~~থার্ড পার্সন~~
তুমি আমি সে
সে তুমি আমি
আমি সে তুমি
তুমি সে আমি
আমি তুমি সে
সে আমি তুমি
মহুয়া, সে কেন আসে
তোমার আমার মাঝে
মহুয়া, নির্ণয় না জানি
সম্পর্ক কি এমনি ...!?
===========================================
~~অমলিন শৈশব~~
আগেই ছিলাম ভালো
রাজা-রানি, রাক্ষসের গল্প
আর মা কপালে চুমু একে
ঘুম পাড়ানোর দিন।
বৃষ্টি ভেজা দিনে কাঁদা মাখামাখি
বালি দিয়ে রাজ্য বানিয়ে
তোমায় রানি করে
আমি হতাম রাজা।
কাক ডাকা ভোরে ঘর ছেড়ে
শিউলি ফুল কুড়ানো
আম, বরই গাছে ঢিল ছুড়াছুড়ি।
ভর দুপুরে মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে
ঘুড়ি উড়িয়ে নাটাই হাতে
আকাশের নীলে, মিশে যেত যত খুশি।
গোল্লাছুট, দাড়িয়াবান্ধা আর হইহুল্লর
সবই লাগতো ভালো।
নিয়ম ভাঙ্গা যায়নি
বদলেছে সময়, বড় হয়েছে মন
নীল চশমা চোখে যান্ত্রিক জীবন
প্রেম ভালোবাসা মোবাইল নিয়ন্ত্রনে
রাত্রির মায়া!
ফেলে আসা দিন অতিত হয়েছে
যোগ হয়েছে নতুন নতুন চাওয়া-পাওয়া
তবু মন বলে
আগেই ছিলাম ভালো
==============================================
~~সাভার আহা সাভার~~
গতকাল একটা ভালবাসার কবিতার
অর্ধেকটা লিখে রেখেছিলাম
আজ শেষ করব বলে পাতা খুলতেই
আমার মগজ পরিপূর্ণ হয়ে গেল রক্তে
বিজি বিজি বিজি বিজি বিজি বিজি শব্দে
বিক্ষত মন আমার অস্থির
সাভার আহা সাভার
মৃত্যু উপত্যকা এক ভয়াল জনপদ,
আমি কাটতে কাটতে কাটতে কাটতে
ভালবাসার আধা কবিতাটা কালো দাগে কেটে
কুটি কুটি করে আঁধার কালো করে ফেললাম
আমার প্রিয় কবিতার খাতা,
এই কালোই আমার শোকের ভাষা
এই কালোই আমার প্রতিবাদ,
কেননা আমি বিবিসি অথবা অন্য কোন খানে
দায়িত্ব বিবর্জিত ভাষা ব্যাবহার করতে চাই না,
সালাম হে বাংলার বীর মহাবীর গণ
এই বাংলাকে যারা রেখেছ সচল
পুড়ে জ্বলে চাপা পরে জীবনের বিনিময়ে
তোমাদের জন্য কালো আজ
পৃথিবীর তাবত কবির কবিতার খাতা ।
============================================
~~বিবেকের আকুতি~~
বিচ্ছু হা বিচ্ছু শাড়ির ভাঁজে
নিমিষেই হালকা নগ্ন দেহ,
টাই পরা ভদ্র মহোদয়ের
এক হাত জিব সামনে ঝুঁকে আসে।
সামলিয়ে নেয়, ডান-বাম দেয় ছুট
দৃষ্টির সেন্সর দুরহ বইকি, প্রয়োজন মুচকি হাসি।
এতো সস্তা জীবনের দাম
কখনও ভাবেনি বিবেক,
কে বা কারা ফেলে যায় লাশ
ছিঁড়ে-বিড়ে খায় শকুনের দল।
ধ্বসে পড়ে অট্টালিকা
ঝড়ে যায় শত মানুষের প্রাণ।
ক্ষত শুকিয়ে যায়, তবুও মেলে না ক্ষতিপূরণ।
প্রহসনের বিচারের ফাঁক গলে
বেজন্মারা মুখ টিপে হাসে।
বিবেকের ঘরে পোকামাকড়ের বসতি
কুঁড়ে কুঁড়ে খায় জন্ম থেকে মৃত্যু অবদি।
কুসংস্কারের বাতাসে দুর্গন্ধ
নাক চেপে আর কত দূর?
এইতো সে দিন বললে আমাদের-
সব ঠিক হয়ে যাবে।
কোথায়?
তোমাদের আশ্বাসের মাঝে নেই বিশ্বাস।
নিষ্পেষিত মানুষের জীবন সংগ্রামে
মিশে থাকা দাবী নিয়ে এসেছি,
হে সমাজ বিধাতা,
লক্ষ্য প্রানের আকুতি
সংস্কার সময়ের দাবী।।
==========================================
~~নেতারা সব করছে বড়াই~~
নেতারা সব করছে বড়াই,
জ্বলছে উনুন, জ্বলছে কড়াই;
জনগনকে কেয়ার, থোড়াই l
চলছে এখন দেশে মোদের,
চোর ডাকাতের শেষ লড়াই l
সাহস কার, থামায় তাদের;
করেনা তারা কারো পরাই l
যাকে খুশি তাকে জড়াই,
পাবলিককে পিষে মাড়াই;
কেউ নাইকো ওদের হারাই l
দেশের মানুষ ছিল ভালই,
চোর ডাকাত নেতা ছাড়াই l
নেতারা সব করছে বড়াই;
আমিই সেরা, তুই'ত ন্যাড়াই l
নেতারা সব করছে বড়াই,
জ্বলছে উনুন, জ্বলছে কড়াই;
জনগনকে কেয়ার, থোড়াই l
চলছে এখন দেশে মোদের,
চোর ডাকাতের শেষ লড়াই l
সাহস কার, থামায় তাদের;
করেনা তারা কারো পরাই l
যাকে খুশি তাকে জড়াই,
পাবলিককে পিষে মাড়াই;
কেউ নাইকো ওদের হারাই l
দেশের মানুষ ছিল ভালই,
চোর ডাকাত নেতা ছাড়াই l
নেতারা সব করছে বড়াই;
আমিই সেরা, তুই'ত ন্যাড়াই l
============================================
~~অপেক্ষা~~
কয়েকটা জায়গায় তোমাকে নিয়ে যাবার কথা ছিল
তুমি তার চেয়েও সুন্দর প্রলোভনে আমাকে ছেড়ে গেছো
কয়েকটা জায়গায় তোমার সাথে যাবার কথা ছিল
আমি সেই প্রলোভনে এখনও অপেক্ষায় প্রস্তুত হয়ে থাকি।
একবার বিচ্ছিন্ন হবার পর আবার কি হবে দেখা, অদেখা-
যেসব জায়গায় তোমাকে নিয়ে যাবার কথা ছিল অথবা
যেসব জায়গায় তোমার সাথে যাবার কথা ছিল আমার ।
==============================================
~~আমিতো বেঁচে মরে আছি~~
কেউ আছে,প্রান পাবে বলে,
কেউ,এমনি পারেনা যেতে চলে,
কেউবা আছে,অতৃপ্ত কামনাকে তৃপ্ত করার ছলে।
আমিতো বেঁচে মরে আছি,
তাই হয়তো এতো কাছাকাছি,
ওদের দেখেছি,অনুভব করেছি।
কারো প্রতি মায়া হয়,
কাওকেবা ভয়,
রাতভোর চিৎকার,আমার ঘরময়।
কারন,
কারন,আমার বিছানার কাছে,
অসংখ্য মৃতদেহ পড়ে আছে।
===========================================
~~মুঠো ভরা ছায়া~~
চায়ের কাপে শেষ চুমুক
ক্লান্ত বিকেল,
সোডিয়ামের আলোয়
শহরের পথে রাত্রি নামে।
গলির শেষ মাথায়, পিছু মুড়ে ছায়া।
“মালা নেবেন মালা
বেলি ফুলের মালা”
মাত্র দু’টাকা বলে পিছুটানে এগিয়ে যায়।
প্রতি পদক্ষেপে সাবধানতার চেষ্টা
অচেনা মুখ, মিশ্রিত ভয়ের ছাপ
কাঁধে কাঁধ রেখে আঁধারে মিলিয়ে যায়।
ডাস্টবিনের পাশে দুটি কুকুর সাহসী ভঙ্গিতে,
নিরাপত্তাহীন যুবতীর কোলে নিষ্পাপ শিশু
নিশ্বাসের শব্দ উদাসী সময়ের সাথে মিশে।
কতটা পথ হেঁটেছে সময়
একটুকরো সুখের আশায়।
রাতের শেষার্ধের মধ্যভাগের শেষ ভাগ
পিছু মুড়ে ছায়া
হায় মরীচিকা !
=========================================
~~আঙিনায় অনাহূত তুষার~~
বিদায় তোমায় জানিয়েছি সেই কবে,
আজ আবার ফিরে আসলে কেন তবে !
যখন খুশি, তখন হাসি এই আঙিনায় আসব
মেঘের সাথে তুষার হয়ে মনের সুখে ভাসবো।
মিছে তুমি কেন আমায়, শুদু করছ নিবারণ
সকাল বিকাল আসব আমি জানাবনা কারণ।
অনাহূত, তুমি আর নওকো আমার অতিথি
আসলে তোমার মানতে হবে এ বাড়ির রীতি !
আমি তোমার অতিথি কে বললে, কে বললে তোমায়
নিজেই তুমি আবাস করে, আছ বসে আমার আঙিনায়।
এইত তুমি আসলে সবে, করলে আবাস কেটে বনের গাছ
আমি আছি সেইতো কবে, গুনলে হবে লক্ষ কোটি মাস।
===============================================
~~একটি সভার কার্যবিবরণী~~
মাসিক সভায় সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন, মন দিয়ে শুনুন
কেউ কথা বলবেন না প্লিজ, কারও কথা বলার প্রয়োজন হলে হাত তুলবেন
আমি তার কথা শুনব, মিটিং এর একটা নিয়ম আছে কি বলেন সবাই -- ।
রফিক সাহেব, আপনাকে কাল সিলেট যেতে হবে
ওখানকার ম্যানেজার সাহেব ইদানীং ভুলভাল রিপোর্ট পাঠাচ্ছে
কেন এমন হচ্ছে সরেজমিনে গিয়ে একটু চেক করতে হবে,
আর হ্যাঁ মাহবুব সাহেব, কি হয়েছে আপনার
মুভমেন্ট রেজিস্টারে বাহিরে গমনাগমন বেশী দেখা যাচ্ছে ইদানীং
অফিসের বাইরে অ্যাডমিনের এতো কাজ কি আমি বুঝিনা-
বাক্তিগত কাজ কর্ম অফিসে এসে করবেন না প্লিজ ।
অফিসের খরচ সবাইকেই কমাতে হবে, বিশেষ করে চা কফি ফটোকপি
এই বিশ্বমন্দার দিনে বেতন তো আর কমাতে বলছি না,
আর ছুটি ছাটা লেট অ্যাটেনডেন্স এর দিকে খেয়াল রাখবেন
হরতাল হচ্ছে বলে যে সবাইকে দেরি করে অফিসে আসতে হবে এমন তো কথা নেই।
ওয়াহেদ সাহেব, সেল টার্গেট ঠিক আছে, তার পরও চেষ্টা করবেন আরও একটু যদি বাড়ানো যায়, মার্কেটিং এর জন্য খরচ পত্র তো আর কম করছে না কোম্পানি।
জলিল সাহেব, ব্যাংককে ক্রেডিট মার্জিন বাড়াতে বলুন, ম্যানেজার কিছু চাইলে দিন
আর এ বছর এতো ট্যাক্স কেন-লাভ না দেখিয়ে লোকসান দেখাতে পারেন না ,
ট্যাক্স অ্যাডভাইজর ব্যাটা কি করছে, সিএ ফার্ম কে বলবেন কায়দা করে রিপোর্ট বানাতে।
ফ্যাক্টরিতে এতো ঝামেলা কেন, কর্মীদেরকে টাইট দিয়ে রাখতে পারেন না-এই যে
ফ্যাক্টরি ম্যানেজার সফিক সাহেবকে বলছি, কর্মীদের ইউনিয়ন ফিউনিওন আমার এখানে চলবেনা বলে দিচ্ছি । মিস মিলি, খোঁজ নাও তো ফরেন ডেলিগেট কবে আসছে
ওদের জন্য শেরাটনে রুম বুক কর, আর ঠিক মত দেখভাল কর তাদের,
মানে বুঝতেই পারছ -কাজ কর্ম যেন ছুটে না যায় আবার,
আর তোমাকে না বলেছি মিনিস্টার সাহেব যা চান সব ঠিক ঠাক মত দিতে
আনলিমিটেড অথরিটি আর যা যা লাগবে তুমি তো সব জানই
তার পরও কেন তার পিএ সময়ে অসময়ে ফোন করে- যত্তসব ।
ফিশ ফিশ করে কথা বলবেন না কেউ, হ্যাঁ কি হয়েছে, ফ্যাক্টরি তে গণ্ডগোল-
পুলিশকে ফোন কর, মাসকাবারি দেয়া হচ্ছেনা তাদের---
উফ এসি বাড়িয়ে দাও, গরম লাগছে কেন এতো !?
সবাইকে মানে এখানে যারা উপস্থিত সবাইকে এ বছর দুইটা ইঙ্ক্রিমেন্ট দেয়া হবে
কথাটা যেন বাহিরে না যায়, সবার জন্য তো আর দানছত্র খুলে বসে নাই কোম্পানি ।
খরচা পাতি বাদ দিয়ে মোটামুটি ভালই লাভ হয়েছে এ বছর
এই ধারা অব্যাহত থাকুক আগামী দিনে, মনে রাখবেন
আপনাদের আন্তরিক পরিশ্রমেই কোম্পানি দিন দিন এগিয়ে যাবে।
সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভা এখানেই শেষ করছি, আবার দেখা হবে।
===============================================================
No comments:
Post a Comment