Monday 5 August 2013

~~স্বপ্নভ্রষ্ট~~


 
ঝরে যায় স্বপ্নে্রা হেমন্তের শিশিরের মতো টুপটা্প,
পড়ে রয় শুধু তার রেশ,
পড়ে থাকে কষ্ট, বেদনা নীল জোছনায়,
পড়ে থাকে অবহেলা, অভিমান, যাপিত জীবনের মলিনতা।

তবু হায় স্বপ্নে্রা বাসা বাঁধে মগজে, মননে, প্রাণের গভী্রে,
হাসে তারা, কাঁদে, গায় গান মেঠো কোনো অচিন সুরে।
বাসা বাঁধে অন্তরে, ঠাঁই নেয় চোখের পাতায়।
আধো ঘুম আধো জাগরনে কথা কয় স্বপ্নে্রা,
হাটে, চলে, ফিরে নিরুদ্দেশ পথিকের মতো।

তারপর ঝরে যায় স্বপ্নে্রা পাতাঝরা দিনের মতো শী্তের দুপুরে,
শরশর শরশর হাওয়ায় ধুলিতে লুটায়, গড়াগড়ি খায়
চোখের সমুখে। নেচে চলে ত্রিতাল ভঙ্গীতে।
তারপর হারায় তারা ঝরে পড়া নক্ষত্রের মতো আকাশের বুকে।
হারিয়ে যায় স্বপ্নে্রা, হারায় অসী্মে,
কৃষ্ণবিবরের ঘনকালো দিকহী্ন সময়হী্ন নিঃসী্ম অন্ধকারে।।
================================================
ভালবাসার উঠোনে মেঘ জমেছে
আঁধারে ডুবেছে গগনের তারা,
মনের আকাশে অতিষ্ট ঝড় উঠেছে
দু'চোখে নেমেছে শ্রাবনধারা ﺍ
বালুকার বুকে চাষ করেছিলাম বলে
চৈত্রের উদ্দীপ্ত খড়া...................
তোমাকে ভীষণ ভালোবেসেছিলাম বলে
অকালে-আমাকে করেছ পাগলপারাﺍ
==============================================
~~আলো-অন্ধকার~~

 
বিমূঢ় স্তব্ধতায় ঢাকা জীবনে শ্যাও্লার প্রলেপ,
মনের গহী্নে জমে ওঠে সহস্র সাগরসম বিষাদ।
পাল তোলে কান্নামেশানো হু-হু পবনে ময়ূরপঙ্খী নাও।
বিপন্ন মেঘে ঢাকা পড়ে যায় নতুন দিনের সূ্র্য।

এরই মাঝে উকি দেয় অঙ্কুরিত নতুন আশার বী্জ।
আশা স্বপ্নে্র, আশা সুদিনের, আশা কাঙ্ক্ষিত যাপনের।
আশার ভেলায় ভাসিয়ে তরী তাই আজ ছুটে যাই
একরাশ অন্ধকার মাখা বিষাদের সমুদ্র থেকে
আলো্কোজ্জ্বল প্রভাতের এক নতুন ভুবনে।।
==========================================
~~ভালবাসতে চাই~~


যেখানে দুচোখ মেলে দেখা যায়
হিমেল বাতাস স্পর্শ করে দুটি চোখের পাতায়,
যেখানে মন শুধু যেতে চায় শত বাঁধা ভেঙে
শয়নে স্বপনে ছবি হয়ে ভাসে যে মুখটি।

এমন অনেক কথাই আজ চোখের জলে ঝর্ণা হয়ে বয়ে চলে
শতবার হাত জোড় করেও বোঝাতে পারনি যে,
আমি তোমায় ভালবাসি, তুমি বিশ্বাস কর
আমার ভালবাসার কোন ক্রটি নেই।

আজ হাসি দেখলে বা হাসির শব্দ শুনলেই বেজায় খারাপ লাগে
মনকে অনেক প্রশ্ন করি কেন আমি হাসতে পারি না ?
তাদের মতোই তো আমি একজন,
মন আমায় উত্তর জানায় আমার নাকি মন বলে কিছুই নেই,
যে অন্যকে ভালবাসতে পারে না সে কিভাবে হাসতে চায় ?
আমি মনকে জানালাম আমার বড় ভয় হয় হারানোর,
আমি যে হারাতে চাই বা হারানোর পরবর্তী মুহুর্ত
ক্ষণ সহ্য করার ক্ষমতা আমার নেই,
মন বলে–শুধু ভালবাসা নয় কিছু পেতে হলে তো
অবশ্যই কিছু দিতে হয়, ভোগে সুখ নয় ত্যাগেই সুখ।

কেন এমন কথা বললে তুমি
তাই হয়ত আজ এমনটি বলছো তুমি,
তাতেও আমি কিছু মনে করিনি
আমি ভাল করেই জানি আমার মন বলে কিছুই নেই,
তাই আজ আর কারও কাছ থেকে কিছু চাওয়া বা পাওয়া আশা করি না,
তবে ভালবাসতে চাই ঠিক আমার মতো একজনকে
যে পেয়ে হারাতে চায় না ঠিক আমার মতো।
===========================================

আনন্দের কথা শুনতে চাই, 
ভালবাসার কথা শুনতে চাই, 
আদরের কথা শুনতে চাই, 
আলোকিত মানুষ দেখতে চাই, 
তৃপ্ত মানুষের ছবি দেখতে চাই, 
দেশপ্রেমিক মানুষ দেখতে চাই ........
শুধু আশার কথা , 
শুধু ভালবাসার কথা, 
ছোট্ট জীবন,
 শেষ হয়ে আসছে,
 জীবন মানে শুধু আনন্দ আর হাসিগান।
==========================================
~~কে যায়~~

তোমার কাছে পাওয়া সূচিরসঞ্চিত কনকচাপাগুলো
কাকের পিঠে চ'ড়ে চ'লে যায় দূরে;
পাশের জলাধারে 
কালো-ভেজা পানকোড়া
শেষ ডুবে জানালো কি
অনে-ক সূর্য ডুবে গেছে
রাতের কালোশাড়ি
দিকের পরিধানে শামুকের শ্লথতায় উঠে আসে
নিশিথের তারাগুলো ক্রমাগত আসে
বিধাতার শরীরের ছোট ছোট ফুটো যেন তারা
আর এই নিশিথিনী
পৃথিবী ঘুমায়ে গেলে কাকতালে বাজে;-
নদী তার পাঁজরের ব্যাথা
তীরের ফলার মত রাতের গভীর গাঢ়তাকে চিরে
কূহকিনী কোন্ পাখি উড়ে যায়?

সারারাত ভাবনায় ঘুম আসেনাতো
রাতের কালো জুড়ে কে যায়! কে যায় !!
==========================================

~~কোনো এক নারীকে~~


 
প্রিয়তমা নারী, তো্মার নাকের নোলকে দুলে ওঠে আমার পরাণ,
যেমন দখিনা বাতাসে কেঁপে কেঁপে ওঠে সাধের ফুলবাগান।
তো্মার শাড়ীর আঁচলে বাঁধা পড়ে রয় আমার মনখানি,
বড় যতন করে যে দুঃখ দেবে সেকথাও আমি জানি।
তো্মার অধর যেন পক্কবিম্ব অমৃত মধু দিয়ে মাখা,
মৃ্নাল বাহু দুখানি তো্মার যেন কদম ফুলের শাখা।

এতো সুধা ভরা মুখখানি তো্মার হৃদয়ে দেয় যে দোলা,
শত চেষ্টায় বিনিদ্র রজনী্তে যা কভু যায়না ভো্লা।
তবু কেন তুমি বিলো্ল কটাক্ষে বুকেতে হানো বাজ,
তো্মারে না পেলে সব ভুলে যাবো নাওয়া-খাওয়া আর কাজ।
থমকে যাবে এ কালরজনী কোনো দিন হবে না প্রভাত,
ফিরেও দেখোনা তো্মার কথায় কে কতোখানি পেলো আঘাত।
বড় ভয় হয় তো্মারে না পেয়ে হবো যে পাগলপারা,
সেদিনই যেন খেলা শেষ হয়, হয় এ জীবন সারা।
=========================================
একদিন হয়তো ঘুম থেকে উঠে দেখবে 
অজানা অচেনা মানুষের ভীড় রাস্তার ধারে,
দলে সব করছে দুঃখ প্রকাশ তুমি হবে না হতাশ এই মুখখানি দেখে
আমি চাই না তোমার চোখের জল ঝড়ুক সামান্য এই মানুষটির জন্য
শুধু একটাই অনুরোধ, আমার কবর হয় যেন
তোমার বাড়ীর কোন এক আঙ্গীনায়, হোক সে ডোবা কিংবা নর্দমা
তবুও তোমার পাশে পাশে থাকতে চাই ছায়ার মতো।
=======================================
~~আপন ভালবাসা~~


জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে হাহাকার আর হাহাকার
যার কিছু নেই বা যার আছে অঢেল তারও আরও চাই
ভালবাসার এ কোন আকর্ষন, যা ফেরানোর নয়
সবাই ভালবাসা চায় হারাতে চায় না কিছু,
হয়ত সে কারণেই প্রতিটি মুহুর্ত ছায়ার মতো এখনো
কিংবা আলো আর আঁধারের মতো মিশে থাকতে চাই, তবুও
একটি পলকের জন্যেও আড়াল হতে নয়,
ভয় হয় হারানোর কথা মনে এলে কিংবা না পাওয়ার বেদনায়।

খুব বেশি মনে পড়ে হাতে হাত রেখে দৌড়ে বেড়ানো
পতুল খেলা কিংবা লুকোচুরি খেলা, কখন যে সময় গড়িয়ে সন্ধ্যা
নিঃষ্পাপ সে মায়া মমতা, ধীরে ধীরে পাশে থেকে বড় হওয়া
আজও তুমি বুঝলে না এই মনের যত সব অব্যক্ত বাসনা,
বেড়ে ওঠাটাই মনে হয় আমাদের ভুল, ধীরে ধীরে কাছের মানুষ গুলোকে
দূরে ঠেলে দেয়, তোমার মনে কি একটুও ক্ষত নেই?
যদি প্রতিবেশী কেউ অসুস্থ্য হয় তখন হয়তো প্রতিবেশী এগিয়ে আসে
তবে আজ আমার শেষ বেলাতে কেন তোমার দেখা পাই না?
নাকি আমার মতো তুমি অন্য কারও অপেক্ষায় বসে থাক?
বেশ তো, ভাল থেকো তুমি আমি কোন বাধা হয়ে দাড়াব না
আমার প্রতিটি রক্ত কণিকা শুধুই তোমার জন্য, তাই তোমার কোন
ভয় নেই, আমি ভালবাসি তোমায়।

ভালবাসলেই ভালবাসায় পাওয়া যায় না
তবে ভালবাসা কখনও শেষ হয় না, প্রকৃত ভালবাসার শেষ নেই
যতটুকু ভালবাসলে অন্যের ভালবাসা পাওয়া যায় ঠিক ততটুকুই তোমায়
সেই হাতে হাত রেখে, জড়িয়ে ধরলেও কোন বাঁধা ছিল না
তেমনি ভালবাসি আজও, জানি তুমি একদিন আসবে, ভালবাসবে
সেদিন হয়তো আমি নই আমার নিথর দেহটিকে একটু স্পর্শ করবে
সেই মুহুর্তের ভালবাসাটুকু তোমার নিকট থেকে চাই, তবুও চাই না
তোমার চোখের জল। ভাল থেকো তুমি আপন ভালবাসায়।
===========================================

~~এসব দেখি কাকের হাটবাজার~~

 

কাকে কাকে লেগে গেল হল্লা,
এক কাক বলে তোর কেটে নেব কল্লা।
আর কাক বলে তোর কেটৈ দেব ঠ্যাং,
ওই কাক বলে তোর ঠ্যাং-এ দেব ল্যাং।
এই কাক বলে এই শহরটা আমার-ই,
তুইতো বেমানান এখানে আনাড়ি।
ওই কাক বলে, ছিল শহরটা ময়লা,
করেছি সাফ এরে আমরাই পয়লা।
এই কাক বলে, আমি মগডালে বসব,
ওই কাক বলে আমি আঙ্গুলটা চূষব?

সে সময় কোথ্থেকে জ্ঞানী এক কাক,
এসে কয় দুজনেই মিলেমিশে থাক।
দুই কাক এক হয়ে রেগে কয়, 'মিল'?
তুই খাবি পাঁচ পাঁচ দশমনী কিল।
======================================

~~প্রতিবিম্ব ~~

ফুল কে ঘিরে নানান রকম পতঙ্গ দের আনাগোনা
ফুল থেকে যে,কে কি নেবে; এই না নিয়ে স্বপ্ন-বোনা
কেউ বা যে হয়, মন-মাতানো রঙের খেলায় আত্মহারা-
কেউ বা ‘মধু’, কেউবা যে ‘বিষ’,‘রেনু’-র খোঁজে সম্ভাবনা!!
=====================================
~~এসব দেখি কাকের হাটবাজার~~

 
কাকটাকে বললাম চিল,
আনন্দে উঠলো সে হেঁসে খিল খিল।
কাকটাকে বললাম কাক,
বিরক্ত হয়ে সে সিটকালো নাক।
বললাম তুমি দেখি
পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর পাখি,
বলল সে ঠিক কথা,
এত বেশি সুখ আমি কোনখানে রাখি।
বললাম পাখি তুই
পঁচা-মরা শহরের খাস ময়লা,
শুনে হোল মুখ চুন,
হাড়ির পাছায় যেন কালো কয়লা।
বললাম রুচিশীল তুই,
আহলাদে ডাক ভুলে করে কুঁই কুঁই।
কাকটা যাহা নয় তাই,
নিজ কানে শুনতে ভালোবাসে ভাই।
মাঝে মাঝে সে যে,
নাচে মিছে ময়ূরীও সেজে।
============================================

~~আশাহী্ন পথ চাওয়া~~

 
শূ্ন্য মনে বসে আছি তো্মার পথ চেয়ে,
কূ্লহী্ন কিনারাবিহী্ন ঝড়ের নদী্র নেয়ে।
কথা ছিলো আসবে তুমি প্রভাত কিরণে,
পথ চেয়ে দিন কাটাই আমি তো্মা বিহনে।
সকাল গেলো, সন্ধ্যা হলো, অস্ত গেলো রবি,
তুমি ছাড়া অষ্ট প্রহর দুখের প্রতিচ্ছবি।

তো্মার গানের বীনাখানি বাজলো না আর সুরে,
ঘর হলো যে পর আর মন রইলো পড়ে দূ্রে।
প্রভাত পাখি ডেকে বলে তো্মার আসার কথা,
কেমন করে কাটবে এ দিন প্রাণে ব্যাকুলতা।
বিফল হলো সকাল-দুপুর, বৃথাই কাটে সাঁঝ,
আশাহী্ন পথ চেয়ে থাকাই এখন আমার কাজ।

পথ চেয়েই থাকবো বসে নাইবা এলে তুমি,
তো্মার আসার পথ চেয়ে পথের ধুলা চুমি,
এমনি করেই জীবন না হয় কাটিয়ে দেবো আমি।।
===========================================

~~এই রৌদ্রে্র দিন~~

 
সাগর থেকে উঠে আসা নোনা হাওয়ায়
দুলে ওঠে মনের অন্দরমহল,
থরোথরো কম্পনে ঝরে পড়ে বিকশিত গো্লাপের পাপড়ি,
স্মৃতিতে কাঁপন ধরিয়ে দুলে দুলে ওড়ে মেলে দেয়া শাড়ীর আঁচল।

সবুজ ঘাসের বুকে ফুটে থাকে বর্ণিল ঘাসফুল,
দিনের নীলাকাশে টিপের মতো্ন ঝুলে থাকে চাঁদ,
সো্নাঝরা একরাশ রোদ্দুর খেলা করে এপিটাফের বিষন্ন সারিতে,
অশ্বের হ্রেষারব ভেঙ্গে খান খান করে দেয়
জমাট বাঁধা শুনশান নিস্তব্ধ নী্রবতা।
দৃষ্টিনন্দন দুটো প্রজাপতি হুটোপুটি উড়ে চলে।

আজকের এই আকাশ, মাঠ, ঘাসফুলের অনিন্দ্য শোভায়,
এই রৌদ্রের দিনে মনে হয়,
বেঁচে থাকি হাজার বছর
মায়াবতী পৃথিবী্র জঠরের ওমে।।
==========================================

~~শহরের প্রাণ নেই নেই~~


এ শহরে ভাষা নেই
বলো দেখি প্রতিবাদ, চেতনার সবটুকু
হয়তো অমোঘ কাক আর্তস্বর ফাটিতেছে গলা
কেমন ভুতের রোদ অদ্ভুত ঝলমলে
স্বপ্নের গান নাই
মৃতশব পড়ে আছে শীত
ভাষা নেই জানো হৃদ, এ শহর বোবা
কফিনের আর্তনাদ, কে শোনে কাহাদের চোখ?
কষ্ট নাই দুঃখ নাই স্রাবণের জল
জানো হৃদ এ শহর কেমন অচল?

কারফ্যুর ফেরি নাই মিছিলের ঝাঝ
আর্তনাদ ফালি হয় মিসরির কাচ
কেমন বোবার গান বুকে তুলে আশমান
পাথরের আর্তনাদ শহরের প্রাণ নেই নেই
জানো হৃদ, কৃষ্ণচুড়ার ফুল হতবাক নিস্প্রভ এ শহর বোবা
জানো হৃদ এ শহরে প্রাণ নেই নেই
==============================================

~~সঙ্গীহী্ন মুখরিত প্রাঙ্গনে~~

 
বাসন্তী উৎসবের রঙীন আনন্দে মাতো্য়ারা শহর,
উচ্ছল হাসিমুখর সুবেশী মানুষের ভীড়
উপচে পড়ছে ফেষ্টুন সজ্জিত প্রধান সড়কে।
বাবা-মায়ের হাত ধরে কিংবা বয়োজ্যেষ্ঠর কাঁধে
উতফুল্ল শিশুরা বাড়িয়ে দিচ্ছে উৎসবের প্রাণস্পন্দন।
বেলুন, ফুচকা, বাঁশী্র সমারোহে মুখরিত
উৎসব প্রাঙ্গন কেবলই তো্মার বিহনে স্তব্ধতায় মৌ্ন।
কো্লাহলের ফো্যারার মাঝে নিঃসঙ্গতায় ডুবে
তো্মার নিঃশ্বাসের অস্তিত্ত্ব অনুভবে প্রকটিত।

যেন একসাগর উত্তাল তরঙ্গমালায়
আমি এক সঙ্গীহী্ন অ্যালব্যাট্রস।
অযুত-নিযুত দূ্রত্বে উড়ে চলেছি
কোনো এক নিরালা দ্বীপে পর্বতচূড়ায় পাতার নীড়ে
পক্ষিশাবক আগলে রাখা সঙ্গীর সকাশে।
উড়ে চলেছি জীবনের খোঁজে নির্জন সাগরের
রাশি-রাশি বিস্তারে একাকী ডানা ঝাপটিয়ে।।
==========================================

~~ভালবাসা~~


ভুলের মাঝে যখন পেলাম তোমায়
ঠিক তখন সত্য গুলো সব মিথ্যে হল,
নাকি আগেই সত্য ছিল প্রতিটি মুহুর্ত ?
তবে কেন সব মিথ্যে মনে হয় ?
আমি মেনে নিতে পারছি না বর্তমান
তোমার আমার ভালবাসার স্মুতি গুলো আজ শুধুই কাঁদায়,
কেন আগের মতো এখন আর স্বপ্ন দেখি না
কোন নতুন আলোর ?

প্রথম সে হরিণী চাহনির মিষ্টি ঠোটের হাসি
দিন গড়িয়েই কুৎসিত সে চাহনি আর ঠোটের যত ছটপটানী
অচল করেছে এজীবন, আজ আমি প্রতিবন্ধী
আগের চেনা সকল পথ ঘাট অচেনা মনে হয়
চোখ থাকতেও বারবার হোচট খাই, খুঁজে বেড়াই
একটু সুখে ঠিকানা, আবেগের ভালবাসা কোন ভালবাসা নয়
অর্থ থাকলে ভালবাসা মধুর হয়, ভালবাসা আজ শুধুই প্রতারণাই করে।

কেন প্রতারণার মাঝে সুখ ঘুরে বেড়ায়?
নাকি ভালবাসা মানেই দুঃখ, কষ্ট আর প্রতারণার খেলা
যদি তাই হয় তবে আমার কোন দুঃখ নেই
ভালবাসার কষ্টে বিসর্জন দিতে চাই, পেতে চাই ভালবাসা
যতই ঝড় বাদল বয়ে যাক এজীবনে পিছু হটব না তার
ভালবাসা দিয়েই ভালবাসা করব জয়।
===========================================

~~কাব্য-কণা~~

'এক' সুরভী সকল ফুলে ভিন্ন ঘ্রাণে প্রকাশমান;
লক্ষ ফুলের লক্ষ ঘ্রাণ
উৎস যাদের একি স্থান
'ফুল'-এর মাঝে 'সুরভী' আর, 
সুরভীতেই ফুলের প্রাণ!!
==========================================
~~সুন্দরীদের পাত্র বাচাই~~


দেখতে খুব বেশি সুন্দর
এমন নয়,
হতে হবে আকর্ষনীয়
ওয়াও ! দারুন একজন
তেমনি চাই।

অতীত জীবন নিয়ে
মাথা ঘামাতে চাই না,
শুধুই আমার সকল চাওয়া পাওয়ার
দিতে হবে মূল্য এতোটুকুই চাই।

ভাল লাগা মন্দ লাগা
এমন কিছু যত অপূর্ণ,
আর কোন আপত্তি
অবশ্যই তার কাজকর্মে আশা করি না।

দুঃখ বা সুখের সাথী
জীবনে প্রত্যাশা করি,
এমন মন মানসিকতাকে
অবশ্যই সম্মান করি।

জাত বংশ এসব নিয়ে ভাবি না
আমি ভালবাসি বা না বাসি,
তার ভালবাসা চাই
বোবা না হয়েও বোবা হলে
সবচেয়ে ভাল হয়।
==========================================

~~পিছুডাক~~

 
বারে বারে পিছু ফিরে চেয়ে দেখি
পিছু ডাকলে কি তুমি?
অকারণ ভুল বো্ঝাবুঝি, মান-অভিমান শেষে
দুজনে দুপ্রান্তে। পিছু ডাকবে তুমি------
সে আশায় পথ চলতে চলতে চলে এলাম বহুদূ্র।
সঙ্গী হলো হাহাকার আর বুকভরা দী্র্ঘশ্বাস।

তো্মার হলো না অবসর পিছু ডাকবার।
যোজন যোজন দূ্রত্বে বসবাস তাই আজ দুজনার।
ভেঙ্গে গেছে খেলাঘর, যতনে সাজানো বাসর।
রয়ে গেছে তার রেশ, বেদনার নেই শেষ।
আজ হেটে চলি সঙ্গীহী্ন একাকী নিঃস্ব রিক্ত প্রান্তরে।
=========================================
হাজার কথা বাদ, 
হাজার টক শো বাদ, 
হাজার অপবাদ বাদ, 
হাজার দোষারোপ বাদ...
শুধু একটা উপায় আছে....
১০ সংসদ নির্বাচনে নিজের দায়িত্বটা পালন।
আপনার ১টি ভোটে
দেশ অবশ্যই যাবে পাল্টে

দুর্নীতিবাজ আর রাজাকার
ভোট চাইলে জুতা মার
=========================================

একঝাক স্বপ্নবোনা কারিগর
চক্রান্তের হাতে মর্মান্তিক তালাবদ্ধ
প্রাণনাশী লেলিহান উদ্ধত
লকলকিয়ে জীবন্ত স্বপ্ন পুড়ায়
সুজলা সুফলা শিউড়ে কেঁপে উঠে লোমহর্ষক মৃত্যু চিত্কারে
ভাগ্য ধন্য ধনীদের রসনা বিলাসে আসেনা পরিবর্তন
'বার বি কিউ' এর গন্ধে ভরে যায় আকাশ বাতাস
বাঁচার আর্ত চিত্কারের শেষ আকুতিটুকু
পৌছায় না প্রিয় মানুষের কাছে
পিতা -মাতা ,সন্তান ,প্রিয়তম -প্রিয়তমার ভাগ্য বিড়ম্বিত মুখ
সাহায্যের আশা নিয়ে ঢাকা পরে নিশ্চহ্ন অন্তরালে
মাছের মায়ের পুত্র শোকের মত পারিপার্শিক থিয়েটার দরদ
আর উদ্ভ্রান্ত প্রানের আহুতি
গড়িয়ে যাওয়া দিনের মতই
মিলিয়ে যায় নিস্তরঙ্গ কালস্রোতে |
============================================

নদীর পাড়ের বাড়ি
যৌবনের দাঁড়ি
আর প্রেমের প্রথম নারী
যা কখনোই স্থায়ী নয়
দিনান্তে ধূসর হয়ে যায় |
========================================

সব ভাঙনের পরেও বিশ্বাসের প্রগাঢ় দুর্দিনে ছায়া হয়ে থেকে গেছ বন্ধ কুটিরে প্রায়,
 নিঃশেষ হওয়া মোমের আলোর ওপাশে, 
এপাশে সময় পলেস্তরা খসা, 
দেওয়ালের গভীরে ভীষণ নিস্তব্ধতা আঁটোসাঁটো ক্ষয়িষ্ণু কংক্রিটে এঁকেছে আমার মুখ;
 জানতো বুঁদ হওয়া স্বভাবের নেশারা আজন্মই মাতাল হয়, 
মাতালেরও থাকে অলৌকিক সুখ, 
ঘোরের ভিতরে ঘোর রোমাঞ্চের তিব্র প্রহর,
 আর রাতের সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসা নীলচে জ্যোৎস্নার বহর,
 কখনো সখনো ভীষণ আবেগী অনুরণনে অনুভূতির দেনা করে শোধ,
 কে জানে কোন মেডুসার চোখে চেয়ে পাথর যাবে জাগতিক সব বোধ। 
==============================================

~~কিসের আশায়….?~~


প্রতিবাদী আর সোচ্চারের পথ
আসুক বিপদ থাকব না আর,
রকেট গতি তীব্র ঝড়
হাতে হাত রেখে শপথ সবার
সাধ্য যার যতটুকু করব উজাড়।

মিথ্যকে না সত্যকে স্বাগতম
জীবনের শত বলিদান
যতদিন আলো আর আঁধারের মিল
ততদিন থাকবে সত্য মিথ্যার অমিল
ভাল কর্মের শত বাধা অসৎ কর্মে জুড়ি নাই, আজকের দিনে।

কোথায় ছিলাম আর কোথায় এলাম
কে কোথায় যাব শত কর্মে বিলাসী জীবন
ভাবে না কোন কিছু আর,
উশৃঙ্খল এজীবন ধর্মের বলিদান
যত বিলাশ আর প্রাচুর্য শেষ মুহুর্তক্ষণ, হারায় আলো
চোখে জল অনড়গল ঝর্ণা হয়ে বয়ে চলে।

কোন সে দিবস কোন সে ক্ষণ
বার্তাবিহীন ইলেকট্রিক শক শুধু নিজ নিজ অনুভূতি,
১১০০০ নাকি ২২০ কে বা বলিতে পারি
প্রস্তুত তাই প্রতিটি মুহুর্ত সত্যকে বলি হ্যাঁ, ধর্মকে আলিঙ্গন
পরম শান্তি সে সুখের নিবাস যা স্বপ্নেও দেখিনি।

কত যে আপন তোমার আমার পিতা-মাতা জন
সে দিনে অচেনা তারা নিজ নিজ কর্মে।
==========================================
~~কাব্য-কণা~~

‘জল‘ কে ডেকে ‘পাত্র’ বলে থেক নাক চুপটি আর
কখনও বা ধর আকার, আর কখনও নিরাকার!
মৃদু হেঁসে ‘জল’ টি বলে, “দু রকমের রূপ আমার-
‘ধারক’ কাছে আকার আমি, ‘অধারক’-এর নিরাকার!!
=========================================

~~আকাশের বিবর্ণ বোন~~


রাত্রি কি আকাশের বিবর্ণ বোন?
সারারাত তাই পায় হিম শূশ্রূষা
গান গায় মহিয়ান শীতলা পরাণ
শূণ্যের বুকে দোলে ধান---সোনালী সে ধান
প্রেম হয়ে শিরিষের শিরকে দোলায়
ব্যাথা-কালো অচেনার হাত
ঢেলে দেয় অকৃপন প্রণয়-প্রপাত।
=========================================

~~জীবনের দিকে~~


হয়তো মৃত্যু মানুষকে বলে
এসো এই হাত ধরো
জীবনের দিকে চলো
ছেঁড়া তসবির দানাগুলো যেন
পূণ:রায় জড়ো করে আমি জুড়ে দেব
যোজক কলার মত
আর এই ছেঁড়া তার
অসহ্য প'ড়ে থাকা
পরিচয়হীন এই পরকালে কখনো নয়

ধরো এই হাত
নরকের লালমণি ছেড়ে চলো যাবে।
===========================================
~~আয়! মৃত্যুর মহড়া দেই~~


আয়! মৃত্যুর মহড়া দেই। 
অনিন্দ্য আগুন 
অভ্যন্তরে। অশ্রুসিক্ত চোখ 
মুছে ফেলে
আলো করি অমর আঁধারে।

আয়! মৃত্যুর মহড়া দেই।
কারারুদ্ধ
জলন্ত স্ফুলিঙ্গে। উলঙ্গ উত্তাপে
পাথর বানাই কোমল শরীরে।

আয়! মৃত্যুর মহড়া দেই।
ধ্যানে খুঁজি
মরুর জমিন। অসুরে হলকা
মাতাই প্রানের তপ্তশ্বাসে।

আয়! মৃত্যুর মহড়া দেই।
গজদন্ত ভেঙ্গে
শয্যাপাতি ক্ষুদিতজনের
শাশ্বত শ্লোগানে।
=========================================
~~কুহকিনী রাত~~



কুহকী রাতের মায়ায় তারাদের সাজানো বাসর,
ঝরে যায় শিশিরেরা, নেই কোনো অবসর।
হিম হিম সুশী্তল বয়ে যায় সমী্রন,
কুয়াশা চাদরে ঢাকা পড়ে রয় ত্রিভুবন।
রাতজাগা দু'টি পাখি ডেকে চলে অনুক্ষন,
পথহারা দিকভ্রান্ত নাবিকের বাঁশী্র মতো্ন।

উড়ে উড়ে জ্বলে আর নিভে জোনাকী্র ঝাঁক,
সে রূপের শোভায় মোহিত গাছেরা নির্বাক।
শেয়াল ডেকে ডেকে বলে রাত্রি দ্বিপ্রহর,
ফিনিক্ ফোটা চাঁদের আলো যেন দুধের নহর।
স্ফটিক শুভ্র রাত্রি উন্মাতাল নেশায় বিভো্র,
হারায়ে খুঁজে ফিরি মো্র প্রিয় বাহুডোর।
===========================================

~~অকারণ অভিমান~~

 
অকারণ অভিমানে সরে যাও দূরে,
ভুল বুঝে সারাবেলা কাটাও কি করে?
বুঝতে চাওনা তুমি হৃদয়ের কথা,
খুব সহজেই তাই দিতে পারো ব্যথা।

যদি কোনো্দিন পাশে আর না ই থাকি আমি,
সেদিন ও কি মনে রবে মো্র গানখানি?
যদি ঢাকা পড়ে মেঘে আজকের সুখচ্ছবি,
পড়বে কি মনে মো্রে? তাই বসে ভাবি।

একদিন ভুল বুঝে যদি নাই আসো ফিরে,
কোনো রাতজাগা স্মৃ্তিমাখা ক্লান্ত প্রহরে।
সেদিনও প্রদীপখানি জ্বালাবো ভালো্বেসে,
হয়তো আর কেউ রবে তো্মারই পাশে।
অকারণ অভিমানে ছিন্ন ভালো্বাসা,
তো্মারে পাবার তরে গভী্র পিপাসা।।
===========================================

জীবন যেখানে ফেরারী
মন যেখানে উদাস,
স্বপ্ন যেখানে মরিচিকা
সুখ সেখানে বেমানানاا
============================================

শিল্পপতিদের আয়েশি আয়েশি খায়েসই কিছু স্বপ্নসুখে
রক্ত-মাংস-হাড়ের কিছু ছাই উড়ে এলো সমাজের মুখে
দেখলাম উৎকণ্ঠার জলজ রাত্রি পেরিয়ে কেউ একজন হেঁটে যাচ্ছে
পোড়া স্বজনের লাশ কাঁধে, কারো বা হাতে শুধু এক মুঠো ছাই
জাগতিক স্মৃতিবোধ বাতাসের দাপটে করছে যাই যাই

কারো বা অপেক্ষাই থেকে গেলো ভস্ম চিতার গুহায়
কান্না শুকিয়ে কেউবা এখনো নিরব আর্তনাদ পোহায়

সুশীল সমাজের বিবেক অনেকটিই নাকি জাগ্রত
আয়েশি ঘুম ভেঙ্গে অনেকেই শোকাহত ভীষণ ভীষণ আহত
পূর্বদিনের চিত্রনাট্যের ফাইলটা খুঁজতে খুঁজতে ব্যস্ত
কেননা কিছু বয়ান তো দিতে হবে মুখস্ত

অতঃপর তানারা এলেন গলা হাকালেন
প্রথমেই মার্ডারকে এক্সিডেন্ট বললেন
এরপর আশ্বাস... কিছু জানা কথা
অন্তহীনতার নামে কিছু তদন্ত-ফদন্ত হবে
জটের কারণে বিচার ঘুমাবে নিরুদ্দেশে...

চিত্রনাট্যের ফাইলটা সযত্নে আবার ফিরে যাবে বিলাসবহুল সুসজ্জিত ড্রয়িং রুমে...
আসুন আগামীর জন্য অপেক্ষা করি......
আর এক মিনিট নীরবতা পালন করে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ি

আসুন আগামীর জন্য অপেক্ষা করি |
===========================================

~~গৌরী~~

আকাঙ্ক্ষা 
আর কেউ নয়, আর কোনো কিছু নয়
নেই অন্য কোথাও যাবার প্রতিশ্রুতি
নেই অন্য কোনো কিছু পাবার আকাঙ্ক্ষা
নেই তো আজ আকর্ষণ অন্য কোনো ভালোবাসার।

আমি চিনেছি ঐ একটি গন্তব্য
তোমার সহজ সবুজ অরণ্য, গৌরী।
=============================================

~~জলকাব্য~~


 
শেষ বিকেলের রঙীন আলো ঠিকরে পড়ে জলে,
ঘোমটা মাথায় কলসী কাঁখে গাঁয়ের বধু চলে।
জলের বুকে পদ্ম ফোটে দারুন তাহার শোভা,
ভ্রমর ঘুরে বেড়ায় সেথায় কতো মনোলো্ভা।
জলের উপর ছায়া ফেলে আকাশ দেখে মুখ,
পদ্মপাতায় আলতো হেটে পানকৌড়ি্র সুখ।

জলের পাশে মেঠো সুরে রাখাল বাজায় বাঁশী,
ডুব সাতারে পার হই জল, জলকে ভালো্বাসি।
জলের সাথে প্রনয় কথা কই যে বারোমাস,
জলের কথা কইতে গেলে মেটে না তাই আশ।।
===========================================

~~ভালবাসার অপূর্ণ হৃদয়~~
 

ভালবাসা নিতে আসিনি
ভালবাসতে এসেছিলাম তোমাদের
ভালবাসা কি? লাল নীল, নাকি বেগুনী
চিনেছিল সবাই, শুধু চিনলেনা তুমি!
ভালবাসার বহুতর রঙ বাহারে
আমার বুকে নীলে রয়ে গেলে তুমিا
আমি হাসতে চেয়েছিলাম
ডানা মেলে উড়তে চেয়েছিলাম,
হতে চেয়েছিলাম স্বাধীন মুক্ত বিহঙ্গ
বুঝলেনা, শুধু তুমিই বুঝলেনাا
আমি রঙ ধনুর কাছে রঙ চেয়েছিলাম
বাসন্তী রঙে তোমায় সাজাবো বলে,
বাতাসের কাছে স্নিগ্ধ সুগন্ধি চেয়েছিলাম
মৌ সৌরভে তোমায় ভেজাবো বলে,
আমি হিমালয়ের কাছে ঝরনার কাঁকন
চেয়েছিলাম, তোমায় শুনাবো বলে,
বুঝলেনা তুমি, পিছু ফিরে দেখলেনা
খুঁজলেনা আমার ভালবাসার গভীরতা;
অপ্রতুল নির্জনতায় রয়ে গেল তা নিরবেا
আজ হৃদয়ে দুর্দিন, ভীষণতর খরা
ভাবনার বিস্তার মাঠ ঘাট তেপান্তর,
বিদায় বিষণ্ণতায় নিঃস্ব আহূতি আমার
আবার আসবো ফিরে আমি;
আসবো ফিরে, গতিহারা প্রবল ঝড় হয়ে
আসবো ফিরে বাতাসের নির্মল শুদ্ধতা বয়ে
আবার আসবো ফিরে............
এক পৃথিবীর এক নদী ভালবাসা নিয়ে
শুধুই তোমাকে ভালবাসবো বলেا
===========================================

~~অদ্ভূত বাবা~~


মরলো ছেলে,জাগলো বাবা
বললো ওহো, আহা,
দোয়া খায়ের কুলখানিতে,
বললো সবাই বাহা।
যে পথ পেয়ে যম বাবাজি
পড়লো ঢুকে ঘরে,
রইল সে পথ যেমন ছিল
তেমনি খোলা প'ড়ে।
ফের বছরও আরেক ছেলে
যমের পেটে গেল,
আবার বাবা বললো জেগে
আরেকটাও খেল?
এমনি করে বছর বছর
একটাকে যম খায়,
ক্ষণিক তরে জেগে বাবা
করেনও হায় হায়।
সময় মত দিতেন যদি
যমের পথে কাঁটা,
ঘেঁষতোনা যম এই বাড়িতে
বলতো বাবা টা টা।
==========================================

~~সেভাবেই জ্বলে~~


বেঁজে যাচ্ছে পিয়ানোর টোন।
 মেজর ছাড়িয়ে শার্প ক্ষয়ে যাওয়া ধুনে মালিনির ত্রস্ত চলাচল। 
যদি একবার ফিরে দেখতো!
 চার্চের বারান্দায় ফাদার বলেন গড ব্লেজ ইউ মাই সান।
 চাতক পাখির মত নাক ঘষি। 
নজরে আশ্রয় বেঁধে নেমে পড়ি কোমর পানিতে।
 ভুলে যাই তুমিতো ধর্মের পুঁইশাক,
 শিমের মাচানে পোষা তিতি।
 রোজবেরী তুলে দাও ইশ্বরের হাতে।

তুচ্ছ অহংকার! মেঘের ঘামে বুকের নদী। 
মুখ গুঁজে থাকি। 
স্রোতে ডুবতে ডুবতে সামান্য
শুকনো মাটি চাই।
 ঠিক তখন তুমিও হাটুগেড়ে ক্ষমা চাও জেসাসের কাছে।
 ট্রাস্টি দলিলে সেবাতো ত্রাণ।
 হলিক্রস চেপে ধর। তবে আমাকে ভালবাসার ভুলে ইশ্বর কি দেবেন না পরিত্রাণ?

মালিনি ডি কস্তার সমাধী ছাড়িয়ে একটু এগোলে শান্তি আশ্রম।
 এখানে লোকে আমাকে ব্রাদার বলে ডাকে। 
জানি দিন কেটে যাবে। 
সন্ধ্যার লিরিকে ধুপছায়া মোমবাতি সেভাবেই জ্বলে।
===============================================

~~নিষিদ্ধ প্রহর~~

 
নিষিদ্ধ ইশতেহারে দূর্বোধ্য ভাষায় ছাপা
বেদনার নিষিদ্ধ প্রহর কুড়ে কুড়ে খায় স্মৃ্তির ঘুনে।
ক্ষয়িত সময়ের ধুলো্র প্রলেপ পড়ে
বিবাগী বাউল মনের নিকোনো উঠানে।
ক্লেদ ক্লিষ্ট পঙ্কিলতা অবিরাম বুনে চলে
বাবুই পাখির বাসা মস্তিষ্কের নিউরনে।
হৃদয়ের চো্রাকুঠুরিতে ক্লান্তিভরে জমে
হতাশার পুরু কো্লেষ্টরেল গোপনে।

তবু আসে প্রেম, আবার ডুবে যায় চো্রাবালির গহী্নে,
তবু কারাবাসে রাজবন্দী ভালো্বাসা ঝরে যায় আনমনে,
তবু দিন যায়, দিন আসে ফিরে তো্মার স্পর্শ বিহনে,
তবু পলি পড়ে চর জেগে ওঠা হৃদয় নদী্র প্লাবনে,
তবু ফিরে যাই নিষিদ্ধ প্রহরে তো্মার ফেরারী মনের জমিনে।
===========================================

~~নারী সুন্দরতা~~


সুন্দরতা তোমার এতই তীব্র যে,
সকল চ্রিস্টির সুন্দরতা চুম্বন করেছে তোমার পদতলে
আদম আমি,হওয়া তুমি
সৃষ্টি তুমি সৃজনশীলতায় নিপুন কারুকাজ আর আমার চিরচাওয়া
কামনার প্রতিক্ষায় বিমুর আমি যেন আত্তার মৃত্যু পর্যন্ত
ভালবাসি...ভালবাসি...ভালবাসি |
===========================================

~~ভালবাসার এক জাহাজ ছিল~~

 
ভালবাসার এক জাহাজ ছিল
সমুদ্র হাওয়ায় দ্বীপের সবুজ প্রছায়ায়
বাতাসিনী কে সঙ্গ করে মেতে থাকতো পৃথিবী উল্লাসে ৷
একদিন...............
দুরন্ত প্রাকৃতিক আগুনে জাহাজ পুড়ল....কিন্তু
ভালবাসার দাগ রয়ে গেল
শত জলোচ্ছাসে
শত নি:শ্বাসে
সমুদ্র হাওয়ায়...
ভালবাসা দাগ রয়ে গেল ৷

এখন.....
বাতাসিনী নেই
সবুজ হাওয়ায় সঙ্গ নেই
নেই সবুজ দ্বীপের প্রচ্ছায়া ৷

শুধু রয়ে গেল ...
দাগ ...দগ্ধ দহন এবং
বহন আজীবন ৷৷
==============================================

~~বাটপারী~~

ঈশ্বর আমাকে বললেন তুমি ভেবোনা
আমি তার অমোঘ নির্দেশ লংঘন করে সারারাত ভেবেছি
আর আমি সারারাত কেঁদেছিও
আমার পেটে ছিল গন্ধমের ক্ষুধা
অজ্ঞাত ছিল তার যদি বলি
তবেতো বলতেই হয় হয়, 'আবে বোকারাম!'

তারপরও বাইবেল আমাকে দোষী বলো তুমি

বোকারা যেমন আমিও তেমন
এইসব বুঝিনা
==============================================

~~রাজনীতি~~


কিভাবে শুরু আর কিভাবে শেষ
জানা আছে কি তোমার?
একটি ভাবনা একটি স্বপ্ন কোনটা কোথাকার?
কালো মাথা কালো চুল, পাকা আর এলোমেলো ।

তালে তাল যুক্তি অনেক ভাবনায় মাতাল
স্বার্থবাদীর লুকোচুরি তুমি আমি নাজেহাল,
স্বপ্ন নেই ক্ষুধা আছে মায়া মমতা শেষ হয়েছে
এ এক গতি সফল রাজনীতি, ভাবছি তুমি আমি।

তুমি আমি অন্ধ স্বার্থবাজদের দন্ড
তোমার রক্ত আমার রক্ত তাদের রক্ত নয়,
দুদিনের স্মরণ সভা কন্ঠে শত বেদনা
মাথা হাতিয়ে স্বজন আদর রাজনীতির মূল মন্ত্রণা। 
==========================================
~~গ্রহণকাল~~


তুখোর হবার যুদ্ধে তড়িঘড়ি পিছু ছোট। 
ঘন শ্বাসে তোয়ালের ফাঁকে কণা চুল শার্ট ভিজিয়ে দিলে শংকায় জিভ কাটো।
 ভয়ে কত কিছু ভুল কর। 
তবুও নির্ভরতার ভারে পরাধীন হযেছে বোতাম।
 খুলে পড়ে না। 
এই যে ফ্ল্যাটবদ্ধ বাস্তবতা সয়ে নিতে খানিকটা সময় লাগবে।

এটি সংক্ষিপ্ত সূচনা মাত্র।
 পরমান্ধ জীবিকার বুকে কোষ্টকাঠিন্য সামাল দিতে গিয়ে আমি যখন আস্তিন গুটে রাখি।
 তোমার ভেতর ছিন্নপত্র আমাকে করেছে অভিযুক্ত। আমি নাকি দুর্বোধ্য। 
প্রসব করি নিরাশা। 
এভাবে দুঃখগুলো দৈর্ঘমানে দল বেঁধে ছুটোছুটি করে দেয়ালের আনাচে কানাচে। 
ওদের আদর করে কাছে ডেকে বলি- আমিতো দুর্ভাগা ভালবাসায় অকৃতকার্য হয়েছি। 
অবিশ্রান্ত প্রয়োজনে অনাহুত গ্রহজীবনে ঘুরছি।

সয়ে গেলে তুমি মগ্ন হবে পাশবিক নিরাকারে। 
এও প্রাপ্তি-অধিকার। বৃত্তমূল্যে অসামান্য দাবীদার।

================================================
ক্ষমার অযোগ্য যদিও আমি ! 
তবুও ক্ষমা চাই বার বার, 
যদি কখনো এতটুকু সহানুভূতি হয় তোমার, 
ক্ষমা করে দিও- ভুলে যেও ছিল যত অতীত আমার.............. |
==============================================

~~শকুন~~


সকালেই অফিসের পথে ডেকেছিল। 
না দেখার ভান করে ফেলে আসি পিছু। 
গুপ্ত কলরবে রক্ত নেশা।
 আরও কিছুটা পেলে সমূদ্রে গড়াতো। 
মনে আছে তোমাদের গতকাল ক্ষিদের কথাটা বলেছি। 
আজও মরেনি।
 শুধু এই এক রাতে হয়ে গেছে অপশব্দ। 
এতটা পরিবর্তন! গালাগাল দিতে পার। 
অথবা প্যানপ্যানিতে বাড়িয়ে ধরতে পার দুটো হাত।

রক্ত নেশার কথাই বলছিলাম। 
এই যে বাতাসের চাপে স্নায়ুময় হত্যা পরিকল্পনা সাজিয়ে যুদ্ধ বলে ধোঁকা দেই। 
কেড়ে নিচ্ছ
ি জমে যাওয়া পরিধেয় আপন। 
বেনিয়া স্বভাবের বটগাছে ফুল আছে,
 ফল আছে, পাতা আছে,
 নমস্য গ্রন্থিতে শক্তিতে সবল।
 আহ্ কি চাইবো আর!

আমি দোহাই শিখেছি বাঁচার তাগিদে।
 ছায়ার ভেতর ধুঁকতে দেখেছি আগুন।
 তাই সংলাপে পুচ্ছ নেড়ে চুপ করে খেয়ে নেই নীতিচূড়। 
আহ্ কি চাইবো আর!
 ফুল আছে, 
ফল আছে,
 পাতা আছে, নমস্য গ্রন্থিতে শক্তিতে সবল।

গুপ্ত কলরবে রক্ত নেশা। 
আরও কিছুটা পেলে সমূদ্রে গড়াতো।
 মানুষ ছিলাম না কখনই।
 হবও না। 
ভেবে নিতে হবে না।
 ঘোষনা দিচ্ছি আমি সেই যুগে যুগে ফাঁদ 
================================================

~~রথম প্রস্তাব~~


বলব বলব ভাবছি অনেক মনের ভেতর একটি কথা
বলতে পারছি না কেন আজও ?
সেই দূরদৃষ্টি কখনই ফেরানো যায় না
মনের ভেতর একটি চিন্তা, কেন সে শুধু স্বপ্নেই দেখা দেয় ?

ভাবছি আজ বলব তাকে
স্বপ্ন ফেলে বাস্তব নিয়ে, দিক সে দুঃখ শত আমায়,
ভয়-ভীতি আর মনের দূর্বলতায়
কেন বার বার সাহস হারিয়ে যায় নয়নে নয়ন পরলে তখন ?

একটি কথা এতো কি সংশয় ?
পাব না তাকে তাই বলে কি হয়…
আজ বলব সব নিয়ে যত সঞ্চায়িত সংকল্প
হ্যাঁ অথবা না এটাই সত্য, ঝরবে জল আসবে ফল
সত্য সে ভালবাসার ফল।
===========================================

~~আজ বাড়ি ফিরবে না পৌরাণিক পরিচয়~~

জলজ্যান্ত নিজেকে হত্যা করে প্রভুর পাশের কুকুরটাকে আবিস্কার করে ফেললাম, 
চিনে ফেললাম তার মুখ;
 মৌনতায় সম্মতি এই কথা জেনে ভর দুপুরের নির্লজ্জ রোদে উলঙ্গ প্রতিবিম্বের সাথে দেখা হলে পরে প্রচণ্ড ঘৃণায় এক দলা থু থু দিতে ইচ্ছে হোল দর্পণে; 
রক্তবমিতে পাপের হয় কি মোচন এ বচন শুনিনি কখনো, নৈশব্দেরও থাকে অসীম অপরাধ কণ্ঠরোধের মত পাপ, সেই ছাপে ভণ্ড প্রতারক বেশে দাঁড়িয়ে থেকেছি আজ; 
খবরের পাতায় দেখেছি কিছু লুটেরা, টেবিল দস্যুদের অভিনব ছলাকলা আর বাণিজ্যিক দালাদের পকেটভারী স্বার্থনেষী প্রপাগন্ডা, 
পার্থক্য নেই আমিও সেই দলের সেই থলের হয়ে গেছি এক কিট

বাড়ি ফিরছে পা ঘর্মক্ত দেহ , 
এক পিচাশের ছায়া... 
জানি প্রতিদিনের মত ঘুমকে পরজিত করে আমার সন্তানের আগ্রহসময় জেগে আছে কাঙ্খিত সুঠাম পৌরাণিক গল্পের অপেক্ষায়...
 নীতি আর বীরত্বের গল্পের অপেক্ষায়...???

আজ বাড়ি ফিরবে না পৌরাণিক পরিচয় |
=============================================

~~নক্ষত্রের জনকের~~


আকাশের নক্ষত্রের কাছে চ'লে যাব
নক্ষত্রের জনকের দেহের ছায়ায়
চোখের মণির মত কালো মমতায়
ঘুমায়ে রয়েছে যারা
নিস্তব্ধ দুপুরের আলস্যের মত ভালো
আকাশের নীচে যার জেগে থাকে ঘাস
আনন্দ ভরে রাখে ফুলের নিশ্বাস
শালবন পৃথিবীর বয়স্ক জ্যোছনায়
বহুদিন হৃদয়কে জ্বালিয়েছে যারা
নক্ষত্রের দেশে গিয়ে মিশে গেছে বহুদুর
তারার তিমিরে
নীরবে দাঁড়াব গিয়ে তাহাদের সারে।
===========================================

~~জীবন অস্তিত্বহীন~~

কিছু কথা ছাড়া বেঁচে আছে শুধু পিসে পরা গলিত আবেগ
তীব্র দুরঘন্ধ পাওয়া যায় পচা মরা মুহূর্তর,
রাতে বেওয়ারিশ বেশ্যার মত পার্কে পরে রয় ঠিকানা।।।
জীবন শুধুই অস্তিত্বহীন কল্পনা...|
=========================================
অনেক অনেক দূরে,
যেখানে ছেরেছে আকাশ মিলেছে পাতালপুরে,
জীবনের না দেখা রুপকথা সব রয়েছে সেখানে জুরে,
অক্লান্তির দীর্ঘশ্বাসে প্রতি ভাবনার মোরে মোরে এই আমার রুপকথা খোজা... |
===========================================
~~পুণ্যর অবদান~~

উরে জায় আমার দাসত্তর রাত জাগা নিসাচর পাখি,
গুন গুনে সুর ঝিঝির ডাকে কাঁদায় জোনাকির মিটমিটে টিপটিপ খেলা,
প্রভাতের আলোয় শিশির ভেজা স্নিগ্ধতায় ঘাসগুলো হাসতে থাকে সদ্দজন্মা শিশুর কান্নাহীনতার প্রথম হাসি,
ফিরে যাবার উল্লাসে,অস্তিত থামাতে শিশু যেমন হাসে।
আমি কেঁদেছিলাম,অবুঝে আমি তবে এথায় পরীক্ষায় পরেছিলাম
আমি কি পাপ করেছিলাম???
পুণ্যর অবদানে।
==================================================

No comments:

Post a Comment