Monday 5 August 2013



~~বিরহের কান্না~~
 

উম্মুক্ত ঢেউ খেলানো আমার লম্ভা চুল
উড়ে গেলো একরাশ হাওয়ায় দিগন্তের সীমানায়,
দৃষ্টি মেলিয়াছি কিছু আনমনে ঐ নীলিমায়।

চোখের কোনায় জমাইয়াছি তোমার স্মৃতি
খেয়ালে আমার মুক্তদানা আসে একফোটা অশ্রুজল,
হাসির উম্মাদনায় ঢাকিয়া কান্নাটুকু,
বলো আমাকে ফেলে করিতেছো কেন এই ছল?

তোমার বিষাদময়তায় দিয়াছিলাম বদনখানি
যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা হৃদয়ের ছবি,
ভালোবেসে উজাড় করে দিয়াছিলাম
আমার আনন্দ বেদনা উজাড় করিয়া ।

যে চলিয়া গিয়াছে জানিয়া রাখো
সে তো ফিরিয়া আসিবেনা মানিয়া নিও
তারপরও কেন তার পথচেয়ে তুমি
অবচ্ছন্নে সারাদিনমান বসে থাকো?
============================================
আমার পৃথিবী জুড়ে কেবলি স্বপ্ন ভঙ্গের শব্দ।
পথ হাটছি অবিরাম........
শুধু হেঁটে চলছি.......
প্রচন্ড ক্লান্তি আসে ভর করে।
থেমে যেতে চায় আমার অনিশ্চিত পদযাত্রা।

জানি আমার এই পথ চলা কখনোই শেষ হবে না।
তারপরও হেতে চলি তুমিহীন, ভালোবাসাহীন।

আমার কথা ভেবে কখনো কি তুমি আনমনা হও!!!
কখনো কি আমার কথা ভেবে চোখের জল ফেলেছ???
কোনো বৃষ্টি ভেজা দুপুরে কি মনে পড়ে আমার কথা!!!

বুঝবে, বুঝবে সেদিন তুমি বুঝবা।
কিন্তু সেদিন হাত বাড়ালেও আমায় আর খুঁজে পাবে না।
=============================================

সময়ের বৈরি আচরণ দুঃসময় ,
দুঃসময় সময়ের অংশ .........
কেমন করে তাকে অবজ্ঞা করি............
এখন আমি তীব্র দুঃসময়ে আছি ...............!
===========================================

~~জীবনের রঙ~~
 

জীবন-
সে তো এক পুষ্পের আবরনে সদ্য মুকুল
কখনো সে পূণর্ সজীবতায় সুবাস বিলায়
কখনো সে খরা বুকে তৃষ্ণার্ত পিপাসায়,
আবার কখনো সে মৌনতা ভরা ফাগুনে-
নিত্যের বীণাঝংকার তুলে যৌবনাক্ত গায় ।

জীবন-
সে তো এক কূলকিনারাহীন নদীর স্রোতধারা
কখনো জোয়ার কখনোবা স্বার্থান্ধ ভাটারটান
জীবনের বারো মাসে আষাঢ় শ্রাবন বহে,
তবুও জীবন চলে-চলতে থাকে আপন মনে
জীবন থেমে থাকে না, অভাবের পিছুটানে ।

বাস্তবে-
রংধনুর সাত রঙে সজ্জিত হয় না সবার জীবন
কারো কারো জীবনে হয় না মধুর মিলন,
অনেকেই বহু কিছু না চেয়ে অনায়াসে পেয়ে যায়
কেউ বা আবার কঠিন বাস্তবের সাথে আজীবন-
লড়াই করে, একটু-শুধু একটু সুখের প্রত্যাশায় ।

============================================

~~আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যকুল~~

 
সে এক অন্য গান৷
আকাশ বসেছিল ফিকে হয়ে আসা গোধুলির রং’এ৷
দুরন্ত জোত্স্না যেন পেঁজা তুলোর মত 
দুরান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দাঁড়িয়ে একান্ত লজ্জায়৷
যেন রাঙ্গা সিন্দুর অধুরে আদরে আল্হাদী
ষোড়সী মেঘ হয়ে বসে আছে৷

সে বলে
আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যকুল৷
সময় হাতছানি দেয়৷

সে এক অন্য গান৷
হদয়ের কথা হৃদয়ে থেকে যায়৷
গভীর কুপের ভেতরে যেমন কোনো কথা …প্রতিধ্বনিত হয়ে যায়
প্রতিধ্বনিত হয়ে যায়
প্রতিধ্বনিত হয়ে যায়…………….

সে এক অন্য গান৷
কান পেতে শোনে না কেউ৷
আসলে শোনা যায় না সে কথা …শুনতে গেলে আঘাত লাগে
শুনতে গেলে আঘাত লাগে
শুনতে গেলে আঘাত লাগে……………..

সে এক অন্য গান৷
ফিকে হয়ে আসা আকাশের ধারনা …কেউ বলছে সে কথা৷
কুপের দীর্ঘ পথ প্রতিধ্বনি পেরিয়ে আসতে পারছে না
আসতে পারছে না
আসতে পারছে না…………………….

সে এক অন্য গান৷
সমস্ত হৃদয় জুড়ে বেজে চলেছে
ব্যকুল শব্দ আকুল গান বেজে চলেছে একটানা৷
আকুল গান কান পেতে আছে সবাই
ব্যকুল শব্দ কান পেতে আছে সবাই.. কেউ শুনছে না
কেউ শুনছে না
কেউ শুনছে না…………………………. 
 

=========================================

~~ফিরে এসো. .ফিরে এসো …প্রিয়তম~~
 

“দোষ গুনে সাজিয়ে ভালবাসা মেনে নেয়া
প্রীতির ঘাটে অপরাধ করো না”

কথাগুলো আমার এক প্রেমিকার৷
সে প্রায় দীর্ঘ্ তেত্রিশ বছর পরে আমায় উপহার দিয়েছিল৷

বিনীত কিছু ঝাউবন৷পুরোনো কিছু ইট খোঁয়া পুকুর চাতাল৷
আরো কিছু অনাত্মীয়ের মত অরাজক রক্ত মিলান ছিল পরিবেশে৷
গাঁয়ের ভাঙ্গা মন্দির সেই ঠায় দাঁড়িয়ে৷ভাঙ্গা দাঁত নিয়ে সে হাসে নি৷
বাতাস এসে কানে কানে জানতে চাইছিল কি সম্পর্ক রং৷গন্ধ ছড়াবার সুযোগে৷
মন চাইছিল খুঁজে পেতে প্রীতির ঘাটে ভালবাসা অপরাধ প্রেমিকা তালিকা৷
স্বছন্দ সুতো গুছিয়ে এক একটি প্রেমিকার জেরা পরিচয় লিখে রাখতে৷
চাইছিল মন খুঁজে পেতে বুকের ভেতর জমিয়ে রাখা উল্লাসের কাঁচপোকা৷
কোনটা লাল, কোনটা নীল, কোনটা সবুজ, কোনটা কালো, কে জানে৷
কারা যেন রক্ত জোত্স্নায় ভরিয়ে আদর ছুঁড়ে মারছে হাতে রং৷
বুকের উঞ্চতা হৃদয়ের ওম৷ গাছের পাতায় পাতায় শির শির বয়ে চলে কাঁপন বাতাস৷

চলতে চলতে বার বার থেমে যাচ্ছে চিন্তাগুলো৷ পুরোনো দালানের সিঁড়িগুলো বার বার চিনিয়ে দিচ্ছে পুরোনো ঘটনা৷
পুরোনো আলোআঁধারী মুহুর্ত্তগুলো৷ কখন তোমার বুকের উষ্ণতা আমার হাতের পরশে প্রিয় হয়েছিল৷
কখন সে এক উষ্ণ চুম্বন তোমার শরীর গন্ধ তেতর প্রবেশ করেছিল৷

সবকিছু হিসেব নিকেশ বার বার জানিয়ে দিচ্ছে প্রীতির ঘাটে ভালবাসা অপরাধ প্রেমিকা নেই৷
ভালবাসার কত কথাগুলো বারবার ভেঙ্গে যা্ছে৷ জন্ম নিচ্ছে অবিশ্বাস৷

আামি আমার প্রেমিকাকে দেখছি না৷ আমাদের মাঝে দঁড়িয়ে আছে তৃতীয় নয়ন৷
যে নিজে সমস্ত ভালবাসা হারিয়ে কাক ময়ুর পুচ্ছ কেতাবী অহঙ্কার নিয়ে বসে আছে৷
সে নিজের রক্ত চিন্হ ভুলে শেরখান তাম্বকু নেশায় বুঁদ হয়ে বসে আছে৷

আমি ষীশুখৃষ্ট নই৷দুহাত শুন্যে তুলে বলতে পারছি না
ভগবান তৃতীয় নয়নকে ক্ষমা করো৷

আমার হৃদয় চাইছে প্রেমিকার কাছে ফিরে দাঁড়ায়৷

“তেমনি চাহিয়া আছে নিশীথেরই তারাগুলি
লতারই কুঞ্জে কাঁদে আজো বন বুলবুলি
ফিরে এসো৷ফিরে এসো ৷ প্রিয়তম৷”
=============================================

~~সাক্ষী শুধু একটি কদম ফুল~~

অনেকটা সময় পর দেখা হয়েছিল দু’জনার,
কথা হয়েছিল যা,ভাষাটা ছিল অশ্রু কনার;
ভয় ছিল মনে,বলছি তবে;প্রথম দেখা সেই ক্ষণে-
হয়েছিল প্রণয়,কেটেছিল মেঘ,ঢেকেছিল আধার!

দেখতে দেখতে হয়ে গেছে,অনেকটা বছর পার
কেউ রাখেনি মনে তোমায়;কেউ ডাকেনি একটিবার
ডেকেছি কেবল আমি,শুনতে পাওনি কি তুমি?
তবে কেন উত্তর দাও না তুমি;ডাক ইশারায়!

জীবনের সেই প্রথম দেখা,প্রথম বেলায়-
সমস্তটা উজাড় করে নিংড়ে দিয়েছিলাম;
বিনিময়ে বর্ণহীন,এক জীবনের স্বাদ পেলাম-
তবু ও তোমায় আমার অতি আপন করে নিলাম!

তোমার সাথে প্রথম দেখা,সেই যে ক্ষণটা-
তুমি ভুললে ও আমি কিন্তু ভুলতে পারি নি!
চোখের দেখাই হয়নি শেষ,ছিল অনেক বাকি-
সময় পেলেই সকাল-বিকাল আপনাতেই ডাকি!

সব স্মৃতি যে ভুলে গেলে ও ভুলবো না তোমায়,
দেখবো তুমি কেমন করে;আড়াল করো আমায়
অজান্তেতে দুঃখ যদি দিয়ে থাকি কোন সময়,
ভুল করেও কিন্তু ক্ষমা কভু,করোনা আমায়!
তুমি যে আমার ছিলে,এতটাই প্রিয়-
হৃদয়ে করবো ধারন সারা জীবন ধরে!
জীবনের কোন সময় করি যদিও ভুল-
সাক্ষী থাকবে সেদিনের সেই কদম ফুল! 
=========================================
“~~গনতন্ত্র মুক্তি পাক~~”

আমার দেশকে করছে যে ভাই,রাজনীতিতে গ্রাস
মনের মাঝে ভয় জাগিয়ে সৃষ্টি করেছে ত্রাস;
এই সময়ে দরকার তাই,এমন একটা ব্রাশ
নোংরা ভাবনা দূর করিবে,পড়বে না আর লাশ!

এই দেশেতে করে,এমন রাজনীতিকেরা বাস-
টাকার পাহাড় করে;তার উপরে গড়েছে নিবাস
খোঁজ নিয়ে দেখেনা,গরীব লোকের আছে কি আবাস?
গরীব লোকেরা না খেলেও পাল্টায় না তাদের খাদ্যাভাস!
দরিদ্রকে মেনে নিয়ে কাটছে যে তাই,মাসের পরে মাস-
অনিদ্রা আর অনাহারে,জীবন তাদের করছে পরিহাস!

অনিয়ম আজ নিয়ম করে,যারা করছে সময় পার-
ধরা তাদের দিতেই হবে আজ অথবা কাল ।
ভোটের জন্য হন্যে হয়ে,দেশকে নিচ্ছে রসাতলে-
ছলেবলে কৌশলে,গরীব লোককে জিম্মি করে;
আর বেশিদিন পার পাবেনা,এটুকু বলছি তবে-
সময় তোদের শেষ হয়েছে,বাকি সব শেষ করে নে!
তোদের খেলা বুঝে গেছি, বলছি তাই শেষ বারেতে-
যা আছে তা নে গুটিয়ে,হিসেব মোদের দে মিটিয়ে ।

ন্যায্য পাওনা দে মিটিয়ে,আমার বাংলা দে ফিরিয়ে-
রক্তে বাংলা লাল করেছি;তোদের জন্য নয় ।
বাংলার শ্রমিক মোরা একে অপরের ভাই,
এই বাংলায় তোদের মত পাপির ঠাই নাই!
আবারো বলছি তাই,এখন থেকে গনতন্রের বীজ-
বুপন হবে আমাদের এই,লোহা পেটানো হাতের ছোঁয়ায়!
হৃদয়ের গহীন থেকে একটা চাওয়াই চাই-
“গণতন্ত্রের জয় হোক,জয় হোক জনতার”

===========================================

~~সে দিনের স্মৃতি~~ 

শহরে এখন নাকি কাক কমে গেছে,
কাকডাকা ভোর কি কমেছে?
সাতসকালে ওঠি ঘুম থেকে
কাকপক্ষী দেখার ফুসরত যে নেই।

কিছুদিন আগেও সকাল মানে ছিল অবসর,
এখনতো ঘুম ভেঙে আরামদায়ক আলস্যে
বিছানায় গড়াগড়ি খাওয়ার উপায় নেই।
নাশতা সেরেই হয়ে যায় রাস্তা মাপা শুরু।

অতঃপর দ্রুত থাকতে হয় ব্যস্ত
নিজের নিয়ে সময়ের কাজটুকু।
কত যে ব্যস্ততা
ভুললে তো আর চলছে না।

অবচেতন মন সেসব ঘটনাই
ফিরিয়ে আনে স্বপ্নের ঘোরে
যা ঘটে যাচ্ছে দিনমান
আগের মতো মুখগুলো
ফিরে আসে ঘুমের ঘুরে,
স্বপ্নের পর্দায়।
==========================================

~~বাংলা মা~~
 

আমার বাংলা মায়ের রক্ত মাটিতে
স্বাধিনতার বীজ বুনেছি
যত সব পিশাচ হায়েনা
সময় আছে এখনো দৌড়ে পালা ।

কলঙ্কিত হতে দিবনা বুকের প্রাণ বাংলা কে
রক্তিম সূর্যের আভা বিকাশিত হবে হবেই
... যতই আসুক শত সহস্র বাধা
ভাঙ্গিব সকল বাঁধার শিকল তালা ।

করিব না হয় নতুন করিয়া আবার প্রান উৎসর্গ
গড়িব পিশাচ দের তাড়াইতে নব দুর্গ
থাকিবেনা ভেদাভেদ জাতি গোত্রের
হাল ধরিব সবে নতুন মোরা মাঝি মাল্লা ।

এক দেশ বেশ বাংলা দেশ
থাকিবে না হিংসে বিদ্বেষ
আমারা সবে বাঙালী-মুখে বাংলা মায়ের নাম
আনিব নতুন জীবনের সন্ধ্যান
সেই খুশিতে হইব সবে বাংলার প্রেমে আত্ম ভোলা ।
=============================================

~~যদি~~

অজানায় হারিয়ে যাই যদি...
খুঁজে নেবে কি আমায়?

ভুল করে ফেলে যদি...
ক্ষমা করবে কি আমায়?

ব্যর্থ হয়ে যাই যদি...
সফলতার পথ দেখাবে কি আমায়?

ভুল পথে পা দিয়ে ফেলি যদি...
সঠিক পথ দেখাবে কি আমায়?

অন্ধকারে হারিয়ে যাই যদি...
আলোর পথ দেখাবে কি আমায়?

মন খারাপ হয়ে যাই...
তা ভালো করে দিবে কি আমায়?

অসুস্থ হয়ে যাই...
সুস্থ করে তুলবে কি আমায়?

তোমায় দেখতে চায় মনটা যদি...
দেখা দিবে কি আমায়?

ঝড় এসে সব ভেঙে যায় যদি...
সঙ্গী করে রাখবে কি আমায়?

অভিমান করে ফেলি যদি...
কাছে টেনে নেবে কি আমায়?

চোখ থেকে অশ্রু ঝরে যদি...
সে জল মুছে দেবে কি আমায়?

মন ছুটে যায় তোমার কাছে যদি...
একটু সঙ্গ দেবে কি আমায়?

কোথাও চলে যাই যদি...
দু'টো হাত ধরে রাখবে কি আমায়?

আঘাত দিয়ে ফেলি যদি...
তবু ভালো লাগবে কি আমায়?

মিথ্যে হয়ে যায় সবগুলো যদি...
তবু ভালো বাসবে কি আমায়? 
===========================================

রাগ করলেও বন্ধু, 
অসহ্য হলেও বন্ধু......
বন্ধু মানে পাশে থাকা,
বন্ধু মানে কাছে আসা।
বন্ধু মানে রাগ ঝাড়া,
বন্ধু মানে সহ্য করা।
==========================================
~~চার বন্ধু~~

কিছু কষ্ট আছে,যা খুবই মধুর-
ফিরে তাকাতে হবে না অদূর,
এইতো সেদিন চার বন্ধু মিলে-
গল্পের আড়ি পাততাম একই নীড়ে !

নাওয়া-খাওয়া যেতাম ভুলে,
একজন শুয়ে আরেক জনের কোলে;
কথার ফুলঝুরি ছড়াতাম এতো করে,
কখনো বলতাম সুরে,কখনো বা জোরে !

খানিক বাদেই লাগতো ঝগড়া,
কে কার কথা শুনে?
একজন দিতো সায় আর-
বাকি দুজন মিলে,
ইচ্ছে মতন কথা কাটাকাটি হতো-
বুঝাই যেত না,কে কার দলে !

এমনি করেই লাগতো ঝগড়া
দ্রুতই যেত মিটে,
কত যে সময় পার করেছি,
ডিখান ডাঙ্গির মাঠে !

আমের দিনেতে আম খেতাম
আমরা সবাই মিলে
বন বাদাড়ে ঘুরতাম আমরা
কখনো বা বিলে

সেদিনের সেই স্মৃতি মনে হলে,
চোখের কোনে অশ্রু শুধু ঝরে;
কেন তবে তোরা তিনে মিলে,
আড়াল করে রাখিস আমায়-
কেন রাখিস দূরে?
আজকের এই একাকী ক্ষণটাতে,
বন্ধু তোদের খুবই মনে পড়ে !
==============================================
~~তোমায় খুঁজে ফিরি~~

ঘুরতে বেড়িয়েছি আজ,না আছে পথ জানা-
সীমার মধ্যে থেকেও কেন,দৃষ্টির অন্তরালে চলে যাওয়া?
গাঁয়ের মেঠোপথ পথ ছেড়ে এ কোন পথে যাত্রা?
আমার জীবনে বয়ে এনেছে এক নতুন মাত্রা!

ভ্রমনপিয়াসী এ মন আজ হারিয়েছে নীড়,
এতটা পথ পাড়ি দিয়েও তাই,মনে ধরেনি চিড় ।
চির নতুনের কেতন উড়িয়ে এটুকু বলতে চাই-
আদি রুপেই কেন তোমার,মুগ্ধতা খুঁজে পাই !

রাখালিয়ার করুণ সুর তোমায় খুঁজে ফিরে,
পণ করেছি আজ;তোমায় নিয়েই ফিরবো নীড়ে
জীবন যদি থেমে যায় হটাৎ কোন ঝরে-
সর্ববিসর্জনে ও তোমায় হাত দুটি রাখবো ধরে !

সাগর-নদী আজ মিলেছে একই মোহনায়,
সুখের হাওয়ায় পাল তুলেছি মন যমুনায় ।
নাম না জানা ফুল ও আজ সুভাস ছড়ায়,
সত্যি বল তুমি ;এ কার ইশারায়?

একা একা হাঁটছি আমি,এ কোন অজানায়-
দেখতে পাবো কি তোমায় আজকের জোছনায়?
মন শুধু চলে যায় সেদিনের সেই ক্ষণটায়-
যেদিন তুমি করেছিলে সিক্ত;স্পর্শহীন ছোঁয়ায় !

জীবনের বাকি পথটা চেয়ে আছে একটি আশায়-
সত্যি না হয়,স্বপ্ন হয়ে ও কি ধরা দেবে আমায়?
সেই স্বপ্নের পথ পানে চেয়ে,আজকের এই পথ চলা-
তোমার সাথে হয়নি আমার অনেক কথা বলা !
==========================================
~~তোমায় খুঁজে বেড়াই~~

খুঁজেছি তোমায় আমি শিশির ভেজা ভোরে,
ধানের পাতার স্পর্শে তোমার হাত কল্প করে;
সকালের স্নিগ্ধতা আমায় নিমন্ত্রণ করে,
খুঁজছি তবু তোমায় এই সাত-সকালে !

দুপুরের মেঠো পথ পেরিয়ে ও আজ;
শুধু তোমাকেই খুঁজে বেড়াই,
রাখালিয়ার গান শুনে ও আজ-
শুধু তোমার সুর খুঁজে পাই !

বিকেলটা ও কাটে তোমার ভাবনায়,
জল ছবির মাঝেও তোমায় দেখতে পাই;
মনকে আমি এটুকু বলতে চাই,
বারবার আমি যেন তোমাতেই হারাই!

আকাশের ঐ সন্ধ্যা তারায়,
তোমাকে ভেবে দু'হাত নাড়াই;
চাঁদের পানে চেয়ে থেকেও তাই,
শুধু তোমায় খুঁজে বেড়াই !
===========================================




1 comment: