Monday 5 August 2013


~~তোরই জন্য~~

নিজের প্রতি হয়নি খেয়াল,হয়নি কোনো দিন-
তোরই মাঝে আছে আমার,কেন এতো মিল?
তোরই মাঝে মগ্ন ছিলাম,তোরই মাঝে বিলীন-
তবু কেন মুখখানি তোর এতটা মলিন!

তোরই জন্য বসে আছি,দৃষ্টি মেলে আঁখি-
নিজেকে আর দিবিরে তুই,কত যে ফাঁকি?
তোরই সাথে জমে আছে,কথা অনেক বাকি-
তবু কেন কছনা কথা,বলতে বারন নাকি!

তোরই জন্য সকাল-দুপুর আছে ভাবনা-
কিছু চাই না তোকে যে চাই,তাও কি পাব না?
তোরে আমি আমার থেকে,কাউকে দিব না-
তবু কেন থাকবি রে তুই,মিছে ভাবনায়!

মনটা আমার তোরে শুধু খুবই দেখতে চায়-
বলবি কি তুই,এটা শুধু একা আমার দায়?
ঘুমের মাঝেও মনটা আমার শুধু ছুটে যায়-
তবু কেন তোর মনটা দেয়না একটু সায়!

কতটা দিন হয়নি কথা,ভাবছি শুধু তাই-
আমার কথা তোর কি মনে,একটু মনে নাই?
তোরে আমি একটা কথা শেষেতে জানাই-
খুঁজবো তোরে সারাজীবন,স্বপ্নের ডানায়!
============================================
~~বললেই বলে, দিচ্ছি ভাষণ~~

দেশ জুড়ে আজ চলে যে শাসন
মিথ্যে বলি নে
চামচা গিরি ও তৈল মর্দনে
লাইম লাইট, উচ্চ আসন !

এক চোখ ঢেকে
আড় চোখে দেখে
শাসক তোষণ -
ব্যাস, জুটে গেলো ভরন পোষণ

শাসনে, আসনে
তোষণে, শোষণে
আখের গোছাতে
মরন চোষণ দেশ মা'র স্তনে, বোঁটা জনগন !
===========================================
~~যতই হয় রাত গভীর~~


যতই হয় রাত গভীর
চারদিক থমথমে নিথর, শান্ত নীড় ।
একাকী র্নিঘুম রাত
মিটিমিটি জোনাকীর সাথ,
রাতদুপুরে যে যার মত সবাই নি:সঙ্গ
চাঁদ তারাদের চলে রাতজুড়ে রঙ্গ ।
মাঝে মাঝে নিভে যায় চাঁদের উজ্জ্বল শিখা
আকাশটা ঢেকে দেয় অবাঞ্চিত কুহেলিকা ।
রাতের গভীরতা জানান দেয় দেয়াল ঘড়ির শব্দটা
নষ্ট কলের টিপ টিপ করে পানি পড়া বাড়িয়ে দেয় শঙ্কাটা ।
টিকটিক টিপটিপ শব্দগুলো যেন নি:শ্বাসের মতই উঠানামা করছে
একাকিত্বের এই প্রহরে কেমন নি:সঙ্গতায় গলা শুকিয়ে আসছে ।
আঁধার যতই হোক না গভীর,
যতই হই না ভয়ে অস্থির;
তুমি আছ মনে, পাশে , আর ভাবনাতে
বেশ কেটে যায় নিঝুম নির্ঘুম ঘুমের রাতে ।
বারান্দার গ্রীলে গিয়ে দাঁড়াই
জোছনা ধরার প্রয়াসে বিফল হাত বাঁড়াই ।
তোমাকে এক মুঠো জোছনা দেব আজ
পড়িয়ে দিব মাথায় তোমার, কেমন হবে এ সাজ ?
অথবা!!!!!!
চাঁদের নিচে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘের এক খন্ড
শুভ্রতা তোমার হাতে দিব, নিবে কি? স্বপ্নটা করো না লন্ডভন্ড!!
অথবা!!!!!
আকাশের নীহারিকা, কয়েকটি উজ্জ্বল তারা
তোমার ফতোয়ার বোতাম বানিয়ে দেব, দাওনা একটু সাড়া ।
সবই অর্থহীন স্বপ্ন, আঁধারের পাতাঝরার মতই
সঙ্গী শুধু নীরবতা, কথা কয়ে যাই তার সাথে কতই !!
ভুলে গেছ তুমি, দিয়েছ শুধুই অবসাদ
জীবন জুড়ে শুধুই যেন নীমের স্বাদ ।
ধীরে ধীরে প্রভাতের আলো জ্বলে রাতের যবনিকায়
কাতর ক্রন্দন, সকল আশার কবর,
ছুঁই যেন বারবার আলেয়ার শিখায় ।
===========================================
~~বন্ধু তোমায় পড়ে মনে!~~


কতটা পথ দিয়েছি পাড়ি,যাইনি তোমায় ছাড়ি-
বিনিময়ে পেয়েছি তাই,স্মৃতির বসত-বাড়ি
সেই বাড়িতে থাকি আমি,থাকে আমার মন-
মনটা শুধু খুঁজে ফিরে, তোমায় সারাক্ষণ!

স্মৃতির ভেলায় পাল তুলে আজ যাবো বহুদূর,
তোমায় নিয়ে দিব পাড়ি সাগর-নদী কিংবা সমুদ্রুর;
জলতরঙ্গে খেলবো দুজন,জ্বলবে না আগুন
কেন আমার ফুরালো সেই,সোনালি ফাগুন?

সপ্ন জাল ছিন্ন করে,দেখবো তোমায় সোনালি ভোরে-
থাকবো না তো কভু দুরে,রাখবো তোমায় আপন করে
পাখিরা সব করবে কুজন,আমরা দুজন তাদের সুজন-
এমনি করে কাটবে সময়,ইচ্ছে মতন দেখবো তোমায়!

ইচ্ছের সেই বাঁধন টারে,কেন তবে ছিন্ন করে-
রইলে পরে ঐ না দূরে,ডাক আবার বীণার সুরে
সন্ধাতারা তোমায় খুজে,আমার চোখে অশ্রু ঝরে-
প্রতিটাক্ষণ এমনি করে,বন্ধু তোমায় পড়ে মনে!
==============================================
গেরুয়া এ বুকে
বাউল এর বাস
স্যুট টাই পড়ে করি হাঁসফাঁশ

হৃদ কমলে ভ্রমর বাউল
অমৃত খোঁজে
আমি খাটি 'রোজ'-এ

সুযোগ মেলে না দেই মধু ওর
হতাশ ভ্রমর বসায় কামড়

বাউল মন রে ...
আমিও তো চাই
হাত ধরি তোর
দুজনে পালাই
কাটাই জীবন জঙ্গলেই
কুলায় সাধ্যে ? সাধ হলেই !
==========================================
~~‘কলুর বলদের মতো’~~
 

লোকে বলে, উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে দেশ, 
সত্যিই কোন মখার মুল্লুকে চলেছে স্বদেশ।
আমাদের হাজারো প্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা,
হচ্ছে উদ্ভট সব তত্ত্ব, চলছে রাষ্ট্রীয় রসিকতা।

কেউ টকশোতে কথা না বলে,
সবাই উদ্ধার কাজে যাও চলে।
মায়েরা আগে দেয় ঘর ঝাড়,
পরে দেয় তারা উঠুন ঝাড়।
কে বোঝাবে এমন কথা,
দিতে যাবে গর্দান-মাথা।

বাড়তি কথার ফুলঝুরি নিয়ে,
ইন্টারভিউ শীতল কক্ষে বসে।
নাড়াচাড়ার মহাতত্ত্ব দারুন এনেছেন,
নামের আগে ডক্টরেট যুক্ত করেছেন।

যাদের শ্রমে ঘামে এই দেশ, এই পতাকা,
তাদের জন্য কত দরদ দেখাল স.ম.মখা।

মন্ত্রী হয়ে নিশান পেট্রোল গাড়িতে চড়ছেন,
মানুষের নিরাপত্তা দেয়ার যে শপথ করেছেন,
তার কি হবে?এটুক মনে রাখার মন নেই?
লাখো মানুষের কান্নার কি কোন দাম নেই?

কোন সভ্য দেশের বাসিন্দা না,
আমরা মখার মুল্লুকের বাসিন্দা।

অস্ত্র কিনতে আট হাজার কোটি টাকা ব্যয় কিছুই নয়,
কিন্তু উদ্ধারের জন্য মানুষের কাছে টর্চলাইট খুঁজতে হয়।
আসুন, এখন আপনার-আমার যা করণীয় তাই করি,
‘কলুর বলদের মতো’ এই বৃত্তচক্রে ঘুরতে থাকি।।
================================================
~~কিচ্ছু বুঝিনি~~
 

স্বপ্ন স্রোতে হামাগুড়ি দিল
ডাষ্টবিনের কাক
মূহুর্তেই আমার দৃষ্টি
নড়ে উঠল ধনুকের মতো
কার্নিশে ফেলে দেয়া
লাল বলপেনের কানে কানে
কি যেনো বলে গেলো
বিভাজিত সময়
সারারাত বসে রইলাম
চোখের তরল ঘুম
মিশে গেলো
নীল জ্যোত্স্নার সাথে
কিছুই বুঝলাম না
কাক, কার্নিশ, লাল বলপেন
কিচ্ছু বুঝিনি।
============================================

~অন্তদর্হ~~
 

উষ্কখুষ্ক নিন্দ্য কালের ঘনাবৃত জীবন মোহে
পরিশুদ্ধ পথ চলা সে কি নির্মম !
প্রেমময় এ পৃথিবীতে সুখ যেন ক্রমশ মরিচিকা,
চারিদিকে বিলাপ অপদস্ত আর্তনাদ অহনির্শ ।

ঘুমহীন রাতের আঁধারে তৃষ্ণাতর্ চাতক আঁখি
আতঙ্ক বিড়ম্বনা নৈসগর্িক, এ যেন ভিন্ন শতাব্দি !
অনিশ্চিত জীবনের পদযাত্রা-প্রতি পদে ,
নিগৃহে আপনায় বিনির্বৃত্ত, নিদ্রাহীন রজনী ।

সর্বজন আজি সদা ব্যস্ত,জাতিগোত্রের অপমৃত্যু
দিশেহারা বিভ্রম পথভ্রষ্ট শুভ্রাংশু মস্তিস্ক !
বেমালুম ভুলে গেছি সুমহান সৃষ্টি বিন্যাস,
ভাবি না কেহ, স্রষ্টার সৃজন অপার মহিমান্বিত ।
============================================================
আমি কবি হতে আসিনি
এসেছি প্রেম দিতে
প্রেম পেতে...'
===========================================================
~~আজকের বৈশাখে~~

 

আজকের বৈশাখে দ্যাখো লাল বন্যা,
শপথের শিখা সব ভগিনী ও কন্যা।

মন্দিরা থেমে গেছে, বেজে ওঠে ডঙ্কা,
আনন্দের বুকে ছোরা, চোখেমুখে শঙ্কা।

নববর্ষে ফুটছে দ্যাখে কল্যাণী ছায়াভোর,
মুখ ঢাকে উড়ে যায় জীবনের যত ঘোর।

হাতে হাতে পতাকা, স্ফুলিঙ্গ ঝলকায়,
এসে গেলো টর্নেডোরা বিদ্যুৎ চমকায়।

ধরনীর সব সজীবতা হয়েছে পুলকিত,
আজকের ভোরটা নব রূপে আলোকিত।

গানে গানে তুমি লাল সবুজের বুকেতে,
গান আছে প্রাণ নেই খরতাপ পায়েতে।

কলরোল ছাপিয়েছে ঈশানেতে গুরুগুরু,
মেলামাঠে তবে কি বৈশাখে ফের শুরু।
=====================================================
~~শুভ নববষর্~~ 
 

তুমি আসবে জেনে সেই কবে থেকে আমি অধীর আগ্রহে,
তোমার আগমনী বতর্ায় আজ উর্বশী যেন সমস্ত পৃথিবী,
অবশেষে তুমি এলে,ধরনীর সকল সজীবতা আজ পুলকিত
ঘরে ঘরে নেমে এলো খুশির জোয়ার,আহা সে'কি আনন্দ !
ওহে নববষর্ তুমি নিস্কলঙ্ক করে দাও বাংলার যত ভ্রান্তি
অতীতের সব দুঃখ গ্লানি ধুঁয়ে মুছে বষর্িত করো শান্তি ।

তোমার নৈপুন্যতায় শুরু হোক আবার আগামীর পথ চলা
প্রতিটা মানব হৃদয়ের ক্যানভাস হয়ে উঠুক সুজলা ,
আমরা আর দেখতে চাইনা ঐ নৈরাজ্য বিপন্ন জন জীবন
তোমার কাছে এই অবুঝ মনের শুধু এটাই প্রত্যাশা !
তুমি লাল সবুজের বুকে বন্ধুত্বের সুগম যাত্রা বয়ে দাও
কালের প্রত্যাবর্তনে নিপাত হোক যত বীভৎস,শুভ নববষর্ ।
==========================================================
~~বিধাতার বিধান~~
 

পাঠিয়েছি তো তোরে করে নেংটা
মায়ের জঠরে ভরে
উঠিয়ে নিয়ে যাব আবার নেংটা
মাটির ঘরেতে পুরে।

বিধান পাঠিয়েছি যুগে যুগেতে মহামানবদের হাতে করে করে
সাবধান বাণী দিয়েছি বার বার, পা পিছলে বিপথে না পরে
যার যার সময়ের কালো যুগেতে ফেরাতে পথে হে মানব জাতি
বড্ড ভালোবেসে বানিয়েছি তোদের, সৃষ্টিতে আমার সর্ব শ্রেষ্ঠ জাতি
সইতে পারি না আমি তোদের অর্বাচীন বিপথ গমন
নরের সাথে নারী জুটি দিয়েছি, তবুও করিস বিপথে রমণ
ভালো মন্দের পথ নির্দেশ দিয়ে গেছি তোদের যুগে যুগে
পরে দেখিস নি আমার বিধান, স্রষ্টার স্মরণ কষ্টে ভুগে।

জাতিভেদ করেছিস নিজেতে নিজেতে আমার বিধান ভুলে
ভাল মন্দের বিভেদ ভুলেছিস ঠুনকো কিছু অহংকারের ধোঁয়া তুলে 
মানুষ তোরা শ্রেষ্ঠ প্রাণী বানিয়েছি আমি ভুলে যাস কেন
কাদামাটির ঢেলায় প্রাণের প্রতিষ্ঠা মনের মাধুরী মিশিয়ে যেন 
চলেছিস তোরা পাপাচারের পথে আমার দেয়া বিধান ভুলে
কেন ভুলে যাস পৃথিবী থেকে আবার একদিন নেব আমি তুলে
আস্তিক আর নাস্তিক নামে বিভাজ্য তোরা মানব জাতি
আমার কাছে ফিরে আসার পর কি জবাব দিবি হবে কি গতি
একটি একটি হিসেব নেব ভালো আর মন্দের পাল্লা ধরে
আবার যেদিন ল্যাংটা শুয়ে থাকবি সাড়ে তিন হাত মাটির ঘরে
নাস্তিকতার দোহাই দিয়ে পাবি না সেদিন পরিত্রাণ
যুগে যুগে নবী রসূল পাঠিয়ে করেছিলাম তোদের সাবধান। 

সব ধর্মে একই রূপ আমার বলেছিলাম তোদের বারে বারে
আমার বিধান একই রূপে লেখা সকল ধর্মের প্রতিটা কিতাবে
সব নবী রসূলই ধর্মের কাণ্ডারি পাঠিয়েছিলাম মানবের কল্যাণে
সময়োপযোগী করে যার যার যুগে মানব জাতিরই প্রয়োজনে
আজ তোরা করিস কুৎসা রচনা আমার গ্রন্থ ফেলে
অনেক যে সময় তোদের হাতে দিন রাত দিস ঢেলে
সময় হয় না তোদের কখনো আমার কিতাব পড়ার
জানতে পারতি কি নেই তাতে মানবের মঙ্গল গড়ার।

মানুষ হয়ে বিধান বানাস ধর্ম ব্যবসার নামে
মানবের মাঝে মানব বিভক্ত বেচাকেনা নানা দামে
শুধিস তাদের সৃষ্টি করতে জড় বস্তুতে একটু প্রাণ
প্রমাণ মিলবে তাতেই তোদের কে করতে পারে জীবন দান
এ পৃথিবীতে মৃত্যুর চেয়ে শাশ্বত আর কিছু নেই
ফিরে আসবি মায়াজাল কেটে সে তো রে আমার ঘরেই
নিয়তি লিখে রেখেছি প্রত্যেকের কপালে এটাই আমার বিধান
ফুরিয়ে যায় নি সময় এখনো, ক্ষমাতে আমিই মহান
কালের বিবর্তনে নানা ধর্ম পাঠিয়েছি করতে মানবের কল্যাণ 
যুগে যুগে এক একটি নাম হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ আর মুসলমান
যার যার ধর্মের কিতাব পাঠিয়েছি এক একটি নাম দিয়ে
সময় হয়নি তোদের পড়ার একটুকু মন দিয়ে 
মূল কথাগুলো একই আছে সব গ্রন্থে - সৃষ্টিকর্তা মহান
যে কিতাবই খুলে দেখিস না কেন - বেদ, ইঞ্জিল, বাইবেল আর কোরআন।

সময় যায় নি এখনো পড়ার আমার পাঠানো সকল গ্রন্থ 
ত্রিভুবনের স্রষ্টা আমি - এটাই সব ধর্মের মূল মন্ত্র
আমার বিধান মানতে হবে লেখা আছে প্রতিটি ধর্ম গ্রন্থে
পাপাচারের পথ পরিহার জপন করিস মন্ত্রে মন্ত্রে 
যখন দেখি আমার অনুসারীদের ওপর নাস্তিকেরা উঠে লাফে
জেনে রাখিস হে মূর্খ মানব আমার আরশ তখন কাঁপে
ধর্মের নামে হানাহানি বারণ করেছি আমি বার বার
যুগে যুগে মূর্খ মানবের দল একই কাজ করে যায়
কে শোনে কথা কার?
কেন ভুলে যাস এ ত্রিভুবন আমার। 
যার যার ধর্মে আমিই সৃষ্টিকর্তা একেক ধর্মে একেক নাম
নানা রূপে তোরা জানিস আমায় - ঈশ্বর, আল্লাহ কিংবা ভগবান।

আস্তিক হোক আর নাস্তিক হোক মৃত্যুতেই তোদের শেষ পরিণাম
আখেরাতের দিনে আবার তোদের দেহে দেব আমি প্রাণ
কঠোর শাস্তি তোদের জন্য আমার নির্দিষ্ট করা
এই কথাটি আমার কিতাবে হয় নি তোদের পড়া?
শুধিতে হবে রে এ পৃথিবীর সকল কর্ম ঋণ
শেষ বিচারে প্রাপ্য পাবি হে মানব, আখেরাতের দিন
স্বর্গ নরক আমারই সৃষ্টি বার বার বলে গেছি
প্রতিটি কিতাবে প্রতিটি ধর্মে সাবধান বাণী দিয়েছি 
সৃষ্টির সেরা মানুষ করেছি সে আমারই অবদান
চাই না আমি দিতে রে তোদের শাস্তির কঠোর বিধান
দোযখ করেছি অনেক ভেবে মাত্র সাতটি
বেহেস্ত বানিয়েছি আমার অনুসারীর লাগি বেশী একটি
যুগে যুগে অনেক নাস্তিক আসে ধর্ম অবমাননাকারি
ভরব দোযখ তাদের দিয়ে ঘৃণ্য সারি সারি
দখলিবে স্থান দোযখ জুড়িয়া নাস্তিকেরা কর্ম ফলে
হাসিবে সেদিন আমার আনুসারিগন ভরিয়া ফুলো ফলে।

মাটি হতে তোদের সৃষ্টি করেছি শ্রেষ্ঠ জাতি করে
আবার তোদের ফিরিয়ে আনবো মাটিতে বিলীন করে
হিসেব কষব পাই পাই করে এনে তোদের মাটির ঘরেতে 
বুঝবি সেদিন খুব ভালো করে - সৃষ্টিকর্তা কে?
==================================================================
~~বন্ধ করো পান্তাভাত মস্করা~~

পহেলা বৈশাখ সমাগত। বাঙালীর প্রাণের উৎসব । নিঃসন্দেহে চলমান রাজনৈতিকে আবহে এবারের নববর্ষ বরণ ভিন্ন আমেজে পালিত হবে। বিশেষতঃ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত গণজাগরণের বিপরীতে মধ্যযুগীয় উন্মাদনায় ধর্মোন্মাদ গোষ্ঠীর উত্থানে আমাদেরকে বাঙালীর নিজস্ব উৎসব, অসাম্প্রদায়িক চেতনাই যার মূল উপজীব্য তাকে পালন করতে হবে সকল প্রকার বর্বর সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করার দীপ্ত শপথে।

তবে পহেলা বৈশাখ পালনে বিগত বেশ কিছু বছর ধরে একটি অপসংস্কৃতির দৃষ্টুকটু অনুপ্রবেশের বিষয়ে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। হ্যা, ইতোমধ্যেই এটি আজ পহেলা বৈশাখের 'অপরিহার্য অঙ্গ' হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে এবং তা হলো তথাকথিত 'পান্তা-ইলিশ' ভোজন পর্ব।

প্রথমেই আসা যাক পান্তাভাত প্রসঙ্গ। পান্তাভাত দেশীয় খাদ্য হলেও এটা বাঙালীর কোন শখের খাদ্য নয়। বরং পান্তাভাতে মাখানো রয়েছে আমাদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যাপিত জীবনের অর্থনৈতিক অপরাগতার অশ্রুজল। ব্যক্তিবিশেষে হয়তো পান্তাভাত পান্তাভাত পছন্দের হতে পারে কিন্তু প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দারিদ্রতার কষাঘাতে বাধ্যতামূলক নিত্যদিনের খাদ্য এই পান্তাভাত। উপাদেয় কিংবা পুষ্টিকর খাবার না হওয়া সত্ত্বেও হত দরিদ্র এ জনগোষ্ঠি তাদের পরিবার পরিজনদের নিয়ে নিতান্ত বাধ্য হয়েই দিনের পর দিন খেয়ে যাচ্ছে এই পান্তাভাত। তাদের দারিদ্রতার প্রেক্ষিতেই বাঙলা বাগধারায় প্রচলিত রয়েছে 'নুন আনতে পান্তা ফুরায়' প্রবচন।

হতদরিদ্র প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দারিদ্রতার সিম্বল বলা যায় এ পান্তাভাত। ঢাকাকেন্দ্রিক ছিন্নমূল কতিপয় বাঙালী বাবুর কল্যাণে পায় একদশক যাবত এ হেন পান্তাভাতকে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের একটি উপকরণ হিসেবে আজ প্রায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। আর এর সাথে সংযোজিত হয়েছে ইলিশ মাছ যা ঐ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর আজ স্বপ্ন খাবার।

পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে চলমান ভোগবাদ নির্দশিত সমাজ (Consumer Driven) সমাজে একধরণের পাগলামি পেয়ে বসেছে। তাই বাজারে বৈশাখ আসতে না আসতেই ইলিশে আট/দশগুণ দামে ইলিশ বিকোয়।

ভাবতে অবাক লাগে বছরের পর বছর পহেলা বৈশাখে এ হেন পান্তাভাতকে নিয়ে ভোজন উৎসব চলছে যা প্রকারান্তরে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দারিদ্রতাকে নিয়ে মস্করা করা!

আসুন এবারের পহেলা বৈশাখেই প্রান্তিক হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর সাথে এ ধরনের মস্করা বন্ধ করি।

এবারের পহেলা বৈশাখের শপথ হোক -

বন্ধ করো পান্তাভাত মস্করা
রুখে দাও সাম্প্রদায়িকতা।
===============================================================
কাঠালচাঁপার ভাপসা গন্ধে
ঘুমোতে পারেনি কিশোরী
কতদিন।
প্রতিদিন
অনাহুত যুবকের স্পর্শে কেঁপে উঠে সে।
সূর্যমুখি মন নুয়ে পড়ে।
আশাহত প্রেমে, ভুল প্রণয়ে-
ভালবাসা তাঁর শেষ হয়ে গেছে কবে!

শুদ্ধমানব, অশুদ্ধ প্রেম
আর এক বুক অপরাধ সম্ভল এখন।
বিবর্ণ ঠোটের চির স্বাভাবিক চুম্বনে,
রচিত হয় মঞ্চ নাটক।
অনাহুত যুবকের প্রসারিত বিবস্ত্র বুকে
জাগ্রত হয় ত্রি-মাত্রিক কল্পনা।

বৈরাগী রাত ঘরে ফিরে, গঙ্গাজলে স্নান শেষে।
কিশোরীর কুকরানো চুলে হাত বুলিয়ে দেয়
বৈশাখি হাওয়া, দিক বদলের কালে।
এভাবেই সময় চলে। পরিশেষে
কিশোরীর চোখে বিস্ময়! একদিন, ভুল করেছিল সে
ভুল সময়ে ভালবেসে!
============================================
~~রাধা হবি ?~~

বিনা শীতের
কাঁপন জাগালি,
কাঁথা হবি ?

যে ভার কষ্ট ভর করেছে
নিজকে আমার পর করেছে
বাইবি সে ভার ?
গাধা হবি ?

মরুর বালি প্রাণ পানি খায়
মূর্তি গড়া তা দিয়ে যায় ?
মাধুরি মিশিয়ে তপ্ত মনের
মূর্তি বানাবো
কাদা হবি ?

খেলিই যদি প্রলয় খেলা !
জিত্‌তে হারা সারা বেলা,
বাধা হবি ?
============================================================
কষ্টেই যদি কর্ লি নষ্ট 
কান খুলে শোন্, পষ্ট কবো - 
বুকে আমি তোর কষ্ট হবো !

করলি নষ্ট, বললি ভ্রষ্ট 
কষ্টই দে ! নষ্টই হবো !

নষ্ট বীজের কষ্ট ফসল
ফলাবোই করে জবর দখল
বুক জমি তোর
শপথ এ মোর !

কষ্টকে ভালোবাসা শেখাবো !

নষ্ট এ আমি, কষ্ট এ আমি,
সুখেতেই, তোর বুকেতেই রবো !

বুকে আমি তোর কষ্ট হবো !
=================================================================

কাবীন খুলে ধমক হাঁকাও 
ভাত দে ! কাপড় দে !!
চাক্‌ খুলে যেই ডাকো, আসি
মধুর লোভে তে !

মনটা খুলে ধরলে না
মোর
মনের খবর করলে না
তাই
মন জানালা দিলাম খুলে...

মন পড়সি রে !
==============================================================
কান্না বিহিন চোখ ছাড়া তোকে ভাবতে পারি না 
অস্রুর চুমু গড়ায় গালে 
না এসেই এতো আদর ? ভেজাবি অস্রু গোসলে ? 
এসে ফের্‌ ফেলে যাবার কালে ? 

স্বপ্ন বিহিন ঘুম ছাড়া তোকে ভুলতে পারি না
স্বপ্নেও কাঁদি ঘুমিয়ে গেলে
ভুলতেই যদি হয় তোকে তবে ঘুম ই ভালো ?
আরও ভালো, চির নিদ্রা হলে ?

তুই বিহিন এ বেঁচে থাকা আর বাঁচতে পারি না
বেঁচে আছি শুধু বাঁচার ছলে
শ্বাস টানি হৃদপিণ্ডও চলে ধুক্‌ পুক্‌ স্বরে
শুধু একেই কি বাঁচা বলে ?
===============================================================
ঝর্না নামে
নদি নামে 
জোয়ার জলও ভাটায় থামে ?
সবাই ছোটে সাগর ধামে 
সব জলের ই লক্ষ্য তাই !

চোখের পানি বুকে জমাই
আমার কোন সাগর নাই !
=====================================================
ফুল ভালোই লাগে 
সৌন্দর্যের পেছনের মতলব যখন বুঝি 
পরাগায়ন, বংশ বিস্তার, 
ভাবি, ' শালার ফুল ও পলিটিশিয়ান’ ? 

পড়তে ভালোই লাগে
যেই জানি ওটা পাঠ্য
পরীক্ষা নেবে,
বইকে মনে হয় বউয়ের প্রাক্তন প্রেমিক !

জন্মে ভালোই লাগে,
উদ্দেশ্য যখন জানি পরীক্ষা,
পরকালের,
কারন পরিস্কার হয় জন্ম-চিৎকারের !

ভালোবাসা ভালোই লাগে,
উদ্দেশ্য যখন জানি বিয়ে, বংশবৃদ্ধি
আর থলে হাতে নিত্য বাজার,
সব সব্জিকে মনে হয় করলা !
===========================================================
একদিন চিমটি কাটবো - 

যাচ্ছিই করে ঘুর ঘুর পাশে 
পাচ্ছিস টের করি সে কি আশে ? 

তাকা !
না হলে চিমটি খাবি,

পিঁপড়া ভেবে ঠিক তাকাবি !
=========================================================
~~ফড়িং রে~~


ফড়িং রে !
তোর কপাল ভালো
এখন আর আমি গ্রামে থাকি না !

পাটকাঠি মাথে জিগারের আঠা, 
পিছে ঘুরি তোর ? খোঁজই রাখি না !
এখন আর আমি গ্রামে থাকি না !

কানি বক !
তোর কপাল ভালো
পুঁটি ফাঁদ পেতে ফেলে রাখি না !
এখন আর আমি গ্রামে থাকি না !

ও তেতুল !
তোর ও কপাল ?
পেকে ঝরার আগে মরিস না ?
দিতাম পাঁকতে থাকলে গ্রামে ?
নেই আমি সে শোকোর করিস না ?

মেঠো পথ !
তোর কপাল ভালো
এখন আর আমি গ্রামে থাকি না !

সন্ধ্যা সকাল বালকের পাল
নিয়ে বুকে দেপে পা ফেলি না ।
বর্ষার ব্যাঙ ! তোর ও কপাল !
ছুড়ে ঢিল তোরে মেরে খেলি না !

আমার ই যতো মন্দ কপাল
আত্মারে সাথে নিয়ে বাঁচি না

এখন আর আমি গ্রামে থাকি না !
===============================================================
একদিন, কামড়ে দেবো ! 

বুকে নয় মুখে নয় 
দুঃখ বা সুখে নয়
হাতে নয় পায়ে নয়
চুল নখ গায়ে নয়

কলিজাতে কামড়িয়ে
প্রেম টুকু শুষে নিয়ে
সরে যাবো, দূরে যাবো
একদিন, কামড়াবো !
=========================================================


2 comments:

  1. কবিদের নাম কই। এখানে একটা লেখা আমার

    ReplyDelete
  2. কবির নাম নেই কেন?
    এইখানে আমারও একটা লিখা আছে

    ReplyDelete